15/10/2025
আমার মতে কোন দরকার ছিলো না এমন একজন সহজ সরল মানুষটাকে নিয়ে ভুলভাল নিউজ করার।
একটা পরিবারে অনেক রকমের সমস্যা থাকতে পারে তাইবলে সব সমস্যার কথা মিডিয়ার সামনে বলে নিজেকে ছোট করবে এমন তো না।
মানুষের তো একটা পার্সোনালিটি থাকে সেটাও কি আপনাদের জন্য থাকবে না বলেন?
আমি বলতে চাচ্ছিলাম ( রিপন মিয়ার ) কথা, বর্তমানে তিনি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর + কাঠ মিস্ত্রি।
তার বাসাতে গিয়ে ঐসব আজেবাজে কথা না জিজ্ঞেস করলে ও পারতেন তিনারা।
আসলে রিপন মিয়া ছোট থেকে বড় হইছে অনেক কষ্টে,তার মা-বাবা তাকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছে কিন্তু তাকে ঠিকমতো লেখাপড়াটা করাইতে পারেনি।
আর ঐ যে তিনি লেখাপড়া করতে পারেনি এজন্য সে কখোনোই চাইতো না কোনো মিডিয়ার সাথে কথা বলতে।
আসতে রিপন মিয়া ভাবতো যে, সে তো একজন মূর্খ মানুষ মিডিয়ার সামনে কখোনো ইন্টারভিউ দেয়নি, যদি ভুলভাল কিছু বলে ফেলে সে, এবং তাকে যদি মানুষ ভুল বুঝে এজন্য মূলত সে কোনো মিডিয়ায় ইন্টারভিউ দিতো না।
যদিও বা তার ইন্টারভিউ কেউ নিতে আসতো তখন রিপন মিয়া তাকে বলতো যে, আপনি আমার ম্যানেজার এর সাথে কথা বলেন। আর এই কথাটা এজন্য বলতো কারন তার ম্যানেজার ছিল শিক্ষিত।
রিপন মিয়ার একটা নিউজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয় সেটা হলো তার মা একটু ভুল কথা বলেছিল যে তাদের কে খুব একটা ভালো করে ভরস পোষন দেয়না বা দেখে না।
কিন্তু পরে রিপন মিয়ার মা এটা ভুল বলেছে বলে দাবি করে এবং বলে যে, ( আমি যেটা বলেছিলাম সেটা আমার মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে আমি এমনটা বলতে চাইনি,আমি ভাবছি যে এতে মনে হয় আমার ছেলে উপরের দিকে যাবে কিন্তু পরে দেখলাম যে উপরের দিকে না গিয়ে আরো নিচের দিকে যাচ্ছে)।
তো যায় হোক সব কথার এক কথা হলো আমরা তো মানুষ আর মানুষ মাত্রই তো ভুল।
হয়তো বা তারাও ভুল করে এমন পরিস্থিতির শিকার হইছে।
আরো অনেক কথা ছিলো তার ব্যাপারে কিন্তু এতো কথা বলতে পারলাম না,
রিপন মিয়া এবং তার স্ত্রী ও তার মা সময় টেলিভিশন এর মাধ্যমে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
আশা করি আমরা সবাই তাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবো।
আপনারা ভাবতে পারেন যে আমি মনে হয় তার গুনগান করতেছি কিন্তু সেটা না।
রিপন মিয়া ও একজন সাধারন মানুষ আমি ও একজন সাধারন মানুষ।
আর এই সাধারন মানুষ এর মন থেকে যতোটুকু বলার ছিলো বললাম।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ