16/09/2025
বিগত সরকার ও তার দল যা করেছে—যদি আপনার দলও একই কাজ করে, তখন স্বাভাবিকভাবেই জনগণ বিকল্প কাউকে খুঁজে নেবে; এটাই বাস্তব। বিগত সরকারের সময়ে এমন কোনো অপরাধ ছিল না যে তাদের নেতা–কর্মী বা প্রশাসন করেনি, এবং বর্তমানে সারা দেশে একটি দলের কিছু নেতা–কর্মীও একই ধরনের কাজ করছে; মিডিয়া এসব ব্যাপকভাবে প্রচার করায় জনগণ ভীত ও আতঙ্কিত হচ্ছে। একই সময়ে জনগণের নজর পড়ছে একটি তৃতীয় দলের দিকে, যেখানে অনেক নেতা–কর্মী এসব কাজ করে না— তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতে পড়ে, নিয়মিত পড়াশোনা করে, সদাচরণ ও সমাজসেবা করে, মানুষকে ভাল পরামর্শ দেয় এবং বিপদে পাশে দাঁড়ায়; কোনো মন্দ কাজে তারা জড়িত নয়। ফলে মানুষ ভাবছে যে তৃতীয় পক্ষটি প্রকৃতপক্ষে ভালো কাজে যুক্ত। আমি হলে কি করতাম, আপনি নিজে কি করতেন—যাদের নেতাকর্মীরা কুকর্মে জড়িত, তাদের পাশে থাকতেন?
হয়তো আপনি বলবেন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ আর জাতীয় সংসদ আলাদা, কিন্তু আমি ভিন্নভাবে দেখছি: বড় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর অধিকাংশই গরিব পরিবারের সন্তান, গ্রামগঞ্জের ছেলে-মেয়ে; এরা গ্রামে ছড়িয়ে প্রচার চালাবে এবং তাদের পরিবার, আত্মীয়স্বজন ধীরে ধীরে সেই দলের প্রতি আকৃষ্ট হবে। আমরা যতই ভাবি গ্রামের মানুষ শুধু নির্দিষ্ট প্রতীক চিনে, ঐ দলের মানুষও সেটা জানে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে; বিষয়টাকে হালকাভাবেই নেওয়া যাবে না—এদের পরিকল্পনা জটিল, ক্ষমতা দখলের পূর্বেই তারা নিজের অবস্থান দৃঢ় করবে; গত বিশ–ত্রিশ বছর ধরে তারা পরিকল্পনা করে এসেছে এবং এখন প্রায় ৬০ শতাংশ সফল। ব্যবসা, প্রশাসন, পুলিশ, আর্মিসহ নানা ক্ষেত্রে তাদের লোক রয়েছে প্রচুর; প্রয়োজন হলে তারা বিভিন্ন দলের হয়ে কাজ করবে এবং সময় মতো সক্রিয় হবে। তাদের মূল মন্ত্র—শিক্ষা, সততা, নৈতিকতা, আত্মরক্ষার কৌশল এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর স্বাধীনতা বিরোধী প্রচারণার তেমন গুরুত্ব নেই, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে; আর আপনি যতই কোনো দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাবেন, একসময় সেটি তাদের পক্ষে ফিরেও যেতে পারে।
অন্যের সমালোচনা না করে বরং সতর্ক হয়ে সংশোধন না করলে, তাদের চেয়ে ভালো কাজ না করলে, ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেখার অক্ষমতা থাকলে, জুলুম, নির্যাতন, অত্যাচার ও প্রতিহিংসার পথ নিলে বা অতিরিক্ত অহংকারী হলে—দীর্ঘ মেয়াদে ফলাফল আপনার জন্য ভয়ঙ্কর খারাপ হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করার জন্য বিনীত অনুরোধ রইল।
অতি দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে , বড় নেতাদের মধ্যে অন্যের সমালোচনার প্রতিযোগীতা হচ্ছে , কিন্তু নিজেদের সঠিক পথ দেখানোর সাহস যেন কোন নেতার নেই , পরাজিত হয়ে কারচুপির অভিযোগ না দিয়ে কারণ অনুসন্ধান ও নুতন কর্মপরিকল্পনার কোন লক্ষণ বা আগ্রহ নেই কারও ।
অন্যদিকে এত শক্তিশালী হচ্ছে অন্য পক্ষগুলো , যা আপনাদের কল্পনার বাইরে ।