27/01/2023
বেকারত্ব আমাদের দেশের জন্য যেন একটা অভিশাপে হয়ে গেছে। কর্মসংস্থান না পেয়ে লাখো যুবক পথে পথে ঘুরে। চাকরিতে সীমিত পদের জন্য হাজার হাজার আবেদন পড়ে। এত আবেদনকারীর মাঝে নিজেকে অসহায় লাগে। এমন পরিস্থিতিতে চাকরি না পেয়ে দুশ্চিন্তায় কুরে কুরে খায় অগণিত যুবককে। আর যখন কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে বের হয় তার জন্য তো আরো বেদনাদায়ক। চিরায়ত প্রবাদ ‘লেখাপড়া করে যে, গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’ এটাকে এমনভাবে বলাই যেন মানানসই ‘লেখাপড়া করে যে, বেকার বেশে হয় সে।’ এটা থেকে কি বুঝা যায়, এরা কি যোগ্য নয়?
কীভাবে এটার সমাধান হবে? এ সমস্যা কমিয়ে আনার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন- এ দেশে কর্মমুখী শিক্ষার খুব অভাব। কর্মমুখী শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। একজন যুবককে শুধু শিক্ষিত হলে হবে না। তাকে হাতে-কলমে কাজ শিখতে হবে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসংস্থান পদ অনুযায়ী ভর্তি করাতে হবে। কার্যকরী শিক্ষা দিতে হবে। চাকরির অপেক্ষা না করে যুবকদের স্বল্প পুঁজি নিয়ে হলেও উদ্যোক্তা হতে হবে। পরনির্ভরশীল না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। মনোবল বা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। নিজের উদ্যোগকে ছোট করে দেখা যাবে না। মনে রাখতে হবে ‘বিন্দু বিন্দু করেই মহাসিন্ধু’। পাছে লোকে উপহাস করবে তাতে কান দেয়া যাবে না। শিল্পনির্ভর কাজ করতে হবে। যুবকদের যোগ্যতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর কর্মদক্ষতা বাড়াতে হবে। ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক কাজ করার মাধ্যমেও কর্মসংস্থান করা যেতে পারে। পরিশেষে, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। কোনো কাজকে ছোট করে দেখলে হবে না। নিজের কাজের প্রতি যত্নবান, শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তাহলে ধীরে ধীরে আমাদের দেশে বেকারত্ব কমিয়ে আনা সম্ভব।
তাই চাকরির আশা না করে ঘরেই বসে শুরু করে দিন ফ্রিল্যান্সিং,, হয়ে উঠুন উদ্যোক্তা 💪💪