05/05/2024
মিথ্যাচার করে লাভ নেই:
বাদলের আমলেই শ্রেষ্ঠ উপজেলা হয়েছিল কোম্পানীগঞ্জ
=======================================
প্রশান্ত সুভাসঃ
ভেবেছিলাম কথা বলবো না, কিন্তু না বলে পারলাম না। বলতেই হচ্ছে। কারণ অন্যায়কারী এবং অন্যায় সহ্যকারী উভয়ই সমান অপরাধী। আমরা কোম্পানীগঞ্জবাসী হিসেবে এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত।
শুরুতে বলে রাখি, এখন আমি কোম্পানীগঞ্জে থাকি না সুতরাং মিজানুর রহমান বাদল উপজেলা চেয়ারম্যান হলেও আমার কোনো লাভ নেই, হারলেও আমার কোনো দু:খ নেই। তবে একখান কথা আছে,
আমি কখনো কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি হতে দেখলে কথা বলার চেষ্টা করি। এখানেও সেই অভ্যাসের প্রতিফলন ঘটেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে মিজানুর রহমান বাদলকে হয়রানি করা হচ্ছে। তাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে। তার জনপ্রিয়তাকে ঠেকানোর অপকৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জে যারা রাজনীতি করে তাদের সকলেরই একটা অতীত আছে। আছে পারিবারিক ইতিহাস। সেটি কারো ভালো কারো খারাপ(অর্থনৈতিক)। কার পরিবার কত ধনী ছিল তা সকলেই জানে। কারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে তাও জানা আছে সকলের।
গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখেছি, সেখানে শুনলাম জনৈক ব্যক্তি মিজানুর রহমান বাদলকে নিয়ে বেশ কটূক্তি করছেন। তার স্বভাব-চরিত্র ও কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনা করছেন।
আমি শুনে অবাক হলাম। আর মনে মনে ভাবলাম, এমন মিথ্যাচারও কী কেউ করতে পারে? পরে এ ভেবে প্রবোধ নিলাম যে, আধুনিক যুগ। সকলের সম্পর্কে সকলে জানে। কার কী চরিত্র সকলের জানা আছে। মিথ্যাচার করে লাভ নেই।
কোম্পানীগঞ্জবাসী আপনার হতভাগা। হয়ত বলবেন কেন?
জানতে চান? তাহলে শুনুন,
উপজেলা পরিষদ গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মাত্র তিনজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথমজন হলেন প্রয়াত বজলুর রহমান, দ্বিতীয়জন মো. সাহাব উদ্দিন এবং তৃতীয়জন মিজানুর রহমান বাদল। অথচ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ইতিহাসে একমাত্র মিজানুর রহমান বাদলের আমলেই কোম্পানীগঞ্জ জেলা এবং বিভাগে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাচিত হয়েছে। দুর্ভাগ্য কোম্পানীগঞ্জবাসীর। তার আমলেই কোম্পানীগঞ্জ দেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাচিত হতো। কিন্তু তা হয়নি। কেন হয়নি, কার কারণে হয়নি তা আমরা জানি।