18/07/2025
নওগাঁয় জেলা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা নেতা কর্মীদের ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নওগাঁয় জেলা বিএনপি’র যগ্ম আহবায়ক বিএনপির জন প্রিয়নেতা আলহাজ্ব মোঃ মামুনুর রহমান রিপনের বিরুদ্ধে রাষ্টদ্রোহী মামলা হয়েছে। জনপ্রিয় এই নেতার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য এমন নোংরা খেলায় মত্ত কিছু অযোগ্য নেতা বলে অভিযোগ ভুক্তভুগী বিএনপি নেতার। জনপ্রিয় ঐ নেতা জানানগ ত ১৪ জুলাই নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে রিক্সাওয়ালাকে অন্যায়ভাবে একজন ট্রাফিক পুলিশ হেনস্তা করার প্রতিবাদ করেছিলাম আমি মামুনুর রহমান রিপন। তখন ওই ট্রাফিক এরই প্রেক্ষিতে শান্ত বা ক্ষ্যান্ত না হয়ে রিক্সাওয়ালাকে হেনস্তা করেন। ঘটনার বিষয়ে বেলা ১১.৩০ মিনিটে আমি আমার বাড়ীর সামনে হতে মুক্তির মোড়ে রিক্সা নিয়ে যাওয়ার পথে রিক্সা ওয়ালাটি ট্রাফিক নিয়ম না মেনে রিক্সা চালানোর ফলে ট্রাফিক কনস্টেবল তার সাথে খুবই খারাপ আচরণ করেন। রিক্সায় বসে সেই কনস্টেবলের আচরণ দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করি ভাই তোমার বাড়ী কোথায়? আমি তো নওগাঁর নেতা তুমি আমাকে চিনতে পারনি আমি ছাত্রদের মিছিলেই আসছি? এই বলে আমি ট্রাফিক কনস্টেবলকে শান্ত হতে বলি কিন্তু ঐ ট্রাফিক পুলিশ শান্ত না হয়ে আমার উপরও চড়াও হন, সেই সাথে উল্টো খারাপ আাচরণ করেন। এমতাবস্থায় সেখানে উপস্থিত ছাত্রদলের পূর্বঘোষিত একটি মিছিল নিয়ে এসে পড়লেত তখন কিছু তরুণ ছেলেরা এসে আমার সাথে ট্রাফিক কনস্টেবলের আচরণ দেখে তাকে রাস্তার পাশে নিয়ে বকাঝকা করেন। এমন সময় রিপন উক্ত কনস্টেবলের গালে আদরের ছলে হাত বুলিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন (হাত ছোঁয়ানোর দৃশ্য গোপন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে)।
জানা গেছে, নওগাঁ শহরে ব্যাপক জনপ্রিয় এই আলহাজ্ব মামুনুর রহমান রিপন ছোটদের কিংবা অনুসারীদের এভাবেই গালে হাত বুলিয়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে যে কোন ঘটনার সমাধান করে থাকেন। আর এরই প্রভাব পড়েছে ওই কনস্টেবল এর উপরে। এই দৃশ্য পরিকল্পিতভাবে ধারণ করা হয় এবং তা ভাইরাল করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
বিষয়টি পুলিশ সুপারের (এসপি) অফিস অবগত হয়ে মামুনুর রহমান রিপনকে অফিসে ডাকলে তিনি সশরীরে এসপি অফিসে গিয়ে উক্ত ট্রাফিক কনস্টেবল আমিনুলের সাথে ভুল বোঝাবুঝি বিষয়টি মিমাংসা করে আসেন।
খুব শীঘ্রই নওগাঁ জেলা বিএনপির কাউন্সিল। এবার জনপ্রিয় এই নেতার সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা, সেই স্বপ্ন গুড়িয়ে দিতেই মীমাংসিত ওই বিষয়টি মামুনুর রহমান রিপনের প্রতিপক্ষরা মেনে নিতে না পেরে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য পুলিশের আইজি পর্যন্ত দৌড়ে প্রথমে নওগাঁ সদর থানার ওসিকে শোকজ করান। তাতেও তুষ্ট না হয়ে ঘটনায় জড়িত কনস্টেবল আমিনুলকে দিয়ে নওগাঁ সদর থানায় মামলা করান।
নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের দু’বারের নির্বাচিত সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্বাহী সদস্য, নওগাঁ সরকারী কলেজের ( বর্তমান নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ) সাবেক প্রো-ভিপি ও জেলা বিএনপি’র দু’বারের নির্বাচিত সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমান জেলা বি এন পি’র যুগ্ন- আহবায়ক গত ২৮ অক্টোবর একমাত্র নেতা ঢাকার রাজপথ থেকে গ্রফতার হয়ে ডিবি হারুনের অধীনে রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন সহ্য করে দীর্ঘদিন কারাগারে দুর্বিষহ দিন কাটান।
তার একজন বিশ্বস্ত অনুসারীর বক্তব্যে জানা গেল, বিগত দিনে মামুনুর রহমান রিপন নওগাঁ কে, ডি স্কুলে অনুষ্ঠিত ছাত্রদলের জেলা কাউন্সিলে কারাগার থেকেই নির্বাচন করে সভাপতি হয়েছিলেন! তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়েছিলেন মাত্র ৩ অথবা ৫ টি ভোট! এ ঘটনায় নওগাঁ জেলা বিএনপি’র যগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ মামুনুর রহমান রিপন বলেন আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিহার সামান্য ভুলবোঝাবুঝি কে আমার প্রতিপক্ষ বিভিন্ন ভাবে তদবির করে আমাকে বেকায়দায় ফেলতে এই মামলার স্পৃষ্টি আমি এর তৃব্য নিন্দা জানাচ্ছি।
এ ঘটনার বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, মামলার ঘটনা সত্য। এ ঘটনার পর থেকেই ঐ বিএনপি নেতা মামুনুর রহমান রিপন পলাতক রয়েছেন। গতকাল সেনাবাহিনীসহ তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে পাইনাই। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।