26/04/2025
জাপানীদের জীবন ধারণ খুবই অদ্ভুত। অনেক বেশি পরিশ্রম করে তারা। ভবিষ্যতে গাড়ি-বাড়ি ফ্ল্যাট করতে হবে এমন চিন্তা তাদের মধ্যে নেই। বর্তমান সময়টাকে ওরা প্রাধান্য দেয়, তাই বলে এমন না যে তারা বিলাসিতায় গা ভাসায়। প্রয়োজন ছাড়া তারা একটা পয়সাও কোথাও নষ্ট করে না। যা ইনকাম করে তা খাওয়ার পিছনেই ব্যয় করে।
অনেকেই একই কাপড় বেশিরভাগ সময় পড়ে থাকে। এক জোড়া জুতা যতোক্ষন না নষ্ট হয় ততোক্ষন ওইটাই পরে। অপচয় করাকে তারা অপছন্দ করে। বিনা প্রয়োজনে ঘরের লাইটটা পর্যন্ত ওরা জ্বালিয়ে রাখে না।
আমাদের মতো তাদের গাড়ির বিলাসিতা নেই। জাপানীরা ছোট ছোট গাড়ি ইউজ করে, তাদের কাছে ব্র্যান্ড ভ্যালু নাই। যে গাড়ি চালাতে সুবিধা, ট্যাক্স কম, তেল কম যাবে, বাড়িতে কম জায়গায় রাখা যাবে সেই গাড়ি ইউজ করে।
কারো বাসায় যাওয়ার আগে কমপক্ষে ১ সপ্তাহ আগে ফোন করে জিজ্ঞেস করে ওইদিন যেতে চাই, সমস্যা আছে কিনা। যদিও এরা খুব কমই একজন আরেকজনের বাসায় যায়। যদিও যায় সেখানে খুবই সামান্য পরিমানে জিনিস নেয়। যেমন কিছু আপেল বা ৩০০ গ্রাম আঙ্গুর অথবা যার বাসায় যাবে তার পছন্দের কেক বা মিষ্টি। অনেক আইটেম বা অনেক বেশি করে নেয় না। আবার যার বাসায় যায় সেও শুধুমাত্র চা বা রেডি বিস্কুট বা যেকোনো ফল দিয়ে আপ্যায়ন সারে।
বৃদ্ধ বয়সে তারা কারো ওর নির্ভরশীল হয় না। সন্তান থাকলেও বাবা মা যেমন নিজে একা থাকতে পছন্দ করে তেমনি সন্তানদের পরিবারেও ঝামেলার কারন হতে চায় না। ৬৫ বছরের পর সরকার থেকে দেওয়া দেওয়া ট্যাক্স থেকেই ১০ মান করে ওনাদের দেয়া হয়। সেগুলো দিয়ে জাপানিরা চললেও তারা নিজেরাও কাজ করে যতোদিন পর্যন্ত করতে পারে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছুই পছন্দ করে না। বাড়ি থাকলে কেউ আরেকটা বাড়ি কিনতে চায় না। তাদের একমাত্র চাহিদাই হচ্ছে খাওয়া। যে কোন উৎসবের দিন তাদের চাহিদাই হচ্ছে একটু ভালো খাওয়া দাওয়া।
বেশি বেশি চাহিদা আমাদের জীবনটাকে অনেক বেশি কঠিন করে তোলে। জাপানিরা পরিশ্রম করে শরীরকে ঠিক রাখার জন্য কারি কারি টাকার জন্য নয়। ওদের কাছে মনে হয় যে অলস বসে থাকলে শরীর তাড়াতাড়ি খারাপ হয়।
collected