02/07/2025
রাসায়নিক সার ব্যাবহারের কুফলঃআমার মতামত।
আলোচনার প্রস্তবটি রেখেছিরলন আমাদের Shilpi Akhter আপু।
হ্যা,রাসায়নিক সার ব্যাবহারে আমাদের মাটি,পানি,পরিবেশ ও প্রানী দেহে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে ।
# রাসায়নিক সার ব্যাবহারের ফলে প্রাকৃতিক "ইকো সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্থ হয়।প্রাকৃতিক "ইকো সিস্টেম" ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মানে দাড়ায় ব্রহ্মন্ডে প্রান প্রকৃতির এমন কিছু বাকি থাকে না যেখানে ক্ষতির ছোয়া পৌছায় না।
# রাসায়নিক সার ব্যাবহারে মাটির পিএইচ ভারসম্য হারায় ।ফলে মাটি তার মজুদ থেকে উদ্ভিদের প্রয়োজনিয় নির্দোষ(জৈব) কিম্বা দোষি রাসায়নিক উদ্ভিদকে সরবারহ করতে স্বক্ষমতা হারায় ।উদাহরন হিসাবে যদি বলি যে,মাটিতে পিএইচের মান ৩ এর নিচে নেমে এলে মাটিতে প্রাকৃতিক ভাবে থাকা বোরন উদ্ভিদকে সরবারহ করতে স্বক্ষমতা হারায় ।ফলে নিরাপদ বোরনের বিকল্প হিসাবে রাসায়নিক বোরন সম্পূরক প্রয়োগের দ্বারা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হই ।রাসায়নিকের লাক্সারীট্রাপে বন্দী থেকে পুরনায় প্রাকৃতিক "ইকো সিস্টেম" ধ্বংশে মেতে উঠি।ঠিক বোরনের উদাহরনের মতই উদ্ভিদের প্রয়োজনিয় অন্যান্ন খাদ্য,অনুখাদ্য প্রাকৃতিক ভাবে সরবারহে মাটির অক্ষমতা সৃষ্টি করে।
# মাটিতে জৈব পদার্থের আধার ধ্বংশ করে ।এবং জৈব পদার্থের উপস্থিতি কমে গেলে (৫ % কম ) এক কথায় মাটি অসুস্থ হয়ে পরে ।মাটিতে থাকা উদ্ভিদের প্রয়োজনিয় রাসয়নিক উপাদান মাটি উদ্ভিকে সরবারহের সক্ষমতা হারায় ।এক কথায় জৈব পদার্থের ঘাটতির জন্য রাসয়নিকের গুনাগুন কমে যায়।
# রাসায়নিক প্রাকৃতিতে থাকা অনুজিব ধ্বংশ করে । প্রাকৃতিক "ইকো সিস্টেম"ক্ষতিগ্রস্ত করে ।প্রাকৃতিতে অনুজিব ব্যাপক কর্ম সম্পাদন করে থাকে , যা আমরা চোঁখে দেখতে পাই না।আমরা একটু ভেবে দেখি যে,দুনিয়াতে এত ব্যাপক পরিমানে মর দেহ ,এগুলোকি আমরা কেউ ধ্বংশ করেছি ?যদি না করে থাকি তবে পৃথিবী সৃষ্টি থেকে অগনিত ট্রিলিয়ন মরদেহ যদি দুনিয়াতে থেকে যেত তবে দুনিয়া কতটুক আমাদের বসবাসের উপযোগি থাকত ? তাহলে এই মর দেহ গুলি কিভাবে ধ্বংশ হচ্ছে ? হ্যা,এই মর দেহ গুলি ধবংশ করতে নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করছে ব্যাকটেরিয়া ।আচ্ছা আমরাকি মেশিনে দধি তৈরী করতে পারি ? তাহলে দধি কিভাবে তৈরী হচ্ছে ?হ্যা,এখানেও কাজ করছে ব্যাকটেরিয়া।এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে,সকল অনুজিব কি উপকারি ? নিশ্চই না ।তাহলে ?হ্যা,বন্ধুরা পৃথিবীতে মোট ৩৯ কোঠী অনুজিরেব মধ্যে মাত্র কোঠী ৫ ক্ষতিকারক অনুজিব। বাকি ৩৪ কোঠী উপকারি অনুজিব। তাহলে রাসায়নিকের প্রভাবে যখন ঢালাও ভাবে অনুজিব ধ্বংশ হয় তখন বন্ধু ও শত্রু অনুজিবের ক্ষতির অনুপাতটা একবার ভাবুন ।রাসায়নিকের প্রভাবে অনুজিব কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ? উদাহরন হিসাবে ভাবুন কার্বনঃ নাইট্রোজেনের(CN) অনুপাত ৩০ঃ ১ এ ট্রাইকোডার্মা সঠিক ভাবে বেঁচে থেকে তার কর্ম সম্পাদন করতে পারে । এখন রাসয়নিকের প্রভাবে কার্বন এবং নাইট্রোজেন অনুপাত ভেরিয়েশন হলে ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্রম ব্যাহত হয় ।আচ্ছা পানের সবজির পচন রোগের সাথে পরিচিত নই কে ?প্রায় অনেকেই পরিচিত ।এই পচন প্রকৃয়াটা কে করে ? কিভাবে করে ? হ্যা বন্ধুরা ,বন্ধু ব্যাকটেরিয়া কমে গেলে যে প্রানের,উদ্ভিদে বন্ধু ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি কমে যায় সেখানে শত্রু ব্যাকটেরিয়া ব্যাপক ভাবে আক্রমনের দ্বারা পচনক্রিয়া শুরু করে ।বন্ধু ব্যাকটেরিয়া কিভাবে এই পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিহত করত ? বন্ধু ব্যাকেটেরিয়া শত্রু ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সার্বক্ষনিক কাজ করে চলে ।সে আলোচনা বিষদ ।কিন্তু রাসায়নিকের প্রভাবে যখন ঢালাও ভাবে ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়,তার বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ হারায় তখন মুলত আমরা ব্যাপক ভাবে শত্রুর চেয়ে বন্ধু ব্যাকটেরিয়াই হারাই।
বিভিন্ন প্রকার অনুজিব যেহেতু মাটি,পানি,প্রান প্রকৃতিতে "ইকো সিস্টেম"রক্ষায় সার্বক্ষনিক ব্যাপক ভাবে কাজ করে চলে সেহেতু রাসায়নিকের প্রভাবে ক্ষতি হয়না কোথায় সেটা আমার যানা নেই।
# রাসায়নিকের প্রভাবে মানব স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতিকর পর্ব সাধিত করে ।সেটা না হয় অন্য দিন শুনব।আমরা ইতিমধ্যে অনেক বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় অনেকটা আতংকিত ।
# রাসায়নিকের প্রভাবে মাটির হিউমাস ধ্বংশ হয়।কথা হল হিউমাস আবার কি ?কি ভাবে আমাদের সহয়তা করতে পরে ? এক কথায় হিউমাস হলো মাটির "উদার ইকো সিস্টেম বা মজুদ ও প্রদানের আধার ।
# রাসায়নিক গবেষনা, প্রস্তুত,সংরক্ষন ও ব্যাবহারে দুনিয়াতে অনেক খারাপ জিবানু সৃষ্টির ইতিহাস আমরা অনেক শুনেছি কিন্তু একটিও বন্ধু জিবানু সৃষ্টির ইতিহাস অন্তত আমি শুনিনি ।
# রাসায়নিকের সহয়তায় উৎপাদিত সবজি ,ফলে পুষ্টি মান অনেক কম থাকে।উক্ত সবজি , ফল সংরক্ষনে জৈব প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত সবজি ও ফলের তুলনায় দ্রুত সময়ে রেশি পরিমান পুষ্টিমান হাড়ায় ।অনুরুপ ভাবে রান্নার পরেও জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবজি,ফলের চেয়ে রাসায়নিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবজি,ফলের পুষ্টিমান বেশি হারায় ।আমাদের অজান্তে এবং নিশ্চিন্তে পুষ্টিমানের ঘাটতি থেকে যায় ।কারন আমরা সবজি বা ফলের পুষ্টিমানের সাধারন হিসাব মত ,প্রয়োজনমত গ্রহন করে নিশ্চিন্ত হই ।কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় রাসায়নিক সংশ্লিষ্টতার কারনে পুষ্টিমানের কমতি থেকে যায় ।একবার ভাবুন না প্রতিদিন আপনার অজান্তেই আপনার পকেট থেকে ১০/১৫ টাকা চুরি হচ্ছে ।৬০/৬৫/৭০ বছরের জীবনে কতটা ?এভাবেই রাসায়নিকের প্রভাবে মনের অজান্তে প্রতিটা দিন আমরা আমাদের প্রিয় শরিরে গড়ে তুলছি পূষ্টি হীনতার আধার ।ফলে আসছে রোগ,ব্যাধী ।চিকিৎসার নামে আবারও টাকার স্রাদ্ধ করে সেই "রাসায়নিকের লাক্সারী ট্রাপে" বন্ধী হয়ে পরছি।
আজ আর বাচালতা করবনা ।সংক্ষেপেঃ
# মাটির বুনট হারায়।
# অংকুরোদগম হার কমায়।
# শিকর থেকে খাদ্য গ্রহন ক্ষমতা কমায়।
# রাসায়নিকের ক্রমবর্ধমান ব্যাবহার বৃদ্ধি ব্যায় বাড়ায়।
# উদ্ধিদকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমকা কমায়।প্রতিরোধ ও প্রতিকারে ব্যায় বাড়ায়।
# বাতাস এবং পানিতে কার্বন ও শিশার পরিমান বাড়ায় । জলবায়ুতে উষ্ঞায়ন রাড়িয়ে প্রান,প্রকৃতিতে ব্যাপক ক্ষকিকর ভূমিকা রাখে।
কৈফিয়তঃ
চাষা।আমি বিশেষজ্ঞ নই।বিশেষজ্ঞদের মতামত,সমালোচনা,সংযোজন,বিয়োজন প্রস্তাবের অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদ।
মোঃ বদরুল হায়দার বেপারী এআইপি।
সাধারন সম্পাদক,
কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটি।
বাংলাদেশ ভার্মিকম্পোষ্ট উৎপাদক এ্যাসোসিয়েশন।
কথাঃ ০১৭১১ ০৫৭২৭৬ ,, ০১৯১৭ ৯৮৩০২২