কাব্য কথা

কাব্য কথা আপনার নামাজের কথা মনে আছে তো

23/01/2025

আল্লাহুম্মা আমীন!

22/01/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Mita Ahmed, রাতজাগা বালক, M K Parvez, Md Maruf Islam, Md Ujjal, সুলতানা পারভীন

দুইজন মিলে নখ কেটে দিচ্ছে। আরেকজন পায়ের তলা পরিষ্কার করছে। কার? একজন কাস্টমারের। এই হল তথাকথিত নারী স্বাধীনতার বাস্তবতা।...
21/01/2025

দুইজন মিলে নখ কেটে দিচ্ছে। আরেকজন পায়ের তলা পরিষ্কার করছে। কার? একজন কাস্টমারের।
এই হল তথাকথিত নারী স্বাধীনতার বাস্তবতা। নিজের স্বামীর জন্য রান্না-বান্না করা, নিজের ঘর পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন করা ও নিজ সন্তানের লালন- পালন করাকে পরাধীনতা মনে করে। অথচ পর পুরুষের পায়ের তলা পরিষ্কার করা আর ময়লা, দুর্গন্ধময় নখ কেটে দেয়াকে নিজেদের স্বাধীনতা মনে করে।
বাস্তবতা হল- পশ্চিমাদের বানানো নারী স্বাধীনতা নিছক্ ধোঁকা ছাড়া কিছুই না। ঠিক মরীচিকার মতো; দূর থেকে দেখতে পানি জ্বলমল করছে মনে হলেও কাছে গেলে বিভীষিকাময় শুষ্ক মরুভূমির বালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না।
অথবা বলতে পারো- ঠিক মরুভূমির চোরা বালির মত। ভরসার মনে করে পা' দিবে তো অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে।
হ্যাঁ, তথাকথিত নারী স্বাধীনতার এটাই বাস্তবতা..

আমিও জানতাম না আজ আমার লাইফে পড়া সব থেকে ভয়ংকর হাদিসের একটা হাদিস আজকে পড়ে ছিলাম এতো দিন অজানা ছিলো হাদিস টা হলো........
21/01/2025

আমিও জানতাম না আজ আমার লাইফে পড়া সব থেকে ভয়ংকর হাদিসের একটা হাদিস আজকে পড়ে ছিলাম এতো দিন অজানা ছিলো
হাদিস টা হলো........!!

হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন; ওই সত্তার কসম যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ......!!

অতি শীঘ্রই এমন দিন আসবে যে,

মানুষ রাত্রে গান বাজনা আর খেল তামাশার পরে ঘুমে বিভোর হবে......!!

আর সকালে উঠে দেখবে তাদের চেহারা বা/নর শু/য়ো/রের মতো হয়ে গেছে......!! (মুসনাদে আহমাদ=২২৭৯০)

আসসতাগফিরুল্লাহ্
আল্লাহুম্মা মাগফিরলি,
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন আমিন......!!

21/01/2025

ইসলামি আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী হুজুরের আগমনের প্রস্তুতি চলমান।
মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আয়োজকদের।
সবার সহযোগিতায় সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে এই সুন্দর আয়োজন।
অগ্রিম স্বাগতম আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
#মিজানুর_রহমান_আজহারী

I've just reached 900 followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one...
21/01/2025

I've just reached 900 followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one of you. 🙏🤗🎉

গল্প:  ুঠো_শ্রাবণ পার্ট:৮লেখক :  #সানজিদা আক্তার মুন্নীআসলে আমার আম্মি রা ৬ বোন আর ২ ভাই তো আমার আম্মি  হলেন ২ নাম্বার আ...
21/08/2024

গল্প: ুঠো_শ্রাবণ
পার্ট:৮
লেখক : #সানজিদা আক্তার মুন্নী

আসলে আমার আম্মি রা ৬ বোন আর ২ ভাই তো আমার আম্মি হলেন ২ নাম্বার আর তার ছোট জন মানে ফাহিম ভাই এর আম্মি আমার খালামনি তাদের দুই বোনেরি বিয়ে হয়েছে বাংলাদেশে আম্মির বিয়ের ৬ বছর পর খালামনির বিয়ে হয় "! উনার দুই ছেলে মেয়ে ছেলে মানে ফাহিম আমার ২ বছরের বড় আর হুমায়রা আর আমার ১ মাস এর ছোট আমরা তিনজনি একি ক্লাসে পড়ি আমরা ৫ বেস্ট ফ্রেন্ড আমি, মিহি হুমায়রা, দিয়া, ফাহিম,

তো যাই হোক আমি আর ফাহিম ভাই তাদের বাড়িতে যাই "! আর রাস্তায় আব্বু কে বলে দিয়েছি যে আমি পালিয়ে এসেছি আমি"! আব্বু তো অনেক রেগে গেছেন তাতে "! তবে এটা আমার অজানা কেন রাগ করলেন "!

খালামনির ভাষায় আসার পর খালামনি আর মামা মানে খালুকে সব বলার পর তারাও আমাদের দুজন কে বকছেন "! কেন এলাম এভাবে বিয়েতো হয়েছে যেভাবে হোক আমার এটা ঠিক হয়নি "!

তবে যাই হোক রাত এখন ৩ টা বাজে বকাবকির পালা শেষ এখন এসে শুয়েছি হুমায়রার রুমে"! তবে এটা আরও বড় যন্ত্রনা আমার কান জালাফালা করে দিচ্ছে কেন এলাম এমন কেন করলাম মিহির ভাই তো অনেক সুন্দর সেই লেভেলের একজন পুরুষ এই সেই তবে ওর এসব কথায় কোনে পাত্তা দিলাম না আমি এ সবসময় এমন চিল্লাতে থাকে "!

এদিকে মেহরাব সকালে বাড়ি ফিরে রুমের দরজা খুলে দেখে রুমে কেউ নেই "!

তারপর বেলকনিতে খুঁজে "! ওয়াশরুমে খুঁজে কিন্তু মিরাব কে না পেয়ে ওর কলিজা ধক করে উঠে ও তাড়াতাড়ি বাইরে যায় ভাবে সবাই কে ডেকে জিজ্ঞেস করবে কিন্তু এখনও সবাই ঘুমিয়ে আছে সবে আযান হয়েছে তাই সে সিসিটিভি চেক করে দেখে আর সে সবি দেখতে পায় কিভাবে মিরাব মই বেয়ে দেয়াল টপকেছে"!

ওর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে "! ওর মন চায় বডি গার্ড গুলো কে চিবিয়ে খেতে পরক্ষণেই ভাবে দোষ তো মিরাবের "!বডি গার্ড রা সামনে ছিলো ও পিছন থেকে পালিয়েছে "! মেহরাব তাড়াতাড়ি মিরাব দের বাড়িতে কল করে "!

কল রিসিভ করেন মিরাবের আব্বু বলেন
--- হ্যালো কে বলছেন
মেহরাব দাঁত চেপে রাগি গলায় বলে
---- মিরাব কি আপনাদের বাড়ি গেছে তাড়াতাড়ি বলুন মেয়ে কে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না
মিরাবের আব্বু খুব শান্ত মেজাজের মানুষ তিনি মেহরাব এর অবস্থা বুঝতে পারছেন মেহরাবের দায়িত্বেয়ে মিরাব আর হুট করে মিরাব এমন কান্ড ঘটানোর জন্য মেহরাব এর চিন্তা হয়া রাগ হয়া স্বাভাবিক তিনি শান্ত কন্ঠে বলেন
--- দেখো বাবা আমার মেয়ে ভুল করেছে ওর উচিত হয়নি এমন করা ও এখন ওর খালার ভাষায় আমি ওকে নিয়ে আসবো বিকেলে তুমি মাথা গরম করো না

মেহরাব দাঁত চেপে বলে
---- ওর খালার বাড়ির লোকেশন টা দিন
----- আমি দিতে পারব না আমি ওকে নিয়ে আসব

এ বলে তিনি ফোন কেটে ফোন বন্ধ করে দিন "!

মিরাবের আম্মি তো কান্না করতে করতে শেষ তার ২জন সন্তানের জিবীনে কি হচ্ছে এসব একজন আজ ৩ দিন ধরে নিখোঁজ একজন পালিয়ে বেড়াচ্ছে "!

মেহরাব শান্ত হয়ে যায় তার মাথায় অন্য কিছু চলছে "! নাস্তার টেবিলে সবাই যখন মিরাব কোথায় প্রশ্ন করে

সে সোজাসাপটা উত্তর দেয়
---- ও কাল রাতে পালিয়ে গেছে ওর ভাষায়

এটা শুনে তো সবার মাথায় হাত কি বলছে টা কি মেহরাব

মেহরাবের বাবা বলেন
--+- এসব কি মেহরাব দাঁড়াও আমি ওদের বাড়িতে কল দিচ্ছি
-+-+ দেওয়ার প্রয়োজন নয়

এখন দুপুর হয়ে গেছে আমি হুমায়রা বসে গল্প করেছিলাম তখনি আম্মি কল করে বলল বাড়ি যেতে ইমার্জেন্সি "!

আমি আর হুমায়রা চলে আসি বাড়ি "! আসার পর থেকে আম্মি আব্বু আমায় এক টানা বকাবকি করছে আর বলছে ও বাড়িতে যেতে

এটা শুনে আমি তো কান্না করে দিয়ে চিল্লাতে চিল্লাতে বলি
--- তোমরা আমার বাবা মা তোমরা এত তাড়াতাড়ি পাল্টে গেলে কি করে "! তোমরা কি করে বলো আমায় তোমার আমি ঐ জাহান্নামে যেতে এ বলে রাগ করে গিয়ে রুমের দরজা লাগিয়ে শুয়ে পড়ি

এদিকে মেহতাব মিরাব কে নিতে মিরাব দের বাড়ি আসছে তার বাবাও এসেছেন "!

মিরাব দের বাড়ি এসে কলিং বেল চাপ দেয় "! হুমায়রা দরজা খুলে দেয়
সে তাদের দেখে বুঝে যায় আর কিছু না মিরাব কে নিতে এসেছে সে তাদের উদ্দেশ্য বলে

--- আসুন ভাইয়া আংকেল

তারা ভিতরে আসে এসে তো অবাক তারা দেখে মিহি আর মাররোয়ান দাড়িয়ে আছে মাথা নিচু করে আর তাদের সামনে মিরাবের আব্বু রাগি চোখ নিয়ে বসে আছেন "!

মিরাবের আব্বু মেহরাব আর তার বাবা দেখে উঠে দাড়ান তিনি বুঝে গেছেন হয়তো মিরাব কে নিতে এসেছেন "!

তিনি এ রাগের মধ্যে তাদের কে মুখে হাসি এনে বলেন
-++--- আরে মিনহাজ সাহেব যে আসুন বসুন আর আপনার যখন এসেছেন তখন দেখে নিন সব একটু আগে মিহি আর মাররোয়ান এসেছে এবার কি করবেন আপনারাই করুন

মেহরাব সোফায় বসে তার বাবাও বসেন "! তারা বসার পড়ি মিহি এক দৌড়ে তারা বাবার আর ভাই এর পা ধরে কান্না করতে করতে বলে
----- আন্টি বলেছেন তোমরা নাকী মাররোয়ান কে মারতে চাও প্লিজ এমন করো না ভাইয়া আর মিরাব এসবের কিছুই জানেনা"! বাবা উনি খুব ভালো মানুষ তোমরা হয়তো ভাবছো আমি উনার সাথে পালিয়েছি কিন্ত তা সঠিক নয় "!

এটা শুনে সবার শোনে সবাই অবাল হয়ে যায় মেহরাব মিহি কে উঠায় আর বলে কি হয়েছে বল
মিহি কান্না করতে করতে বলে
---- ভাইয়া আমি আমার বিএফের সাথে পালিয়েছিলাম কিন্তু ও আমায় ভালোবাসে না শুধু লোভে এমন করেছে ও আমাকে বেচে দিতে চেয়েছিল "! ওরা আমায় নিয়ে যাচ্ছিল যাদের কাছে ও বেচে দিতে চেয়েছিল তখনি মাররোয়ান গিয়ে আমায় তাদের হাত থেকে নিয়ে পালিয়ে এসেন আমায় "! আমি তাকে সব বলি তারপর আমি বোকার মতো সুইসাইড করতে যাই উনি এটা দেখে আমায় আটকিয়ে বলেন

--- কি সমস্যা তোমার মিহি এখন মরতে যাচ্ছো কেন
--+ আমি বেঁচে গেলো বাড়ি গেলে ঠিকি আমায় মরতে হবে ভাইয়া তাই এখানেই মরে যাই আপনাকে ধন্যবাদ আমায় ঐ নরপশু দের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য "!

তখন উনি কি বুঝে আমায় কাজি অফিস নিয়ে যান তারপর বলেন "!
--+ এখন তোমায় আর তোমার বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই "! তোমায় একটা কথা বলি তোমায় আমার অনেক পছন্দ তুমি রাজি তাকলে আমি তোমায় বিয়ে করতে পারি"! আমিও রাজি হয়ে যাই এরপর কাজি অফিস থেকে বেরিয়ে তোমার লোকে দেখে বুঝে যাই তুমি জেনে গেছো আমরা বিয়ে করেছি তাই আমরা একটা হোটেলে উঠে তবে বিশ্বাস করো উনি অনেক ভালো ভাইয়া তোমরা যেমন আগলে রাখো উনিও আমায় রেখেছেন "! আমি চাই না উনার জীবনে আমার মতো কেউ তাকুক তাই তোমরা চাইলে ডিভোর্স করি নিতে পারো

মাররোয়ান তখন নিজের মুখ খুলে আর বলে
--- বিয়ে হয়েছে যে করেই হোক বিয়ে আমি তোমাকেই করেছি so তোমায় ডিভোর্স দেওয়ার কথাই উঠে না তুমিই আমার স্ত্রী থাকবে

এটা শুনে মিহির চোখ কপালে একটা মানুষ এত ভালো হয় কেমনে

এটা শুনে মিহির বাবা বলেন
--- দেখুন বেয়াই সাহেব আমি বুঝে গেছি আমার মেয়েও এ সম্পর্কে তাকতে চায় আর আপনার ছেলেও রাখতে চায় তাই চাই এ সম্পর্ক থাকুক নতুন করে আবার নাহয় দিয়ে দেব জুরি

---- হ্যা আপনি ঠিক বলেছেন তাহলে পরশু শুক্রবার পরশু না হয় বিয়ে

--- হ্যা এটাই ভালো হবে তুমি কি বলো মেহরাব

--- তোমাদের ইচ্ছে আর মররোয়ান এর মতো ছেলে যে মিহির মতো বলদের কপালে জুটছে এটাই আলহামদুলিল্লাহ

আমি এতক্ষণ সিঁড়ি উপরে দাড়িয়ে সব শুনছিলাম এখন নিচে নেমে এলাম "!

আমার দিকে সবাই তাকিয়ে আছে উনি ভয়ংকর চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে "!

তখনি মিহি এসে আমার হাত ধরে বলল
---- সরি রে আমার জন্য তোর এত কিছু সাফার করতে হলো
আমি আলতো হেঁসে বললাম
---- কোনো বেপার না আমি সব শুনেছি

তখন আংকেল বলে উঠেন
---- মা তোমার এভাবে চলে আসা ঠিক হয়নি তুমি বললে মেহরাবি তো নিয়ে আসতো
আমি মাথা নিচু করে বললাম
--- সরি আংকেল
তখন আব্বু বলেন
---- আংকেল কি উনি তোর শশুড় লাগেন বাবা বলবি
আমি মাথা নাড়াই "! পরক্ষণেই মনে পড়ে কেন ডাকব আর তো প্রয়োজন নেই আমি তো দোষি না এটা তো সবাই জানে তাহলে ঐ বাড়িতে তো আমার যাওয়া লাগবে না
তখন আমি আব্বু কে উদ্দেশ্য করে বলি
--+- আব্বু এখন তো আর প্রয়োজন নেই কারণ আমি তো আর এখন ঐ বাড়িতে যাব না"! আমি তো কিছুই করি নি আর আমায় বলা হয়েছে যেদিন মিহি আর ভাইয়া আসবে সেদিন আমি আবার বাড়ি চলে আসব

তখনি উনি সবার মাঝে থেকে উঠে এসে আমার হাত খপ ধরে নেন আর দাঁত চেপে বলেন
--- তুমি আমার বেগম আমার সাথেই সারাজীবন থাকবে বিয়ে হয়েছে যেভাবেই হোক "! আর বাবা আমি এ আধ পাগল কে নিয়ে যাচ্ছি তুমি বিয়ের সব ফাইনাল করে এসো কাল হলুদ মেহেদী,! পরশু বিয়ে "!

আমি একপাও নড়ছি না আমি শুরু বলেছি
---- যাব না
ব্যাস সবার সামনে আমায় পাজাকোলে নিয়ে নেন আমি চিৎকার করছি কিন্তু না ছাড়ছে না

গাড়ি তে নিয়ে একপ্রকার ছুড়ে ফেলেন আমায় তারপর গাড়ি চালাতে তাকে আমি পিছনে বসে আছি "!

বাড়িতে নিয়ে আসেন আমায় হাত খুব শক্ত করে ধরেছেন "! এক হাত দিয়ে আমায় ধরেছেন অন্য হাতে কলিং বেল চাপ দেন

দরজা খুলেন আম্মু আমায় সাথে দেখে বলেন
--- কি রে তোরা এসে গেছিস

উনি কিছু না বলে পাশ কাটিয়ে আমায় টেনেহিঁচড়ে রুমে চলে আসেন নিয়ে "!

এসেই আমায় ফ্লোরে এক প্রকারে ছুঁড়ে মারেন"! তারপর দরজা লাগান আমার এখন অনেক ভয় করছে ওনার চোখ মুখ লাল হয়ে আছে এদিকে এত জোড়ে ধাক্কা দেওয়ায় আমার কপাল গিয়ে বেডের এক কোনে লাগে যার জন্য কপাল থেকে রক্ত বের হচ্ছে "!
উনি এসেই আমার সামনে বসে আমার মুখ চেপে ধরে ন"! অনেক বেশি জোরে ধরনে চেপে মনে হচ্ছে মুখের হাড় গুলো ভেঙে যাবে তারপর কিড়িমিড়ি খেয়ে বলেন"!
--++- তোর সাহস হয় কি করে আমার অনুমতি ছাড়া বের হওয়ার বাড়ি থেকে "!

এ বলে আমার মুখ ছেড়ে আমায় খুব জোরে একটা থাপ্পড় মারেন আগের থেকে ঠোঁট কাটা ছিল তাই ঠোঁট থেকেও রক্ত বেরচ্ছো "! আমার বাহু খুব শক্ত করে চেপে ধরে ঝাঁকাতে লাগলেন আর বললেন
----- কেন গিয়েছিস বল
আমি তার চোখে চোখ রেখে বলি
---- আমার ভালো লাগে না এখানে তাই গিয়েছি "! আমার বাড়িতে আমি গিয়েছি
উনি এবার আমার বাহু ছেড়ে আমার চুলের মুঠি ধরে বলেন চিল্লিয়ে বলেন
----- ভালো লাগে না বলে চলে গেছিস "!তোর এ বোকামির জন্য আমার কতটা কষ্ট হয়েছে জানিস এই যে এত রাতে তুই বেরলি যদি তোকে কেউ কিছু করত তখন কি হতো আমার বলল "!

এতক্ষণ চোখের পানি না আসলেও চুলের মুঠি ধরায় অনেক বেশি কষ্ট হয় "! অঝরে অশ্রু পড়ছে আমার গাল বেয়ে এটা দেখে উনি আমায় ছেড়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যান "!আমি ঐ ভাবেই ফ্লোরে বেডের সাথে হেলান বসে আছি হাঁটুতে মুখ বুঁজে অনেক কষ্ট হচ্ছে আমার "! এটার জন্য আমার ভাইয়া আমার আব্বু কেউ আমায় আটকালো না "! তারা আমায় একটুও বুঝলও না একটা পশুর হাতে ছেড়ে দিল "! আমার চুলের মুঠিই ধরায় ব্যাথা করেছে "! এত জোরে কপালে আগাত পাওয়ায় মাইগ্রেন ব্যথা টা শুরু হয় গেছে "!এটা যার আছে সেই বুঝে কতটুক কষ্ট "!মৃত্যু যন্ত্রণা দেয় এটায় মনে হচ্ছে মগজ গলিয়ে যাচ্ছে

চোখের পানি বেয়ে পড়ছে "! কপালের রক্ত ডান গালের পাশে দিয়ে বেয়ে পড়ছে "! ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে"!

হয়তো ২ ঘন্টা হয়ে গেছে "! আমার মাথার ব্যাথা টা আরও বেশি বেড়েছে আমি হাঁটু গেরে বসে আছি এখনও তখন দরজা খুলার আওয়াজ পাই আমি ওভাই বসে তাকি "!

পায়ের শব্দ পাচ্ছি হয়তো আমার দিকে আসছে আবার মারতে "!

তখনি আমার ফোনের রিংটোন বেজে উঠে "!

আমি মুখ তুলে এদিকে ওদিকে তাকাই ফোন কই পড়েছে হাত থেকে ছিটকে "! তখন চোখ পড়ে আমর কিছু টা সামনে পড়ে আছে তবে উঠে গিয়ে ফোন টা আনব তার শক্তি নেই "! তাই শুধু ফোনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রই "! তখন দেখলাম ফেরাউন টা আমার ফোন এনে আমার সামনে ধরল "! আমি ফোন হাতে নিয়ে ফোন ধরি "! তখন শয়তান টা আমার হাত থেকে ফোন নিয়ে স্পিকারে দিয়ে আমার সামনে ধরে ইশারা করে কথা বলতে"! কল টা ফাহিম ভাই এর ছিল
---- হ্যাল মিরাব
--- হ্যা বল
----তোর জামাই নাকি তোরে নিয়ে গেছে ভালোই করেছে নিজের ঝিজ এখন নিজেই সামলাক এত দিন তো আমরা ভাইয়েরা দেখে রাখতাম
আমি দাত চেপে বলি
++------ ফাহিম যদি তুই তোর ভালো চাস তাহলে বাজে বকা বন্ধ করো
---- ঠিক আছে বইন বাজে বকছি না "! ঐ মৃত ছেলেটার সব ইনফরমেশন তোর কাছে আছে তুই একটু দিয়ে দিস ওকে বায়

এ বলে কল কেটে দেয় আমি এক ঝটকায় নিজের ফোন নিয়ে নেই ওনার হাত থেকে নিয়ে ফোনে সিম খুলে ভেঙে ফেলি "! প্রয়োজন নেই এসবের আর কারো সাথে সম্পর্ক রাখাব না কেউ আপন না আমার "!

উনি আমায় হঠাৎ কোলে তুলে নেন তারপর বেডে হেলান দিয়ে শুয়ে দেন "! তারপর ফাস্টএইড বক্স নিয়ে আমার সামনে নিয়ে এসে বসেন "! ডং করে তুলয় সেভলন লাগিয়ে আমার দিকে হাত বাড়ান

এটা দেখে আমি দাঁত চেপে "! তার হাত থেকে এক টানে তুলো নিয়ে ফাস্টএইড বক্সে রেখে "! নিজের সর্বশক্তি দিয়ে বক্স টা ফ্লোরে ছুঁড়ে মারি "! আর তার চোখে চোখ রেখে বলি
---- অতিরিক্ত ডং আমার পছন্দ নয় so আল্লাহর দোহাই এত ডং করবেন না "! এতে আপনার প্রতি ঘৃণা টা আরও এক ধাপ বাড়বে "!

উনি শান্ত দৃষ্টিতে তাকান আমার দিকে তারপর নিজের দুহাত দিয়ে আমার গালে আলতো করে ধরে বলেন "!
---- ভিষণ রাগ হয়েছে তাই না "!
আমি তার সরিয়ে বলি
---+ আমি অভিযোগ অভিমান রাগ আমার আপন জনের উপর করি আর আপনি তো আমার আপন কেউ না তাই রাগ করার কোনো প্রশ্নই আসে না "! তবে হ্যা আপনায় আমি ঘৃণা আমি ঠিকি করি

(আমাদের এখানে ঝড় বৃষ্টি লেগেই আছে যার জন্য wi fi লাইন ছিঁড়ে গেছে এর জন্য গল্প দিতে পারি না)

এ বলে হাতের পাতা দিয়ে নিজের চোখের পানি মুছে নেই "!

তিনি একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে "! ফ্লোরে পড়ে থাকা এক পাতা ঔষধ নিয়ে আসেন তারপর একটা ঔষধ খুলে আমার সামনে ধরে বলে ঔষধ বলেন "!
-+-- জানি তোমার মাইগ্রেন ব্যথার সমস্যা আছে তাই এটা খেয়ে নাও
আমি দাঁত চেপে বলি
------ এসন বা****লের আমার কোনো প্রয়োজন নেই "!

এটা শুনে উনি নিজের মুখে ঔষধ টি ঢুকিয়ে নেন "! আমি তো অবাক এ পাগল হয়ে গেল নাকি "! এটা নিজে খাচ্ছে কেন খাক খেয়ে মরে যাক ভালো হবে "!

তখন আমার সামনে বসেন উনি "!বসেই আমার গাড়ে নিজের হাত রেখে আমার মুখ নিজের দিকে ঝুঁকান"! তারপর নিজের ঠোঁট বসিয়ে দেন আমার ঠোঁটে"! আমি হতভম্ব হয়ে গেছি এ সিরিয়াস সময় এমন করবে ভাবতেও পারছি না "! কিন্তু উনি তো অন্য কিছু করেন উনি আমার ঠোঁটে কয়েকটা কামড় দেন আর সুযোগ বুঝে আমার মুখ ঐ টেবলেট টা পুরে দেন "!

#চলবে

#কাব্যকথাচাঁপাই
#কাব্যকথাচাঁপাই
কাব্য কথা
#কাব্যকথাচাঁপাই
#কাব্যকথাচাঁপাই
#কাব্যকথাচাঁপাই

 ুঠো_শ্রাবণ  #পার্ট:৭   #সানজিদা আক্তার মুন্নী আমি জায়নামাজে বসে ভাবছি আগের কথা গুলোসত্যি কত সুন্দর ছিল দুদিন আগেও আমার ...
19/08/2024

ুঠো_শ্রাবণ
#পার্ট:৭
#সানজিদা আক্তার মুন্নী

আমি জায়নামাজে বসে ভাবছি আগের কথা গুলো

সত্যি কত সুন্দর ছিল দুদিন আগেও আমার লাইফ "! আর দিনের ভিতর পাল্টে গেলো পুরো জগৎ আমার "! এখন কারো বিয়ে করা বউ আমি "! তবে চিন্তা করে লাভ নেই ভাইয়া আর মিহি যখন আসবে ঐ হত্যাচারা দের সবার সামনে জিজ্ঞেস করব আমি কি ওদের পীরিতের বেপারে জানতাম নাকি তখন তো সবাই আমায় আর দোষবে না আমি ঠিক আমার আগের জীবনে চলে যাব "!

এসব ভাবছি "! তখন দরজা ঠেলে উনি রুমে বসেন এক হাতে মাথা থেকে থকি খুলতে খুলতে "! আমি এক পলক তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নেই একে আমার দেখতে ইচ্ছে করে না "! উনি আমার সামনে এসে বসেন হাঁটু গেরে "! আমি ভূ কুচকে তার দিকে তাকাই মুখ তুলে "! উনি আলতো হেঁসে নিজের দু-হাত দিয়ে আমার দু গাল আলতোভাবে ধরেন তারপর নিজের ঠোঁট এগিয়ে নিয়ে এসে আমার কপালে স্পর্শ করান "!

আমি নিজের চোখ বন্ধ করে আছি কিড়িমিড়ি খেয়ে "! আমি জানি তাকে এখন কিছু বললে সে আরও বেশি কিছু করবে তাই কথা না বলাটাই ভালো"!

তিনি আমায় ছেড়ে দিয়ে উঠেন আমি জায়নামাজ থেকে উঠে "! জায়নামাজ জায়গায় রেখে হিজাব খুলে ওড়না টা পড়ে নেই "!

আমি কাবাড লাগিয়ে যখন পিছনে ঘুরি তখনি উনি আমার হাত চেপে ধরে রুমের বাইরে নিয়ে যেতে তাকেন আমি কিছুই বুঝতে পারছি না

উনি আমায় নিচে ড্রইংরুমে নিয়ে আসেন তখন কেউ হয়তো এখনও উঠেনি সবাই নামাজ পড়ে হয়তো ঘুমিয়ে গেছে শুধু ভাবিরা আর মা ছাড়া তিনি আমায় কিচেনে নিয়ে যান "! হঠাৎ এভাবে আমায় নিয়ে যেতে তাঁরা তিনজনি আবাক দৃষ্টি তে তাকান আমাদের দিকে

তখন তিনি আমার দিকে এক পলক তাকিয়ে আবার তাদের উদ্দেশ্যে বলেন
--- ও নতুন বউ তা আজকের সকালের নাস্তা ও করবে তাই তোমরা এখান থেকে বেরিয়ে যার যার রুমে চলে যাও

তখন উনার মা বলেন
-+- কিন্তু,,,,,,

উনি হাত দিয়ে থামতে বলেন
--যেটা বলছি ওটা করো

সবাই চলে যান "! কিন্তু ঐ ইবলিশ টা না আমায় রান্না করতে ইশারা করে কিচেনে থেকে দূর হয়

কি ভেবেছে কি আমি কিছু পারি না "! আমি বাড়ির একমাএ মেয়ে বলে যে রান্না করতে পারব না এমন নয় এসবে আমি কম এক্সপার্ট নয় আল্লাহ সব শিখার তৌফিক দিয়েছে "!

আমি আলতো পায়ে এগিয়ে গেলাম রান্নার ওখানে "! দেখলাম আটা মাখানো তাই আগে আটা গুলো দিয়ে রুটি বনালাম "! কয়েকটা রুটি রাখলাম আর কয়েকটা পোরটা করলাম "!

শুনেছিলাম মিহির মুখে আংকেলের নাকি ডায়াবেটিস তাই ওনার জন্য আলাদা ডিস তৈরি করলাম আর বাড়ির সবার জন্য এখন হয়তো ৮:৩০ বাজে অনেক আইটেম বানিয়েছি "!

এসি থাকা সত্ত্বেও এসি বন্ধ করে গিয়েছে যাবার সময় ঐ ফেরাউন টা "! ঘামে একটিবারে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে আটা বাটা কপালে গালে গলায় লেগেছে যার জন্য চুলকাচ্ছে "! এর মধ্যে আগের চুল গুলো অনেক বেশি যন্ত্রণা দিয়েছে "! আর হাত কাটা তাই হাতে অনেক বেশি জ্বলছে
রক্তও বেরিয়েছে "!

তখন আন্টি কিচেনে আসেন

আমার এ হাল দেখে বলেন
-++ ইসস মা তোমার অনেক কষ্ট হয়েছে আর আমি জানি হয়তো বেশি কিছু পারবে না এসব তুমি ছোট মানুষ

আমি আলতো হেঁসে বলি।
-++ না আন্টি এসব টুকটাক রান্না আব্বু শিখিয়েছে আমার আব্বু তো আগে শেফ ছিলেন

উনি অবাক হয়ে বলেন।
*--- তাই নাকি তা দেখি তো কি কি রান্না করলো আমার মেয়ে আর হ্যা আমায় কিন্তু মা বলে ডেকো

আমি এ কথায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই মা কেন ডাকব ওহে আমি তো সম্পর্কে ওনার ছেলের বউ তাই কিন্তু আমি মা ডাকতে পারব না আ ম্মু ডাকব মা ডাক টা কেন জানি আমার মুখে আসে না আমি উনাকে বলি
--- আচ্ছা আন্টি মা না বলে আম্মু ডাকি কোনো সমস্যা
উনি এক গাল হেসে বলেন তাতো অনেক ভালো মিরাব

উনি এ বলে আমার রান্না গুলো দেখতে থাকেন একে একে সব দেখে বলেন

--- বাহ রান্না তো অনেক ভালো তোমার তা এত রান্না কই থেকে শিখলে

আমি হেসে বলি
--- ঐ আব্বু প্রতি শুক্রবারে রান্না করতেন সাথে আমরা দুই ভাই বোন তাকতাম সেখান থেকে শিখা

উনি বলেন
-+--- যাও মা রুমে যাও ফ্রেশ হয়ে এসো

আমিও রুমেও তাই করি "! রুমের দরজা আলতো করে ধাক্কা দিতেই খুলে যায় আমি রুমে ঢুকি "! আমায় রুমে ঢুকতে দেখে শয়তান টা এক লাফে সোফা থেকে উঠে আমার সামনে আসে

আমি৷ বিরক্তি নিয়ে বলি
--- এই আপনি বুঝেন না আপনায় দেখলে আমার গা জ্বলে উঠে আপনায় আমি দুচোখ দেখতে পারি না তাও কথায় কথায় আমার সামনে চলে আসেন কেন সরুন বলছি

উনি আমার কথার উওর না দিয়ে আমার কোমর শক্ত করে ধরে নিজের কাছে নিয়ে নেন আর আমার কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলেন
--- জানো তোমায় আমি কেন রান্না করতে নিয়ে গেছি তোমার এই আবেদনময়ী রুপ দেখার জন্য "! জানো তোমায় এখন একজন পারফেক্ট বেগম লাগছে। খুব খুব সুন্দর তুমি না না তুমি সুন্দর নও তুমি মায়াবী

আমি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে বলি
---- এত আলগা দরদ আমার জন্য রাখবেন না এতই যদি দরদ তাইলে এসি অফ করে এসেছেন কেন

উনি এবার আচমকা আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরেন

আকস্মিক ঘটনায় আমি হতবাক হয়ে যাই আল্লাহ কত কিছু সহ্য করতে হবে

তিনি আমায় জড়িয়ে ধরে আমার চুল এক হাত দিয়ে খুলে দিয়ে সেখানে নিজের মুখ বুঁজে দেন আর বললেন
--+--- জানো এই চুলের ঘ্রাণ টা নেওয়ার জন্য আমি কতটা উতলা হয়ে আছি এ বলে আমাকে আরেকটু শক্ত করে ধরেন

আমার জান বেরিয়ে যাচ্ছে

আমার মোচড়ামুচড়ি দেখে তিনি আমায় ছেড়ে দেন "! আমার রাগে মাএা ছাড়িয়ে গেছে

আমি খুব শক্ত করে তার কলার চেপে ধরি "! উদ্দেশ্য তার জায়গা মতো কিক মারা আমায় এত যন্ত্রণা দিচ্ছে আমি অতিষ্ঠ হয়ে গেছি"!

আমি যখনি পা বাড়াই কিক মারতে তখনি আমার পা তিনি ধরে ফেলেন আর আমার থেকে নিজের কালার ছাড়িয়ে "! উল্টো আমার হাগ ধরে আমায় উল্টো করে ঘুরিয়ে আমার ঘাড়ে থুতনি রেখে বলেন

______ সর্বনাশ কি করছিলে তুমি নিজের সম্পদ নিজেই নষ্ট করে দিচ্ছো বেশি চিন্তা করো না আজকে রাতেই তোমার সব তেজ আমি বের করে দিব তখন দেখি কি করো "!

এ বলে আমায় ছেড়ে বেডে বসেন আমি কাবাড থেকে আবার একটা কালো থ্রিপিস নিয়ে "! ফ্রেশ হতে যাই

ফ্রেশ হয়ে বের হতেই দেখি রুমে আম্মু এসেছেন আমায় বের হতে দেখে বলেন
--- চলো মা নিচে সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে খাবার টেবিলে

আমি টাওয়াল টা রেখে মাথা ওড়না দিয়ে উনার পিছনে যেতে তাকি "! আমার যদি পালাতে হয় তাহলে বাড়ির সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে "!

ডাইনিং টেবিলে গিয়ে দেখি সবাই বসে আছেন আংকেলও আংকেলের পাশে উনি উনার এক চেয়ার পর ভাবি আর ভাই রা "!

আমি যেতেই আংকেল মুচকি হেসে বলেন
+++++ মিরাব এসছো তা মা আজকে রান্না নাকি তুমি করেছো অনেক ভালো হয়েছে

আমি আলতো হেসে মাথা নাড়াই "! আম্মু গিয়ে আংকেলের পাশে বসেন কিন্তু আমি কোথায় বসবো সত্যি এ বাড়ির মানুষ গুলোও এক এক টা আস্ত বেদিশা "!

আমায় দাড়িয়ে থাকতে দেখে আম্মু বলেন
--- মিরাব এখানে কি দাঁড়ানোর জন্য এসছো বসো খাওয়া শুরু করো

আমি উনার পিছনে দাড়িয়ে ছিলাম তো ওখান থেকে একটু এগিয়ে যাচ্ছি টেবিলের কর্নারের চেয়ারা বসার জন্য "!

তখন দেখি আমার হাতে কিছুর টান পড়ে আমি পিছনে তাকাতে দেখি ঐ বেহায়য়া টা আমার হাত ধরেছে "! ভাই এর কও সরম লজ্জা নাই এতগুলো মানুষের সামনে এভাবে ঘাপটি মেরে হাত ধরে রেখেছে "!

উনি শক্ত গলায় বলেন
--- দেখতে পাচ্ছো না আমার পাশে চেয়ার খালি এখানে বসো

আমিও বসে যাই "!

আমি বসতেই উনি আমার প্লেটে নিজের প্লেট থেকে অর্ধেক রুটি আর আর অর্ধেক পোরটা দিলেন আর তার প্লেট থেকেই চামচ দিয়ে আলুর দম দিলেন "! আমার চোখ কপালে এসব কি ভাই আমার জীবনে এসব দেখিনি খাবারের কি এতো অভাব যে অন্যের এটু খাবার খেতে হবে আল্লাহ এসব কি দেখছি আমি "!

সবাই যার যার মতো খাচ্ছে কেউ বলছেও না এটা কেন করছে

উনি আমাকে ফিসফিসিয়ে বলেন
---- শুন এটাই নিয়ম আমাদের বাড়ির জানাবের প্লেট থেকে বেগম খাবে আবার বেগমের প্লেট থেকে জনাব খাবে নতুন বিয়ের পর

আমি দাঁত চেপে বলি "!
--- তাহলে আমিও খাওয়াচ্ছি আপনাকে

এ বলে আমি কয়েকটবার খেলাম তারপর আলুর দম পোরটা রুটি সব একসাথে নাড়িয়ে নিলাম তারপর আলগোছ করে উনার প্লেটে দিয়ে দিলাম সবাই যার যার মতো খাচ্ছে এরা এলিয়েন কথা বলে না আমাদের বাড়িতে তো আমি খাবার টেবিলে বসে আব্বুর সাথে কত কত কথা বলি পুরো বাড়ি মাথায় করে নেই

উনার প্লেটে দিয়ে আস্তে করে বললাম
----- খান এবার দেখি কিভাবে খান

উনি সত্যিই খাচ্ছেন "! ছিঃ আমার বমি চলে আসছে কেমনে খাচ্ছে এগুলো আমি নিজে মাখিয়ে নিজে খেতে পারতাম না

উনি পুরো টা শেষ করলেন আর আমি খাওয়া বাদ দিয়ে এটা দেখছি "!

আমি আর থাকতে পারছি না তাই উঠে গেলাম উঠে বেসিনে হাত ধুয়ে রুমে চলে গেলাম "!

এখন মনে হয়েছে আরে খাবার খেয়ে তো পানি খাইনি চলে এসেছি তাই বেক টেবিল থেকে পানি খেয়ে নেই "!

উনি তখন রুমে আসেন "! এসেই দরজা লাগিয়ে দেন

আমি বেডে বসে আছি "! উনি এসেই আমার ওড়নার এক পাশ দিয়ে হাত মুখ মুছেন আমি দাঁত চেপে বলি
--- ভাই আপনি না মেয়র যান গিয়ে জনগনের সেবা করুন আমায় আর যন্ত্রণা দিবেন প্লিজ আপনার বিরক্ত লাগে না "!

উনি এটা শুনে আমার দিকে ঝুঁকে আসেন আর বলেন
--+- এতদিন জনগনের সেবা করলাম এখন একটু বউ এর সেবা করি

এ বলে আমায় এক টানে দাঁড় করান আর বলেন
--- তোমার এটু খাবার আমি খেলাম এর জন্য তো আমার কিছু পাওয়া উচিত এ বলে আমার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দেন
রুমে থেকে বের হই এখন ইবলিশ টা নেই রুমে

আমি নিচে যাই "! তখন ভাবি বলেন
-++ কিছু দরকার মিরাব
--- না আসলে একটু বাগান যেতাম আরকি
----- ওহ ঠিক আছে যাও

আমি বাগানে যাই সত্যি বাড়িটা অসম্ভব সুন্দর "! অনেক জায়গা নিয়ে বাড়ির এরিয়া "! মাঝখানে প্রাসাদের মতো বাড়ি তার এক সাইডে বাগান যেখানে হাজারো রকমের ফুল ফলের গাছ সাথে ছোট ছোট টেবিল বেঞ্চ "! আর এক পাশে পার্টি হল শুধু বড় একটা ছাদ দেওয়া আর মিউজিকের সব জিনিস রাখা সাথে বড় একটা মেইন রিসিপশন তার একটু আগে অনেকটা জায়গা নি সুইমিং পুল "! আর পার্টি হলের পিছনেই একটা জীম হলও আছে দেখলাম "! আর গেইটের সামনে গার্ড রা দাড়িয়ে আছে "! কালকের ঐ গার্ড গুলো নেই এখানে "! এখন সব ঘরে দেখলাম "! তারপর বাড়ির সীমানার দেয়াল দেখলাম বেশ উঁচু লাফ দিয়ে যাওয়া যাবে না "! তাই ঐ জীম হলের পিছনে গেলাম আমি গিয়ে দেখি একটা মই রাখা অনেক খুশি হলাম "! কিন্তু সিসিক্যামেরা কি করব "! ভালো তাকিয়ে দেখি এদিকে ক্যামেরা লাগানো নয় তাই সস্তির নি:শ্বাস ফেললাম আজকে রাতে পালবো

চলে আসে রুমে "! এসে বসে তাকি

রাত ১০ টা বাজে এখনও তিনি আসেননি খাওয়াদাওয়া শেষ "! সবার সাথেই খেয়েছি আম্মু বললেন উনি আজকে মনে হয় আসবেন না মাঝে এভাবে বাইরে থাকেন দরকারে "!

আমি আরও একটু ভরসা পেলাম "! রাত এখন ১১ টা সব নিস্তব্ধ আমি বাড়ির বাইরে চলে এসেছি ঐ মইর সাহায্য "!

ভাগ্য ভালো আমার ফোন পেয়ে গেছি আসলে আজকে যখন বাগান থেকে আসি তখন ফোন দেখতে পাই এক কোনে পড়ে আছে আসলে উনি থাপ্পড় যখন মেরেছেন তখন ফোন আমার হাত থেকে পড়েছে

আমি ফোন এনে রুমে আমার খালাতো ভাই ফাহিম কে কল দিয়ে সব বলি এন্ড এখন তার সাথেই পালিয়ে এসেছি "!

#চলবে চলবে

এখন থেকে প্রতিদিন এই গল্প দেওয়া হবে তাই ফলো করে রাখুন কাব্য কথা

 #এক মুঠো শ্রাবণ  #পর্ব_৬ঠা*সসস খুব জোরে একটা থাপ্পড় মারেন উনি যার ফলে আমার ঠোঁট কে*টে র*ক্ত বের হয়..!উনি থাপ্পড় মেরে বল...
19/08/2024

#এক মুঠো শ্রাবণ
#পর্ব_৬

ঠা*সসস খুব জোরে একটা থাপ্পড় মারেন উনি যার ফলে আমার ঠোঁট কে*টে র*ক্ত বের হয়..!

উনি থাপ্পড় মেরে বলেন
-++ দেখো তুলেছি তোমার গায়ে হাত কি করব করো এখ্খুনি করো

আমি তার কথার জবাব না দিয়ে ডান হাতে রক্ত মুছে নিজের হাতে নেই কিছু সময় চেয়ে রই এক দৃষ্টিতে.!

আমি জানি এখন কি হবে আমার এ্যাটাক শুরু হয়ে গেছে আসলে অতিরিক্ত রাগের কারণ আমার পিনিক এ্যাটাক হয়.! এখন ডান হাত কাঁপতে থাকে"! আমি পারছি না কনট্রোল করতে হাত অবস হয়ে গেছে আমি বাম হাত দিয়ে ডান হাত চেপে ধরি আমার ঠোঁট পর্যন্ত কাঁপছে কিন্তু কেন কাপছে তা আমি জানি না.!

উনি আমার সামনে বসে আমার বাম হাত সরাতে চেষ্টা করেন কিন্তু আমি তাকে সরাতে দিচ্ছি না "!আমি চাই না আমার দুর্বলতা কেউ জানুক অন্তত এ মানুষ টা তো নয় "!

তিনি আমার থুতনি আলতোভাবে ধরে তার দিকে করেন আর বলেন
--- কি হয়েছে বলো আমায় "!তোমার ঠোঁট কাঁপছে কেন এত "! আর তোমার ডান হাতে কি হয়েছে বলো বেগম বলো

আমি এবার সহ্য করতে পারছি না উনার থেকে নিজের মুখ ছাড়িয়ে নেই"! তারপর বা হাতে টেবিলের উপরে থাকা গ্লাস টা নিয়ে এক বারি দিয়ে তা ভেঙে এক টুকরো কাচ হাতে নেই"! তারপর চোখ বন্ধ করে ডান হাতের পাতায় এক টান মেরে দেই রক্ত বের হচ্ছে হোক এখন আর কাঁপবে না তারপর কাচ টা জায়গায় রাখি "!

উনি আমার হাত চেপে ধরে আছেন আতংকিত হয়ে আর বলছেন
+-+- পাগল হয়ে গেছো কি করলে এটা "!এখন যদি রগ কেটে যেতো

আমি উনার চোখে চোখ রেখে বলি
---- তো গেলে আমার হাতের যেতো"! ছাড়ুন হাত বলছি এভাবে চেপে রাখলে হাড় সব ভেঙে যাবে আমার হাতের "!

উনি ছেড়ে দেন তারপর ফাস্টেইড বক্স নিয়ে আসেন

আমার হাত থেকে রক্ত বিছানায় পড়ছে উনি এসে আমার হাতের রক্ত পরিষ্কার করে

উনার টাওয়ালেও রক্ত লেগে রয়েছে "!

উনি আমার দিকে শান্ত হয়ে তাকিয়ে বলেন
-++ এসব কেন করলে বলো আর তোমার হাত আমি কাঁপতে দেখেছো তাও ডান হাত বলো কেন কাঁপছিল

আমি উানার দিকে তাকিয়ে দাঁত চেপে বলি
--এটা আমার একটা রোগ অতিরিক্ত রাগলে এমন হয় আমার হাত কাঁপলে হাতে আঘাত করলে ঠিক হয়ে যায়

আমার ঠোঁট এখনও কাঁপছে দাঁত দিয়ে কামড়েও পারছি না কাঁপা বন্ধ করতে "!
হঠাৎ উনি আমার একদম কাছে চলে আসেন হঠাৎ এমন হওয়াতে আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকাই তখন তিনি আমার গাল আলতোভাবে ধরে বলেন
--- বেগম অনেক বেশি জোরে থাপ্পড় মেরেছি তাই না "!সরি বেগম আমার মেজাজ খারাপ হলে যা ইচ্ছে তাই করি "!
এই বলে আমার ডান গালে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দেন "!আচমকা এমন হওয়ায় আমার চোখ বড় বড় হয়ে যায় উনি সমস্ত গাল জুড়ে নিজের ঠোঁট ছুঁয়াছেন "! তারপর বাম গালে ঠোঁট বসাম মনে হচ্ছে ঠোঁট দুটো আমার গালে একিবারে বসিয়ে দেবে এত গভীর ভাবে ঠোঁট স্পর্শ করাচ্ছে "!

মনে হয় ৫ মিনিট এমন করে নিজের মুখে উঠালেন আমার দিকে তাকালেন "!আমি তার দিকে অগ্নি দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছি

উনি শয়তানি হাসি দিয়ে বলেন
--+ বেগম তোমার ঠোঁট এত কাঁপছে কেন কেটে যাওয়া নাকি আচ্ছা দেখি তো

এ বলে উনি আমার ঠোঁটে তার বৃদ্ধ আঙুল আমার ঠোঁটে স্পর্শ করান আর বলেন
--+ বেগম ঠোঁট কি মাখো তুমি উফ মনে হচ্ছে একটা গোলাপের পাপড়ি "!
এ বলে আঙুল সরিয়ে নেন তারপর নিজের ঠোঁট বসিয়ে দেন আমার ঠোঁটে "! আমি তাকে হাত দিয়ে সরানোর চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না উনার স্পর্শ গুলো অনেক বেশি গভীর ছিলো উনি আমার এমন ছোটাছুটি দেখে আমার কোমর নিজের দু হাত দিয়ে পেছিয়ে ধরেন দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার ছাড়ছেন না উনি আমায় "!

৮ মিনিট হবে এর পর ছাড়েন আমায় আমার শরীল অবস হয়ে আছে ছাড়া পেয়ে বেডের সাথে হেলান দিয়ে হাঁপাতে তাকি অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে শ্বাস নিতে পারছি না "!

উনি উঠে গিয়ে ওয়াশরুমে যান আমার জান এখনও শান্ত হয়নি উনি একটা কালো টি-শার্ট আর কালো হাফ টাউজার পড়ে ওয়াশরুম থেকে আসেন "!

আমার সামনে এসে বলেন
--- রাতে খেয়েছো
আমি চট করে বলি
--- হ্যা ! যদি এটা না বলি এখন খাবার নিয়ে এসে নাটক করবে
--- তাহলে এ খাবারের বাটি কার জন্য
আমি আমতা আমতা করে বলি
--+ আপনার জন্য ভাবি রেখে৷ গেছে
--- আমি তো ডিনার সবার সাথেই করলাম তাহলে এখানে খাবার দিল কেন
--- আমি কি জানি

তিনি কিছু বললেনা বাটি নিয়ে নিচে চলে গেলেন.!

একটু পর আসলেন রুমে হাতে খাবারের ট্টে আমি এটা দেখে ভূ কুচকালাম

উনি এসে ট্রে আমার সামনে রাখলেন আর বললেন
--+তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও নইলে
আমি উঠে দাঁড়াই এক লাফে তার কটমট করে বলি
--- নইলে কি করবেন আমি খাব না "! কি করার বাকি রেখেছেন শুনি

উনি আমার দিকে তাকিয়ে শান্ত ভাবে বলেন
--- অনেক কিছু এখনও করার বাকি রয়েছে তোমার অনেক এনার্জি প্রয়োজন তা করতে হলে তাই বলছি তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও

আমি চিল্লায়ে
--- না আমি খাব না আমায় বাড়ি যেতে দিন আমার আব্বু আমার জন্য টেনশন করছে যেতে দিন আমায় বাড়ি

উনি বলেন
--- আমি জানি তুমি তো ভালো কথা মানুষ নয়

এ বলে নিজে বেডে বসে যান! তারপর আমায় একটানে নিজের কোলে বসান "! আমি কি করবো বুঝতে পারছি আমার কিছু মাথায় আসছে না

উনি আমার কামিজের ফাঁকে হাত ঢুকিয়ে আমার পেট খাবলে ধরেন ঠিক সকালের মতো আর বলেন
--- খাবে নাকি অন্য কিছু করব

না আমি খাব না এমনতেই ছেড়ে দিবে "! আমি সোজা উওর দেই
+++-- না আমি খাব না একবার তো বললাম

উনি নিজের হাত আস্তে আস্তে উপরের দিকে স্লাইড করতে করতে নিয়ে যাচ্ছেন আর বলছেন
+-- সকালে কিন্তু পড়নে ব্লাউজ ছিলো এখন কিন্তু শুধু যাক বললাম না

আমি কোনো উপায় না পেয়ে উনার হাত খাবলে ধরলাম আর বললাম
--- হাত সরান বলছি আমার ঘৃণা লাগে এসব হাত সরান

উনি হাত সারন না বলেন
--- খেয়ে নাও

না এ আমায় না খাইয়ে ছাড়বে না তাই ভালোয় ভালোয় খেয়েই নেই পরে বেহায়ার মতোই খাওয়া লাগবে..!

আমি উনাকে বলি
--- ছাড়ুন আমি খাব

উনি আমায় ছেড়ে দেন "! আমি কয়েক চামচ সুপ খেয়ে বাটি টা রেখে অল্প পানি খেয়ে নেই "! তখন দেখলাম একটা সার্ভেন্ট এসে দরজার সামনে দাড়িয়ে উনাকে উদ্দেশ্য করে বলছে
--- স্যার আসব
উনি বলেন
--- হ্যা এসো এই কাচ গুলো পরিষ্কার করো আর ট্রেটা নিয়ে যেও

সার্ভেন্টাও তা করে সার্ভেন্ট যেতেই উনি আমার দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকান তারপর বলেন
--- চুপচাপ বেডের একপাশে শুয়ে পর

আমিও তাই করি বেডের ওপাশে গিয়ে ঘাপটি মেরে শুয়ে পড়ি"!

উনিও শুয়ে পড়নে লাইট অফ করে "!

এদিকে রাত মধ্যে রাতে মেহরাব নিজের উপর বারি কিছু অনুভব করে চোখ মেলে তাকায় তার চোখ কপালে

মিরাব তার বালিশে নেই ত্যাড়া হয়ে শুয়ে আছে আর মিরাব তার ওপর পা তুলে রেখেছে "! সে মিরাব কে ঠিক করে কিন্তু একটু পর আবার হাত-পা ছড়িয়ে নেয় "! এমন করে সারারাত মিরাব মেহরাব কে যন্ত্রণা দিয়ে ঘুমাতে দেয় না "! পরে অতিষ্ঠ হয়ে মেহরাব মিরাব কে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে ঘুমায় "!

চোখ মেলে তাকাই কিন্তু নড়াচড়া করতে পারছি না "! একটু ভালো করে দেখে দেখি আমায় তো ইবলিশ টা জড়িয়ে ধরে আছে

এটা দেখে আমি দাঁত চেপে চিৎকার করে উঠি

উনি ধড়ফড়িয়ে উঠেন আমায় ছেড়ে তারপর কিছু বুঝতে পেরে বলেন
-- কি সমস্যা কি তোমার এভাবে চিল্লাচ্ছো কেন যদি রুম সাউন্ড প্রুফ না হতো এখন তো সবাই রুমে এসে হাজির হতো "!
আমি দাঁত চেপে বলি
--+ এই নির্লজ্জ পুরুষ আপনি আমায় এভাবে জড়িয়ে ধরে৷ ঘুমিয়ে ছিলেন কেন
উনি মুখ বাকিয়ে বলেন
--- ওরে আমার লজ্জাবতী লাজ পাতা তা আমার উপর হাত পা তুলে ঘুমানোর সময় এ লজ্জা কই ছিল

আমি দাঁত চেপে বলি।
--- তো আমায় এভাবে ধরবেন আমার শরীলের হাড্ডি সব ভেঙে যেত যদি

এটা বলে বেড থেকে উঠে যাই কারণ আমি জানি দোষ টা আমার আমি ঘুমের মধ্যে হাত-পা ছড়িয়ে ঘুমাই "!

আযান
আমি নামাজ শেষে বসে আছি জায়নামাজে "! উনি উঠে ওযু করে মসজিদে চলে গেছেন এটা আমার অনেক ভালো লাগলো "!

গল্প: #এক মুঠো শ্রাবণ

লেখক : #সানজিদা আক্তার মুন্নীদিয়েছে তাই "! ভাবলাম নামাজ টা আদায় করে নেই তাই একটা খয়েরি কালারের সুতির কুর্তি নিয়ে ওয়াশরুম গেলাম রাতে হাত থেকে রক্ত পড়েছে ড্রেসে তাই একিবারে গোসল সেরে নেই "! ওযু করে এসে কাবাড থেকে হিজাব নিলাম ভাবি একটা হিজাবও দিয়েছেন ড্রেসের সাথে "! জায়নামাজ পাশেই ছিল তাই নিয়ে নামাজ পড়তে দাঁড়ালাম "!


#চলবে চলবে (আমাদের সিলেটের অবস্থা তো জানেনি অনেক ঝড় দিয়েছে যার জন্য কারেন্ট ছিল না)

 #নীলমেঘ   #পর্ব_৯                             [কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ]শরতের আকাশে শারদীয়ার আগমনী বার্তা  জানিয়ে দিচ্...
19/08/2024

#নীলমেঘ

#পর্ব_৯

[কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ]

শরতের আকাশে শারদীয়ার আগমনী বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে। শঙ্ক ধ্বনির আওয়াজ বাতাসের সাথে বারি খেয়ে যাচ্ছে। বাতাসে শিউলি ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে। বাতাসের তালে তালে মাঠের ধানগাছ গুলো দুলে দুলে নাচতে আরম্ভ করেছে। নীলা আকাশে ভাসমান সাদা মেঘগুলো পেঁজা তুলোর মতো উড়ে যাচ্ছে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বারো মাসে তেরো পার্বণ।
উৎসব যেন তাদের লেগেই থাকে। শরৎকালে তাদের সবচেয়ে বড় উৎসবটি পালন করা হয়। যাকে বলা হয় দুর্গাপুজা। হিন্দুধর্ম অনুসারীরা এসময় নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। হিন্দু রমনীরা বিভিন্ন খাবার তৈরি করে থাকেন। যেমন: নারকেলের নাড়ু , তিলের নাড়ু, চিড়ের নাড়ু, মুড়ির মোয়া, খইয়ের মোয়া ইত্যাদি খাবার তৈরি করে থাকেন।
টানা দশদিন সময় ধরে এ পূজা চলতে থাকে।

বকুলতলা গ্রামে হিন্দুপাড়ায় পূজা শুরু হয়ে গেছে। আর তিনদিন পর দশমী। হিন্দুপাড়ার নরেন বকুলতলা হাইস্কুলের পিওন। সেই সুবাদে হাইস্কুলের সকল স্যার ম্যাডামদের জন্য নাড়ু ও মোয়া নিয়ে এসেছে সে। এদিকে শিক্ষকেরা সবাই মিলে চাঁদা দিয়ে নরেনের পরিবারের সবার জন্য জামা কাপড় ও বাজার করে দিয়েছেন। যাতে নরেনের পূজো ভালোভাবে কাটে। নরেন জিনিসপত্র পেয়ে অনেক খুশি হয় এবং সবাইকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। সবাইকে পূজায় আসার জন্য নিমন্ত্রণ করে।

তরীদের কাল থেকে ইয়ার চেঞ্জ পরীক্ষা শুরু হবে। এজন্য পড়ালেখা নিয়ে অনেক ব্যস্ত তরী। মিলিও ব্যস্ত পড়ালেখা নিয়ে। এজন্য দুই বান্ধবীর দেখা হয়না বেশি একটা। তরী পড়া শেষ করে রেহেনা বেগমের কাছে গেলো।

মা আমি একটু মিলিদের বাড়ি যাব।

রেহেনা বেগম বলে, তোর পড়া শেষ করছিস।

হ্যাঁ মা পড়া প্রায় শেষের দিকে। যেটুকু বাকি আছে
সেটা রাতে কমপ্লিট করব।

ঠিক আছে যা তাহলে।

তরী বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় রেহেনা বেগম তরীকে ডাক দেয়।
হাতের মধ্যে একটা বক্স দিয়ে বলে,এটা তোর বড়আম্মার হাতে দিবি। বলবি পুকুর থেকে মাছ তুলেছিল তোর বাবা। সেই মাছ আমি বেশি করে কষিয়েছি ওদের জন্য।

ঠিক আছে মা বলেই তরী সরকার বাড়ির দিকে চলে যায়।

তরী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মোড়ের আমগাছের নিচে নাফেরের সাথে দেখা হয়।
তরী নাফেরকে সালাম দেয়। নাফের সালামের জবাব দিয়ে তরীকে জিজ্ঞেস করে কোথায় যাচ্ছো ?

তরী বলে, মিলির সাথে দেখা করার জন্য যাচ্ছি।
নাফের বলে, হাতে ওটা কিসের বক্স?
তরী বলে, এই বক্সে মা মাছ পাঠিয়েছে আপনাদের জন্য; সেইটা দিতে যাচ্ছি।

নাফের তরীকে বলে চলো যাই। আমিও বাড়িতে যাব। তরী আচ্ছা বলে হাঁটতে থাকে।

নাফের বলে, পরিক্ষার প্রস্তুতি কেমন তোমার?

তরী বলে, জ্বী ভালো।
আর কোনো কথা হয়না দুজনের মধ্যে।

ময়না বিবি মিলি ও শরিফের সাথে উঠোনের সামনে আম গাছের নিচে টুলের উপর বসে গল্প করছে। সামনে তাকিয়ে দেখে তরী ও নাফের একসাথে আসছে। ময়না বিবি হঠাৎ করে বলে উঠে, তরীকে আমাদের নাফের দাদুভাইয়ের বউ করলে কেমন হয় বলতো তোরা?
ওদের দুজন রে কি সুন্দর লাগছে?

দাদীর কথা শুনে মিলি হুড়রে,,, বলে চিৎকার দিয়ে উঠে।

মিলির চিৎকারে ময়না বিবি বিরক্ত হয়।
এত বড় দামড়ি মাইয়া হইয়া লাফাইতেছোস ক্যান?

দাদী গো তুমি যে কথা কইলা সেইটা শুনে তো আমার নাচতে মন চাইতেছে। ওদের দুইজনকে অনেক মানাবে দাদী।
আপনি কি বলেন শরিফ ভাই?
শরিফ বলে, মিলি কিন্তু ঠিকই বলেছে নানী। তরীর সাথে নাফের ভাইয়ের অনেক মানাবে। তুমি তাড়াতাড়ি ভাইয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করো । তরী ও নাফের কাছাকাছি আসলে ওরা চুপ হয়ে যায়।

তরী বলে, কি নিয়ে আলোচনা করছিলে দাদী? আমাদের দেখে বন্ধ করলে যে।

ময়না বিবি বলে, এইডা গোপন কথা তরী রাণী। কওন যাইবোনা এখন। পরে কমু তোরে আর দাদুভাইরে।

মিলি তরীকে বলে, এই বক্সে করে কি এনেছিস সই?

তরী বলে, মা তোদের সবার জন্য কষানি মাছ পাঠিয়েছে এই বক্সের মধ্যে। দাঁড়া বড়আম্মা কে এইটা দিয়ে আসি।
মিলি বলে, দাদী আমরাও যাই চলো। এখানে আর বসে না থেকে ঘরে চলো।
ময়না বিবি বলে, ঠিক আছে চল যাই।

সবাই লাইক কমেন্ট শেয়ার করে পাশে থাকবেন। বেশি বেশি রিয়াক্ট দিবেন 😁 আপনাদের মন্তব্য প্রকাশ করবেন। রাতে আরেকটা বোনাস পার্ট দিব। ইনশাআল্লাহ

#চলবে
#কাব্যকথাচাঁপাই
#কাব্যকথাচাঁপাই
#কাব্যকথাচাঁপাই
#কাব্যকথাচাঁপাই
#কাব্যকথাচাঁপাই

Address

Nawabganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কাব্য কথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to কাব্য কথা:

Share