22/10/2025
🐥 ব্রুডিংয়ে মুরগির বাচ্চা মারা যাওয়ার প্রধান কারণগুলো:
১. ✅ তাপমাত্রার সমস্যা (Temperature problem)
তাপ কম হলে বাচ্চারা ঠান্ডায় জমে যায়, গাদাগাদি করে, ঠাণ্ডাজনিত রোগে মারা যায়।
তাপ বেশি হলে বাচ্চারা হাঁপাতে থাকে, পানি কম খায়, ডিহাইড্রেশন হয়ে মারা যায়।
🔧 সমাধান: প্রথম সপ্তাহে ৩৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রা বজায় রাখা এবং প্রতি সপ্তাহে ২.৮° করে কমানো।
---
২. ❌ খাদ্য ও পানির ঘাটতি
মানহীন খাবার, অপর্যাপ্ত খাবার বা দূষিত পানি দিলে বাচ্চারা দুর্বল হয়ে যায় এবং মরতে পারে।
🔧 সমাধান: বাচ্চাদের জন্য প্রি-স্টার্টার ফিড এবং পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা।
---
৩. 💨 বায়ু চলাচলের সমস্যা (Ventilation problem)
ব্রুডিং হাউজে যদি বায়ু চলাচল না থাকে, তবে অ্যামোনিয়া গ্যাস জমে শ্বাসকষ্ট হয়ে বাচ্চা মারা যেতে পারে।
🔧 সমাধান: ব্রুডিং রুমে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা, কিন্তু ঠান্ডা হাওয়া যেন না ঢোকে সেদিকে খেয়াল রাখা।
---
৪. 🧼 পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব
অপরিষ্কার ব্রুডিং রুমে জীবাণু ও রোগ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে বাচ্চারা মারা যায়।
🔧 সমাধান: ব্রুডিং শুরু করার আগে ও নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে রুম ও সরঞ্জাম পরিষ্কার করা।
---
৫. 🦠 রোগ ও সংক্রমণ
যেমন: কোষিডিওসিস, নিউক্যাসেল, ইনফেকশাস ব্রনকাইটিস ইত্যাদি রোগে বাচ্চারা মারা যেতে পারে।
🔧 সমাধান: টিকা ও প্রয়োজনে ওষুধ ব্যবহার করা, অসুস্থ বাচ্চা আলাদা করা।
---
৬. 🚫 ভিড় (Overcrowding)
একসাথে বেশি বাচ্চা রাখলে অক্সিজেনের অভাব, গরম, খাবার-পানির কমতি হয়। এতে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ে।
🔧 সমাধান: যথেষ্ট জায়গা রাখা। প্রতি বাচ্চার জন্য কমপক্ষে ০.৫ বর্গফুট জায়গা দিতে হবে।
---
৭. 🚚 পরিবহনের সময় স্ট্রেস
হ্যাচারি থেকে ব্রুডিং হাউজে আনার সময় যদি সঠিকভাবে তাপমাত্রা, বাতাস ও সময় মেইনটেইন না করা হয়, তাহলে স্ট্রেসে মারা যেতে পারে।
🔧 সমাধান: বাচ্চা আনার সময় সাবধানে আনা এবং দ্রুত ব্রুডারে ঢোকানো।
---
✅ উপসংহার:
তাপমাত্রা, খাবার-পানি, পরিষ্কার পরিবেশ, পর্যাপ্ত জায়গা এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ — এই ৫টি বিষয় ঠিকঠাকভাবে মেইনটেইন করলে ব্রুডিংয়ে মৃত্যুহার অনেক কমে যায়।