21/09/2023
প্রতিটি মানুষের মধ্যে দুটি সত্তা আছে ( আল্লাহর রঙে রঙিন ব্যক্তিগণ ব্যতিত )। একটি প্রেমিক সত্তা, আরেকটি পশু সত্তা।
ফুলের রস যখন মৌমাছি গ্রহণ করে, তখন তা মধু হয়ে যায়। একই রস যখন ভ্রমরা গ্রহণ করে, তখন তা বিষ হয়ে যায়।
একটি মানুষ যখন প্রেমময় পরিবেশ পায়, তখন তার মধ্যে সুপ্ত হয়ে থাকা প্রেমিক সত্তাটি ধীরে ধীরে বিকশিত হতে থাকে। লক্ষ্য করবেন, একজন অতি বদমেজাজী মানুষকেও যদি আপনি সালাম দেন, সে কিন্তু কিছুটা হলেও কোমল হয়ে যায়। কেননা, সালাম মানে শান্তি। আপনি তার জন্য শান্তি কামনা করেছেন, ফলে তার ভেতরে থাকা প্রেমিক সত্তাটি যেন অক্সিজেন পায়, সে মাথা চাড়া দিয়ে জেগে উঠতে চায়।
এ জন্য দেখবেন, ভদ্র, সভ্য পরিবারের সন্তানগণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভদ্র ও সভ্য হয়ে থাকেন। যদিও পরবর্তীকালে মন্দ লোকের সঙ্গ নিয়ে সভ্য পরিবারের সভ্য সন্তানটি অসভ্যও হতে পারে।
আবার কোন ব্যক্তি যদি পাপের পরিবেশে থাকে, তার মধ্যে লুকিয়ে থাকা পশু সত্তাটি ধীরে ধীরে প্রকট হতে থাকে।
এ জন্যই সুফিগণ পবিত্র পরিবেশের প্রতি জোর দিয়েছেন। তাপ যেভাবে ডিমকে নিষিক্ত হতে এবং বাচ্চা ফোটাতে সাহায্য করে, তেমনি আল্লাহর রহমত আছে এমন পবিত্র পরিবেশ, মানুষের হৃদয়ে ঘুমন্ত প্রেমিক সত্তাকে জাগাতে সাহায্য করে। তাই মাওলানা রুমী রহঃ বলেন, একটি মুহুর্ত আল্লাহর ওলীগণের স্পর্শে থাকা, হাজার বছর খাঁটি নফল ইবাদতের চেয়েও উত্তম।
লক্ষ্য করবেন, নীরব সময়ে ওলীগণের মাজার শরীফে অল্প একটূ সময় বসে থাকলেই যেন দেহমন শীতল হয়ে আসে। চোখে ঘুমঘুম ভাব চলে আসে। এই যে দেহমন শীতল হয়ে আসে, এটাই রহমত বা শান্তি।
এভাবে আপনার জীবনের অধিকাংশ সময় যদি পবিত্র মানুষের সংস্পর্শে ( শারীরিক বা মানসিক যে কোন ভাবে) থাকেন, তখন পবিত্র মানুষের পবিত্র শক্তি বা পজিটিভ এনার্জি বা ফায়েজ আপনার মধ্যে আসতে থাকবে। আর আপনার ভেতরে থাকা প্রেমিক সত্তাটি পরিপূর্ণ ভাবে জেগে উঠবে।
পবিত্র মানুষের সংস্পর্শে বহুভাবে থাকা যায়। যেমন তাদের দরবারে উপস্থিত হওয়া, কিংবা আপনার ঘরে বসেই তাদের কথা স্মরণ করা, অথবা তাদের সম্পর্কে লেখা পড়তে পারেন,। অর্থাৎ যা করলে দেহমনে পবিত্র ভাব এবং শীতলতা আসে, তাই করুন। এতে আপনি নিজে ধীরে ধীরে পবিত্র হয়ে যাবেন।
কপি পোষ্ট........