04/05/2025
গণতান্ত্রিক রাজনীতি নিয়ে কেউ কেউ বলেন, এই পদ্ধতিকে তারা সাময়িক ভাবে গ্রহণ করেছেন। ভোট দেয়াকে তারা সাময়িক ভাবে জায়েয ফতওয়া দেন। যদিও তাদের এই সাময়িকের সময়সীমা নেই। সাময়িক কাজটাকেই তারা মোটামুটি স্থায়ী কাজ বানিয়ে নিয়েছেন।
ভোট দেওয়া জায়েয কি নাজায়েয এ নিয়ে ফিকহি পর্যায়ের মতভেদ থাকতে পারে। কেউ সাময়িক প্রয়োজনের ভিত্তিতে ভোট দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন, কেউ কঠোরভাবে তা হারাম বলেছেন। এই মতভেদ নতুন না।
কিন্তু আপত্তি কোথায়?
“জায়েয-নাজায়েযের বিতর্ক” নয়, বরং দ্বীনকে খেল-তামাশা বানানোর বিরুদ্ধেই আমাদের আপত্তি!
আপত্তি এই যে, দুনিয়াবি স্বার্থে, ক্ষমতার স্বাদ পেতে, ইসলামি আদর্শকে ‘ডেমোক্রেটিক ফ্রেমে’ ফিট করাতে গিয়ে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের জায়গায় ‘জনগণের ক্ষমতা’ প্রতিষ্ঠা করে ফেলা হয়েছে।
আপত্তি এই যে, ইসলামি শাসনের নামে সারা জীবন কু*ফরি সংবিধান, কু*ফরি সংসদ, কু*ফরি আইনব্যবস্থায় শপথ নিয়ে, বাজেট পাস করে, কু*ফরি আইনের পক্ষে কথা বলে চলেছেন। তবু ‘আমরা ইসলামি রাজনীতি করি’ এই বুলি ফুরোয় না।
আপত্তি এই যে, আজ জনগণের চোখে ইসলামি শাসন মানেই হয়ে গেছে পার্লামেন্টে এমপি হওয়া, ব্যালট বাক্স জেতা।
আপনারা যাকে সাময়িক বলে পাশ কাটান, মানুষ সেটাকেই ধরে নেয় ইসলামি আদর্শ। ফলে ইসলামি খেলাফতের কথা উঠলেই মানুষ ঠাট্টা করে বলে, ‘ও ভাই, ব্যালট ছিনতাই করে খেলাফত কায়েম হবে?’
সুতরাং সমস্যাটা ফতোয়ার না, সমস্যা হচ্ছে ইসলামের রাজনৈতিক আদর্শকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা। খিলাফতকে ডেমোক্র্যাটিক রাস্তার গোলচক্করে ফেলে দেওয়া।
শেষ কথা, গণতন্ত্র কু*ফরি এক মতবাদ। শাসনক্ষমতা জনগণের, আইন রচনার অধিকার জনগণের, এটা আল্লাহর দ্বীনের সরাসরি বিরোধী। এ ব্যাপারে সবাই একমত। সুতরাং কেউ যদি ইসলামি লেবেল লাগিয়ে এই কু*ফরি কাঠামোর ভেতরে সারা জীবন গলা ভেজায়, তাকে তো প্রশ্ন করতেই হবে, আপনি কি আল্লাহর বিধান কায়েম করছেন, না কু*ফরী সিস্টেমকে ইসলামী রং মেখে দীর্ঘায়িত করছেন?