23/07/2025
একদিন সব ছেড়ে দূরে যাবো। অনেক দূরে! যেখানে চাইলে বাতাস ছুঁয়ে দেয়া যায় আকাশ জড়িয়ে তীব্র বিষাদ মেখে নেয়া যায়। একদিন বুক পেতে রুখে দাঁড়াবো দারিদ্র্য দুঃখগুলোর পথে, একদিন অসীম শূন্যতা মাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাবো মহাশূন্যের উদ্দেশ্যে। একদিন গোটা হৃদয়টাকে টুকরো টুকরো করে খাওয়াব ওদের, জানিয়ে দেবো- এই যে দেখো আমি দারিদ্র্য নই। একদিন তোমার কাছে জল পথে চিঠি দেবো। তারপর সহস্র যুগ পেরিয়ে যাবে, পৃথিবীতে নেমে আসবে সুখের অঝর শিলাবৃষ্টি, টইটম্বুর চারপাশ। কেউ আর দুঃখে নেই! অনাহারে নেই, তবুও যেনো প্রেম নেই, আমি নেই, তুমি নেই, কবিতা নেই, কেউ নেই!
একদিন হঠাৎ তোমার দুয়ারে হাঁটু গেড়ে হাতজোড় করে বলবো- শোনো! আমি বড় নিঃস্ব মানুষ শূন্য মানুষ, তোমাকে দেবার মতো কিছুই নেই, আমার শূন্যতাকে তুমি সাদরে গ্রহণ করো। এই যে দেখছো রক্ত জমাট উদ্ভ্রান্ত চোখ! এখানে আমি মহাবিশ্বের দুর্ভিক্ষ নিয়ে ঘুরি, আমার গায়ে চাঁদের আলো এসে লাগে না, সমুদ্রের ঢেউগুলো আমায় দেখলে পিছিয়ে যায়, আকাশ বৃষ্টির মলিন দিনে আমার মাথায় উপর ছাতা হয়ে দাঁড়ায়নি কেউ। ফিরে দেখো, বুকের মধ্যে বারুদ নিয়ে ঘুরছি, তাই বোধহয় কবির মতো আমারো মনে হয়, চাঁদটাকে ঝলসানো রুটি। তবুও অন্ধকারে হাহাকার করে জাগ্রত হয় আমার বোধ, কাম, প্রেম, র্নিঘুম রাতে মুখোমুখী গোলকধাঁধায় জর্জরিত হয়ে কাতরাতে থাকে নিঃসঙ্গতা।
তখন মনে হয় ভালোবাসা ছাড়া আমার অন্য ক্ষুধা নেই, আমি আসলে তোমাকে ভালোবাসার জন্য নিজেকে বাঁচিয়ে রাখি, তোমাকে দেখার জন্য আমি এই রঙ্গশালায় আদতে আনাড়ি হয়ে থাকি। তুমি দুয়ার এঁটে দিলে কবিতার কাছে ফিরে যাবো, মানুষের থেকে দূরে যাবো। তোমাকে বলবো! হে আমার অসীম নিঃস্বতা এবার মুক্ত করো, আমি ক্লান্ত পরিশ্রান্ত অনন্তকালের বিশ্রাম নেবো।