Muhammad Saiem numan মোহাম্মাদ সাঈম আন্-নো'মান

  • Home
  • Bangladesh
  • Netrokona
  • Muhammad Saiem numan মোহাম্মাদ সাঈম আন্-নো'মান

Muhammad Saiem numan মোহাম্মাদ সাঈম আন্-নো'মান

ভালো ও কল্যাণ যত,সময় থেকেই সৃষ্ট
পায় না দেখা কভু তার,যে করে তা নষ্ট |

19/03/2024

আজ মন খারাপের মন খারাপ।

সহসাই মন খারাপ হয়ে যাওয়া, কোন কিছু ভালো না লাগা!
এগুলো এখন আমাদের অনেকের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে রূপ নিয়েছে/নিচ্ছে।
কিন্তু কেন? এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?

কেন?
আমরা হয়ে গেছি উদাসী,গাফেল,অকর্মা।
আমাদের এমন একটি প্রজন্ম ছিলো,যারা সব সময় নিজেকে কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত রাখতেন।তারা অনবসরতাকে ঘৃণা করতেন আর ব্যস্ততাকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
এর প্রতিফলে তাদের মন-মানসিকতাও সুন্দর ছিলো।তাদের মন থাকতো ফুরফুরে।

কিন্তু আমাদের বর্তমাান প্রজন্ম তাদের উল্টো,
অবসরতাকে বানিয়েছি নিজের পরম বন্ধু আর ব্যস্ততাকে সরিয়েছি অনেক দূরে।

আমাদের মন খারাপ হয়, মূলত এই অঅবসরতার কারণেই।
কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকলে আমাদের মন-মানসিকতা শুধু কাজের প্রতিই থাকে। যার দরুন মন খারাপের সম্ভাবনাই নাই।

মন খারাপ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
১/আমরা যারা মুসলিম
আমাদের জন্য প্রথমত করণীয় হলো: নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাম আদায় করা।
২/ বেশি বেশি দুরূদ আদায় করা।
৩/সম্ভব হলে বেশি বেশি কোর'আন তেলাওয়ার করা।
৪/সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো: নিজেকে সব সময় কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত রাখা।

আজ মন খারাপের মন খারাপ||🙂

11/03/2024

পবিত্র রমাযানুল মোবারকের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন!❤️🌺

আমরা আমাদের ছোট্ট জীবনে আরও একটি পবিত্র রমাযান মাস পাচ্ছি। আমরা কতোইনা ভাগ্যবান!
নবিজি সা: ও সাহাবায়ে কেরাম এই রমাযান মাসের জন্য প্রতীক্ষায় থাকথেন।

আল্লাহ তায়ালা সুরা বাক্বারার ১৮৩নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পারো।

সুরা বাক্বারার ১৮৫নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন:

সূরা আল বাকারা ( আয়াত নং - ১৮৫ )
شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَبَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَالۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَمَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَلَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَلِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَلِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَلَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ
অনুবাদ: রমযান মাস- যে মাসে কুরআন নাযিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য (আদ্যোপান্ত) হিদায়াত এবং এমন সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী সম্বলিত, যা সঠিক পথ দেখায় এবং (সত্য ও মিথ্যার মধ্যে) চূড়ান্ত ফায়সালা করে দেয়। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এ মাস পাবে, সে যেন এ সময় অবশ্যই রোযা রাখে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য দিনে সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের পক্ষে যা সহজ সেটাই চান, তোমাদের জন্য জটিলতা চান না, এবং (তিনি চান) যাতে তোমরা রোযার সংখ্যা পূরণ করে নাও এবং আল্লাহ তোমাদেরকে যে পথ দেখিয়েছেন, সেজন্য আল্লাহর তাকবীর পাঠ কর এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

হুজুর সা: অসংখ্য হাদিসের মধ্যে রমাযান মাস সম্পর্কে বলেছেন:
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, হাদিসে কুদসিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক আমল তার নিজের জন্য—রোজা ব্যতীত। কারণ, রোজা আমার জন্যই এবং আমি নিজেই তার প্রতিদান দেব।’
(মহানবী সা. আরও বলেন) ‘রোজা ঢাল স্বরূপ। তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, আমি একজন রোজাদার।
যাঁর হাতে মুহাম্মদের প্রাণ তাঁর শপথ! অবশ্যই রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের সুগন্ধের চেয়েও সুগন্ধময়।
রোজাদারের জন্য রয়েছে দুটি খুশির মুহূর্ত আছে, যা তাকে আনন্দিত করে। যখন সে ইফতার করে, সে খুশি হয় এবং যখন সে তার পালনকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন রোজার বিনিময়ে আনন্দিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ১৯০৪)

হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন কোনো আমলের আজ্ঞা করুন; যার বিনিময়ে আল্লাহ আমাকে লাভবান করবেন।’ (অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘যার মাধ্যমে আমি জান্নাত যেতে পারব’) তিনি বললেন, ‘তুমি রোজা রাখো। কারণ, এর সমতুল্য কিছু নেই।’ পুনরায় আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে কোনো আমলের আদেশ করুন।’ তিনি পুনরায় একই কথা বললেন, ‘তুমি রোজা রাখো। কারণ, এর সমতুল্য কিছু নেই।’ (নাসায়ি, সহিহ্ তারগিব, হাদিস: ৯৭৩)

হজরত হুজায়ফা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) আমার বুকে হেলান দিয়ে ছিলেন। তখন তিনি বললেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে একদিন রোজা রাখার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কিছু সদকা করার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে, সেও জান্নাত প্রবেশ করবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, সহিহ্ তারগিব, হাদিস: ৯৭২)

হজরত আবু সাইদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে বান্দা আল্লাহর পথে একদিন মাত্র রোজা রাখবে, সেই বান্দাকে আল্লাহ বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে ৭০ বছরের পথ পরিমাণ দূরত্বে রাখবেন।’ (বুখারি, হাদিস: ২৮৪০)

রব্ব যেন তাঁর দেওয়া বিধান রমাযানের রোযাগুলো রোজার পরিপূর্ণ হক্ব অনুযায়ী পালন করার তৌফিক দান করেন। —আমীন!

মুহাম্মাদ সাঈম আন-নোমান বিন প্রফেসর আব্দুল খালেক।
তারিখ:১১-১০-২০২৪ঈসায়ী || রোজ:সোমবার।
সকাল;৮:১মিনিট ||

04/03/2024

আপনার চরিত্র আমার কাছে বেশি প্রিয়।
আপনার চরিত্র আমার রুল মডেল।আমার জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে আপাকে অনুসরণ করে চলার প্রয়াস চালাই।
আপনি ছিলেন কোমল হৃদয়ের অধিকারী। কোমলতার আধিক্যতা ছিল আপনার অন্তরে বেশি।

আপনার চরিত্রের প্রশংসা করে গিয়ে আমার রব্ব সূরা কলমে সুন্দর ভাবে বলে দিয়েছেন;
“আর আপনার রয়েছে উত্তম চরিত্র।“
উত্তম-অধম যিনি নির্বাচন করেন তিনি নিজেই আপনার চরিত্রের উত্তমতা বর্ণনা করে দিয়েছেন।

আমি যেন আপনার চরিত্র অনুসরণ করতে পারি সে জন্য আপনি আপনার ভাষায় আপনার চরিত্র কেমন ছিল তা বলে দিয়েছেন।
আর বলেছেন;
তার সাথে তুমি সম্পর্ক বজায় রেখো যে তোমার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে চায়। তাকে তমি ক্ষমা করে দিও যে তোমার উপর জুলুম করে। তার সামনে তুমি দয়ার চাদর বিচিয়ে দিও যে তোমার সাথে খারাপ আচরণ করে।
আপনার চরিত্রগুলো কতো সুন্দর করে আপনি বলে দিয়েছেন!

আপনার চরিত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনার প্রিয়তমা আহলিয়া আনাদের মা হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি: বলে দিয়েছেন:
❝তাঁর চরিত্র হচ্ছে কোরআন❞।

আপনার চরিত্রের বৈশিষ্ট্য খুঁজতে গিয়ে আমি দুই একটি বৈশিষ্ট্য এখানে লিখবো।
১—আপনি ছিলেন উত্তম স্বভাবের অধিকারী।
২—আপনি শত্রুকে ক্ষমা করে দিতেন।
৩—ব্যক্তিগত কোন প্রতিশোধ নিতেন না।
৪—সবার সাথে মিলেমিশে থাকতেন।
৫—সবার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখছেন আত্মীয়-স্বজনের প্রতি খেয়াল রাখতেন।
৬—মানুষকে আপনি আগে আগে সালাম দিতেন।
৭—মানুষের সাথে মুসাফা করতেন।
আরও কতো সুন্দর সুন্দর বৈশিষ্ট্য ছিল আপনার।

ভালোবাসি হে নবী আপনাকে আর আপনার চরিত্রকে।❤️
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!

মুহাম্মাদ সাঈম বিন প্রফেসর আব্দুল খালেক।
শুরুটা লিখেছিলাম ২৮-০২-২৪ তারিখ রাত ১২:৫১মিনিটে
লিখনির পূর্ণতা দান করেছি আজ ০৪-০৩-২০২৪ঈসায়ী।
রোজ:রবিবার।দুপুর:০৪:১৬মিনিট।

আপনার টাকায় আপনি মারছেন ফিলিস্তিনিদেরআপনার আমার মন হয়ে আছে উদাস।  আমারা হয়ে গেছি উদাসী।উদাস হৃদয় নিয়েই জীবন-যাপন করছি। উ...
04/03/2024

আপনার টাকায় আপনি মারছেন ফিলিস্তিনিদের

আপনার আমার মন হয়ে আছে উদাস। আমারা হয়ে গেছি উদাসী।
উদাস হৃদয় নিয়েই জীবন-যাপন করছি। উদাস রাজ্য থাকলে সেখানকার রাজা হতাম আমরা।

আমরা এখন আর তেমন ভাবি না। চিন্তা-ভাবনা করি না।
পরিচিত জিনিসগুলোতে গবেষণা চালাই না।
কোন কিছু ক্রয় করতে গেলেও একবার ভাবি না।

আমরা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র,খাবার দাবার ইত্যাদি
ক্রয় করি প্রতিনিয়ত।কিন্তু কখনো ভাবি না, এই প্রোডাক্ট কোন ব্রেন্ড -এর! কারা এই এই ব্রেন্ড পরিচালনা করে! কে'ই বা এই ব্রেন্ডের মালিক! এই ব্রেন্ডের কতো পার্সেন্ট কোন খাতে ব্যায় করা হয়!

প্রশ্ন হতে পারে, একটি প্রোডাক্টের এতো কিছু কোত্থেকে জানবো?
উত্তরটাও সোজা। আপনি যেই প্রোডাক্ট ক্রয় করছেন সেখানেই ভালো করে দেখে নিয়েন ইংলিশে সুন্দর করে স্টেপ বায় স্টেপ লিখে রাখা হয়েছে।
আর যদি ইংলিশ বুঝতে কষ্ট হয় অথবা প্রোডাক্টের ঘাঁয়ে থাকা লেখাগুলো অস্পষ্ট মনে হয় তাহলে আপনি এই প্রোডাক্টটি গুগল করেও জেনে নিতে পারবেন।

এবং আবারও দ্বিতীয়বারের মতো প্রশ্ন আসতে পারে!
আমরা কেন একটি প্রোডাক্ট ক্রয়ের জন্য এতো তাহকীক/গবেষণা করবো?

এই প্রশ্নের উত্তরটি প্রথম প্রশ্নের উত্তরের ন্যয় সোজা নয়। বরং ব্যাখ্যা -এর সাথে দিতে হবে উত্তর।
তাহলে শুনুন.....

আমরা আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত, প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকার প্রোডাক্ট ক্রয় করে থাকি।সেই সকল প্রোডাক্ট আকাশ থেকে নাজিল হয়নি জমিন থেকে উঠে আসেনি বরং এগুলো একটি কোম্পানির লোকেরা বানিয়ে মার্কেটে সাপ্লাই দিচ্ছে। সবগুলো প্রোডাক্ট এর মধ্যে অবশ্যই লাভ আছে। আপনি আপনার যেই টাকা দিয়ে প্রোডাক্ট কিনেছেম সেখান থেকে
৫%বা৬% কোম্পানি লাভ করে থাকে।
আর সেই কোম্পানি যদি কোন মুসলিম কোম্পানি হয়ে থাকে তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ ভালোই। যদি তারা মূলে বাংলাদেশী কোম্পানি হয়ে থাকে তাহলে তাও ভালো। কারণ টাকাগুলো দেশেই রইলো।অর্থনীতির দিক দিয়েও এগিয়ে রইলো!
কিন্তু সমস্যা হলো যদি সেই কোম্পানি হয়ে থাকে,বিধর্মীদের
তাহলে আপনার টাকাগুলো যচ্ছে বিধর্মীদের কোম্পানির কাছে।
আর যদি হয়ে থাকে জায়নিস্ট ইসরায়েলী হিংস্র পশুদের তাহলে তো সরাসরি বুঝাই যাচ্ছে তারা এই টাকাগুলো দিয়ে মুসলিমদের হত্যা করছে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে প্রয়োগ করছে।
আমরা যদি ইয়াহুদীদের পণ্যগুলো নিজ থেকে বয়কট করে দেই তাহলে আমাদের আশেপাশের দোকানগুলোতে ইসরায়েল এর কোন পণ্য রাখবে না আর এভাবেই ধীরে ধীরে ইসরায়েেল হানাদার বাহিনী আর্থিক সংকটে পড়বে। তখন আর্থিক দৈন্যতায় ভুগবে তারা মুসলমানদের উপর কোনরূপে হামলা করতে পারবে না। সুতরাং আমার ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাই এবং বোনদেরকে আপনি আর আমি সরাসরি কোন প্রকার সাহায্য করতে না পারলেও ইসরাইলে পণ্যলো বয়কট করে তাদের সাথে সাহায্য করা প্রয়োজন। আমি মনে করি এটি উত্তম একটি পন্থা এবং ঈমানের দাবী।

ওষুধ, স্বাস্থ্য, ওষুধ ও খাদ্য পণ্য
Super-Pharm
Teva Pharmaceuticals
CardiacSense Ltd
Teva Active Pharmaceutical Ingredients

খাদ্য ও দুগ্ধজাত পণ্য
Time (cigarette)
Tiv Ta’am
Tnuva
Vodka Perfect
Wissotzky Tea
Angel Bakeries
Bamba (Snack)
Berman’s Bakery
Bissli (Israeli wheat snack)
Carmel Agrexco
Carmel Winery
Cow Chocolate
Ein Gedi Mineral Water
Galilee Green
Klik (Candy)
Krembo
L’Chaim Vodka
Landwer Coffee
Lone Tree Brewery
MacDavid
Max Brenner
Mey Eden
Neviot (Spring water)
Noblesse (cigarette)
Osem (company)
Rabl (company)
Strauss Group
Tara (Israel)
Tempo Beer Industries

পোশাক এবং ফ্যাশন আনুষাঙ্গিক
Gottex (Designer swimwear)
Honigman
Kenvelo
Naot (Shoes, sandals)
Source Sandals (Tekking and hiking sandals)
Elie Tahari
TNT (clothing)
Tzomet Sfarim
YVEL (Necklaces, Rings, Earrings, Bracelets)
Leibish & Co. (Natural fancy color diamonds Fine jewelry)
Cassidi
Castro
Fox (Clothing)
লিস্টের এই পণ্যগুলো আমরি উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করেছি।

ইসরায়েলী পণ্য চিনার উপায়:
ইসরাইলি পণ্য চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হল পণ্যের বারকোড। ইসরাইলি পণ্যের বারকোডের প্রথম তিনটি সংখ্যা হল 729। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও পণ্যের বারকোড 7293453459070 হয়, তাহলে সেই পণ্যটি ইসরাইলি।

ইসরাইলী পণ্য চেনার আরেকটি উপায় হল পণ্যের লেবেল। অনেক ইসরাইলি পণ্যের লেবেলে Made in Israel বা Product of Israel লেখা থাকে। তবে, সব ইসরাইলি পণ্যের লেবেলে এই লেখা থাকে না।

ইসরাইলী পণ্য চেনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ,
Elite, Strauss, Tnuva, Delek, Carmi, Kibbutz Industries, Teva, Pereg, Osem, Ahava ইত্যাদি ব্র্যান্ডের পণ্যগুলি বেশিরভাগই ইসরাইলি।
তবে, মনে রাখতে হবে যে, ইসরাইলি পণ্যগুলির উৎস পরিবর্তিত হতে পারে। তাই, পণ্য কেনার আগে বারকোড বা লেবেল ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।

আল্লাহ ফিলিস্তিনী মুসলিম মাজলুম ভাইদের সহায়ক হোন!
—মুহাম্মাদ সাঈম বিন প্রফেসর আব্দুল খালেক।
গতরাত লেখতে লেখতে কখন ঘুমিয়ে যাই বলতেই পারি না।
তারিখ:০৩-০৩-২০২৪ঈসায়ী। রোজ: শনিবার!

03/03/2024

আমি ফুল ভালোবাসি।
কারণ, আপনি ফুল ভালোবাসতেন।
আমি আপনাকে ভালোবাসি।
কারণ, আপনাকে ভালোবাসাই আমার দায়ীত্ব।
আপনি সবাইকে ভালোবাসতেন। আপনার পুরো জীবনটাই ভালোবাসার গল্প ভরা। আপনি ছিলেন সুমিষ্ট কন্ঠের অধিকারী।আপনার কন্ঠ ছিল মধুশ্রাবী।আপনারা চেহারা ছিল মায়াবী। আপনার আচরণে মায়া আর ভালোবাসারই ঘ্রান বেরুয়। আপনার আচর দেখে আপনাকে ভালোবাসতে বাধ্য হয়ে যেতো হৃদয়বান ব্যক্তি।কেমন জানি আপনি অনেক বেশি ভালোবাসতেন!
আপনার ভালোবাসায় হরিনীরাও মুগ্ধ হতো বার বার।
ভিন্ন প্রাণীও আপনার ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে আপনাকে ভালোবেসে ফেলতো!
হাত নেই পা নেই, তারাও আপনাকে অনেক বেশি ভালো বাসতো।কারণ, আপনি তাদেরকে ভালোবাসতেন। শিখিয়েছেন ভালো কিভাবে বাসতে হয়। আপনার ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে তারাও আপনাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে।
পক্ষিকূলের প্রতি ছিল আপনার অগাধ ভালোবাসা। তাদের ভালোবাসতেন বলেই লোকদের নিষেধ করতেন যেন তারা পক্ষি শিকার না করে।

আপনি আমাকে শিখিয়েছেন, বৈরি থেকে ভালোবাসা হাসিলের পথ।
তারা এসেছিল আপনার সাথে বৈরিতা প্রদর্শনের জন্য অথচ আপনার ভালোবাসায় তারা মুগ্ধ হয়ে মৈত্রী হয়ে ফিরে গেছে।
আপনার মতো করে আমিও বৈরি এর সাথে ভালোবাসা প্রদর্শন করি। এজন্য আমার বৈরিই খুঁজে পাইনা।

আপনি ভালোবাসার অন্যন্য প্রতিক।
সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

পুরোটাই অগোছালো লিখনি।
২৮-০২-২০২৪ঈসায়ী || রাত: ১২:২৫মিনিট।
রোজ:বুধবার।

খুব মন দিয়ে পড়ছিলাম দাখিল নবম-দশম শ্রেণীর "English grammar and Composition" বইটি।পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে  speech এর "Activi...
02/03/2024

খুব মন দিয়ে পড়ছিলাম দাখিল নবম-দশম শ্রেণীর "English grammar and Composition" বইটি।

পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে speech এর "Activiti" পর্যন্ত গেলাম
এই অধ্যায়টিআমার বই -এর 196 পৃষ্টায়। পৃষ্টাটি আমার সামনে আসার সাথে সাথেই মনটা ভেঙ্গে যায়। বড় কষ্ট লাগলো। সামনে এগুনোর উদ্দোমটা হারিয়ে ফেলি। মনে মনে অনেক সিদ্ধান্তও নিয়ে নেই.!

কি আছে এই 196পৃষ্টায়? জানতে চান! তাহলে জানুন...
অন্যান্য অধ্যায়ে অধ্যায় এর বিষয়বস্তু বুঝানোর জন্য পাঠের সাথে সাথে চিত্রও দেওয়া হয়েছে। সাধারণত ছোট একজন ছেলে আর একজন মেয়ের ছবি দিয়ে ছাত্রদেরকে পাঠের বিষয়বিস্তু সহযে বুঝানো হয়।
(যদিও এই ছেলে মেয়েকে একসাথে এভাবে আনাটা আদৌ ঠিক নয়।)
তবুও বড়রা দিয়েছেন মান্যতার খাতিরে কিছুক্ষণের জন্য মেনে নিলাম।
কিন্তু speech এর activiti বুঝাতে আনা হয়েছে "অর্ধ উলঙ্গ একটা মেয়েকে। এটা বললে কম হয়ে যাবে তার থেকেও বেশি।"
(আস্তাগফিরুল্লাহ)

এখন একটু ভাবুন তো!
আমার যেই মাদ্রাসায় আমাদেকে শেখানো হচ্ছে; ছেলেদের জন্য মেয়েদের সাথে কথা বলা হারাম। দেখা করা হারাম। তাদের ছবি দেখাও হারাম। আর, মেয়েদের জন্য ছেলেদের সাথে মেশা হারাম।তাদের ছবি দেখা হারাম।
আর এদিকে আমার এই প্রতিষ্ঠানের বই -এর পাতায় নগ্ন নারীর অশ্লীল ছবি।

দু:খ রাখার জায়গা কোথায়!
অভিযোগের জায়গা নেই! নিজের ক্ষুব নিজের মধ্যেই ধমিয়ে রাখতে হবে! কে শুনে কার কথা! সমাজে এভাবেই ছড়াচ্ছে অশ্লীলতা। পূণ্যতম একটি জায়গা হলো: বই/কিতাব। এখন এই বইগুলোও নিরাপদ নয়।বই এর পাতায় অশ্লীলতার ছড়াছড়ি!

রব্ব আপনি হেফাজত করুন| —(আমীন!)
রাত:১২:৫১মিনিট। || ০৩-০৩-২০২৪ঈসায়ী।
রোজ: রবিবার।
বি:দ্র: ছবিটিকে ব্লার করে আপ্লোড দিয়েছি। বই এর মধ্যে আরও বেশি সু-স্পষ্ট।
Muhammad Saiem numan মোহাম্মাদ সাঈম আন্-নো'মান

02/03/2024

মানুষের বয়স হ্রাস-বৃদ্ধি সম্পর্কিত বিশ্লেষণ........
মুহাম্মাদ সাঈম বিন প্রফেসর আব্দুল খালেক ||

তফসীরে- মাযহারীতে এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে:
তকদীর দুই প্রকার (১) চূড়ান্ত অকাট্য (২) শর্তযুক্ত। অর্থাৎ, লওহে মাহফুযে এভাবে লিখা হয় যে, অমুক ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার আনুগত্য করলে তার বয়স উদাহরণতঃ ষাট বছর হবে এবং আনুগত্য না করলে পঞ্চাশ বছর বয়সে খতম করে দেয়া হবে। দ্বিতীয় প্রকার তকদীরে শর্তের অনুপস্থিতে পরিবর্তন হতে পারে। উভয় প্রকার তকদীর কোরআন পাকের এই আয়াতে উল্লেখিত আছে। يمحوا اللهُ مَا يَشَاءُ وَيُثْبِتُ وَعِنْدَةَ أَم الكتب তাআলা লওহে মাহফুযে -পরিবর্তন পরিবর্ধন করে থাকেন এবং তাঁর কাছে রয়েছে আসল কিতাব। "আসল কিতাব" বলে সেই কিতাব বোঝানো হয়েছে, যাতে অকাট্য তকদীর আছে। কেননা, শর্তযুক্ত তকদীরে লিখিত শর্ত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পূর্ব থেকেই জানেন যে, এ ব্যক্তি শর্তপূর্ণ করবে কি করবে না। তাই চূড়ান্ত তকদীরে অকাট্য ফাসয়ালা লিখা হয়।

হযরত সালমান ফারেসী রা: বর্ণনা করেন,
রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন- لا يرد القضاء الا الدعاء ولا يزيد في العمر الا البر
দোয়া ব্যতীত কোন কিছু আল্লাহ্ তাআলার ফয়সালা রোধ করতে পারে না এবং পিতা-মাতার বাধ্যতা ব্যতীত কোন কিছু বয়স বৃদ্ধি করতে পারে না।
এই হাদীসের মতলব এটাই য়ে, শর্তযুক্ত তকদীরে এসব কর্মের কারণে পরিবর্তন হতে পারে। সারকথা, ان اجل الله اذا جاء اجل الله لا يؤخره সুরা: নূহ।আয়াত নং:৪।
এই আয়াতে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত অবকাশ দেয়াকে কাফেরদেরকে ঈমান আনার উপর নির্ভরশীল করে তাদের বয়স সম্পর্কে শর্তযুক্ত তকদীর বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা হযরত নূহ (আঃ)-কে এ সম্পর্কে জ্ঞান দান করে থাকবেন। এ কারণে তিনি নূহ আ: তাঁর সম্প্রদায়কে বলে দিলেন, তোমরা ঈমান আনলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্যে যে আসল বয়স নির্ধারণ করেছেন, সেই পর্যন্ত তোমরা অবকাশ পাবে এবং কোন পার্থিব আযাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে না। পক্ষান্তরে যদি তোমরা ঈমান না আন, তবে এই আসল বয়সের পূর্বেই আল্লাহ্ তাআলার আযাব তোমাদেরকে ধ্বংস করে দিবে। এমতাবস্থায় পরকালের আজাবে ভিন্ন হবে। অতঃপর আরও বলে দিলেন যে, ঈমান আনলেও চিরতরে মৃত্যু থেকে রক্ষা পাবে না। বরং অকাট্য তকদীরে তোমাদের যে বয়স লিখিত আছে, সেই বয়সে মৃত্যু আসা অপরিহার্য। কারণ, আল্লাহ্ তাআলা স্বীয় রহস্য বলে এই বিশ্ব-চরাচরকে চিরস্থায়ী করেননি। এখানকার প্রত্যেক বস্তু অবশ্যই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে................

(মুফতি শফী সাহেব রহিমাহুল্লাহর লিখিত তাফসিরে মা'রেফুল কোর'আন এর সূরা নূহ এর ৪নং আয়াত থেকে নেয়া)

মুহাম্মাদ সাঈম বিন প্রফেসর আব্দুল খালেক।
০২-০৩-২০২৪ঈসায়ী || সকাল ৮:৩০মিনিট।

মাসজিদুল আক্বসা ও মাসজিদু কুব্বাতুস সাক্বার বিশ্লেষণ........—মুহাম্মাদ সাঈম বিন প্রফেসর আব্দুল খালেক ||মসজিদুল আকসা বা ব...
01/03/2024

মাসজিদুল আক্বসা ও মাসজিদু কুব্বাতুস সাক্বার বিশ্লেষণ........
—মুহাম্মাদ সাঈম বিন প্রফেসর আব্দুল খালেক ||

মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস হলো জেরুসালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত ইসলামের পবিত্রতম মসজিদ এবং এর সাথে একই প্রাঙ্গণে কুব্বাত আসসাখরা, কুব্বাত আসসিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। এই স্থানটি "টেম্পল মাউন্ট" বলে পরিচিত এবং ইহুদি ধর্মে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়।
মুহাম্মদ (সা) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা এবংঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন।
ইতিহাসবিদ পণ্ডিত ইবনে তাইমিয়ার মতে, আসলে সুলায়মান এর তৈরি সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটির নামই হল মসজিদুল আল-আকসা।
মুহাদ্দিসগণ এই বিষয়ে একমত যে সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটিই
হযরত সুলাইমান (আলাইহিস সালাম) তৈরি করেছিলেন যা পরবর্তীতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

নির্মাণের পর থেকে এটি ঈসা (আঃ) সহ অনেক নবীর দ্বারা এক আল্লাহকে উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে।
এই স্থান মুসলিমদের প্রথম কিবলা।
হিজরতের পর কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণে কা'বা নতুন কিবলা হয়।বর্তমানে "আল-আকসা" মসজিদ বলতে কালো গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটিই উদ্দেশ্য এবং এটিই সহীহ।
খলিফা উমর (রা:) বর্তমান মসজিদের স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের যুগে মসজিদটি পুনর্নির্মিত ও সম্প্রসারিত হয়। এই সংস্কার ৭০৫ খ্রিষ্টাব্দে তার পুত্র খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদের শাসনামলে শেষ হয়। ৭৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিকম্পে মসজিদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর এটি পুনর্নির্মাণ করেন। পরে তার উত্তরসুরি আল মাহদি এর পুনর্নির্মাণ করেন। ১০৩৩ খ্রিষ্টাব্দে আরেকটি ভূমিকম্পে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফাতেমীয় খলিফা আলি আজ-জাহির পুনরায় মসজিদটি নির্মাণ করেন যা বর্তমান অবধি টিকে রয়েছে।

বিভিন্ন শাসকের সময় মসজিদটিতে অতিরিক্ত অংশ যোগ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে গম্বুজ, আঙ্গিনা, মিম্বর, মিহরাব, অভ্যন্তরীণ কাঠামো। ১০৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ক্রুসেডাররা জেরুসালেম দখল করার পর তারা মসজিদটিকে একটি প্রাসাদ এবং একই প্রাঙ্গণে অবস্থিত কুব্বাত আস সাখরাকে গির্জা হিসেবে ব্যবহার করত। সুলতান সালাহউদ্দিন জেরুসালেম পুনরায় জয় করার পর মসজিদ হিসেবে এর ব্যবহার পুনরায় শুরু হয়। আইয়ুবী, মামলুক, উসমানীয়, সুপ্রিম মুসলিম কাউন্সিল ও জর্ডানের তত্ত্বাবধানে এর নানাবিধ সংস্কার করা হয়। বর্তমানে পুরনো শহর ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তবে মসজিদটি জর্ডা‌নি/ফিলিস্তিনি নেতৃত্বাধীন ইসলামি ওয়াকফের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

মাসজিদে কুব্বাতুস সাখরা:
কুব্বাতুস সাখরা উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের আদেশে ৬৮৯ থেকে ৬৯১ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়। চতুর্থ শতাব্দীতে ইহুদিদের বিদ্রোহের পর থেকে এই টেম্পল মাউন্ট উন্নয়নের বাইরে থেকে গিয়েছিল। এর স্থাপত্য ও মোজাইক বাইজেন্টাইন চার্চ ও প্রাসাদের আদলে গড়ে তোলা হয়েছিল। এর দায়িত্বে দুজন প্রকৌশলী ছিলেন।
কুব্বাত আস সাখরা হল জেরুজালেমের পুরনো শহরের টেম্পল মাউন্টের উপর অবস্থিত একটি গম্বুজ। বর্তমানে এটি ইসলামী স্থাপত্যের সর্বপ্রাচীন একটি নমুনা। এটিকে জেরুজালেমের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান এবং সমগ্র ইসরায়েলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান বলে উল্লেখ করা হয়। গম্বুজের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কাঠামো চার্চ অব দ্য হলি সেপালকারের মত। উমাইয়া স্থাপত্যে বাইজেন্টাইন প্রভাবের উদাহরণ সে থেকে পাওয়া যায়।
এখানে অবস্থিত সাখরা নামক পাথরের কারণে স্থানটি ধর্মীয় দিক দিয়ে গুরুত্ববহ।

ঐতিহাসিক আল-আকসা মসজিদ থেকে এর দূরত্ব ২০০ মিটার। ইহুদি ধর্মবিশ্বাস অনুসারে ডোম অব দ্য রক নির্মিত হয়েছিল ‘সেকেন্ড টেম্বল’ (দ্বিতীয় হাইকালে সোলায়মানি)-এর স্থানে, যা ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা ধ্বংস করেছিল এবং সেখানে জুপিটারের মন্দির স্থাপন করেছিল।

নির্মাণশৈলী
অষ্টভুজাকার ডোম অব দ্য রক মূলত ইসলামি ও বাইজান্টাইন স্থাপত্যরীতিতে নির্মাণ করা হয়, যা একটি কেন্দ্রীয় গম্বুজ দ্বারা আবৃত। এর ব্যাসার্ধ ২০ মিটার এবং উন্নত ড্রামের ওপর স্থাপিত। গম্বুজের সমর্থনে আছে চারটি স্তর ও ১২টি কলাম। চারপাশে ২৪টি পিয়ার ও কলামের একটি অষ্টাভুজাকার তোরণ আছে। বাইরের দেয়ালগুলো অষ্টভুজাকৃতির, প্রতিটির পরিমাপ প্রায় ১৮ মিটার প্রশস্ত এবং ১১ মিটার উঁচু।

নির্মাণের ইতিহাস
রোমান সম্রাট প্রথম কনস্টেটিন খ্রিস্টধর্ম গ্রহণের পর খ্রিস্ট ধর্মবিশ্বাস অনুসারে ‘চার্চ অব দ্য হলি সেপুলচার’ নির্মিত হয় এবং ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে যখন খলিফা হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) জেরুজালেম জয় করেন, তখন শহরটি খ্রিস্টানদের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। তার জেরুজালেম আগমন উপলক্ষে পবিত্র আল-আকসা প্রাঙ্গণ ঐতিহাসিক মসজিদুল আকসা নির্মাণ করেন। এর কয়েক দশক পর পঞ্চম উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান ডোম অব দ্য রক নির্মাণ করেন। নির্মাণকাজ ৭২ হিজরি মোতাবেক ৬৯২ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়। এরপর বিভিন্ন শাসনামলে এর একাধিক সংস্কার হয়।

ধারণা করা হয় মেরাজের রাতে নবী কারিম (সা.) এই পাথরের ওপর অবতরণ করেছিলেন

সংস্কারের ইতিহাস
আব্বাসীয় আমলে ডোম অব দ্য রক একাধিকবার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তা সংস্কার করা হয়। ৮০৮ ও ৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে দুইবার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্থাপত্যটি। ১০১৫ খ্রিস্টাব্দে ভূমিকম্পে মূল গম্বুজ ধসে গেলে ১০২২-২৩ খ্রিস্টাব্দে তা পুনর্নির্মাণ করা হয়। ১০২৭-২৮ খ্রিস্টাব্দে স্মৃতিস্তম্ভটিতে মোজাইক লাগানো হয়। ১০৯৯ সালে ক্রুসেডাররা জেরুজালেম জয় করার পর তারা কুব্বাতুস সাখরাকে গির্জায় রূপান্তর করে।

২ অক্টোবর ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) জেরুজালেম উদ্ধার করলে তা আবারও নামাজের স্থানে পরিণত হয়। তিনি গম্বুজের ওপর থেকে ক্রুশ সরিয়ে চাঁদ স্থাপন করেন এবং পাথরের চারপাশে কাঠের আবরণ দেন। জেরুজালেম শহরটি ১২৫০ থেকে ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মামলুক শাসকদের অধীনে ছিল। তারা ডোম অব দ্য রককে রাজকীয় স্থাপনার মর্যাদা দান করে।

আধুনিকায়ন
কুব্বাতুস সাখরার আধুনিকায়নে উসমানীয়দের অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। সুলতান প্রথম সোলায়মানের সময় প্রায় সাত বছর ব্যয় করে স্থাপত্যটির বহির্ভাগ টাইলসে আচ্ছাদিত করা হয়। এ ছাড়া উসমানীয়রা অভ্যন্তরভাগ মোজাইক, ফাইয়েন্স ও মার্বেল দ্বারা সৌন্দর্য বর্ধন করে। ডোম অব দ্য রকের কারুকাজে সুরা ইয়াসিন, বনি ইসরাইল ও মারিয়ামের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি ব্যবহার করা হয়।

১৮১৭ সালে সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ স্থাপত্যটিতে বড় ধরনের সংস্কার করেন। ১৯২৭ সালে ভূমিকম্পে তা আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৫৫ সালে আরব রাষ্ট্রগুলো এবং তুরস্কের অর্থ সহায়তায় জর্দান সরকার ডোম অব দ্য রকের সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে। ১৯৬৫ সালে গম্বুজের ওপর অ্যালুমিনিয়িাম ও ব্রোঞ্জের মিশ্রণের প্রলেপ দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে গম্বুজের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য জর্দানের রাজা হুসাইন তার লন্ডনের বাড়ি বিক্রি করে ৮০ কেজি স্বর্ণ ব্যবহার করে প্রলেপ দেন।

জাতিসংঘ থেকে আইন জারী আছে যে, মাসজিদুল আক্বসায় শুধুমাত্র মুসলিমরা ইবাদত করবে অন্য কোন ধর্মালম্বির জন্য ইবাদত করার অনুমতি নেই। কিন্তু এই বিষয়টি উগ্রবাদী কিছু ইয়াহুদী মেনে নিতে না পেরে আন্দোলন করছে। তাদের আন্দোলনের বিষয় হলো: মাস জি আক্বসায় তারাও তাদের ধর্ম পালন করবেম এই আন্দোলনের নাম হলো:❝টেম্বল মাউন্ট মুভমেন্ট❞।

সব শেষে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়! সেটি হলো: ইয়াহুদীরা
মসজিদে কুব্বাতুস সাখরাকে মসজিদে আক্বসা বলে চালিয়ে দেওয়ার কারণ কি!
গবেষণার পর জানা যায় যে, ইয়াহুদীরা এই মসজিদে আক্বসাকে ভেঙ্গে তাদের থার্ড টেম্বল নির্মাণ করবে। তারা তাদের টেম্বল নির্মাণের জন্য আমেরিকা,কানাডা ও যুক্ত রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা থেকে থেকে অনুদানও গ্রহণ করেছেমতাদের ধারণা হলো: এখানে প্রথম ও দ্বিতীয় টেম্বল ছিল। এজন্য তৃতীয় টেম্বল এখানেই নির্মান করতে চায়!
তাদের প্ল্যান সহজেই সাক্সেস হওয়ার জন্য ইতিহাস বিকৃতি করে মানুষকে নতুন করে শিখাচ্ছে যে, কুব্বাতুস সাখরাই হলো মসজিদে আক্বসা। আর মূল মসজিদে আক্বসা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই।

একটা অত্যাআশ্চর্যজনক তথ্য হলো: ইয়াহুদীরা পুরো পৃথিবীর মানুষের কাছে তো জানিয়ে দিয়েই দিয়েছে যে, কুব্বাতুস সাখরা হলো মসজিদে আক্বসা।
ফিলিস্তিনি একটি সংগঠন 'আক্বসা ফাউন্ডেশন' ও ইসরাঈলের একটি জাতীয় দৈনিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, ইসরাঈল সরকারের প্রত্নসম্পদ আবিষ্কারের শুরু করা খনন কাজ মসজিদে আক্বসার নিচে ৬০০ মিটার লম্বা সুড়ঙ্গে পরিণত হয়েছে এবং মসজিদের নিচে ফাঁকা করে দেয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পুরো কাজ শেষ করে অস্থায়ী খুঁটিগুলো সরিয়ে ফেললেই মাটিতে মিশে যাবে মুসলমানদের প্রথম কিবলা, প্রাণপ্রিয় মসজিদ 'আল মসজিদুল আক্বসা'।

[ইয়া রব্ব আপনি আপনার মাসজিদ হিফাজত করুন।—আমীন]

তথ্য সংগ্রহ: উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ইতিহাসের বই।
—মুহাম্মাদ সাঈম প্রফেসর বিন আব্দুল খালেক।
রাত: ১২:২১মিনিট। তারিখ:০২:০৩:২০২৪ঈসায়ী।

সেদিন ছিল আশার পথ প্রাপ্তির দিন।আমার এই ক্ষুদ্র জীবন সাজানো-গোছালো||স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত আমি। কিন্তু সেদিনটি কোন...
01/03/2024

সেদিন ছিল আশার পথ প্রাপ্তির দিন।

আমার এই ক্ষুদ্র জীবন সাজানো-গোছালো||
স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত আমি। কিন্তু সেদিনটি কোন স্বভাবিক দিন ছিল না। জীবনের অনাকাঙ্ক্ষিত দিন ছিল!
মন খুব খারাপ! আশার পথ পাচ্ছিলাম না খুঁজে। নিজেকে হারিয়ে ফেললাম, খুঁজেও পাচ্ছিলাম না কোথাও!
এক কথায় বলতে গেলে সেদিন হয়ে গিয়েছিলাম "ছন্নছাড়া"!

ভারাক্রান্ত মন নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে বাসার অদূরে পুকুরের পাড়ে নারিকেল গাছে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি
একটু আশার আলো কিভাবে পাই!কোথায় পাই!জীবনে স্বাভাবিকতা আসবে কি!! এগুলোই খুব ভাবছিলাম।

আর এদিকে আমার জীবন অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়াটা অসহনীয় হওয়ায়
নিজেকে বেশি অসহায় লাগছিল।

হঠাৎ করে মনের অজান্তেই আকাশ পানে দৃষ্টি চলে গেলো।
পুরো আকাশে অন্ধকারের রাজত্ব।কোথাও আলোর আভা নেই।
অজান্তে দৃষ্টি যাওয়াতে আমিও তাকিয়ে রইলাম আকাশ পানে। হঠাৎ করে আমার দু'চোখে ধরা পড়লো একটুখানি আলোর আভা!
পুরো আকাশ অন্ধকার আর একটুখানি আলো ব্যাপারটা বিস্ময়কর! বিস্ময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম সেই হালকা আলোতে। ধীরে ধীরে ছোট আলোক রস্মি বড় হতে থাকে। কিছুক্ষণ পর বুঝাতে সুজুগ দিলো
এ তো আমাদের চাঁদ মামা।

বুদ্ধিমত্তার সাথে বাম পকেট থেকে বের করলাম আমার নতুন ফোন।
টাস করে চাঁদে ফোকাস দিয়ে সুন্দর করে ক্যামেরা বন্দী করে নিলাম আজকের রহস্যময়ী চাঁদ মামাকে||

অত:পর, কিছু সময় যেতে না যেতেই তার গতিতে ছড়াচ্ছে আলোকরশ্মি। এখন যেন পুরো আকাশ জুরে তারই রাজত্ব।
অন্ধকার জানি কোথাও পালিয়ে গিয়েছে।আমি তাকে খুঁজেও পাচ্ছিনা।

কিছুক্ষণ ভাবলাম এবার একটু নিচে তাকালাম।
ফোণে ধারণ করা ছবিটি বের করলাম। গভীর দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম।
এখনকার আকাশ আর মোবাইলে থাকা চাদের মিল দিচ্ছিলাম।
বরাবরই আমি বিস্মিত হচ্ছিলাম।


চাঁদ আমাকে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিলো:
আমার উদয় হওয়াটা প্রতিদিন স্বাভাবিক থাকে না।
মাঝে মধ্যে অস্বাভাবিক হয়েও উদয় হই। এই যেমন ধরো,অন্যান্য দিন রবির অস্তমিত হওয়ার সাথে সাথেই আমার উদয় হওয়ার সময় আসে।
কিছুদিন এভাবেই চলে।
আর আজ আমি অনেক বেশি সময় নিয়ে রহস্যজনকভাবে উদিত হয়েছি। তবে স্বাভাবিক হোক বা অস্বাভাবিক যাই হোক।
আমি সময় হলে উদিত হবই আর আলো ছড়াবই।

তখন আমিও নিজেকে বুঝালাম: আমার জীবন ক্ষণিকের জন্য অস্বাভাবিক হয়েছে।তবে আমার জীবন তো অস্বাভাবিক নয়।
চাঁদের ন্যায় আমি আমার কাজে অটল থাকলে জীবন আলো তো ছড়াবেই।

–সেদিন চাঁদ থেকে নেয়া শিক্ষাটা কখনো ভুলার নয়।
ছবিটিকে ভালোবেসে ফোণের লক স্কিন আর হোম স্কিন দুই জায়গায়ই এই অন্ধাকরচ্ছন্ন আকাশে একটুকরো চাঁদের আলো ছবিটি সেভ করে রেখে দিয়েছিলাম।

সেদিন আরও বেশি সাহজ জোগিয়ে কেউ একজন নরম স্বরে বলেছিলেন;
"ক্ষণিকের অস্বাভাবিকতায় আপনি ভেঙ্গে গেলে ভেঙ্গে যেতে পারে জীবন!
সুতরাং "মিন ফাযলিকা লা তাহযান"

ছবির সময়কাল "দুই হাজার তেইল সাল জুন মাস"||

Muhammad Saiem numan মোহাম্মাদ সাঈম আন্-নো'মান

28/01/2024

L.G.B.T বিশ্লেষণ
—মোহাম্মাদ সাঈম বিন আব্দুল খালেক।
সামগ্রিকভাবে “এলজিবিটি” বলতে বোঝায় “লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার” অর্থাৎ, নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী। ১৯৮০-এর দশকের মধ্য থেকে শেষ ভাগের মধ্যে “গে কমিউনিটি”-র পরিবর্তে “এলজিবি” আদ্যক্ষরটির ব্যবহার চালু হয়। এরপর ১৯৯০-এর দশকে “এলজিবিটি” আদ্যক্ষরটি গৃহীত হয়।(উইকিপিডিয়া )

এক এক করে আলোচনা করা যাক:
প্রথমত: লেসবিয়ান।নারীদের মধ্যে একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা ও যৌন আকর্ষণকে লেসবিয়ানিজ়ম বলে।

গ্রীক সাহিত্যে নারীদের সমকামিতার খুবই কম উল্লেখ পাওয়া যায়। তাও যা পাওয়া গিয়েছে, সবই পুরুষদের দ্বারা লিখিত, প্রধানত অ্যাথেন্স থেকে। তবে সেই বর্ণনাতেও নারীদের সমকামিতার নিষিদ্ধতা উঠে এসেছে।
তবে ব্যতিক্রমী হিসেবে প্রাচীন যুগের দুই কবি স্যাফো ও আল্ক্মানের কথা উঠে আসে। নারীদের একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ নিয়ে আল্ক্মান রচনা করেন পার্থেনিয়া। অস্পষ্ট হলেও ইতিহাসবিদদের মতে তা যৌন আকর্ষণের পর্যায় পড়ে। আনুমানিক এইসময়ে রচিত কাব্যে স্যাফো নারী-পুরুষ উভয়কেই ভালোবাসার কথা বলেছেন। স্যাফোর “ওড টু অ্যাফ্রোডাইট”-এ দেবী অ্যাফ্রোডাইটের কাছে নারীদের আকৃষ্ট করার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করেছেন কবি। প্লেটোর সিম্পোসিয়ামে “স্পীচ অফ অ্যারিস্টফানেস”-এ সমকামী নারীর উল্লেখ আছে। এছাড়াও আস্ক্লেপায়ডিসের বিদ্রূপাত্মক উক্তিতে লেসবিয়ানদের উল্লেখ আছে, তবে নিজে সমকামী হয়ে সমকামীতার কথা লিখেও নারীদের প্রতি তার এরূপ শ্লেষাত্মক মন্তব্যের কারণ জানা যায়নি।
গ্রীক পুরাণে ক্যালিস্টোর কাহিনীতে আর্টেমিস ও ক্যালিস্টো একে অন্যের প্রেমিকা ছিলেন বলে মনে করা হয়। আমাজনদের কাহিনীকেও লেসবিয়ান কাহিনী রূপে ব্যাখ্যা করা হয়।

মধ্যযুগের ইউরোপে মহিলাদের সমকামিতার প্রতি কড়া দৃষ্টি জ্ঞাপন করে খ্রিষ্টান চার্চ। আয়ারল্যান্ডের সেল্টিক সন্ন্যাসীদের লেখা পেনিটেনশিয়ালস হয়ে যায় সমকামীদের প্রায়শ্চিত্তের নির্দেশাবলী। “পায়ুকামী পুরুষেরা চার বছরের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে” এমনই হয় তাদের শাস্তি। পেনিটেনশিয়েল থিওডোরিতে বলা হয়েছে, “যদি কোনও নারী অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে সে তিন বছরের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে”। মধ্যযুগের পেনিটেনশিয়াল্গুলির লেখকরা লেসবিয়ান কর্ম বিশেষ আলোচনা করতেন না বা পুং সমকামীতার চেয়ে কম অপরাধ বলে মনে করতেন।
পঞ্চম চার্লসের রাজত্বকালীন পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যে যৌন অপরাধের মধ্যে নারীদের সমকামিতাও গণ্য করা হয়।
মধ্যযুগের প্রায় বারোজন লেসবিয়ানের কথা জুডিথ বেনেট দ্বারা লিপিবদ্ধ হয়েছে। এঁদের সকলকেই আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছিল, জেলুবন্দী হতে হয়েছিল বা কারোর মৃত্যুদন্ড হয়েছিল।
মধ্যযুগের আরবি সাহিত্যে লেসবিয়ানিজ়মকে বলা হয়েছে জন্মগত। এনসাইক্লোপেডিয়া অফ প্লেসার-এ এক খ্রিষ্টান নারী ও এক আরব নারীর প্রেমকাহিনী বর্ণিত আছে। “ফিরিস্ত্”-এ এমন নারীদের বারোটি কাহিনী আছে যারা কেউই বাঁচতে পারেননি।

আদি আমেরিকান ইতিহাসে লেসবিয়ানিজ়মের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল তবে তা কার্যকরী হয়নি। ১৬৩৬ সালে জন কোল্টন সমকামিতাকে মৃত্যুযোগ্য অপরাধ বলে, তাকে “বিকৃত জঘন্যতা”-র আখ্যা দিয়ে সমকামীদের মৃত্যুদন্ড চেয়েছেন। ১৬৬৫ সালে কানেক্টিকাট কলোনি সমকামী পায়ুকামীতার বিরুদ্ধে আইন পাশ করলেও তা কার্যকরী হয়নি। ১৭৭৯-এ থমাস জেফারসন এই অপরাধের শাস্তি অনুসারে পুরুষদের জননক্ষমতা লঙ্ঘন করা ও মহিলাদের নাকে প্রায় এক ইঞ্চি ব্যাসের ফুটো করে দেওয়ার কথা বলেছেন তবে আবারও তা কার্যকরী হয়নি। তবে ১৬৪৯-এ প্লাইমাউথ কলোনিতে সারা হোয়াইট নর্ম্যান ও মেরি ভিন্সেন্ত হ্যামনের বিরুদ্ধে নালিশ করা হয় “বিছানায় একে অন্যের সাথে বিরূপ আচরণের” জন্য। হ্যামনের বয়স ষোলোর নিচে ছিল বলে হয়তো তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয় তবে নর্ম্যানকে দোষী সাব্যস্ত করে জনসমক্ষে তার আর হ্যামনের অসতী আচরণ স্বীকার করতে বলা হয় এবং ভবিষ্যতে এই অপরাধের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়।

আধুনিক যুগের গোড়ার দিকে ইংল্যান্ডে নারীদের সমকামী আচরণ লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। এর বিরুদ্ধে নানা ফতোয়া জারি করা হয়। ১৭০৯ সালে প্রকাশিত “দ্য নিউ অ্যাটলান্টিস”-এ ডেলারিভিয়ারে ম্যানলে লেসবিয়ানদের তীব্র শ্লেষে বিদ্ধ করেন।

নিউ ইংল্যান্ডে “বস্টন বিবাহ” প্রচলিত হয় মহিলাদের মধ্যে যারা পুরুষদের কোনো সাহায্য ছাড়াই একসাথে থাকতে শুরু করেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর পরের দিকে ও বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ফ্রান্সের সমাজ, সাহিত্য ও কলায় নারীদের সমকামীতার প্রবণতা দেখা যায়। লা হানিটন ও লা রাট মর্ট্ রেস্তোরাঁগুলি লেসবিয়ানরা পরিচালনা করে। নাটালি বার্নের প্রাইভেট সালোঁ বহু উভকামী ও সমকামী লেখিকাদের আকৃষ্ট করে। এঁদের মধ্যে ছিলেন রোমেন ব্রুক্স, রেনী ভিভিয়েন, কোলেট, জুনা বার্নেস, জের্ট্রুড স্টাইন ও রেডক্লিফ হল্। “আইডিল স্যাফিক”-এ বার্নের প্রেমিকা লিয়ান দি পোগী তাদের প্রেমকাহিনী লিপিবদ্ধ করেন। কোলেট ও তার প্রেমিকা মাটিল্ডা দি মর্নি এক লেসবিয়ান দৃশ্য মঞ্চস্থ করায় তাদের চূড়ান্ত অবমাননার শিকার হতে হয়।

১৯৬৯-এর ২৮শে জুন নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানের গ্রিনউইচ ভিলেজ এলাকার স্টোনওয়াল ইনে পুলিশের রেইড করে। পুরুষ-প্রাধান্য ও বাধ্যতামূলক ভিন্নকামিতার প্রতিবাদে রাজনৈতিক লেসবিয়ানিজ়ম শুরু হয়। শীলা জেফরিস, এক লেসবিয়ান, “শত্রুকে ভালোবাসো?” ধারণাটি লিপিবদ্ধ করতে সাহায্য করেন। লীড্স রেভোলিউশনারি ফেমিনিস্ট গ্রুপের মতে রাজনৈতিক লেসবিয়ান হল এমন এক নারী যিনি পুরুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন না। লেসবিয়ান নারী, যাঁরা নিজেদের রাজনৈতিক লেসবিয়ান হিসেবে পরিচয় দেন, তাদের কয়েকজন হলেন টি-গ্রেস আটকিন্সন, জুলি বিন্দেল, শার্লট বাঞ্চ, ইভন রেইনার ও শীলা জেফরিস।

১৯৭৪-এ প্রথম লেসবিয়ান এমপি হিসেবে গ্রেট ব্রিটেনের লেবার পার্টির মরিন কলকুহোন আত্মপ্রকাশ করেন।

লেসবিয়ান ১৯৭০ থেকে ১৯৮০-র মধ্যে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।
১৯৯২-তে ভীষণ জনপ্রিয়তা লাভ করে লেসবিয়ান অ্যাভেঞ্জারস। নিউ ইয়র্ক সিটিতে শুরু হওয়া লেসবিয়ানদের সমস্যা নিয়ে আরম্ভ এই অভিযান সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এইড্স ও গর্ভপাত নিয়ে আন্দোলন করা নারীদের সমকামিতার বিষয়গুলি অমীমাংসিত থেকে যায়। পুরুষতান্ত্রিক এল্জিবিটি সমাজে অদৃশ্য হয়ে থাকা লেসবিয়ানদের নৈরাশ্যের ফলেই এটি এত জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৯৩ সালে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এলজিবিটি মার্চের রিপোর্টার ইলোইস সালোল্স এরূপ মন্তব্য পেশ করেছেন।

Address

Mohangonj
Netrokona

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Muhammad Saiem numan মোহাম্মাদ সাঈম আন্-নো'মান posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share