
01/06/2025
রাজশাহীর মানুষ যে অলস – তার ১০টি প্রমাণ
রাজশাহীর মানুষকে ঘিরে বহুদিন ধরেই একটি প্রচলিত কথা শোনা যায়—“এরা একটু বেশি আরামপ্রিয়।” যদিও এটি কিছুটা অতিরঞ্জিত, তবে কিছু নিদর্শন সত্যিই এই কথাটিকে মজার রকমেই প্রতিষ্ঠিত করে। নিচে রাজশাহীর মানুষের অলসতার ১০টি রম্যধর্মী প্রমাণ তুলে ধরা হলো:
১. আম- লিচু পাকলে কাজ বন্ধ!
আম লিচুর মৌসুম এলেই দেখা যায়, অর্ধেক মানুষ কাজ-কর্ম ফেলে বাগানে চলে যায়। তারা বলেন, “আম, লিচু খাওয়ার সময়, কাজ পরে হবে।”
২. চা দোকানই আড্ডার মূল কারখানা
রাজশাহীতে চা দোকানে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দেওয়া যেন অলিখিত নিয়ম। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একেকজন তিনবার করে আসে—কাজের চেয়ে চায়ের প্রেম বেশি!
৩. দুপুরের ঘুম জাতীয় ঐতিহ্য
দুপুর ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাস্তায় কাকপক্ষীও নেই। সবাই এমন ঘুমায় যেন রাত্রি ১ টা বেজে গেছে!
৪. ‘আগে দেখি, পরে করব’ দর্শন
নতুন কোনো কাজ শুরু করতে বললে উত্তর মেলে, “আগে দেখি, পরে চিন্তা করব।” আর সেই “পরে” কখনো আসে না!
৫. হেঁটে যাওয়ার বদলে রিকশা – ২ মিনিটের পথেও!
দুই মিনিট হাঁটা লাগলেও রাজশাহীর অনেকেই রিকশা খোঁজেন। শরীরের কষ্ট কেন করবেন?
৬. সকালে বাজার – বিকেলে রান্না!
বাজার করে এসে বিশ্রাম নেওয়া দরকার। তাই রান্না হবে বিকেলে, খাওয়া হবে সন্ধ্যায়।
৭. কাজের কথায় তাড়া নেই, গল্পের সময় ঘড়ি দেখে না
কোনো কাজের ব্যাপারে বললে সময় নেই, কিন্তু গল্পে বসলে সময় কোথায় উড়ে যায় বোঝা যায় না।
৮. ‘কাল করব’ – প্রিয় বাক্য
রাজশাহীর মানুষের প্রিয় বাক্য: “কাল করব।” কিন্তু সেই কাল আজও আসে না।
৯. ছুটির দিনে ঘুম আর সিরিজ – বাইরের জগত বাতিল
ছুটির দিন মানেই মোবাইলে সিরিজ, খাওয়া আর ঘুম। বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থাকে না।
১০. হাই তুলেই দিন শুরু – হাই তুলেই দিন শেষ
সকালে উঠেই হাই, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আরেকটা হাই—বুঝে নেওয়া যায়, প্রাণে কাজের চেয়ে বিশ্রামই বেশি পছন্দ।
এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ রম্যধর্মী ও মজার ছলে উপস্থাপন করা হয়েছে। রাজশাহীর মানুষের মধ্যে যেমন আরামের প্রতি আকর্ষণ আছে, তেমনি তাদের মাঝে শান্তিপূর্ণ জীবনের প্রতি গভীর ভালোবাসাও আছে। কাজের মানুষ যেমন আছে, তেমনি আড্ডার মানুষও আছে। তাই বলা যায়—
"রাজশাহীর অলসতা, আসলে তাদের নিজস্ব স্টাইল!"
কপি