Jahid Hasan

Jahid Hasan আমার পেজে আপনাকে স্বাগতম
লাইক কমেন্ট শেয়ার এবং ফলো করে আমার পেজের পাশে থাকুন
(1)

ময়না তার বাবাকে মায়ের পরোকিয়ার কথা বলে দিয়েছিল আরও তিন দিন আগে🤔আর সেজন্য ময়নাকে মারার প্লান করে তার মা🥲এজন্য ময়না তার বা...
12/07/2025

ময়না তার বাবাকে মায়ের পরোকিয়ার কথা বলে দিয়েছিল আরও তিন দিন আগে🤔আর সেজন্য ময়নাকে মারার প্লান করে তার মা🥲এজন্য ময়না তার বাবাকে তাড়াতাড়ি বাড়ি আসতে বলছিল🥲বাবা বাড়িতে আসলো কিন্তু মেয়েকে বাঁচাতে পারলো না😭

"আর যদি নড়া চড়া করো কস*ম ঈশু একটা থাপ্প*ড় ও এদিক সেদিক যাবেনা"!" উহু,, হুহ,,উম্ম(নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে) "যানতাম আমি ...
12/07/2025

"আর যদি নড়া চড়া করো কস*ম ঈশু একটা থাপ্প*ড় ও এদিক সেদিক যাবেনা"!
" উহু,, হুহ,,উম্ম(নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে)
"যানতাম আমি ভালো কথার মেয়ে তুমি নও!তোমার মতো মেয়েকে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা আমার ভালো করেই যানা আছে!
চলন্ত গাড়িটাকে এক সাইডে দাড় করিয়ে,রুমালে স্প্রে নিয়ে ঈশার নাকে চেপে ধরে ঈশান মুহূর্তেই ঘুমে আছন্ন হয়ে যায় ঈশা।
একটি দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে ঈশান ঈশার হাতের বাধন খুলে দেয়।শক্ত করে বাধার ফলে ঈশার ফর্সা হাত টক*টকে লাল হয়ে যায়।মুখের সাথে বাধাঁ রুমাল আলতো করে খুলে দেয়।ঈশার মাথাটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে আবারো ড্রাইভিং করতে শুরু করে।কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তারা একটি বাংলোর সামনে হাজির হয়। এখনো ঘুমে আছন্ন হয়ে আছে ঈশা।তার কপালের মাঝে আলতো করে চু'মু খেয়ে গাড়ি থেকে তাকে কোলে তুলে নেয় ঈশান আর তার মুখের দিকে একপলক তাকিয়ে বাংলোর ভেতরে ডুকতে থাকে।গেটের সামনে দারোয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে,
" আমার অনুমতি ছাড়া কেউ যেন বাংলোর ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে।"
"আপনার কথাই হবে ছোট সাহেব"
"গুড"(মাথা নেড়ে)
বোতল থেকে পানি নিয়ে ঈশার মুখে অনবরত পানির ঝাপটা দিয়ে যাচ্ছে ঈশান।প্রায় তিন মিনিট পর পিট পিট করে চোখ খুলে ঈশা।তার সামনে ঈশানকে দেখে মুখে হাত দিয়ে হু হু করে কেদে উঠে সে,
"আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ কেন এমটা করছেন আপনি?হঠাৎ করে আপনার রেগে যাওয়ার কারনটা কি আমি তো কোন অন্যয় করিনি?
ঈশার দিকে সে তাকিয়ে আগুন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে,
" কাল তুমি লিমনের বাইকের পিছনে কেন বসেছ?(গম্ভীর কন্ঠে)
ঈশানের মুখে কথাটি শুনে ঈশা বেশ অবাক হয়ে যায়। কেননা তার জানা মতে ঈশান তার বন্ধুদের সাথে কক্সবাজারে ছিল তবে সে যানলো কি করে?
"সে আমার বন্ধু আমি তার বাইকে উঠতেই পারি তাতে আপনার এতো রেগে যাওয়ার কি আছে?
" কয়েক দিন আগেও দেখলাম লিমনের হাত থেকে বেশ আয়েশ করে হাসতে হাসতে ফুসকা খেলে আমার কথা কি ভুলে যাও অন্য ছেলে সামনে পেলে ?( রেগে)
ঈশা একটা ঢোক গিলে ঈশানের দিকে তাকিয়ে থাকে।সবটা যখন ঈশান যেনে গেছে তাহলে তার আর রক্ষে নেই।তাকে শাস্তি দিতে যে এই বাংলোতে এনেছে তার কাছে এখন সবটা পরিষ্কার
হঠাৎ করে ঈশান তার চুল গুলো মুঠো*য় নিয়ে নেয়।হঠাৎ আক্রমনে সে ঘাবড়ে যায় আর ব্য*থায় আর্ত*নাদ করে উঠে।
"আহ...!আমাকে ছেড়ে দিন লাগছে আমার(চিৎ*কার করে)
" ছাড়তে তো তোকে আমি এখানে নিয়ে আসিনি।আজ তোর সাথে কি কি হয় দেখবি তুই!

ঈশান চুল ছেড়ে বিছানার সামনে থাকা টি-টেবিল থেকে একটি প্লেট তুলে নেয় প্লেটের ডাকনা তুলতেই ঈশার চোখ বড় যায়।প্লেটের মধ্যে বেশ ঝাল দিয়ে ফুসকা রাখা আছে আর অসংখ্যা কাচামরিচের কুচি ফুসকার উপর ছড়িয়ে আছে।ঈশান ঈশার পাশে বসে একটি বাকা হাসি দিয়ে বলে😎
"ঈশু বেবি চলো ফুসকা খাওয়া যাক।এটা তোমার লিমনের হাতের টক মিষ্টি ফুসকা না এটা এই ঈশান শাহরিয়ারের হাতের ফুসকা।আমার হাতের ফুসকা আমার মতোই ঝাঁঝ হবে তাই আমাকে যেভাবে সহ্য করেছো আমার ফুসকার টেস্ট টাও সহ্য করো।"
এই কথা বলে ঈশান তার মুখের সামনে ফুসকা ঠে*সে ধরে,
ঈশা অনবরত মুখ দিয়ে "না না " শব্দ করে যাচ্ছে সে তার মুখে হাত দিয়ে চেপে আছে। কিন্তু ঈশানের বলিষ্ঠ হাতের কাছে ঈশা পেরে উঠে না।এভাবে একে একে বেশ কয়েকটি ফুসকা ঠেসে দেয় তার মুখে। অতি'রিক্ত ঝালে ঈশার দম বন্ধ হয়ে আসছে। কিন্তু তাতেও থামেনা ঈশান একের পর এক ফুসকা জোর করে গেলাতে থাকে। এদিকে ঈশা কাশতে কাশতে চোখ উলটে ফেলে। তার প্রান পাখিটা যেন এখনি বেরিয়ে যাবে।ঈশার অবস্থা খারাপ দেখে এবার ঘাবড়ে যায় ঈশান।
"ঈশু কি হয়েছে বেশি ঝাল লেগেছে (ঘাবড়ে গিয়ে)
ঈশানের কোন কথা ঈশার কানে যেন ডুকছে না। সে অনবরত কাশতে থাকে।সে চারিদিকে পানি খুজতে থাকে কিন্তু কোথাও কোন পানি নেই ঈশান ঈশার দিকে তাকিয়ে আবারো রহস্যময় হাসি দিয়ে বলে,
" বেশি ঝাল লাগছে বুঝি আচ্ছা আমি আবার ঝাল কমিয়ে দিচ্ছি যাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ।
ঈশান ঈশার মাথার পেছনের চুল গুলো চেপে ধরে মাথাটা ঝুকে ঠোঁ*টে ঠোঁ*ট মিশিয়ে দেয়।
ঈশানের এমন কাজে চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকে ঈশা।আর এদিকে ঈশান চোখ বন্ধ করে ঈশার মাঝে নিজেকে বিলীন করে দেয়।
"তুই সাইনটা করে দে ঈশা। তুই সাইন করলে আমি ও নিশ্চিন্ত আর তুইও আমার শিকল থেকে বেরতে পারবিনা.(একটি ম্যারিজ রেজিস্ট্রি পেপার নিয়ে ঈশার সামনে বসে আছে ঈশান)
" না না না আমি কিছুতেই সাইন করবো না,
"আমি বলছি তুই সাইন কর (চিল্লিয়ে)
" না আমি কিছুতেই সাইন করবো না।আপনি একটা পাগ*ল! আপনাকে আমি কিছুতেই বিয়ে করবো না!(দাতে দাত চেপে)
"হ্যা আমি পাগ*ল! তোর জন্য পাগ*ল আমি! কিন্তু তুই তো বুঝিস না! (চিল্লিয়ে)
" আমি বুঝতেও চাইনা বিকেল হয়ে যাচ্ছে আমাকে ছেড়ে দিন আমি বাসায় যাবো(নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করে।)
"যেতে দিবো আগে সাইনটা করে দাও তুমি আমি সত্যি তোমার বাড়ি গিয়ে তোমায় পৌছে দেবো!(শান্ত সুরে)
" বল্লাম তো করবো না জোর করছেন কেন।আপনার থেকে লিমন হাজার গুনে ভালো অনন্ত আমাকে কষ্ট দেয় না(নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করে)

লিমনের কথা শুনে মূহুর্তেই ঈশানের মাথা গরম হয়ে যায় সে ঈশা কে গলা চেপে ধরে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে নেয়।
"তোর মুখে আবারো লিমনের নাম কেন আসলো এতো বার বারন করা সর্তেও তুই আবার ওর নাম নিলি"(রেগে)
ঈশা নিজেকে ছাড়া চেষ্টা করে কিন্তু কিছুতেই ছাড়াতে পারছেনা হঠাৎ তার চোখে পরে একটি ওয়ার ডপের উপর বড় ফুলদানি।সে ফুলদানিটা হাতে তুলে নেয় আর ঈশানের মাথায় জোরে আঘাত করে সাথে সাথে ঈশান তাকে ছেড়ে মাথা চেপে ধরে র*ক্ত ঈশানের মাথা থেকে চুই'য়ে চুই'য়ে পড়ছে তার চোখ আসতে আসতে বন্ধ হয়ে আসছে কিন্তু তবুও ডান হাতে শক্ত করে আবারো ঈশাকে জড়িয়ে ধরে,
" আমাকে ছেড়ে যেওনা ঈশু প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেওনা।(দূর্বল কন্ঠে)
ঈশানের অবস্থা দেখে সে ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু তবুও নিজেকে বাচাঁতে ধা*ক্কা দিয়ে ঈশানকে সরিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে যায় রুম থেকে আর সোজা নিচে চলে যায়।গেটের সামনে দারোয়ান তাকে বাধা দিলে একটি ফুলের টব তুলে দারোয়ানের মাথায় আঘা*ত করে। দারোয়ান গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। আর ঈশা দৌড়ে বেরিয়ে যায় গেট থেকে আর ভাবতে থাকে ৭ মাস আগের অতীত... যেদিন থেকে দেখা হয় এই অভীশ*প্ত ঈশানের সাথে........

তুমি_আমার_

লেখক - পলি_আনান
পর্ব ১

 #ইংলিশ_টিচারসুমনা হক১+২ পর্ববাবা তুমি যদি একটা রিকশাচালক এর সাথে আমার বিয়ে দিতে চাইতে আমি আপুর জন্য না হয় বিয়েটা করেই ফ...
10/07/2025

#ইংলিশ_টিচার
সুমনা হক
১+২ পর্ব

বাবা তুমি যদি একটা রিকশাচালক এর সাথে আমার বিয়ে দিতে চাইতে আমি আপুর জন্য না হয় বিয়েটা করেই ফেলতাম কিন্তু আমি এই লোকটাকে বিয়ে করতে পারবোনা।

মিলির বাবা মেয়ের এই কথা শুনে চুপ হয়ে গেলো, চুপ হবে নাই বা কেন বিয়ে বাড়িতে কত্ত মানুষ আর তার চেয়ে বড় কথা যার সম্পর্কে এসব বলছে সে ও এখানে উপস্থিত।

মিলির বাবা মিলিকে বলছে,

-এই ছেলে তোর কলেজ এর টিচার আর তুই তাকে রিকশাচালক এর সাথে তুলনা করছিস?

-বাবা তুমি কি জানো এই লোকটাকে রিকশাচালক এর সাথেও তুলনা করা ঠিক না,আর যদি তুমি তা করো রিকশাচালকদের অপমান করা হবে।

-মিলি কি সব বলছিস তুই? এমনি তোর বোন চলে গেছে বিয়ে না করে আর তারমধ্যে তারা যে তুকে তুর বোন এর জায়গায় নিয়ে যাবে সেটাই তো বেশি।তারা তো আমাদের এখন পর্যন্ত অপমান করে নাই বরং ভালোভাবে চেষ্টা করছে জেনো সমস্যার সমাধান করা যায়।
-বাবা আমি এত্ত কিছু জানিনা। আমি এই বিয়ে করছিনা এইটাই শেষ কথা।
তখন মিলির হবু শ্বশুর এসে মিলিকে বললো
-আচ্ছা মা আমার ছেলেকে তোমার এত্ত অপছন্দ কেন বলতো?
-আংকেল মশাই আপনি জানেন সে আমাকে একদিন ক্লাস থেকে বের করে দিছে একটু লেইট করে ক্লাসে গিয়েছিলাম তাই।
-এই একটা কারনে আমার ছেলেকে এত্ত অপছন্দ করো?
-না আংকেল মশাই, এইটা তো জাস্ট শুরু ছিলো। তার জন্য আমি ১ম সেমিস্টার এ ইংলিশ এ ফেইল করছি।
-আমার ছেলের জন্য ফেইল কিভাবে করলে?সে কি তোমার খাতায় নাম্বার দেয়নি?
মিলির এসব কথা শুনে ও শুভ চুপ ছিলো কিন্তু এবার সে আর চুপ করতে পারেনি, সে তার বাবাকে বললো
-ফেইল করবেনা তো কি করবে বাবা? তুমি জানো পুরো খাতা জুড়ে সে একটাই লিখেছে আর সেটা কি জানো?
ডিয়ার স্যার প্লিজ পাশ মার্ক দিয়ে দিয়েন।আসলে ১ সপ্তাহ হলো মামার বিয়ে খেয়ে আসলাম আর মামার বিয়ে খেয়ে আসার পর মনে হচ্ছিলো নিজের বিয়েটা কবে জানি হবে। বুঝেনি তো বিয়েবাড়ির আমেজ টা অনেকদিন থাকে আর এই আমেজ থাকতে থাকতে পরীক্ষা এসে গেলো তারমধ্যে আর পড়া হয়নি।আর হ্যা আমার রুল ৯৯ বলে ভাববেন না জেনো আমি খারাপ ছাত্রী আসলে সেই পরীক্ষায় ও এক মামার বিয়ে ছিলো সো বুঝতেই পারছেন।

এই কথা শুনে বিয়েবাড়ির সবায় হাসা হাসি শুরু করলো।
এরিমধ্যে মিলি বলে উঠলো
-বাবা আমার তো মামাই নাই, তুমিই বলো আমি এসব কেন লিখতে যাবো? তুমি এই লোকটাকে বলো তার কাছে কোনো প্রমাণ আছে নাকি আমি যে এসব লিখছি?
শুভ রেগে আগুন হয়ে আছে আর সে জানিয়ে দেয় এমন মিথ্যা যে বলে সে মেয়েকে সে বিয়ে করতে পারবেনা।
এবার পাত্রপাত্রী দুইজন একমত যে তারা বিয়ে করবেনা।
বাসায় ঠাণ্ডা থমথমে পরিবেশ হয়ে আছে।
ঘন্টা খানিক পর মিলির বাবা গেলো শুভ কে রাজি করাতে আর শুভুর বাবা গেলো মিলিকে রাজি করাতে।

মিলির বাবা গিয়ে শুভকে বলে
-আসলে বাবা মিলির এই পাগলামির জন্য আমরাই দায়ী। আমার বড় মেয়ে সমসময় পড়াশুনোতে ভালো ছিলো তাই মিলিকে ছোট থেকেই অনেক কথা শুনতে হতো কেন বোনের মতো হতে পারেনি। কিন্তু পড়াশুনা ছাড়া সব দিকে মিলি অনেক ভালো তা খেয়াল করেনি যার জন্য আজ মিলি পড়ালেখা কে এত্ত ভয় পায়।আর সে যদি ইংলিশ টিচার হয় তাহলে তো কথায় নাই।
বাবা প্লিজ তুমি আমার মেয়ের পাগলামি গুলার জন্য বিয়েটা বন্ধ করোনা,লোকে তারপর দেখা যাবে আমার দুই মেয়েকে নিয়ে নানান বাজে মন্তব্য করবে।

কথা গুলো শুনে শুভ অনেকটাই বিয়েতে রাজি হয়ে গেছে কিন্তু মিলিকে রাজি করাবে কিভাবে তাই ভেবে পাচ্ছিলো না শুভর বাবা।
মিলির রুমে এসে শুভর বাবা বললো
-মিলি আসবো?
-আসেন আংকেল। কিছু বলবেন?
-মিলি আমি তোমাকে কিছু ভালো বুদ্ধি দিবো যদি তুমি চাও।
-জ্বী আংকেল বলেন।
-তোমার কি ইচ্ছে করেনা শুভকে রুম থেকে বের করে দিতে? যেমনটা তোমাকে করে দিয়েছিলো?
-জ্বী ইয়ে মানে আংকেল ইচ্ছে তো সেই কবে থেকেই করে কিন্তু পসিবল তো আর না।
-অবশ্যই পসিবল।তুমি বিয়েটা করে ফেলো যখন দেখবে শুভ লেইট করে বাসায় আসছে তখন শুভকে রুম থেকে বের করে দিবে আর তখন আমি সাপোর্ট দিবো। আর বাসায় শুভ যতক্ষণ থাকবে এত্ত প্যারা দিবে যে সে কলেজ এ গিয়ে তোমাকে দেখেও না দেখার ভান করবে পড়া জিজ্ঞাস করবে তো দূরের কথা। ভালো না আইডিয়া টা?

চলবে,,

#ইংলিশ_টিচার
২য় পর্ব
সুমনা হক

মিলি হাসি হাসি মুখ করে বললো

-আংকেল ফেইসবুক ইউজ করেন তো??

-ইয়ে মানে আইডি তো ছিলো কিন্তু শুভর মা আর শুভ ইউজ করতে দেয় না।তাদের মনে হয় এই বয়সে এসে ফেইসবুক ইউজ করলে লোকে হাসবে।

-এখন থেকে ইউজ করবেন। এত্ত ভয় পাবেন না। কি এমন বয়স আপনার হয়েছে বলেন তো।মাশাল্লা এখনো ইয়াং লাগছে আর হ্যা আমাকে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিবেন তারপর রিলেটিভ লিস্ট এ এড দিবেন মেয়ে হিসেবে।
-তার মানে তুমি রাজি বিয়ে করতে?
-জ্বী শ্বশুর আংকেল।
শুভর বাবা মিলির শ্বশুর আংকেল ডাক শুনে হাসি দিচ্ছিলো।তার মনে হচ্ছিলো মেয়েটা অনেক টা বাচ্চাদের মতো ইনোসেন্ট আর একটু পাগলাটে । তার মিলিকে অনেক পছন্দ হয়েছে ছেলের বউ হিসাবে। শুভর বাবার বয়স হয়েছে ঠিকি কিন্তু এই পাগলামি গুলা সে পছন্দ করে সবার তো রবোটিক্স জীবন পছন্দনীয় হবে সেটা তো আর না।

মিলিকে সে বললো
-মিলি তুমি তোমার মতো করে একটু সেজে আসো।
-আচ্ছা শ্বশুর আংকেল।

নীল শাড়ী পড়ে,চোখে গাড় করে কাজল দিয়ে,খোঁপাতে বেলী ফুলের মালা পেঁচিয়ে মিলি সবার সামনে এসেছে।
সবায় তো অবাক!
এটা কারো বিয়ের সাঝ হতে পারে? কিন্তু মিলিকে এখন কিছু বললে সে তো বিয়েটাই করবে না। তাই সমাই চুপ।
এভাবে মিলি আর শুভর বিয়েটা হয়ে যায়।
বিয়ের পর মিলি একটা মিষ্টি নিয়ে শুভকে খাওয়াতে যায় আর শুভ খাবে না বলে দেয়।

মিলি জোর করে একটা মিষ্টি খাইয়ে বলে "করলা স্যার নেন মিষ্টি খান আর আপনার তিতো মুখটা মিষ্ট করেন।"
শুভ বেচারা রেগে আগুন হচ্ছিল।মিলি মনে মনে বলছিলো "করলা স্যার এইটা মাত্র ট্রেলার ছিলো ফুল মুভি তো বাকি"

এবার মিলির বিদায় এর পালা কিন্তু মিলি তো কান্নাকাটি করছেনা অন্য মেয়েদের মতো বরং সে হাসিহাসি মুখ করে গাড়িতে উঠে যাচ্ছে। ঠিক তখন মিলির বাবা শুভর হাতে ধরে বলে "বাবা প্লিজ আমার মেয়েটা দেখো, ও একটু পাগলাটে স্বভাব এর কিন্তু মেয়ে ভালো। আর বাবা আমার মেয়ের পড়াশুনা কিন্তু এবার তোমার দায়িত্ব,আমি চায়না সবাই ভাবুক একটা অযোগ্য মেয়েকে আমি তোমার ঘাড়ে ঝুলিয়ে দিয়েছি।

শুভ ও তাকে শান্তনা দিয়ে বললো টেনশন না করতে।

শুভ মিলির বাবাকে টেনশন করতে না বলে সে নিজেই টেনশন এ পরে গেছে।সে যে কলেজ এর টিচার সেখানকার সবচেয়ে খারাপ ছাত্রী হলো মিলি যে কিনা এখন তার স্ত্রী।
মিলি আর শুভ এবার শুভদের বাসায় চলে আসলো। মিলির শাশুড়ির তেমন মিলিকে পছন্দ হয়নি।

সব নিয়মাদি পালন করে অবশেষে এবার মিলিকে শুভর রুমে নিয়ে গেলো। মিলি তার শাশুড়ি কে বললো
-শাশুড়ি আন্টি আপনি আমাকে লাইব্রেরি তে কেন নিয়ে আসছেন? আপনার ঘরে কি আর রুম নাই থাকার মতো?
-লাইব্রেরি তে কেন নিয়ে আসবো? এইটা শুভর রুম আর আজ থেকে তোমাদের দুজনের রুম।আর হ্যা আম্মু বলবা আর না বলতে পারলে আন্টি বলবা এভাবে বলবেনা ঠিক আছে?
-আচ্ছা ঠিক আছে শাশুড়ি আন্টি না ইয়ে মানে আম্মু।
এরপর এক এক করে সবায় রুম খালি করে চলে গেলো।এক ননদ তো মজা করে রুমের লাইট ও অফ করে চলে গেছে।এদিকে এত্ত বই দেখে মিলির তো মাথা ঘুরপাক খাচ্ছে,মনে হচ্ছে যেন বইয়ের মধ্যে এলার্জি আছে মিলির।এরিমধ্যে শুভ এসে হাজির,রুমে লাইট অফ তাই সে বলে উঠলো
"মিলি "

মিলি বলে উঠলো "প্রেজেন্ট প্লিজ" থুক্কু জ্বী আছি।
শুভ বললো
-লাইট তুমি অফ করেছো?
-না আমি করিনি, আম্মুর সাথে আসছিলো তাদের মধ্যে কেউ একজন অফ করেছে।
শুভ লাইট অন করে মিলির পাশে বসেছে একটু কথা বলবে বলে ঠিক তখনি মিলি কাচের গ্লাসে রাখা দুধটা শুভর মাথায় ঢেলে দিলো।
শুভ মিলিকে ধমকের সুরে বললো
-এই মেয়ে শয়তানে ধরেছে নাকি?
-আপনার এক বোন আমাকে কানে কানে বলে গেলো তাই করলাম।
-আমার কোন বোন বলে গেছে? মিথ্যা বলা টা তো তোমার অভ্যাস।
-আসলে কানেকানে বলছে তো ঠিক বুঝি নাই।আর হ্যা আমাকে কিন্তু একবার জ্বিনে আছর করছিলো।আসলে মিথ্যা বলা আমার স্বভাব এ নাই তাই সব সত্যটা বলছি,এখনো মাঝেমধ্যে আমি দেখতে পায় তাদের। আসলে ঐ জ্বিন টা আমাকে পছন্দ করতো তো এখন আমার বিয়ে হয়ে গেছে শুনলে আল্লাহ না করুক আপনার সাথে খারাপ কিছু না হয়ে যায়।

-এই মেয়ে আমি তোমার টিচার। তাই এসব আলতো ফালতু গল্প বলে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেনা। আর এসব জ্বিন আমাদের বাসায় চার পাঁচটা সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি,আমার দাদা জ্বিন পোষে জানতে না তুমি?

-কি? জ্বিন আছে এ বাসায়। ও আল্লাহ কি বলে এসব না না আমি থাকছিনা এ বাসায়। শ্বশুর আংকেল কে ডাক দিন আমি বাসায় যাবো।

চলবে,,,,

গল্প রোমান্টিক জ্বিন বরপর্ব: ০৩লেখক__মোঃ__নিশাদদেখ খুশি সত্যি করে বল তোর সাথে কোন জ্বিন আছে কিনা সে তোর সাথে দেখা করে কি...
08/07/2025

গল্প রোমান্টিক জ্বিন বর
পর্ব: ০৩
লেখক__মোঃ__নিশাদ

দেখ খুশি সত্যি করে বল তোর সাথে কোন জ্বিন আছে কিনা সে তোর সাথে দেখা করে কিনা।

খুশি: না মা সত্যি আমার কাছে কেউ নেই। জানিনা হুজুর তোমাদের কার কথা বলছে।

খুশির বাবা: ঠিক আছে না থাকলেই ভালো,, আমরা তাহলে আজকে বিকেলেই বাড়িতে চলে জাবো।

খুশির বাবার কথা শুনে, ও রুমে চলে গেলো আর জানালার পাশে বসে চিন্তা করতে লাগলো, ঠিক তখনি বাইরে থেকে শেহজাদ খুশিকে ইশারা দিয়ে বাইরে যেতে বললো,, খুশি ও একটু পর বাইরে গিয়ে শেহজাদের সাথে দেখা করলো, দেখা হতেই শেহজাদ বললো।

শেহজাদ: কি খবর, তোমার সব ঠিকঠাক আছে তো।
খুশি: আমি, মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ ঠিক আছি, আপনার কি অবস্থা, শ*রীল ঠিক আছে তো।

শেহজাদ: আমাকে নিয়ে ভেবনা আমি ঠিক আছি।
খুশি: আচ্ছা আপনাকে একটা কথা বলি, আপনি কাল সন্ধাবেলা আমার কাছে আসলেন কিভাবে, আপনি কিভাবে জানেন আমি আমার খালার বাড়িতে আসসি।

শেহজাদ: ওহ এই কথা। আমার বাড়ি তো ওই দিকে নদীর ওপারে কয়েকটা বাড়ি আছেনা ওখানে আমার বাড়ি।

খুশি: ওহ, কাল ভয়ং*কর জ্বিনটার হাত থেকে বাঁ*চানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

শেহজাদ: ধন্যবাদ লাগবেনা ভালোবাসা দাও৷ আমিতো প্রথম দেখায় তোমাকে ভালোবেসে ফেলছি।
খুশি: আপনি কেনো বুঝতে চাইছেন না। আমি রিলে*শন করবোনা। ভালো থাকবেন আপনি,, আমরা আজ বিকেলেই বাড়িতে চলে যাচ্ছি।

এই বলে খুশি সেখান থেকে চলে আসলো, আর কথামত খুশি ওর মা বাবা সহ বাড়িতে চলে আসলো।

বাড়িতে আসার পর সেই রাতে খুশির রুমে হামজা জ্বিন চলে আসে, হামজা আসতেই খুশি বলেন।

খুশি: আপনি আসসেন।
হামজা জ্বিন : হ্যাঁ। কেমন আছো তুমি।
খুশি: ভালোনা। গত কাল মেজো খালার বাড়িতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে মা বাবা একজন হুজুরের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে মা বাবা আপনার কথা জানতে পেরে গেছে৷ আপনি যে আমার কাছে আসেন কথা বলেন হুজুর মা বাবাকে বলে দিছে।

হামজা জ্বিন : আরে তাই নাকি তারপর কি হলো।
খুশি: কিহহ আর হবে, এখনো কিছু হয়নি কখনও ধরা পড়লে হবে।

হামজা জ্বিন : আচ্ছা এসব নিয়ে চিন্তা করোনা কিছু হবেনা।
খুশি: আচ্ছা একটা কথা বলি। আজকে আমার কথা আপনাকে শুনতেই হবে। আপনি আজ আমাকে বলেন, আপনি জ্বিন হয়ে আমার কাছে কেনো আসেন।

হামজা জ্বিন : সত্যিটা শুনবা, ওকে তাহলে শোনো,, তোমাকে আমি পছন্দ করি। ভালোলাগে তোমাকে।

খুশি: কিহহহ, আমাকে পছন্দ করেন। আপনি তো জ্বিন, আর আমিতো আপনাকে দেখিনি।

হামজা : আমাকে দেখার খুব বুঝি তোমার।
খুশি: হ্যাঁ ইচ্ছে তো করে।
হামজা জ্বিন : ওকে, বিছানা থেকে উঠে পিছনে ঘুরে তাকাও। আর হ্যাঁ আমাকে দেখে কোন আওয়াজ করবেনা তাহলে তোমার মা বাবা বুঝে ফেলবে।

হামজা জ্বিনের কথায়, মনের মধ্যে সাহস নিয়ে খুশি বিছানা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আস্তে আস্তে পিছনে ঘুরে তাকান, পিছনে ঘুরে খুশির চোখ আঁটকে জান এত সুন্দর 😲

মনের অজান্তে খুশি বলে উঠেন, এটা আপনি সত্যি, আপনি এত সুন্দর হায় আল্লাহ আমিতো চোখ ফেরাতে পারছিনা।

হামজা জ্বিন : তাই নাকি হাহাহা আস্তে কথা বলো৷ তোমার মা বাবা বুঝে ফেলবে।

খুশি: আপনি এত সুন্দর, আর জ্বিন জাতি, আপনি আমাকে পছন্দ করলেন কেনো আমার তো বিশ্বাস হয়না।

হামজা জ্বিন : কাকে কখনও ভালোলাগে, কে কখন কার মায়ায় পড়ে কেউ জানেনা। তোমাকে আমার ভালোলাগে পছন্দ করি।

খুশি: আমি কি করবো, কিছু বুঝছিনা। আমার সামনে কি হতে চলেছে জানিনা, শেহজাদ নামে একটা ছেলে আমাকে পছন্দ করে ভালোবাসে, এদিকে আপনিও আমাকে পছন্দ করেন, ওদিকে মায়ের সাথে থাকা খা*রাপ ভয়ং*কর জ্বিনটা তার ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে দিতে চায়। আমি কি করবো আপনি বলেন।

খুশির মুখে এসব কথা শুনে হামজা জ্বিন কিছু, একটা বলতে জাবে ঠিক তখনি দরজাটা খুলে খুশির মা বাবা রুমে চলে আসলেন।

খুশির মা বাবা রুমে আসাতেই ঝ*ড়ের বেগে হামজা জ্বিন বাতাসে মিলিয়ে গেলেন।

এদিকে খুশির বাবা মা রুমে আস্তেই খুশি ভয়ে ভ*য়ে জিজ্ঞেস করলো।

খুশি: মা, বাবা তোমরা হঠাৎ আমার রুমে, কিছু কি হইছে।
খুশির মা: কার সাথে কথা বলছিলি।
খুশি: কই কারো সাথে নাতো মা কেউ না।

খুশির বাবা: চুপ কর একদম মিথ্যা বলবিনা। আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে সব দেখেছি। হুজুর ঠিকি বলছিলো তোর কাছে জ্বিন আসে কথা বলে।

খুশির মা: একটা খা*রাপ ভয়ং*কর জ্বিন আমার জিবনটা শেষ করে দিচ্ছে, সবি জেনে তুই, জ্বিন জাতির সাথে সর্ম্পক করছিস ও তোকে পছন্দ করে ভালোবাসে নিশ্চয়ই। খুশির বা*প তুমি কিছু একটা ব্যাবস্তা করো।

খুশির বাবা : কালকেই একটা ছেলে দেখে খুশির বি*য়ের ব্যাবস্তা করছি। ওকে আর রাখা ঠিক হবেনা। জ্বিন ওর পিছনে লাগছে, এখন শুয়ে পড়।
খুশির মা বাবা রুম থেকে চলে গেলেন। এদিকে খুশি মন খা*রাপ করে বসে রইলেন।

খুশির মা বাবা চলে জাবার পর হামজা জ্বিন আবারো তার কাছে আসলেন আর বললেন।

হামজা জ্বিন : মন খা*রাপ হলো বুঝি।
খুশি: হবেনা। মা বাবা সব যেনে ফেলছে। আপনার সাথে কথা বলতে দেখছে, এখন মা বাবা বলতেছে কালকে কোন ছেলে দেখবে আমার বি*য়ের জন্য।

হামজা জ্বিন : তাই নাকি,, বললেই তো বি*য়ে হয়না। চিন্তা করোনা কিছু হবেনা। আমি এখন যাই সময় হলে আবার আসবো।

এই কথাটা বলে জ্বিন চলে গেলো। খুশি ও চিন্তায় চিন্তায় ঘুমিয়ে পড়লো।

পড়েরদিন সকালে, খুশি বাড়ির পাশে এক জায়গায় মন খা*রাপ করে বসে ছিলেন, হঠাৎ সেখানে শেহজাদ নামে সেই ছেলেটা আসে, শেহজাদকে দেখে খুশি বলেন।

খুশি: আরে আপনি, আপনি এখানে।
শেহজাদ: কেনো আসতে পারিনা বুঝি।

খুশি: পারেন কিন্তু, আমার বাড়ির ঠিকানা পেলেন কিভাবে।
শেহজাদ: কাউকে ভালোবাসলে তার ঠিকানা ম্যানেজ করা কোন ব্যাপার না, আর আমিতো আপনার বাড়িতে আসিনি, আপনাকে দেখতে, আপনার সাথে কথা বলতে আসসি।

খুশি: আমার সাথে আবার কি কথা। আমার কথা বলার মুড নাই মন খা*রাপ।
শেহজাদ: কেনো, কেনো মহারানীর মন খা*রাপ কেনো।

খুশি: আমি মোটেও মহারানী না। আর আমার বি*য়ে, তাই মন খা*রাপ।

শেহজাদ: মানে, মজা করছেন তাইনা।
খুশি: মজা কেন করবো৷ মা বাবা বলছে আজকে আমার বি*য়ের জন্য ছেলে দেখবে, বি*য়ে দিয়ে দিবে আমাকে।

শেহজাদ: না না, এটা হতে পারেনা। আপনাকে আমি পছন্দ করি ভালোবাসি, তাহলে অন্য কারো সাথে বি*য়ে হবে কেনো।

খুশি: আপনারা দুজন কি শুরু করছেন বলুনতো। আপনি বলেন আমাকে ভালোবাসেন পছন্দ করেন, ওদিকে সে ও বলে আমাকে ভালোবাসে পছন্দ করে, আমি কার কথা শুনবো কি করবো।

শেহজাদ: মানে কি, কার কথা বলছেন, আমি ছাড়া অন্য কেউ আছে নাকি আরো।
খুশি: হ্যাঁ আছে, ভূত আছে।

আমি: কিহহ, হাহাহা, আজকাল ভূত ও কি মানুষের সাথে প্রেম করে নাকি।
খুশি: হাঁসবেন না, সত্যি বলছি একটা জ্বিন আছে, সে আমাকে পছন্দ করে ভালোবাসে।

শেহজাদ: কিহহ, বলেন সত্যি নাকি।
খুশি: হ্যাঁ তিন সত্যি । ওনার নাম হামজা। এখন আপনি বলুন আমি কি করবো।

শেহজাদ: কি করবেন, আপনি বুঝেন না। আমি এতকিছু জানিনা। আমার আপনাকেই লাগবে। আপনার মা বাবা ছেলে খুঁজছে না আমি আজ সন্ধায় আমার মা বাবাকে নিয়ে আপনার বাড়িতে আসবো বি*য়ের প্রস্তাব নিয়ে।

খুশি: কিহহ, বলেন এমন পা*গলামী করবেন না।
শেহজাদ: পা*গলামীর কি হলো। ওই আমি কি এতটাই খা*রাপ যে আমাকে বি*য়ে করা জাবেনা, আচ্ছা আমি আপনার মা বাবার কাছে বি*য়ের প্রস্তাব নিয়ে আসবো ওনারা যদি রাজি না হন তাহলে আমি কথা দিচ্ছি আপনার সামনে জিবনেও আসবোনা৷

খুশি: আপনার যা ভালো মনে হয় করেন।
শেহজাদ: ওকে,, আজকে সন্ধায় মা বাবাকে নিয়ে আসবো।

এই বলে শেহজাদ চলে গেলো। খুশি মন খা*রাপ করে ভাবতে লাগলেন সে এখন কি করবে, মনের অজান্তে, তার হামজা জ্বিনকে ভালো লেগে গেছে কিন্তু সে তো জ্বিন জাতি,, তার মা বাবা কখনও জ্বিন জাতিকে মেনে নিবেনা।।

যাইহোক এভাবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো, বিকেল গড়িয়ে সন্ধা।

সন্ধায় শেহজাদ ওর মা বাবাকে নিয়ে খুশিদের বাড়িতে আসলেন
খুশিদের বাড়িতে আসার পর খুশির বাবা বললেন।

খুশির বাবা: আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের তো ঠিক চিন্তে পারলাম না।
শেহজাদের বাবা: ওয়ালাইকুম আসসালাম, আমরা কি বসে কথা বলতে পারি।

খুশির বাবা: হ্যাঁ ভিতরে আসুন বসুন এখানে, এখন বলুন কি বলবেন।
শেহজাদের বাবা: আসলে আমরা আসসি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে, আপনার মেয়ে খুশিকে আমার ছেলে অনেক পছন্দ করে।

শেহজাদ: চাচা, সত্যি বলতে খুশিকে আমি পছন্দ করি, খুশি আমাকে চেনেন, আমাদের মধ্যে কিন্তু কোন প্রেম নেই। খুশি খুবি ভালো মেয়ে সে আপনার কথামত বিয়ে করবে বলে অনেক বলার পরও প্রেম করতে রাজি হয়নি, আমি শুনলাম ওর বি*য়ে দিবেন তাই মা বাবাকে নিয়ে আসলাম।

শেহজাদের বাবা: ভাই সাহেব, শেহজাদ আমার একমাত্র ছেলে, আমাদের ভালো ব্যাবসা আছে, আপনার মেয়ে খুশি আমার বাড়ির বউ হলে, সুখে থাকবে নিজের মেয়ের মত থাকবে, এখন আপনারা কি বলেন।

খুশির বাবা: দেখুন বি*য়ে সাদির ব্যাপার একটু ভেবে চিন্তে দেয়া ভালো, আপনারা আসসেন কথা বললাম, নাস্তা করুন, আমি আপনার কালকে জানাবো, আমরা খুশির সাথে আপনার ছেলের বি*য়েটা দিবো কিনা।

এই বলে, খুশির মা বাবা শেহজাদের মা বাবাকে নাস্তা করালেন, অনেক কথা বললেন। বলে তাঁরা চলে গেলেন।

এদিকে সেই রাতে, খুশির কাছে হামজা জ্বিন আসলেন।

তারপর.....
Next....

গল্প : রোমান্টিক জ্বিন বরপর্ব : ০২লেখক__মোঃ__নিশাদএই কথাটা বলে জ্বিনটা সেখান থেকে চলে গেলো,, খুশি ও দেরি না করে সোজা চলে...
06/07/2025

গল্প : রোমান্টিক জ্বিন বর
পর্ব : ০২
লেখক__মোঃ__নিশাদ

এই কথাটা বলে জ্বিনটা সেখান থেকে চলে গেলো,, খুশি ও দেরি না করে সোজা চলে গেলেন বাড়িতে।

বাড়িতে জাবার পর, সেই রাতে খুশি মা বাবার সাথে খাবার খাচ্ছিলেন, খাবারের এক ফাঁকে খুশি ওর মা-কে বললেন।

খুশি: আচ্ছা মা, তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি।
খুশির মা: কি কথা বল?

খুশি: বলছিলাম, তোমার সাথে যে খা*রাপ জ্বিনটা থাকে, সেই জ্বিনটা কতদিন ধরে তোমার সাথে আছে, আর জ্বিনটা তোমাকে ছেড়ে যায়না কেনো।

খুশির মা: এতকিছু শুনে তুই কি করবি, এসব শুনতে হবেনা, খেয়ে ঘুমিয়ে পড় যা।

খুশি: না না আমি শুনবো, বলোনা মা।
খুশির বাবা: খুশি যখন এত করে বলছো বলো স*মস্যা নেই।

খুশির মা: আমি যখন যু*বতী, তখন থেকে সেই খা*রাপ জ্বিনটা আমার পিছনে লাগে,, সেই জ্বিনটা আমার শ*রীলে ভর করতো, আমি পা*গলীর মত হয়ে যেতাম, অনেক সময় আমাকে খুঁজে পাওয়া যেতনা, আমাকে নাকি অনেক সময় জ্ঞান হাড়ানো অবস্থায় পাওয়া যেতো, কোন উচু গাছের ডালে, কখনও বা পাওয়া যেতো বাঁশঝাড়ের পাশে।

খুশি: তা তখন কি কবিরাজ দেখাওনি।
খুশির মা: দেখাইছি তো, আমার এমন অবস্থা দেখে তোর মামা কবিরাজ নিয়ে আসসেন, কবিরাজ আসার পর, আমার উপর সেই জ্বিনটাকে হাজির করিয়ে জিজ্ঞেস করাতেই সেই জ্বিনটা কবিরাজকে বলেন, কোন এক ভর দুপুরে আমি পুকুরে গিয়েছিলাম গোসল করতে, তখন নাকি আমাকে দেখে পছন্দ করছিলো সেই জ্বিনটা।

খুশি: তারপর কি হলো, কবিরাজ কি করলো।
খুশির মা: কি আর করবে, কবিরাজ জ্বিনটাকে তাড়ানোর অনেক চেষ্টা করলো কিন্তু কোন লাভ হলোনা, জ্বিনটা যায় ঠিকি কিন্তু কিছুদিন পর বা কয়েকমাস পর আবার আসে।

খুশি: ওহ বুঝলাম, আচ্ছা মা তুমি কখনও ওই জ্বিনটার সাথে কথা বলোনি।

খুশির মা : হ্যাঁ বলেছিলাম, আমি ওকে জিজ্ঞেস করছিলাম, কেনো আমার পিছনে পরে আছো, আমাকে ছেড়ে চলে যাও। অনেক বলেছি কিন্তু সে যেতে রাজি হয়নি, একবার রাজি হইছিলো, একটা সর্ত দিয়েছিলো, কিন্তু আমি মানতে পারিনি আর কখনও মানতে পারবোনা।

খুশি: কিহ সর্ত।
মা: তুই যখন জন্ম নিলি, তখন সেই খা*রাপ জ্বিনটা আমাকে বলছিলো তোকে যদি, ওকে দিয়ে দেই তাহলে আমাকে ছেড়ে চলে জাবে। ওর এই সর্ত আমি কখনও মানিনি, তুই আমার একমাত্র মেয়ে তোকে আমি কিভাবে জ্বিনকে দিয়ে দেই বল,, তোকে দিতে রাজি হইনি তাই, সেই জ্বিনটা আমাকে ছেড়ে যায়নি, আজ এতবছর পর সে আমাকে কি বলে জানিস৷

খুশি: কি বলে।
মা: সে বলে, তার একটা ছেলে আছে, ওর সাথে তোকে বিয়ে দিতে,, কিন্তু আমি রাজি না, তোকে একটা খা*রাপ জ্বিনের সাথে বিয়ে দিবো কিভাবে বল, তাই ইদানীং সে আমাদের পিছনে লেগেছে ভয়ং*কর ভাবে, তোর বাবা আর আমি ঠিক করছি কাল তোর মেজো খালার বাড়ি জাবো ওখানে নাকি ভালো একজন হুজুর আছে দেখি ওনার কাছে গিয়ে ওনি কোন সমাধান দিতে পারে কিনা।

খুশি: মা তুমি ঠিকি বলছো, জানো কালকে সন্ধায় ইয়াসমিনের বিয়ে খেতে ওর বাড়ি জাবার পথে, সেই খা*রাপ জ্বিনটা আমার উপর আ*ক্রমণ করে বসে। ভাগ্য ভালো বেঁ*চে ফিরছি।

খুশির বাবা: তাই নাকি, না না আর দেরি করা ঠিক হবেনা। কালকেই তোর খালার বাড়িতে চলে জাবো, নে এখন খাওয়া শেষ করে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।

খুশির বাবার কথায়, খুশি খাবার শেষে, রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লেন।

____খুশির যখন ঘুম আসবে, এমন সময় সে তার রুমে খুব সুন্দর একটা সুঘ্রাণ পান, খুশির অনুভব হয় তার রুমে কেউ আছে। খুশি আস্তে করে একটা সালাম দেন, আর বলেন রুমে কি কেউ আছেন, থাকলে কথা বলুন।

খুশির কথার জবাবে, মুসকি একটা হাসি দিয়ে সেই জ্বিনটা বলেন আমি।

খুশি: ওহ আপনি, আচ্ছা আমি উঠে রুমের লাইটটা দেই।
জ্বিন : না, এতে আমার পবলেম হবে।
খুশি: কিন্তু আমারতো আপনাকে দেখতে অনেক মন চায়। একটু দেখি।

জ্বিন : বলছিনা সময় হলে দেখা দিবো তখন দেখে নিও, এখন বলো কালকে কি তোমরা কোথাও যাচ্ছ।

খুশি: হ্যাঁ, আমার মেজো খালার বাড়ি জাবো, ওখানে মাকে, হুজুর দেখাবো।
জ্বিন : ঠিক আছে বুঝলাম, তোমাকে কিছু কথাবলি শোনো। কালকে দিনের বেলা জাবে, তোমার খালার বাড়িতে,, তোমার খালার বাড়িতে আশপাশ কিন্তু নদী এলাকা, জায়গাটা বেশি সুবিধার না সাবধানে থেকো।

খুশি: ওকে ঠিক আছে, আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করি।
জ্বিন : কি কথা বলো।
খুশি: আপনার নাম কি।
জ্বিন : নামটা জানা কি খুব জরুরি।
খুশি: হ্যাঁ। আপনাকে দেখিনি, নামটা তো দয়া করে বলুন।
জ্বিন : আমার নাম, হামজা। আর বেশি কিছু জিজ্ঞেস করোনা জানতে চেয়েওনা সময় হলে আমি সব বলবো।

জ্বিনটার কথা শুনে খুশি কিছু একটা বলবে, ঠিক তখনি তার ফোনে একটা কল আসে।

কল আসতেই হামজা জ্বিন সেখান থেকে চলে জান, এদিকে কলটা রিসিভ করতেই বান্ধবী ইয়াসমিন বলে উঠেন৷

ইয়াসমিন: কিরে খুশি কেমন আছিস কি খবর বল৷
খুশি: আমার খবর বাদদে, তোর কি খবর কোথায় তুই, কিহহ নতুন সংসার জিবন কেমন কাঁ*টছে।

ইয়াসমিন: খুব ভালো, আচ্ছা তোকে একটা কথা বলার জন্য ফোন করলাম, একটা ছেলে তোর কথা জানতে চাইলো, শেহজাদ, ওকে কি চিনিস তুই।

খুশি: হ্যাঁ চিনি, তোর বি*য়েতে ওই ছেলেটা আমাকে বলছিলো আমাকে নাকি ওর ভালোলাগে রি*লেশন করতে চায় পা*গল একটা।

ইয়াসমিন: রিলে*শন করতে চায় তো কর৷ ছেলেটাতো সুন্দর আছে।
খুশি: তুই ও না কি যে বলিস, আচ্ছা শোন কাল খালার বাড়ি যেতে হবে এখন রাখছি কেমন।

এই বলে ফোনটা রেখে ঘুমিয়ে পড়লো খুশি।

____কথামত পরেরদিন সকালে খুশি ও তার মা বাবা চলে গেলেন তার মেজো খালার বাড়িতে। সেখানে যাবার পর খুশি আশপাশ জায়গাটা ঘুরে দেখছিলেন, নদী এলাকা জায়গাটা খুবি সুন্দর, খুশি এক জায়গায় বসে চারিদিকের মনোরম সুন্দর দৃশ্য দেখছিলেন, হঠাৎ সেখানে খুশির খালাতো বোন চলে আসেন এসে খুশিকে বলেন।

আরে খুশি এখানে বসে আছো কেনো, চলো আমার সাথে চলো ওইদিকে যাই ওইদিকে বিলের মধ্যে কত সুন্দর শাপলা ফুল ফুটছে চলো গেলে দেখতে পাবে।

খালাতো বোনের কথায় খুশি ওর সাথে চলে গেলো সেই বিলের দিকে। বিলের কাছে যেতেই খুশি দেখলো আসলেই বিলের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর শাপলা ফুল ফুটেছে, এই দৃশ্য দেখে খুশির খুবি ভালোলাগে, সে এরকম তাজা সুন্দর ফুল কখনও দেখেনি, এদিকে হঠাৎ খুশির খালাতো বোন বলেন, খুশি শাপলা ফুল কি ভালোলাগে,, যাও নিচে নেমে ফুল ছিড়ে নিয়ে আসো।

খুশি: না না, পানিতে নামতে ভ*য় লাগে।
খালাতো বোন : আরে না এখানে তেমন পানি নেই তো। অল্প একটু পানি, চিন্তা করোনা যাওতো পানিতে নেমে ফুল ছিঁড়ে নিয়ে আসো যাও আমি এখানেই আছি।

খালাতো বোনের কথায়, খুশি এক পা দু পা করে নেমে পড়েন পানিতে, পানিতে নেমে সে একটা একটা করে ফুল ছিঁড়তে থাকে ঠিক তখনি হঠাৎ কেউ একজন খুশির হাত টেনে ধরে।

____হাতটা ধরার সাথে সাথে খুশি পিছনে ঘুরে তাকান আর অদ্ভুত ভাবে মহূর্তে সবকিছু পাল্টে জান, খুশি দেখেন সে অল্প পানিতে না সে কমর পানিতে নেমে আছে, তার সামনে কোন ফুল নেই, আর সবচেয়ে বড় ভয়ের ব্যাপার হলো তখন সন্ধা হয়ে গেছে।

এসব দেখে খুশি, কিছুই বুঝতে পারেনা, এদিকে খুশির হাত টেনে ধরা ছেলেটি আর কেউনা, এটা শেহজাদ। শেহজাদ খুশির হাত ধরে এক টানে পানি থেকে উপরে নিয়ে আসেন, আর বলেন।

শেহজাদ: এই কি করছি, তুমি এখানে কেনো, পানিতে নামছো এই সন্ধা বেলা।

শেহজাদের কথা শুনে খুশি ভ*য়ে কাঁপতে কাঁপতে চারিদকে ঘুরে তাকায় আর বলে।

খুশি: আমি কিছু জানিনা, এখানে তো আমার খালাতো বোন আমাকে নিয়ে আসসে, শাপলা ফুল তোলার জন্য, একটু আগেও তো দিন ছিলো এখন রাত হলো কি করে।

শেহজাদ: কোথায় শাপলা ফুল, আর কোথায় তোমার খালাতো বোন, আমার মনে হয় তুমি কোন ঘোরের মধ্যে ছিলে, তোমার সাথে নিশ্চয়ই খা*রাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছিলো, তা যাইহোক এখানে আর থাকা ঠিক হবেনা চলো আমার সাথে চলো আমি তোমার খালার বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি ||

এই বলে শেহজাদ খুশির হাত ধরে, পিছনে ঘুরতেই দুজনে দেখতে পেলো, তাদের থেকে দশ পনেরো হাত দূরে একটা ভয়ং*কর কালো অবয়ব দাঁড়িয়ে আছে, অন্ধকারের সেই অবয়বটার চোখ জলজল করছে।

এটা দেখে খুশি ভ*য়ে শেহজাদের হাত শ*ক্ত করে ধরে। এদিকে সামনে থাকা সেই ভয়ং*কর অবয়বটি শেহজাদ ও খুশিকে উদ্দেশ্য করে বলেন।

কোথায় যাচ্ছিস,, এই কে তুই তোর জন্য আজকে খুশিকে কিছু করতে পারলাম না,, ওদের সাহস কমনা, ওরা আমাকে তাড়ানোর জন্য কবিরাজের বাড়িতে আসসে, ওর ভাগ্য ভালো তুই সময় মত আসছিস নইলে খুশিকে পানিতে নামিয়ে চুবাইতাম, ওকে শাস্তি দিতাম।

ভয়ং*কর জ্বিনটার মুখে এসব কথা শুনে শেহজাদ বলেন। তুই শাস্তি দেবার কে, খুশিকে আমি পছন্দ করি ভালোবাসি তাই আমি থাকতে ওর কোন ক্ষ*তি আমি হতে দিবোনা।

শেহজাদের মুখে এসব কথা শুনে, সেই ভয়ং*কর খা*রাপ জ্বিনটা বলেন, তাই নাকি দেখি কিভাবে আটকাতে পারিস, এই বলে সেই ভয়ং*কর জ্বিনটা খুশির দিকে তেরে আস্তে শুরু করে, ঠিক তখনি খুশিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে সামনে এসে দাঁড়ান শেহজাদ।

____শেহজাদ সামনে আসাতেই সেই ভয়ং*কর অবয়বের আ*ঘাতে ছিঁটকে গিয়ে পড়েন কিছুটা দূরে।

এদিকে ঠিক সেই সময়, লাইট হাতে খুশির বাবা ও খালু ওদিকে এসে খুশিকে ডাকতে থাকে।

খুশির খালু ও বাবার ডাকে, সেখানে থাকা ভয়ং*কর জ্বিনটা খুশিকে বলেন, আজকে বেঁ*চে গেলি।

এই বলে অন্ধকারে মিলিয়ে যায় সেই ভয়ং*কর জ্বিনটা,, এদিকে শেহজাদ খুশিকে বলেন।

শেহজাদ: খুশি, তোমার বাবা তোমাকে খুঁজছে, চিৎকার দাও আর ওদের সাথে চলে যাও, ওরা তোমার সাথে আমাকে দেখলে খা*রাপ ভাববে, যাও।

খুশি: কিন্তু আপনি তো ব্যাথা পেয়েছেন, আপনার চিকিৎসার দরকার৷

শেহজাদ: আমাকে নিয়ে ভেবোনা, আমি তেমন ব্যাথা পাইনি৷ আর আমার বাড়ি ও পাশে আমি চলে জাবো,, এখন যাও কাল তোমার সাথে দেখা করবো তখন কথা হবে যাও।

শেহজাদের কথায়, খুশি সেখান থেকে চিৎকার করতে করতে এক দৌড়ে তার বাবা ও খালুর দিকে যেতে লাগলেন।

এদিকে খুশির চিৎকার শুনে ওর বাবা ও খালু খুশির দিকে এগিয়ে আসলেন, আর সেখানে দেরি না করে তারাতারি করে বাড়িতে চলে গেলেন৷

বাড়িতে জাবার পর খুশি সবাইকে তার সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা খুঁলে বললেন।

খুশির মুখে এসব ঘটনা শুনে সবাই অবাক, এদিকে খুশির মুখে এসব শুনে ওর মা বলে।

খুশির মা: জানিস, তোকে বিকেল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা, তোর বাবা আর খালু অনেক খোঁজার পর তোকে নদীর পারে পাওয়া গেলো৷

খুশি: মা, আমিতো কিছুই জানিনা, আমি নদীর পারে একটা সুন্দর জায়গায় বসে ছিলাম, জানিনা, কোথা থেকে কি হলো, সবি ওই খা*রাপ ভয়ং*কর জ্বিনটার কাজ।

খুশির বাবা: ঠিকি বলছিস, তোর মা আর আমি কবিরাজ কাছে গিয়েছিলাম কবিরাজ বললো, সেই জ্বিনটাকে তাড়ানো এতটা সহজ না, তবুও ওনি চেষ্টা করবে, আর আমাদের বাড়িটা বন্ধ করে দিবে। এছাড়াও হুজুর একটা কথা বললো.....

খুশি: কি কথা বাবা।
খুশির মা: হুজুর বললো। খা*রাপ ভয়ং*কর জ্বিন তো আছেই তাছাড়া, তোর সাথে নাকি একটা ভালো জ্বিন আছে, সেই জ্বিনটা নাকি তোর কাছে আসে কথা বলে এটা কি সত্যি।

খুশির মায়ের মুখে কথাটা শুনে অবাক হয়ে বলেন, ইয়ে মানে মা না এটা সত্যি নয় আমিতো কিছু জানিনা।

তারপর.....
Next.....

গল্প : রোমান্টিক জ্বিন বর পর্ব: ০১লেখক_মোঃ__নিশাদসন্ধা ঘনিয়ে রাত নেমেছে, খুশি একা একা হাঁটছে, সে যাচ্ছে তার বান্ধবীর বাড়...
05/07/2025

গল্প : রোমান্টিক জ্বিন বর পর্ব: ০১
লেখক_মোঃ__নিশাদ

সন্ধা ঘনিয়ে রাত নেমেছে, খুশি একা একা হাঁটছে, সে যাচ্ছে তার বান্ধবীর বাড়িতে।

বান্ধবীর বি*য়ে তাই উপায় না পেয়ে বিয়ের আগের দিন রাতেই খুশিকে যেতে হচ্ছে তার বাড়িতে।

গ্রামের রাস্তা খুশি একা একা হাঁটছে, হেঁটে যেতে মাত্র দশ মিনিট লাগবে।

খুশি হাঁটতে হাঁটতে বেশ কিছুদূর যাবার পর সে খেয়াল করে তার পিছু কিছু কেউ একটা হাঁটছে।

খুশি পিছনে ফিরে তাকায় কিন্তু কাউকে দেখতে পাননা, মনের ভুল ভেবে খুশি আবার হাঁটতে থাকেন, বেশ কয়েক পা হাঁটার পর খুশি আবারো অনুভব করেন তার পিছনে কিছু একটা আছে।

এই অবস্থায় খুশির আর বুঝতে বাকি রইলোনা তার সাথে খা*রাপ কিছু ঘটছে চলেছে, তার পিছনে ভয়ং*কর কিছু একটা আছে, এই অবস্থায় খুশি পিছনে না তাকিয়ে দৌড় দিতে জাবে ঠিক তখনি পিছন থেকে কেউ বলে উঠে দাঁড়া, কি ভেবেছিস এত সহজে পালিয়ে জাবি, পারবিনা, আজকে পালাতে পারবিনা, আজকে তোকে একা পেয়েছি আজকে তোর রক্ষে নেই।

পিছন থেকে আওয়াজটা পেয়ে খুশি ভ*য়ে ভ*য়ে পিছনে তাকিয়ে দেখেন, খুব ভয়ং*কর একটা অবয়ব তার পিছনে দাঁড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।

খুশি এই অবয়বটিকে চিন্তে পারে। কিভাবে চেনে সেটা সামনে জানতে পারবেন।

খুশি অবয়বটার দিকে তাকিয়ে চিৎকার দিতে জাবে ঠিক তখনি সেই অবয়বটা খুশির দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করে, ঠিক তখনি খুশি অবাক হয়ে দেখেন কোথা থেকে একটা সাধা জুব্বা পড়া একটা অবয়ব এসে সেই ভয়ং*কর অবয়বটাকে আ*ঘাত করে, আ*ঘাত করার সাথে সাথে ভয়ং*কর অবয়বটা সেখান থেকে চলে যায়।

এদিকে ভয়ং*কর অবয়বটা চলে জাবার পর, সেই সাদা জুব্বা পড়া অবয়বটা খুশিকে বলে উঠে, তুমি যাও আর কোন ভ*য় নেই, এরপর থেকে একা একা রাতে কোথাও যেওনা।

অবয়বটার মুখে কথাগুলো শুনে খুশি বলে, কিন্তু আপনি কে , আমি আপনার মুখ দেখতে পাচ্ছিনা কেনো, আমার দিকে ঘুরে কথা বলুন।

খুশির কথায় সেই অবয়বটা বলে, সময় হলে দেখতে পাবে, এখন এখান থেকে চলে যাও।

এই বলে সেই অবয়বটা সেখান থেকে চলে গেলেন।

এদিকে খুশি ও সেখানে আর দেরি না করে, তার বান্ধবীর বাড়িতে চলে গেলেন।

বান্ধবীর বাড়িতে জাবার পর, খুশি কাউকে কিছু বললেন না।

পরেরদিনের ঘটনা আজ ওর বান্ধবীর বিয়ে, বিয়ে বাড়িতে অনেক মানুষজন এসেছে, অনেক মানুষের ভিরে খুশি একটা চেয়ার নিয়ে এক সাইটে বসে আছেন, হঠাৎ সেখানে তার বান্ধবী ইয়াসমিন আসলেন, যার আজকে বিয়ে সে, তো ইয়াসমিন এসে খুশিকে বললেন।

ইয়াসমিন: কিরে, এখানে একা একা বসে আছিস কেনো, কি ব্যাপার নায়ক খুজচ্ছিস নাকি

খুশি: আরে না কি যে বলিস, বিয়ে বাড়িতে অনেক গ্যা*মজ্যা*ম তো তাই এদিকে একা একা বসে আছি।

ইয়াসমিন: ওহহ আচ্ছা, তা কি ভাবলি আমার তো আজ বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তুই কবে বিয়ে করবি।

ইয়াসমিনের কথায় খুশি কিছু বলতে জাবে ঠিক তখনি সে, কাল রাতের সাদা জুব্বা পড়া সেই অবয়বটাকে দেখতে পায়, মুখ দেখতে পায়না কারণ ঘোমটার মত কিছু একটা দেয়া।
এটা দেখে খুশি বলে।

খুশি: ইয়াসমিন দেখ, আরে ও এখানে কেনো।
ইয়াসমিন: কোথায় কে কার কথা বলচ্ছিস।

খুশি : আরে, ওখানেই তো দেখলাম কোথায় হাড়িয়ে গেলো।

ইয়াসমিন: আরে, কাকে খুঁজছিস বলতো কে নাম কি।

খুশি: নাম জানিনা, আর সে মানুষ না সে জ্বিন।
ইয়াসমিন: কিহহ জ্বিন, আরে পা*গল হলি নাকি, কি বলিস এগুলা জ্বিন মানে তুই কি জ্বিন দেখতে পাস।

খুশি: সেটা পরে বলছি, আগে ওকে খুঁজতে হবে তুই থাক, আমি ওকে খুঁজে দেখি।

এই বলে খুশি, সেই সাদা জুব্বা পড়া জ্বিনটাকে খুঁজতে লাগলেন।

এত লোকের ভিরে কোথায় যে হাড়িয়ে গেলো। খুশি তবুও খুঁজতে লাগলেন, খোঁজার সময় হঠাৎ পিছন থেকে কেউ একজন বলে উঠলেন, এইযে কাউকে খুঁজছেন।

কথাটা শুনে খুশি পিছনে তাকিয়ে দেখলেন, একটা ছেলে, ছেলেটাকে দেখে খুশি বললেন।

খুশি: কে আপনি?।
ছেলেটা: আমার নাম শেহজাদ, আমি খেয়াল করে দেখলাম আপনি কাউকে খুঁজছেন। স*মস্যা হলে আমাকে বলুন আমি খুঁজে দিচ্ছি।

খুশি: আপনি কে, যে আপনাকে বলবো৷ তাছাড়াও আমি যাকে খুঁজছি তাকে চিনবেন না খুঁজে পাবেন ও না।

শেহজাদ: আরে চিনবো, আমার বাড়ি তো পাশেই, আমি সবাইকে চিনি বলুননা কাকে খুঁজছেন।

খুশি: একটা জ্বিনকে খুজঁছি, এখন বলেন পাবেন খুঁজে দিতে।
শেহজাদ: জ্বিন, আরে ধুর মজা কইরেন নাতো।
খুশি: মজা না, সত্যি জ্বিনকে খুঁজছি, খুঁজে দিতে পারলে দেন নইতো ভাগেন।

শেহজাদ: না, আপনার সাথেই থাকি, আপনার সাথে আমিও খুঁজি।

খুশি: আচ্ছা, আপনার মতলবটা কি বলিনতো। আমাকে কি কিছু বলবেন।
শেহজাদ: না মানে হ্যাঁ, বলবো ভালো লাগে।

খুশি: কি ভালো লাগে।
শেহজাদ : আপনাকে।
খুশি: ওহহ তাহলে এই ব্যাপার, এই জন্য আমার পিছনে ঘুরঘুর করছেন। দেখেন ভাই, আমি রিলে*শন করবোনা।

শেহজাদ: কেনো, রিলেশন করলে কি স*মস্যা।
খুশি: কোন স*মস্যা নাই আমি রিলে*শন করবোনা এখন চলে জান, বি*য়ে বাড়িতে অনেক লোকজন কেউ দেখলে খা*রাপ ভাববে।

শেহজাদ: ওকে ঠিক আছে, এখন চলে যাচ্ছি কিন্তু পরে আবার কথা হবে, এত সহজে পিছু ছাড়ছিনা।

এই বলে শেহজাদ চলে গেলো। খুশি আবারো সেই জ্বিনটাকে খুঁজতে লাগলো, তখন ওর বান্ধবী ইয়াসমিন এসে বললো।

ইয়াসমিন: এই খুশি, কি হলো খুঁজে পেলি।
খুশি: নারে, কোথায় যে হাড়িয়ে গেলো।
ইয়াসমিন: আচ্ছা তুই কি শিওর ও জ্বিন, হতেও পারে কোন মানুষ।

খুশি: নারে, আমি শিওর ও একটা জ্বিন, আর জানিস কাল রাতে তোর বাড়িতে আসার সময়, আমার মায়ের সাথে থাকা খারাপ জ্বিনটা আমার ক্ষ*তি করার জন্য আসসিলো, তখনি ওই ভালো জ্বিনটা আমাকে বাঁচিয়েছে বুঝলি৷

ইয়াসমিন: ওহহ তাই নাকি, আচ্ছা বাদদে, এখানে তো অনেক মানুষ খুঁজে পাবিনা হয়তো চলে গেছে, আয় খেয়ে নে।

খুশি: ওকে চল। আমার আবার বাড়িতে ফিরতে হবে। আজকে রাত করে ফেরা জাবেনা। সন্ধা হবার আগে বাড়িতে ফিরতে হবে।

যাইহোক কথামত খুশি দুপুরের খাবার খেয়ে নিলেন। আর বিকেলে ইয়াসমিনের বি*য়ে জাবার পর, খুশি সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির দিকে হেঁটে হেঁটে রওনা করলেন।

হাঁটতে হাঁটতে, একটু ফাঁকা জায়গায় যেতে, হঠাৎ খুশির পিছন থেকে কেউ সালাম দিলেন, আর বললেন ইম, পিছনে তাকাবেন না কথা বলুন আর হাঁটতে থাকুন৷

কথাটা শুনে খুশি বুঝে জান এটা ওই জ্বিন টা কারণ ওনার কন্ঠ খুশি চেনেন। খুশি কিছু বলার আগে পিছনে থাকা সেই জ্বিনটা বলেন।

জ্বিন: বি*য়ে বাড়িতে তুমি আমাকে খুঁজছিলে কেনো।
খুশি: আরে, আমি আপনাকে খুঁজছি সেটা আপনি জানেন, দেখছিলেন।

জ্বিন : হ্যাঁ। দেখছিলাম। কিন্তু ওখানে অনেক মানুষ ছিলো তাই সামনে আসিনি।

খুশি: ওহ তাই তাহলে এখন সামনে আসসেন না কেনো। এখন তো কেউ নেই সামনে আসুন।

জ্বিন : সময় হলে ঠিকি সামনে আসবো।
খুশি: সামনে আসবেন নাকি আমি ঘুরে পিছনে তাকাবো।

জ্বিন: এই না, ঘুরে তাকালে কিন্তু চলে জাবো।
খুশি: ওকে, তাকাবোনা। আপনি কি কিছু বলার জন্য আসসেন।

জ্বিন : হ্যাঁ, আসলে তোমার মায়ের সাথে যে জ্বিনটা আছে, ও আসলে অনেক খা*রাপ, পিচাশ জ্বিন ও, তুমি কখনও একা একা বের হবানা। তোমার মাকে ভালো কোন হুজুর বা কবিরাজ দেখাও, নইলে ও তোমাদের বড় কোন ক্ষ*তি করবে।

খুশি: হুজুর কবিরাজ তো দেখিয়েছি, কিন্তু লাভ হয়না৷ তবুও আপনি যেহেতু বলছেন দেখাবো।

জ্বিন : ওকে, সাবধানে বাড়িতে যাও। আবার দেখা হবে।

এই কথাটা বলে জ্বিনটা সেখান থেকে চলে গেলো।

তারপর.....
Next.....

Address

Pabna

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jahid Hasan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jahid Hasan:

Share