আধুনিক কৃষি ও খামার

আধুনিক কৃষি ও খামার ..

বিভিন্ন মেয়াদে গরু মোটাতাজা করা যায়, যেমন -২মাস,৩মাস ও ৪-৬মাস মেয়াদে যা লাভজনক তাছাড়া আপনারা দীর্ঘমেয়াদে মোটাতাজাকরণ করত...
28/07/2023

বিভিন্ন মেয়াদে গরু মোটাতাজা করা যায়, যেমন -২মাস,৩মাস ও ৪-৬মাস মেয়াদে যা লাভজনক তাছাড়া আপনারা দীর্ঘমেয়াদে মোটাতাজাকরণ করতে পারেন।

যারা গরু মোটাতাজা করছেন কিন্তু লাভের মুখ দেখছেন না যদি সম্পূর্ণ লেখাগুলো অনুযায়ী খামার পরিচালনা করেন আপনি লাভবান হবেন ইনশাল্লাহ।

প্রথমে,মোটাতাজাকরণের জন্য আপনাকে নির্বাচন করতে হবে শুকনো হাড্ডিসার গাভী অথবা শুকনো ষাঁড় গরু।

আগে নিচে তিনটে খাবার নমুনা দিচ্ছি যেটা তিন ধরনের গরুর জন্য প্রযোজ্য।
তারপর বিস্তারিত আলোচনা করছি।

"৬০-৭০ দিন মেয়াদী ষাঁড়/হাড্ডিসের গাভী মোটাতাজাকরণের ১০০ কেজি ফিড ফর্মুলেশন এর নমুনা"

ভূট্টা ৩৩ কেজি
রাইস ব্রান ১০ কেজি
ধানের গুড়া ১০ কেজি
গমের ভূষি ১০ কেজি
সয়াবিন ভূষি ১০ কেজি
এংকরের ভূষি ১০ কেজি
সয়াবিন খৈল ১০ কেজি
প্রটিন/শুটকির গুড়া ৩ কেজি
লাইসিন ৫০০ গ্রাম
সি আর ৪০ গ্রাম
টক্সিন বাইন্ডার ১৫০ গ্রাম
মিথনিন ৩০০ গ্রাম
এনজাইম ২৫০ গ্রাম
কলিন ২০০ গ্রাম
ডিবি/প্রিমিক্স ৫০০ গ্রাম
ফ্যাট পাউডার ৩০০ গ্রাম
ডিসিপি পাউডার ২ কেজি
রুমেইনই ১ প্যাকেট
খাবার সোডা ১৫০ গ্রাম
মোট ১০০ কেজি

সাথে প্রয়োজন মতো লবণ অ্যাড করে নিবেন।
প্রতি কেজি খাবারের দাম পরবে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা।

"৩ মাস মেয়াদী ষাঁড় গরু মোটাতাজাকরণ ফিড ফর্মুলেশন নমুনা"

কার্বোহাইড্রেট/ফাইবার/প্রটিন
ভূট্টা ৩২ কেজি
গমের ভূষি ১০ কেজি
রাইস ব্রান ১০ কেজি
ধানের কুড়া ১০ কেজি
ডালের ভূষি ১০ কেজি
সয়াবিন খৈল ১৫ কেজি
সরিষার খৈল ৫ কেজি

প্রোটিন/ভিটামিন/এমাইনো এসিড
শুটকির গুড়া ৩ কেজি
ডিসিপি পাউডার ২ কেজি
লাইসিন ৫০০ গ্রাম
সিআর ৪০ গ্রাম
টক্সিন বাইন্ডার ১৫০ গ্রাম
মিথনিন ৩০০ গ্রাম
এনজাইম ২৫০ গ্রাম
কলিন ২০০ গ্রাম
ডিবি/প্রিমিক্স ৫০০ গ্রাম
ফ্যাট পাউডার ৩০০ গ্রাম
রুমেইনই ১ প্যাকেট
খাবার সোডা ১৫০ গ্রাম
লবন ৫০০ গ্রাম
সর্বমোট ১০০ কেজি
প্রতি কেজি পরবে ৪২-৪৩ টাকা।

"৪-৬ মাস মেয়াদী ষাঁড় গরুর ১০০ কেজি ফিড ফর্মুলেশনের নমুনা"

কার্বোহাইড্রেট/ফাইবার/প্রটিন
ভূট্টা ৩৮ কেজি
রাইস ব্রান ১০ কেজি
ধানের কুড়া ১৫ কেজি
গমের ভূষি/ভাঙ্গা ১০ কেজি
ডালের ভূষি ১০ কেজি
সয়াবিন খৈল ১০ কেজি

প্রোটিন/ভিটামিন/এমাইনো এসিড
শুটকির গুড়া ৩ কেজি
ডিসিপি পাউডার ২ কেজি
লাইসিন ৫০০ গ্রাম
সিআর ৪০ গ্রাম
টক্সিন বাইন্ডার ১৫০ গ্রাম
মিথনিন ৩০০ গ্রাম
এনজাইম ২৫০ গ্রাম
কলিন ২০০ গ্রাম
ডিবি/প্রিমিক্স ৩০০ গ্রাম
ফ্যাট পাউডার ২০০ গ্রাম
রুমেইনই ১ প্যাকেট
খাবার সোডা ১৫০ গ্রাম
লবন ৫০০ গ্রাম
সর্বমোট ১০০ কেজি
প্রতি কেজি পরবে ৩৭-৩৮ টাকা।

উপরের তিনটা নমুনা অনুযায়ী যে যেমন গরু পালন করেন সে অনুযায়ী ফিড ফর্মুলেশন লুজ খাবার তৈরি করবেন।
মেডিসিনের দোকানে খাবারগুলো খুঁজে না পেলে আপনার আশেপাশের কোন বড় পোল্ট্রি ফার্ম থাকলে সেখানে খোঁজ করে দেখতে পারেন পেয়ে যাবেন অথবা না পেলে প্রয়োজনে আমাকে সরাসরি মেসেজে জানাতে পারেন।
রেডি ফিডের যে দাম ৫৮ টাকা ক্যাটল ফিড আর ৭৫ টাকা বয়লার ফিডের এই বাজারে।
মোটাতাজাকরণ প্রকল্পে এইভাবে খাদ্য তৈরি না করলে মোটাতাজা করন খামার টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।
এভাবে নিজের গরুর খাদ্য নিজে তৈরি করলে খামারের দানাদার খরচ ৩০-৩৫% কমিয়ে আনতে পারবেন।
অর্থাৎ যে গরুর মাসে খরচ হতো ৫-৭ হাজার টাকা সেই গরুর খরচ হবে সারে ৩-৪ হাজার টাকা।

বানানোর নিয়ম হলো সবগুলো উপাদান মেডিসিন সাপ্লিমেন্ট একসাথে মিক্স করে কোন ড্রাম অথবা বস্তায় সংরক্ষণ করবেন।
ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে এক মাস অনায়াসেই খাওয়াতে পারবেন প্লাস্টিকের ড্রামে সংরক্ষণ করলে দের থেকে দুই মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

এরপর এই মিক্সিং করা দানাদার খাদ্য প্রতি ১০০ কেজি ওজনের গরুর জন্য সারা দিনে সকাল এবং বিকাল ২ বেলা মোট দেড় কেজি দিবেন।
বিক্রয় করার আগে আগে আগের থেকে একটু বাড়িয়ে দিতে পারেন।
এভাবে খাদ্য তৈরি করে সঠিকভাবে পরিচালনা করলে আপনার খামারে লাভ হবেই ইনশাল্লাহ।
মনে রাখবেন একটা খামার সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি সঠিক সুইট ফর্মুলেশন এই যথেষ্ট।

সবাই নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্টটা শেয়ার করে রেখে দিন যাতে প্রয়োজন হলে মুহূর্তেই বের করে সেই অনুযায়ী খাদ্য তৈরি করতে পারেন ধন্যবাদ।

27/07/2023

অনেকে UMS বানানোর পদ্ধতি জানতে চেয়েছেন UMS খাওয়ানোর আগে জানতে হবে UMS টা আসলে কি?
এবং কিভাবে কাজ করে।

ইউরিয়া হলো নন প্রোটিন নাইট্রোজেন কম্পাউন্ড। UMS এর অন্যতম উপাদান ইউরিয়াকে রুমেন মাইক্রো ফ্লোরা গুলো মাইক্রোবিয়াল হজম প্রক্রিয়ায় এমোনিয়া ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরির মাধ্যমে প্রোটিন এ রূপান্তরিত হয়।

ইউরিয়া সার সরাসরিভাবে গরুকে মোটাতাজা করে না; বরং পুষ্টিমান সুষম খাদ্য ও গরুর হজম ক্ষমতাই দ্রুত মোটাতাজাকরণ করে। UMS খড়ের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে দেয় যাহা আশঁজাতীয় খাবার।
তবে ইউএমএস সুষম দানাদার খাবারের বিকল্প নয়।

(UMS) ইউরিয়া ও নালীগুড় (নাইট্রোজেন ও এনার্জি) একত্রে পানি দিয়ে গুলিয়ে খড়ের সাথে মিশালে খড়ের পুষ্টিগুণ, স্বাদ ও গরুর হজম ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।

১ কেজি UMS বানাতে প্রতি কেজি খড়ের জন্য ৫০০ মিলি পানি ২৫০ গ্রাম নালী গুড় ও ২৫-৩০ গ্রাম ইউরিয়া দিতে হবে।

আপনাদের আরো সহজ ভাবে বোঝাতে ৪ কেজি UMS তৈরীর একটা নমুনা দিলামঃ
প্রথমে খড় ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। এর পর একটি পরিষ্কার নতুন পলিথিন বিছিয়ে সেখানে খড় গুলো ছিটিয়ে রাখতে হবে। একটি পরিষ্কার বালতি বা পাত্রে ২ লিটার পানি নিয়ে সেখানে ১২০ গ্রাম (সর্বোচ্চ) ইউরিয়া পরিমাপ করে নিয়ে ভালভাবে গুলিয়ে নিতে হবে। এরপর ১ কেজি পরিমান নালীগুড় গুলোতে হবে। নালীগুড় ও ইউরিয়া মিশ্রিত পানি পলিথিনে রাখা খড়ে একটু একটু করে ছিটিয়ে নিতে হবে ও খড় গুলো উপর নিচ করতে হবে ও ভালভাবে মিশ্রিত করতে হবে।
মিশ্রন করার ১৫-২০ পর থেকে গরুকে খেতে দেওয়া যাবে।

গরুকে UMS কেন দিবেন?
১)গরুর রুমেনের প্রয়োজন মোতাবেক আস্তে আস্তে খড়ের সাথে ইউরিয়া থেকে নাইট্রোজেন এবং মোলাসেস থেকে শর্করার সরবরাহ পেয়ে থাকে । শুধু তাই নয় , মোলাসেস একইভাবে খনিজ পদার্থও পশুকে সরবরাহ করে।
২)উক্ত খাদ্য প্রণালী গরুর রুমেনের পরিবেশ সঠিক রাখে । ফলে খড় জাতীয় খাদ্যের পরিপাচ্যতা বৃদ্ধি পায়।

UMS ব্যবহারে সুবিধাঃ
১) UMS বাছুর, বাড়ন্ত, দুগ্ধবর্তী ও গর্ভবতী গরু অথবা মহিষকে তাদের চাহিদা মতো খাওয়ানো যায় ।
ছয় মাস বয়সের উপরের যেকোন গরুতে ইউএমএস ব্যবহার করা যাবে। গর্ভবতী গাভীতেও আপনি নিশ্চিন্তে UMS ব্যবহার করতে পারবেন।
২)শুধু UMS খাওয়ালেও ওজন বৃদ্ধি পাবে; তবে সুষম দানাদার যোগ করা হলে কার্যকারীতা আরও বৃদ্ধি পায়।

UMS খাওয়ানোর নিয়মঃ
১) UMS প্রতি ১০০ কেজি ওজনের গরুকে সর্বোচ্চ ২ কেজি পর্যন্ত খাওয়ানো যেতে পারে।
২) UMS খাওয়ানোর এক ঘন্টা পূর্বে ও খাওয়ার ১ ঘন্টা পর পানি সরবরাহ করতে হবে। এই সময়ের ভিতর পানি দেওয়া যাবে না।
৩)খড় ছাড়া UMS নালীমিশ্রিত পানি সরাসরিভাব কখনই গরুকে খাওয়ানো যাবে না।
৪)UMS ২ দিন পর্যন্ত রেখে খাওয়ানো যাবে।
৫)খুব সকালে বা রাতে UMS খাওয়ানো ঠিক নয় (সকাল ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত হলো আদর্শ সময়)। সকালে যেকোন খাবার খাওয়ানোর পর UMS খাওয়ানো উত্তম।

এছাড়া গরু মোটাতাজাকরন, গাভী পালন, ছাগল পালন, খাসী/পাঠা মোটাতাজাকরনে সুষম ব্যালেন্স দানাদার খাবারের পাশাপাশি ইউএমএস(UMS) খাওয়ানো যেতে পারে।

খামার করে তো সবাই সফলতা অর্জন করতে চায় কিন্তু কয়জন সফল হয়? খামার করে সফল হতে গেলে সবার আগে আপনাকে জানতে হবে গরু কখন ক...
23/07/2023

খামার করে তো সবাই সফলতা অর্জন করতে চায় কিন্তু কয়জন সফল হয়?
খামার করে সফল হতে গেলে সবার আগে আপনাকে জানতে হবে গরু কখন ক্রয় করতে হয় কখন বিক্রি করতে হয় এবং কতদিন লালন পালন করতে হয় এই বিষয়গুলো।
অথচ এইসব বিষয়ে না জেনেই অনেকেই দীর্ঘদিন গরু লালন পালন করে, আবার অনেকে স্বল্প সময় লালন পালন করতে গিয়ে লসের সম্মুখীন হন।
এর কারণ একটাই সঠিক সময় ক্রয় বিক্রয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে অজ্ঞতা বা না জানা।

আজকের পোস্টটা তাদের জন্য যারা কম সময়ের মাঝে দ্রুত লাভের টাকা হাতে পেতে চান 🥰
আসলে গরু পালন সেক্টরটা এমন একটা সেক্টর যেখানে প্রত্যেকটি কোনায় কোনায় রয়েছে লাভ, শুধু আপনাকে জানতে হবে কি ধরনের গরুতে কিভাবে পালন করে লাভ করতে হয়।

আপনি যদি চান আপনার হাতে সব সময় গরু বিক্রয়ের লাভের অংশ থাকবে এবং খামারে ভর্তিও থাকবে অর্থাৎ কিনবেন বিক্রি করবেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই মোটাতাজা খামার করতে হবে।

গরু মোটাতাজাকরণ খামারে কিছু সুবিধা রয়েছে।
যেমন,
১. অল্প সময়ে (৪-৬ মাস) অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়।
২. মূলধন বা পুঁজি দ্রুত ফেরত আসে।
৩. আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি কম।
৪. খরচের তুলনায় লাভ বেশি।
৫. বেকারত্ব ও দারিদ্রতা দূর করা যায়।
৬. রোগব্যাধি কম হয়।

এখন আসি গরু পালনের সঠিক সময় নির্বাচন করা নিয়ে।
আসলে মোটাতাজার ক্ষেত্রে গরু পালন নির্ভর করে গরুর বয়স এবং সাইজের উপর।
ধরেন আপনি একটা ৮০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনলেন যার শরীরে ১১০ কেজি থেকে ১২০ কেজি মাংস আছে।
এই সাইজের গরু যদি আপনি চার মাস পালন করেন তাহলেই গরুটাই চার মাসের মধ্যেই বিক্রয় যোগ্য হয়ে যাবে।
তাই এর বেশি দিন এ ধরনরর গরু না রাখাই উত্তম।
আবার আপনি যদি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটা গরু কিনেন সে গরুটা তুলনামূলক ছোট হবে।
ফলে মিনিমাম ছয় মাস লালন পালন করতে হবে তাহলে একটা ভালো রেজাল্ট পাবেন।

এখন আসি কি ধরনের গরু কেনা উচিত।
যদিও বা সাইওয়াল ক্রস অথবা ফ্রিজিয়ান গরু দেশি গরুর তুলনায় তুলনামূলক বেশি বড় হয়।
অন্যদিকে হিসাব করলে দেখবেন দেশি গরু কিনতে বাজেট কম লাগে আবার পালন করতে খরচ কম হয়।
দেশি গরুতে খরচ কম লাভ কম অন্যান্য জাতের গরুতে খরচ বেশি লাভ ও বেশি।
তাই হিসাব করলে দেখা যায় যেমন খরচ তেমন লাভ হিসাব মোটামুটি একই বলা চলে।

অর্থাৎ কি ধরনের গরু কিনবেন বা কেমন লাভ হবে এটা আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করবে।
আপনি যে গরুই পালন করেন সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে অবশ্যই লাভ হবেই।

এখন মূল কোথায় আসি গরু কেনার এবং বিক্রি করার সময়টা আসলে কখন।
এই জায়গায় ম্যাক্সিমাম খামারিরা ভুল করেন এবং কাঙ্খিত ফলাফলটা পান না।
আমি নাদিম আমার নিজের অভিজ্ঞতায় যেটা বুঝতে পেরেছি।
গরু পালন করতে গেলে আপনাকে সবসময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
যেমন,
অনেকে সারা বছর গরু পালন করেন কুরবানী ঈদে বিক্রি করেন এটা করা যাবে না।
আপনাকে সারা বছর বিক্রয় এবং সারাবছর গরু ক্রয় করতে হবে।

আপনাদের সাথে আমার নিজের অভিজ্ঞতায় কয়েকটা টিপস শেয়ার করি...
আমি সব সময় চার মাস করে গরু পালন করি।
ধরেন কোরবানির সময় চলে এসেছে তখন আমি কুরবানীর কিছুদিন আগেই কুরবানীর গরু বিক্রয় করে দেই বেশি দামের আশায় শেষ দিন পর্যন্ত গরু রেখে দেই না।
এতে করে আমি গরু বিক্রয়ের টাকা দিয়ে আবার হাট থেকে দাঁত হয় নাই এমন কমবয়সী গরু কিনে আনতে পারি।

কারণ লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন কুরবানীর সময় অদাত গরু কেউ কিনতে চায় না কুরবানির গরুর ভিড়ে কম বয়সী গরু অল্প দামেই পাওয়া যায় কারণ সেগুলো কুরবানী হয় না।

আবার কুরবানী শেষ হয়ে গেলে হাটের চিত্র পুরা উল্টা তখন সবাই খামারে ঢুকানোর জন্য কম বয়সী অদাত গরু কিনতে শুরু করে।
আর আমি এই সময়টাকে টার্গেট করি।
কুরবানীর গরু বিক্রয় করে অদাত গরু কিনে এনে এক মাস রেখে একটু পরিষ্কার সুন্দর হালকা মোটা করে কুরবানীর পর আবার বিক্রয় করে দেই বেশি দামে।

এবং সেগুলো বিক্রয় করে যেগুলো দুই দাঁতের গরু কুরবানীতে বিক্রয় হয় নাই সেগুলো কুরবানী পর কম দামে কিনে নিয়ে চার মাস লালন-পালন করে বিক্রি করে দেই।

কুরবানীর পর দুই তিন মাস মাংসের তেমন একটা চাহিদা থাকে না।
কিন্তু তিন চার মাস পর আবার মাংস চাহিদা শুরু হয় আর আমি সেই সময় টাতে প্রথম বিক্রিয় শুরু করি।
এতে করে আমি মাংস ব্যবসায়ীগুলোর কাছেও ভালো দাম পাই।

কুরবানির পর চার মাস লালন পালনের পর গরু বিক্রয় করে আবার গরু কিনে চার মাস লালন-পালন শুরু করি।
চার মাস পালনের পর আবার শবেবরাত এবং রোজা চলে আসে সেই সময় আবার মাংসের গরুর একটা চাহিদা শুরু হয়।
আর সেই সময় আমি আবার গরু বিক্রয় করি ফলে সেই সময় ও আশা অনুযায়ী দাম পাই 🙂

এরপর আসে আসল সময় যেহেতু ঈদুল আজহার ৩/৪ মাস আগে গরু মোটাতাজা করার কাজ শুরু করলে লাভবান হওয়া যায়।
তাই সেই সময় গরু বিক্রয় করে আবার কুরবানির উপযুক্ত শিং মাথা বয়স দেখে গরু কেনা শুরু করি।
এতে করে আমি আবার সঠিক সময় কুরবানীর বাজারটা ধরতে পারি।
এবং কুরবানীর গরু বিক্রয় করে আবার আগের মত এতক্ষণ যেই ভাবে বললাম সেই ভাবে গরু কিনে পালন ও বিক্রি করি।

ফলে দিন শেষে হাসতে হাসতে লাভের টাকার হিসাব করতে করতে শান্তির একটা ঘুম দেই 🥰
অনেক মানুষ আছে লোন করে জমি বিক্রি করে খামার বাড়াতেই থাকে ভাবে যত বড় খামার তত লাভ।
কিন্তু আমার তেমন কোন ইচ্ছে নেই আমি ছোট্ট একজন খামারী যেমন আছি তেমনই অনেক ভালো আছি।
গরু পালন করছি লাভের অংশ দিয়ে চলছি ফিরছি ফ্যামিলির দেখভাল করছি ভালোই আছি আলহামদুলিল্লাহ।

পাশাপাশি একই সেক্টর বড় না করে অল্প অল্প করে অর্থ সঞ্চয় করে অন্যান্য জায়গায় ইনভেস্ট করছি এবং আয়ের উৎসব বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আমার মনে হয় আমি এতক্ষণ যতগুলো কথা লিখলাম আপনারা সঠিকভাবে সবকিছু নিয়মমাফিক করলে আপনারা কোনদিন লস এর সম্মুখীন হবেন না।
এবং খামারের মাধ্যমেই নিজের জীবন পরিচালনা করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।

আর সর্বশেষ একটা কথাই বলতে চাই যেটা আমি সবসময় বলি, খামার করতে গেলে খাদ্য নির্ভরশীল হতে হবে।
নিজের গরুর খাদ্য নিজেকে তৈরি করতে হবে কোন ফিড কোম্পানির উপর নির্ভরশীলতা চলবে না।
মনে রাখবেন ফিড নির্ভর বা অন্যের তৈরি খাবার নির্ভর খামার কোন দিনই সফলতা অর্জন করতে পারে না।
তার সব মুনাফা চলে যায় সেই কোম্পানির কাছে যে কোম্পানির খাবার সে ক্রয় করে খাওয়াচ্ছে।
তাই খামারে লাভবান হতে অবশ্যই নিজের গরুর খাদ্য নিজেকে তৈরি করতে হবে এবং সঠিক মান নিশ্চিত করতে হবে।
যাতে কম খরচে অধিক পুষ্টিমান খাবার নিজে তৈরি করে খাওয়াতে পারেন।

সব সময় চেষ্টা করি নিজে যা জানি নিজের অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার। (কোন কিছু আর থাকবে না গোপন)

23/07/2023

ঢাকা শহরে টাকা পয়সা কামানো টাফ।

তবে, একজন রিক্সাওয়ালা মাসে অন এভারেজ কামায় ৩০/ ৩৫ হাজার টাকা।

একজন উবার চালক অলমোস্ট ৪০ হাজার টাকা কামায়।

একজন ডেডিকেটেড ঝালমুড়ি বিক্রেতা কামায় ৬০ হাজার টাকা।

একজন ডাব বিক্রেতা সব খরচ বাদ দিয়া কামায় ৬৫ হাজার টাকা।

একজন রাস্তার ধারের চা দোকানদার সঠিক পজিশনে বসতে পারলে কামায় ৩৫ হাজার টাকা।

বাসে ঘুরে ঘুরে পানি, জুশ বিক্রেতা কামায় ২৭ হাজার টাকা।

১৫/২০ বছর পড়াশোনা করা একজন ফ্রেশ গ্রাজুয়েট কামায় ১০/১৫ হাজার টাকা। তাও শইল্যের তেল পানি খরচ কইরা অনেক অনেক গালিগালাজ সহ্য কইরা।

সাথে আবার মাসে ১০/১২ বার সুইসাইডাল চিন্তাভাবনা।

এই যুগে পড়াশোনার ভ্যালুটা আসলে ঐভাবে আমি আর দেখতে পাইতেছি না।

সব থেকে জরুরি শিক্ষা হইলো ফ্যামিলি শিক্ষা আর যোগ বিয়োগ জানা।

বাকী সব এখন স্ক্যাম।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ট্রফি নিয়ে উদযাপন করছে ঢাকা বিমানবন্দর হাইওয়েতে।অভিনন্দন বাঘীনী।
21/09/2022

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ট্রফি নিয়ে উদযাপন করছে ঢাকা বিমানবন্দর হাইওয়েতে।
অভিনন্দন বাঘীনী।

07/09/2022

মেট্রোরেলের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৫ টাকা, সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা, উত্তরা থেকে কমলাপুর ১০০ টাকা।

06/09/2022

ভইরা দিলি!!!

Address

Pabna

Telephone

+8801759082272

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আধুনিক কৃষি ও খামার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share