অক্ষর

অক্ষর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নোয়াখালী

জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা সবাইকে!
16/08/2025

জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা সবাইকে!

চুপচাপ হেঁটে যাওয়া ছেলেটার চোখে ছিল এক নিঃশব্দ সমুদ্র,যার ঢেউগুলো শব্দহীন প্রতিবাদে ভেঙে পড়ত নিজস্ব  উপকূলে।কেউ তার চোখে...
14/08/2025

চুপচাপ হেঁটে যাওয়া ছেলেটার চোখে ছিল এক নিঃশব্দ সমুদ্র,
যার ঢেউগুলো শব্দহীন প্রতিবাদে ভেঙে পড়ত নিজস্ব উপকূলে।
কেউ তার চোখে জল দেখেনি, শুধু শুকিয়ে যাওয়া চাহনিকে ব্যাখ্যা করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিল।
তার ডায়েরির শেষ পাতায়, অস্পষ্ট হস্তাক্ষরে লেখা ছিল—
"স্বপ্নকে হত্যা করো না শুধুমাত্র বাস্তবতার কাঁটাতারে কেটে যাওয়ার অজুহাতে।
তারা একদিন বেঁচে উঠবে, ঠিক তখনই যখন সবকিছু মৃতপ্রায়।"
এই ক্যাম্পাস কেবল দেয়াল ও সময়সূচির গোলকধাঁধা নয়
এ যেন একটি অনুচ্চারিত মহাকাব্য,
যেখানে প্রতিটি করিডোরে জমা থাকে অপূর্ণ প্রশ্ন,
প্রতিটি নীরবতা লুকিয়ে রাখে
অসংখ্য মুখর সম্ভাবনার করুণ গুমোট।
আমরা প্রতিদিন লিখে যাই
অদৃশ্য কালি দিয়ে, না বলা বাক্যের অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি।
এটা কোনো আন্দোলনের পোস্টার নয়,
কোনো কবিতার বইও নয়,
এ এক নিঃশব্দ বিপ্লবের গর্ভকাল,
যেখানে প্রতিটি স্বপ্ন, প্রতিটি ব্যর্থতা
ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে ইতিহাসের গোপন উপসংহার।

কবিতা : স্বপ্ন হত্যার বিরুদ্ধে
আশিক এলাহী (১৫-তম ব্যাচ)

নীল রঙের ব্যাগটা খুঁজতে খুঁজতে কখন যে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেল খেয়ালি করিনি। মা মাছের ডিমের বড়া বানাচ্ছেন, বাবা আর...
14/08/2025

নীল রঙের ব্যাগটা খুঁজতে খুঁজতে কখন যে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেল খেয়ালি করিনি। মা মাছের ডিমের বড়া বানাচ্ছেন, বাবা আর ভাইয়া তোশক বালিশ সব বস্তায় ঢুকাচ্ছে, বাংলা বইয়ে পড়েছিলাম কিন্তু এই প্রথম অনুভব করলাম সাজ-সাজ-রব কথাটা।

আর আমি? আমি বসে আছি আমার টেবিলটায় অন্যমনস্ক হয়ে। আচমকা ফোঁটা দুই জল টেবিলে পড়তেই হুশ হলো , কেন কাঁদছি আমি? কেন মনটা খারাপ আমার? এটাই তো চেয়েছিলাম এতগুলো দিন ধরে। কাল থেকে এক নতুন জায়গা, এক নতুন পরিচয়, এক নতুন জীবনযাত্রা। তাহলে ভিতরটা এরকম শুকিয়ে যাচ্ছে কেন! আপন মানুষগুলো থেকে দূরে থাকবো তাই নাকি নতুন করে কেউ আর আপন হবে কিনা তাই!

সকালে দুই ফুটের বেশি সামনে ঠিক করে দেখা যাচ্ছে না, যেন কুয়াশা আমায় জানান দিচ্ছে আমার আসন্ন ভবিষ্যৎ। মায়ের চোখেমুখে কালবৈশাখীর মেঘ এসে জমে গিয়েছে। কিন্তু কেন মা, পরশুদিন ও তো তুমি কত খুশি হয়ে বেলা আন্টিকে বলেছিলে, আমার মেয়ে টেক্সটাইলে চান্স পেয়েছে, নোয়াখালী। তাহলে এখন এমন আঁধার কেন মা তোমার মুখ!

জানি, তোমার চাবি ছাড়া কথা বলা পুতুলটি চলে যাচ্ছে, কাজ সেরে বাড়ি আসার তাড়াটাও থাকবে না তোমার আর, কেউ তো আর অপেক্ষায় থাকবে না। তরকারির লবণ এখন তোমাকেই চেখে দেখতে হবে‌। এখুনি যেন বাঁধ ভেঙে আছড়ে পড়বে মায়ের সকল আবেগ বোশেখের ঝড়ের মতো। সেই ঝড় থামাই, আমার সাধ্য নেই। তাই আমি আশ্বাসের হাসি ঝুলিয়ে লিফটে উঠে পড়ি। ইমোশনাল রোলার কোস্টার পার করে নোয়াখালী এসে মেসে পৌঁছনোর পর বাবা আমায় সব বন্দোবস্ত করে দিয়ে চলে গেলেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। হঠাৎ করে মনে হলো আমার চারপাশটা অনেক খালি হয়ে গেল। এটা স্বাধীনতা নাকি নিঃসঙ্গতা? এভাবে যখন একেকটা দিন একেকটা বোঝার মতো আমি নিয়ে কাটাতে লাগলাম, ধীরে ধীরে মনে হচ্ছিল আর কতদিন? আর তো পারছি না, ফিরে যাই, নাহলে নতুনভাবে শুরু করি সব, এভাবে আর থাকতে পারবোনা হয়তো! তখন ভুলভাল সিদ্ধান্ত নেয়াই আমার কাছে সঠিক মনে হচ্ছিল। যখন সবকিছু খারাপ হতে শুরু করে আর নিজের উপর কোনো আস্থা রাখা যায় না, তখন কেউ একজন উপরওয়ালার দূতের মতো আসে আর সবকিছু আস্তে আস্তে ঠিক হতে শুরু করে। আর এই কথার মর্ম আমি ঐ অবস্থায় বুঝতে পেরেছিলাম। আরো বুঝতে পেরেছি যে সামনে আরো অনেক কঠিন পরিস্থিতি পার করতে হবে একা, যে পরীক্ষা গুলো একান্ত আমার। আর এই পরীক্ষাতে পাশ করার একমাত্র suggestion হলো জীবনের জন্য কোনো ভুল সিদ্ধান্ত না নেয়া।

আমার আমি
অরুণিমা দাশ পুতুল (১৫ তম ব্যাচ)

১।আজ অফিসের সবাই খুব খুশি। তাদের কোম্পানি আজ বৈদেশিক মুদ্রা আর্জনের দিক দিয়ে প্রথম হয়েছে। তাই তাদের জি.এম. সাদ সাহেব সহ ...
13/08/2025

১।
আজ অফিসের সবাই খুব খুশি। তাদের কোম্পানি আজ বৈদেশিক মুদ্রা আর্জনের দিক দিয়ে প্রথম হয়েছে। তাই তাদের জি.এম. সাদ সাহেব সহ আরও আফিসের ৫ জন কর্মকর্তাকে ঢাকা অফিসে সংবর্ধনা দিবে। রফিক, সহিদ, ইমন, সারা, তানিয়াকে নিজের রুমে আসতে বললেন।

"তোমাদের অভিনন্দন তোমাদের কাজের জন্য আর আজ অফিস শেষে রাত ১১টাই আমরা ঢাকায় রওনা দিব।"

সারা : এই ব্যক্তিটি কি অফিসিয়াল কথা ছাড়া অন্য কোনও কথা বলতে পারে না? ব্যক্তিটার মুখে কখনো হাসি আমি দেখলাম না।
ইমন : এত বছর অবিবাহিত তো তাই।

সবাই হাসিতে ফেটে পড়ল।

২।
- আমরা যে টাকা পাই একজন দিনমজুর ও এর থেকে বেশি পায়। আর আমরা জেলে গেলে বস কি আমাদের জেল থেকে মুক্ত করবে। সফিক জেলে গেলো যে বস কিছু করল? আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি আজ থেকে আমরা আর বসের জন্য কাজ করব না। আজ রাতে মিশনে নামব, তোরা তৈরী থাকবি।
- জালাল ব্যপারটা কি আরেকবার ভাবা যায়না?
- না, নোমান ভাই। আজই মিশন এ নামব।

৩।
সারা : দেখলি স্যার কতো খারাপ মানুষ! আমাদের সাথে এক গাডিতে গেলে কি হয়! সম্মান কি একটু কমে যাবে! নিজের দামি গাডি আছে এটা দেখাতে হবে!
তানিয়া : আচ্ছা সারা তুই কেন সারাদিন স্যার পিছনে লেগে থাকিস?
ইমন : বুঝলি তানিয়া, এটা ভালোবাসা।

সারা মুচকি হাসি দিল।

তানিয়া : হুম বুঝি বুঝি।
সারা : ভালো হইছে বুঝলে।

রফিক চুপচাপ বসে আছে। কারণ সে মনে মনে সারাকে পছন্দ করে। আর এটা সারাসহ সবাই বুঝে। কিন্তু রফিক সরাসরি কিছু বলার কোনোদিন সহস করেনি।

৪।
রাত ১টা। সাদ সাহেবর গাড়ি উড়ন্ত গতিতে চলছে। ড্রাইভার জামসেদের এটাই সব থেকে ভালো লাগে যে সে যত স্পিডেই গাড়ি চালাক, তার স্যার কিছু বলেনা।

কিন্তু আজ বলল, "জামসেদ গাড়ির স্পিড কমাও, অন্য গাড়িটিকে আগে চলে যেতে সিগনাল দাও ।তোমাকে একটা ঠিকানা দিচ্ছি, সেখানে নিয়ে চল আমাকে।"

৫।
রাত ২টা।
- জামসেদ তুমি এখানে গাডিতে থাকো।

সাদ সাহেব হাসপাতালের পাশে একটি ছোট গলিতে ঢুকে একটি বাড়ির সামনে দাঁড়ালেন। বাড়িটি বিক্রি হবে নোটিশ দেওয়া। বাড়ির সব সদস্য আমেরিকা থাকায় বাড়িটি বিক্রি করা হবে। তারমানে রেহালা এখন আমেরিকা। দীর্ঘ এতবছর পর সে যদি আমেরিকা গিয়ে রেহালার সামনে দাঁড়ায় তাহলে সে কি তাকে চিনবে? সে ছোটবেলায় এই বাডির সামনে ক দাঁড়িয়ে থাকত রেহালাকে একটু দেখার জন্য। এইসব ভাবতে ভাবতে সাদ সাহেব গাড়িতে উঠলেন।

- জামসেদ তুমি এবার তোমার মত করে গাড়ি চালাতে পারো।

জামসেদ গাড়ি আবার ঝড়ের গতি তুললো। সামনের গাড়িকে ধরতে হবে। সাদ সাহেব ভাবলেন তিনি জীবনে অনেক টাকা উপার্জন করেছেন। এবার তিনি চাকরিটা ছেড়ে দিবেন। তার জায়গায় রফিক ছেলেটাকে দিবেন। তাহলে ছেলেটা সাহস করে সারাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে। আরেকবার তিনি গিয়ে রেহালার সামনে গিয়ে দাঁড়াবেন আর বলবেন, "আমি এইবার ভালোমানুষ হয়ে এসেছি। আরেকটাবার আমাকে আপন করে নিবে?"

৬।
- স্যার সামনে গাডি যাচ্ছে না, কেনো সমস্যা হয়েছে মনে হয়।

সারার কল আসল সাদ সহেবর ফোনে কিন্তু ফোন ধরার সাথে সাথে কল কেটে গেল। কোনো বিপদ হয়নি তো!

- জামসেদ গাড়ি u-turn দিয়ে wrong side দিয়ে নিয়ে যাও।

৭।
সারা কুমিল্লায় কোনো রেস্টুরেন্টে গাড়ি দাঁড় করানোর জন্য স্যারকে কল দিয়েছিল। তখনি একটি বুলেট সারাদের গাড়ি টায়ারে লাগে। ড্রাইভারের দক্ষতায় গাড়ি না থামিয়েও চালাতে থাকলো। পরপর আরও গুলি করা শুরু হল।

৫ মিনিট পর।
- সবাই ঠিক আছেন? ড্রাইবার জিজ্ঞেস করল।
- আমরা ঠিক আছি। রফিক জবাব দিল।
ড্রাইবার গাডি থামাল, গাডির কী কী ক্ষতি হল দেখার জন্য। এমন সময় জালাল ও তার দল গাড়ি ঘিরে ধরল। ইট দিয়ে কাচ ভেঙে গাড়ির লক খুলে সবাইকে নামাল। জালাল বলল, তোরা কি ভেবেছিস পালাই বেঁচে যাবি মা*র পোলা? যার কাছে যা আছে বের কর।
সাদ সাহেব সেখানে এসে পৌঁছাতেই তার গাড়ির উপরও গুলি বর্ষণ শুরু হল। কিন্তু তার গাড়ি বুলেট প্রুফ হওয়ায় কিছুই হলোনা।

- ম্যানেজারদের গাড়ি ডাকাত আক্রমণ করছে। আমরা কি গাড়ি থামাব নাকি চালিয়ে যাব! জামশেদ জিজ্ঞেস করল।

জালাল: সব নিলি মা*র পোলাদের থেকে?

নোমান: হুম। জালাল তুই অন্য গাড়ি গুলো দেখ। আমি মেয়ে গুলো থেকে একটু মজা নিয়ে আসি।

জালাল: মা*র পুত তোর মেয়ের নেশা গেলো না।

জালাল রামদা নিয়ে সাদ সাহেবের গাড়ির দিকে এগিয়ে আসল। নোমান সারার গায়ে হাত দিবে এমন সময় সাদ সাহেব তার লাইসেন্স করা বন্দুক নিয়ে নোমান এর মাথায় তাক করে গুলি করে। চাচাতো ভাই নোমানকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখে হতভম্ব হয়ে যায় জালাল। যেখানে ছিল সেখান থেকে সাদ সাহেবকে রামদাটা মেরে দেয়। যেটি একদম গিয়ে তার পেটে লাগে। সাদ সাহেব দমে না গিয়ে জালালকে পরপর দুটি গুলি করে। জালাল ও সাদ সাহেব দুইজন ই মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। বাকি ডাকাতরা জালাল ও নোমানকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ল।

সাদ সাহেব দেখলেন সারা ও অন্যরা তার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। সারা মেয়েটা কে একদম আজ রাহেলার মত লাগছে। তারা যত এগিয়ে আসছে সাদ সাহেবের চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। এখন পূর্ণিমার আলো ছাড়া কিছুই দেখছেন না। মনে হচ্ছে পূর্ণিমার আলোয় রাহেলা তাকে ডাকছে, “এই তুমি আমাকে দেখার জন্য পাগল হয়ে যেতে না, আজ দেখো তোমার পছন্দের নীল শাড়ি পরে এসেছি। এসো আজ ৯ জুলাই আমার জন্মদিন, এমন ঝলসানো চাঁদের আলোয় দু'জন কিছুক্ষণ হাত ধরে হাঁটি।”

সাদ সাহেব তার শরীরের সকল শক্তি দিয়ে বলার চেষ্টা করছে শুভ জন্মদিন রাহেলা, কিন্তু পারছে না।

গল্প: অপেক্ষা
আরাফাত ইসলাম সোয়েব।

ভুবনমোহন মুখার্জীর ছোট পুত্র নীলকণ্ঠ আজ দীর্ঘ পাঁচ বছর শেষে বিলেত থেকে ডাক্তারি পাস করিয়া বাড়ি ফিরিলেন।ভুবনের হাসি আর ধ...
13/08/2025

ভুবনমোহন মুখার্জীর ছোট পুত্র নীলকণ্ঠ আজ দীর্ঘ পাঁচ বছর শেষে বিলেত থেকে ডাক্তারি পাস করিয়া বাড়ি ফিরিলেন।ভুবনের হাসি আর ধরিতেছে না। পুত্র বিলেত ফিরিয়া আসিয়াছে। এবার বুঝি ভাগ্যের চাকা ঘুরিবে। যেটুকু জমি থাকিবার কথা সেটুকু হরিদাস চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বন্দক দেওয়া রহিয়াছে। দিবে না কেন! পুত্র বিলেত থাকার সময় তাহার জন্য অনেক টাকা খরচ হইয়াছিল। আর যেটুকু সম্বল থাকার কথা সেটুকু তাহার নিজের এই ভিটে। বৃদ্ধ মুখার্জী ভাবিয়াছিলেন ছেলে অনেক টাকা রোজগার করিবে, সকল অভাব ঘুচিবে। কিন্তু তা আর হইলো কোথায়?

নীলকন্ঠ তাহার পিতাকে সরাসরি বলিলেন, “পিতা,আমি ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখিয়াছি গ্রামের মানুষকে সাহায্য করিবো।তাই তিন রাস্তার মোড়ে একটা দোকান দেব। সেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা করিব।”

ছোট মুখার্জী তার কথা মতোন কাজ করিলেন। চারিদিকে তাহার নাম ছড়িয়া পড়িল। দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসিলেন শত শত মানুষ। আর ওদিকে চট্টোপাধ্যায় মহাশয় তলব দিয়া বারবার করিয়া লোক পাঠাইলেন।

একদিন বৃদ্ধ মুখার্জী গিয়াছিলেন চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের বাড়ি।

চট্টোপাধ্যায় বলিলেন, "আমি আপনার জন্য কি করিতে পারি!”

“যদি আমার জমি ফেরত দিতেন, বৃদ্ধ বয়সে জমি চাষ করিয়া কিছু অর্থ উপার্জন করিতে পারিতাম। এজন্য আপনি যাহা চহিবেন আমি দিতে রাজি আছি।"

চট্টোপাধ্যায় বলিলেন, “যদি আমার মেয়ে মাধবীলতার সঙ্গে আপনার ছোট পুত্রের বিবাহ দিতে রাজি হতেন, তাহলে হয়তো চিন্তা করিয়া দেখিতাম।”

“এটা ছাড়া কি আর কোনো উপায় নেই! গিন্নির সাথে কথা বলিয়া দেখি কি মতামত দেন।”

“গিন্নি, জানো আজ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছিলাম। উনি তার একমাত্র মেয়ে মাধবীলতার সাথে নীলকন্ঠের বিবাহ দিতে চাচ্ছেন।”

"কি বলিতেছো? ও মেয়ে যে মুখপুরি! বিবাহ হতে না হতেই দুইদিনের ব্যবধানে তার স্বামীর মরা মুখ দেখিয়াছে। এমন মেয়েকে আমি পুত্রবধূ করিয়া আনিব না।”

“গিন্নি, না বলিয়ো না। এছাড়া যে আর আমাদের অন্য কোনো উপায় নেই।”

সানাই-ঢোলের শব্দে মুখরিত হলো গ্রাম। চারিদিকে আলোকিত, এ যেন এক এলাহি কাণ্ড। গ্রামের কিছু লোক চুপিসারে বলিতেছে, "এমন মুখপোড়া মেয়েকে ওই মুখার্জী নিজের পুত্রবধূ করিবেন! করিতে পারেন, ছেলে বিলেত থেকে এসেছে গ্রামের সংস্কারের আদব কায়দা কিভাবে জানিবে।"

কেউ সামনে থেকে বলিবার সাহস পেলেন না। যথা নিয়মে প্রজাপতি ব্রহ্মাকে সাক্ষী রেখে বিবাহ সম্পন্ন হইল।

মুখার্জী স্ত্রী বললো, "আজ থেকে মাধবীলতা চিলেকোঠার ঘরে থাকবে।”

নীলকণ্ঠ বলিলো, " মা, ওখানে কোন মানুষের পক্ষে থাকা সম্ভব নয়।"

মায়ের মুখের ওপর আর বলিবার সাহস হইল না যে, "ও আমার বিবাহিত স্ত্রী। ও আমার সঙ্গেই থাকিবে।"

মুখার্জী গিন্নির কথামতো মাধবীলতার ঠাঁই হইলো ঐ ছোট চিলেকোঠার ঘরে।

এভাবে দুমাস কাটিয়া গেল। এলো মাঘ মাস। এর ভিতর একটা অঘটন হলো। মাধবীলতার শরীরে ভীষন জ্বর।দুদিন ধরিয়া খাবার মুখে তুলিতে পারিল না। কিছুই জানা হলো না ডাক্তার মুখার্জীর।জানিবেই বা কেমনে বৃদ্ধা স্ত্রী মুখার্জী বলিতে নিষেধ করিয়াছিলেন। ঠিক তিনদিনের ব্যবধানে অবস্থা যখন খুব খারাপ তখন ডাক পরিলো ডাক্তার মুখার্জীর।

“মা, তুমি আগে কেন বলোনি! ওর অবস্থা এখন আমি ভালো দেখিতেছি না। ওকে এখনি কলকাতার বড় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হইবে।না হয়! না হয় ও আর বাঁচবে না।”

ছোট মুখার্জী গাড়ি ডাকিতে গিয়াছিল।যখন সে গাড়ি নিয়া এলো। তখন দেখিলেন মাধবীলতা আর তার ডাকে সাড়া দেয় না।বিবাহের পরে এই প্রথম মাধবীলতাকে এতো নিকট থেকে দেখিলেন।কি অপরুপা নারী,শরীরের বর্ণ কাঁচা হলুদের ন্যায়, মাথায় এক ঝাঁক কৃষ্ণ বর্ণের কেশ ,চোখ দেখিয়া মনে হইল চোখে কে যেন কাজল পড়িয়া দিয়াছিল। কল্পনাতেই হারিয়ে গিয়াছে ডাক্তার মুখার্জী। ডাক্তার মুখার্জীর চোখের পলক আর পড়িল না। এক দৃষ্টিতে তাকিয়া রহিলেন মাধবীলতা দিকে।চারিদিকে নীরব পরিবেশ। নীলকন্ঠের চোখের বাধঁ ভেঙ্গে অশ্রু গড়িয়া পড়িতে লাগিল।

তানিয়া ও রায়হান বসে আছে মোমবাতি দিয়ে সাজানো টেবিলটার দুপাশের দুটো চেয়ারে  মুখোমুখি হয়ে।  প্রতি বছরে ওদের বিবাহবার্ষিকীতে...
02/08/2025

তানিয়া ও রায়হান বসে আছে মোমবাতি দিয়ে সাজানো টেবিলটার দুপাশের দুটো চেয়ারে মুখোমুখি হয়ে। প্রতি বছরে ওদের বিবাহবার্ষিকীতে ওরা ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের আয়োজন করে নিজেদের ৮ তলা বাসার সামনের বারান্দায়। উদ্দাম বাতাসের স্রোতে গ্লাসের ভেতরের মোমবাতি গুলো লাফিয়ে উঠছে কিছুক্ষণ পরপর।

তানিয়া চেয়ারে হেলান দিয়ে নির্বাক হয়ে বসে আছে। গায়ে তার শোভা পাচ্ছে রায়হানের কিছুক্ষণ আগে গিফট করা কালো শাড়িটা। মুখে হালকা মেকআপ আর ঠোঁটে রায়হানের প্রিয় লিপস্টিক। আজকের রাতটা সে সেজেছে রায়হানকে খুশি করতে। তার পছন্দের ব্লুবেরী চিজকেকটাও সে নিজ হাতে বানিয়েছে। টেবিলভর্তি খাবারগুলোর অধিকাংশই তাদের বাসায় রান্নাবান্নায় নিয়োজিত মহিলাই করেছে। কিছু মজাদার খাবারের আইটেম আর সাথে বেশ সুন্দর একটা কেক এসেছে তাদের অনেকগুলো পছন্দের রেস্তোরার একটি থেকে। সবগুলো খাবার টেবিলের উপর শোভা পাচ্ছে। মোমবাতির মৃদু উজ্জ্বল আলোয় খাবারগুলো দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে।

রায়হান চেয়ার ছেড়ে উঠে তানিয়ার সামনে রাখা গ্লাসটায় রেড ওয়াইন ঢেলে দিলো। সাথে তার বাম হাতের দিকে ফর্ক এবং ডান হাতের দিলে টেবিলস্পুন টা এগিয়ে দিয়ে সামনে ঝুঁকে তানিয়ার কপালে একটা মৃদু চুমু খেয়ে বললো,
" ডার্লিং, খাওয়া শুরু করা যাক। "

নিজের চেয়ারে বসে পড়লো রায়হান। নিজের গ্লাসটায় ওয়াইন ঢেলে হাতে চামচ তুলে প্লেটে রাখা স্টেকটা কেটে নিতে শুরু করলো। স্টেকটা মুখে দিতেই চোখ বুঁজে এলো তার। তার প্রিয় রেস্টুরেন্ট থেকে আনা হয়েছে। সেই পরিচিত প্রিয় মশলাগুলোর ফ্লেভারটা চিনতে তার জিহ্বা একটুও ভুল করেনি। মিডিয়াম রেয়ার। একদম যেমনটা তাদের দুজনের পছন্দ।

বিশাল মাংসখন্ডটা চিবুতে চিবুতে বারান্দা থেকে অদূরে তাকালো রায়হান। বললো,

"তানিয়া, দেখতে দেখতে আমাদের বিয়ের ৪ বছর শেষ হয়ে গেলো। তোমার কি মনে হয়? আমাদের ঘরে কি একটা সুন্দর ফুটফুটে মেয়ে বাবুর প্রয়োজন নয় ? যাকে দেখে আমার অফিস করে আসার পরের সব ক্লান্তি, অবসাদ, মেজাজ সব মুহুর্তেই ভালো হয়ে যাবে। তোমার সারাদিনও ওকে নিয়ে কেটে যাবে। আর কতোদিন চাকরি করবে তুমি? এই এক বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে কত ঝগড়া হলো। এখন তো আমাদের পরিবার নিয়ে সিরিয়াস হওয়া উচিত। তোমার কি তাই মনে হয় না? "

তানিয়া চুপচাপ বসে আছে৷ কোন উত্তর নেই। চোখ তার অসীমে বিস্তৃত। হাত দুটো দিয়ে চামচদুটো টেবিলের সাথে শক্ত করে চেপে রেখেছে সে। রায়হান আবার বলতে লাগলো,

"একটা মেয়ে হলে তাকে নিয়ে আমি সারা পৃথিবী ঘুরবো। আর আমার সাথে সঙ্গী হবে তুমি। প্রচন্ড গরমের মরুভূমি, প্রচন্ড বর্ষা, বিশাল পাহাড়, তুষারপাত, সমুদ্র, পৃথিবীর সবকোনা আমরা তিনজন মিলে ঘুরবো। কি দারুন হবে না ব্যাপারটা? "

বলতে বলতে রায়হান তানিয়ার দিকে ফিরলো। সে দেখলো তানিয়ার কপাল থেকে একটা সরু লাইন তৈরী হচ্ছে। সে লাইন দিয়ে কপাল, নাক, ঠোঁট, থুতনি বেয়ে ছোট ছোট রক্তফোঁটা পড়তে শুরু করলো প্লেটে রাখা বিফ স্টেকটার উপর। যেনো স্টেকের উপর রেড সস দিয়ে গার্নিশ করা হচ্ছে।

তড়িঘড়ি করে হাতের পাশের টিস্যুবক্স থেকে একসাথে ৮-১০ টা টিস্যু টেনে নিলো রায়হান। এক লাফে তানিয়ার পাশে যেতে গিয়ে ধাক্কা লেগে মাটিতে পরে তার ওয়াইন এর গ্লাসটা ভেঙে গেলো।

রায়হান উদভ্রান্তের মতো তানিয়ার কপাল বেয়ে পড়া রক্তফোটাগুলো শুষে নিতে শুরু করলো টিস্যু দিয়ে। তার চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরছে। তানিয়াকে জড়িয়ে রেখেছে সে তার বুকে শক্ত করে। তানিয়ার মাথার মধ্যভাগের বিশাল থেঁতলানো গর্তটা থেকে বের হওয়া রক্তে লাল হয়ে গেলো রায়হানের পরিপাটি সাদা শার্টটা।

ঘষে ঘষে তানিয়ার মুখের সব রক্ত মুছে দিলো রায়হান। রক্তের সাথে তার মুখের মেকআপ নষ্ট হলো। রায়হান তানিয়াকে কোলে করে নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে নিয়ে মেকআপ নষ্ট হয়ে যাওয়া যায়গাগুলোতে মেক আপ লাগিয়ে দিতে লাগলো। তারপর তানিয়াকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে এসে নিজের খাবার খাওয়া শেষ করলো। খাওয়া শেষে কয়েক ফুঁ দিয়ে সবগুলো মোমবাতি নিভিয়ে দিলো সে। রোমান্টিক আবহটা মুহূর্তেই রূপ নিলো ভৌতিকতার অন্ধকারে।

আলো নিভিয়ে রাখা অন্ধকার রুমে ঢুকে টেবিলল্যাম্পটা জ্বালালো রায়হান । মৃদু আলোয় ভরে উঠলো ঘরটা। তানিয়ার দিকে তাকালো সে। চোখবুজে আছে সে। সাদা, ফ্যাকাশে চেহারাটা দেখে এখনো প্রেমে পড়তে রাজি রায়হান। তার শরীর থেকে এখনো ভেসে আসছে রায়হানের কিনে দেয়া পারফিউমের গন্ধ। তানিয়াকে দেখে একটা মলিন হাসি হাসলো রায়হান। কালো শাড়িটাতে তাকে দেখে আকাশ থেকে সদ্য নামা কোন পরী বলেই মনে হচ্ছে।

হঠাৎ হাসিমুখটা মিলিয়ে উঠলো রায়হানের। বিষিয়ে উঠলো তার ভেতরটা। বাম হাতে তানিয়ার মাথাটা বালিশ থেকে খানিকটা উপরে টেনে তুলে ডান হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বিশাল এক ঘুষি বসিয়ে দিলো তানিয়ার ফ্যাকাশে চেহারাটাকে উদ্দেশ্য করে।

বাম হাত থেকে মাথাটা ছিটকে বিছানায় লুটিয়ে পড়লো তানিয়ার। এবার বাম হাত দিয়ে সজোরে আরকটা ঘুষি দিলো সে তানিয়ার বামপাশের গালে। দ্বিতীয় ঘুষিটা সামলাতে না পেরে হেলে পড়ে গেলো সে বিছানা থেকে। মাটিতে পড়া অবস্থাতেই রায়হান গলা চিপে ধরলো তানিয়ার। দুইহাত দেবে গেলো তার নিধর গলায়। ভেতর থেকে মট মট করে শব্দ হলো। হাড় ভাঙার শব্দ। কিছুক্ষণ চেপে রেখে ছেড়ে দিলো তাকে।

বড় আলমারিটা থেকে নতুন কিনে আনা স্যুটকেসটা বের করলো রায়হান। চেনটা খুলে বড় পলিথিনে তানিয়াকে মুড়িয়ে স্যুটকেসে ভরে বের হয়ে গেলো নিজের ফ্ল্যাটের লাইটগুলো জ্বালিয়ে রেখে। তানিয়ার রক্তমাখা ১০ কেজি ওজনের ডাম্বেলটা পড়ে রইলো খাটের কোনায়। বারান্দায় টেবিলে পড়ে রইলো কিছু নিভে যাওয়া সুগন্ধি মোমবাতি আর রক্তমাখা স্টেক, সাথে রেড ওয়াইন এর গ্লাস।

গল্প: ক্যান্ডেললাইট ডিনার
Md. Redwan Tarek (১৫-তম ব্যাচ)

ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা শান্তিদেবী দেহত্যাগ করিয়াছেন। শেষকৃত্যের তোড়জোড় চলিতেছে। তাহার ছোট নাতনি এডভোকেট নন্দিতার গলা ভেসে আসিত...
01/08/2025

ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা শান্তিদেবী দেহত্যাগ করিয়াছেন। শেষকৃত্যের তোড়জোড় চলিতেছে। তাহার ছোট নাতনি এডভোকেট নন্দিতার গলা ভেসে আসিতেছে, “লোক পাঠিয়েছি আমাদের পুকুরপাড় থেকে আসবে গাছ।” তাহার পুত্রবধূ গায়ত্রীদেবী তাকালেন মেয়ের দিকে আর মনে পড়ে গেলো তার মেয়ে নন্দিতার জন্মের সময় এর কথা। এই নাতনির জন্মেই মৃতবাড়ির মতো শোকের মাতম তুলিয়াছিলেন শান্তিদেবী। অলক্ষী অপয়া বলে এই উঠোনে বুক চাপড়ে কেঁদেছিলেন তিনি। ছেলেকে বলেছিলেন পুকুরপাড়ে গাছ পুঁতে এলাম, এই মেয়ের বিয়ের খরচটা অন্তত উঠবে। এমন সময় উঠোনে এসে পড়লো ভারী আম গাছের বড় বড় টুকরো। সকলে চাহিয়া দেখিলো বিবাহচিন্তার মুখাগ্নি হইতে।

ছোটগল্প : মুখাগ্নি
স্নিগ্ধা রাহা , ১৪-তম ব্যাচ।

আমাদের ব্ল্যাকবোর্ডভর্তি স্বপ্নেরা ভাসছে ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের ভেতর। রঙিন রূপকথা চুপকথা হয়ে পুড়ছে থ্রাস্টের আগুনে। একটা আধ...
21/07/2025

আমাদের ব্ল্যাকবোর্ডভর্তি স্বপ্নেরা ভাসছে ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের ভেতর। রঙিন রূপকথা চুপকথা হয়ে পুড়ছে থ্রাস্টের আগুনে। একটা আধপোড়া ছবি আঁকার খাতা, রুদ্ধ হয়ে যাওয়া কণ্ঠস্বরগুলো থেকে কোথাও বেজে ওঠেনা আলুলায়িত গান। আমাদের স্বপ্নভর্তি অজস্র সাদাকালো। হাওয়ার স্কেচবুকে আঁচড় কাটছে ধুলোর পেন্সিল। আর প্রতিটি রেখার নিচে আৎকে উঠছি আমরা। আমরা যাবতীয় দুঃখকে ঘৃণা করি আর একটি সুন্দরতম মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করি পুরোটা জীবন জুড়ে। কিন্তু যখন ধীরে ধীরে আমাদের পুরো ক্যালেন্ডারটাই হয়ে ওঠে শোকদিবসের, তখন ভুলে যাই অনুভূতি ও বেদনার সহজ সংজ্ঞায়ন।

অক্ষর-এর পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা।
06/06/2025

অক্ষর-এর পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা।

“মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরীআর হাতে রণতূর্য।”দ্রোহের ডঙ্কা যেমন বাজিয়েছেন, তেমনি সকরুণ সুর তুলেছেন বিচ্ছেদ-বীণায়, সেই...
24/05/2025

“মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী
আর হাতে রণতূর্য।”

দ্রোহের ডঙ্কা যেমন বাজিয়েছেন, তেমনি সকরুণ সুর তুলেছেন বিচ্ছেদ-বীণায়, সেই সাথে গেয়েছেন অসাম্প্রদায়িকতা আর সাম্যের গান।

জন্মদিনে কবির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।

“বাঙলার আকাশের নাম রবীন্দ্রাকাশ।”
08/05/2025

“বাঙলার আকাশের নাম রবীন্দ্রাকাশ।”

16/04/2025

সাংস্কৃতিক পর্ব - নববর্ষ ১৪৩২

গান : ভেঙে মোর ঘরের চাবি
পারফর্মার : অন্তিকা, মুনতাহা
গিটার : অরিত্র

Address

Textile Engineering College, Noakhali
Noakhali Sadar Upazila
3820

Telephone

8801868440191

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অক্ষর posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to অক্ষর:

Share