22/10/2025
গত ৯ মাসে ২৪৫ জন তালাকপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষের সঙ্গে কথা বলে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে, যার উদ্দেশ্য ছিল— কেন সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে তা খুঁজে বের করা।
গবেষণায় দেখা গেছে, মোট তালাকের ৭২ শতাংশ ঘটেছে ভুল বোঝাবুঝি, অহংকার এবং পারস্পরিক অসম্মানের কারণে। ১৮ শতাংশ ক্ষেত্রে পরকীয়া এবং ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্ত্রীর অতিরিক্ত বিলাসিতা ও অবাস্তব চাহিদা ছিল প্রধান কারণ। আশ্চর্যজনকভাবে, ৭৮ শতাংশ ক্ষেত্রে তালাকের জন্য নারী দায়ী, আর ২২ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী পুরুষ।
তালাকের পর অনুশোচনার বিষয়টিও গবেষণায় উঠে এসেছে। দেখা গেছে, ৯২ শতাংশ নারী ও পুরুষই তালাকের পর অনুতপ্ত হয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই বলেছেন— “সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল, যদি আরেকটু ধৈর্য ধরতাম!”
তালাকের পর নারীদের অবস্থাও উদ্বেগজনক। ৮৯ শতাংশ নারী দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারেননি, ৪ শতাংশ নিজের ইচ্ছায় অবিবাহিত থেকেছেন, আর ৭ শতাংশ নারী সমাজের অবহেলায় ভুল পথে চলে গেছেন।
অন্যদিকে, ৮৫ শতাংশ পুরুষ দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন এবং সংসার করছেন। ১৩ শতাংশ পুরুষ বিয়ে নিয়ে অনাগ্রহী হয়ে পড়েছেন, আর ২ শতাংশ পথভ্রষ্ট জীবনে জড়িয়েছেন। আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য হলো, ৬৭ শতাংশ পুরুষ দ্বিতীয়বার কুমারী মেয়েকে বিয়ে করেছেন, অথচ নারীরা কুমার পুরুষ পেয়েছেন মাত্র ০.১ শতাংশ ক্ষেত্রে।
দ্বিতীয় বিয়ের বাস্তবতাও তেমন সুখকর নয়। দ্বিতীয়বার বিয়ের পর ১২ শতাংশ নারী আবারও তালাকপ্রাপ্ত হয়েছেন, এবং ৮৯ শতাংশ নারী দ্বিতীয় সংসারে অসুখী জীবন কাটাচ্ছেন। বিপরীতে, মাত্র ২ শতাংশ পুরুষ দ্বিতীয়বার তালাক দিয়েছেন এবং ৩ শতাংশ পুরুষ দ্বিতীয় সংসারে অসন্তুষ্ট। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিধবা নারীকে বিয়ে করেছেন, তাদের ৯৩ শতাংশই সুখী সংসার করছেন।
সবশেষে, গবেষকরা বলেছেন— তালাক শুধু দুটি জীবনের বিচ্ছেদ নয়; এটি ভেঙে দেয় একটি পরিবারের শান্তি, একটি শিশুর ভবিষ্যৎ এবং পুরো সমাজের ভারসাম্য।