Mohammad Rashed

Mohammad Rashed অনলাইনে দ্বীন প্রচার হোক কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। online dawah happiness only for Allah .

⭕এই ৪ হাজার কোটি টাকা কারও বাপের না। কারো বাপ দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে এগুলো খরচ করে নাই ,আমার আপনার জনতার র*ক্ত পানি...
16/10/2025

⭕এই ৪ হাজার কোটি টাকা কারও বাপের না। কারো বাপ দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে এগুলো খরচ করে নাই ,আমার আপনার জনতার র*ক্ত পানি করে দেওয়া ট্যাক্সের টাকা। এগুলো রাস্তায় ফেলে নষ্ট করল আমলা ও পলিসি মেইকাররা। এর হিসাব কে দেবে?

প্রযুক্তির চোখ-ধাঁধানো উন্নতির যুগে অনেক মুসলিমের ইয়াকিন চলে গেছে প্রযুক্তির দিকেই। তারা ভাবে, এত কম ওয়ে*প*ন্স দিয়ে কিভা...
14/10/2025

প্রযুক্তির চোখ-ধাঁধানো উন্নতির যুগে অনেক মুসলিমের ইয়াকিন চলে গেছে প্রযুক্তির দিকেই। তারা ভাবে, এত কম ওয়ে*প*ন্স দিয়ে কিভাবে বিজয় আসবে? অথচ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাজিত করেছে। বস্তুত, ধৈর্যশীলদের সঙ্গী হচ্ছেন আল্লাহ!" [সূরা বাকারাহ : ২৪৯]
সাধ্যমতো প্রস্তুতি রাখা আল্লাহ আল্লাহর নির্দেশ। রাসুলুল্লাহ (স) নিজেও সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু দিনশেষে ভরসা করেছেন আল্লাহ ওপরেই। কারণ, আল্লাহর সাহায্য না আসলে বিজয় কখনো অর্জন করা যায় না। আল্লাহ সেটা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলছেন : "...আর হুনাইনের দিনে, যখন তোমাদের সংখ্যাধিক্য তোমাদেরকে উৎফুল্ল করে দিয়েছিল, অথচ তা তোমাদের কোনো কাজেই আসেনি। আর জমিন প্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও তোমাদের ওপর তা সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। এরপর তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে।" [সূরা তাওবা : ২৫]
এরপর আল্লাহ সে যুদ্ধেই মুসলিমদের বিজয়ের রহস্য বর্ণনা করেছেন : "তারপর আল্লাহ তাঁর পক্ষ থেকে প্রশান্তি নাযিল করলেন তাঁর রাসূলের ওপর ও মুমিনদের ওপর এবং নাযিল করলেন এমন বাহিনী—যাদেরকে তোমরা দেখোনি। আর কা*ফি*র*দেরকে শাস্তি দিলেন। আর এটা কা*ফি*র*দের কর্মফল।" [সূরা তাওবা : ২৬]

🚫ট্রেন্ডিং ফটো আর এআইর ঝলক।

❌বর্তমানে কিছুদিন দরে ফেইসবুকে ডুকলেই দেখা যায়। এআইর মাধ্যমে সুফি সাজানো কিছু সুফি সাহেবদের। এর অধিকাংশই দেখা যাচ্ছে আবার শিক্ষিত। পশ্চি'মা'দে'র বানানো এআই সম্পর্কে পূর্বে অনেক শিক্ষা মুলক ঘটনা জেনেও তাদের জালে পা দিচ্ছে এই সমাজ।

এই ব্যবহা'রকা'রী'দের অনেকেই আবার দেখা যাচ্ছে কিছু আ'লি'ম সমাজ, কি এমন আছে এই ফটোর মাঝে?

তবে আমার কাছে মনে হয় এমন একটা বিষয় আছে।
যে বিষয়টি আমাদের মুসলমানদের ক'ঠো'র বিরো'ধিতা' রয়েছে,আর‌ সেটি হলো মুর্তি।

আপনি এই ফটো ফেইসবুকে আপলোড দিয়ে কি বুঝাতে চাচ্ছেন।

যে আপনাকেও আপনার নিজস্ব চেহারা থেকেও মুর্তিতে আপনাকে অনেক স্মার্ট লাগে? সুন্দর লাগে?দিনভর শুধু পশ্চিমার ল|ল কু'ত্তা'দে'র বি"রো"ধিতা কর।

এর পরই আবার তাদের দেখানো পথে আমরা হাটতে ইচ্ছুক,

যে ইংরেজ বাহিনী মু'স'লি'ম সমাজ কে মু'ছে দেওয়ার জন্য প্রানভর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আর আপনি তাদের কাজের সহযোগী হচ্ছেন!

ভাই নিজের দিকে লক্ষ রাখুন,

কোন দিকে কিভাবে ইস'লা'মে'র শু"ত্রু"রা তোমাকে দিয়ে ইসলামের বি`রো`ধী কাজে শরিক করে,

তাদের সঙ্গী বানিয়ে নিচ্ছে।

তাই দয়া করে আমরা এসব করা বন্ধ করি।

এবং প`শ্চি`মা`দের বানানো এআইর প্রমোট দেওয়া থেকে বিরত থাকি।

এবং ট্রেন্ডের নামক ধোকা থেকে বেচে থাকতে পারি

কারণ আজকের ট্রেন্ড আগামীকালের
ইতিহাস হতে পারে। কপি পোস্ট

❌🚫 فالله خيرحفيظا وما توفيقي الا بالله🥹

কি ভাবছেন এটা গাজাও না রাফাও না আফগানিস্তান ও না - এটা পাকিস্তান। এটা টিটিপির সাথেও যুদ্ধ না, নিজ জনগণের সাথে যুদ্ধ। আন্...
13/10/2025

কি ভাবছেন এটা গাজাও না রাফাও না আফগানিস্তান ও না - এটা পাকিস্তান।

এটা টিটিপির সাথেও যুদ্ধ না, নিজ জনগণের সাথে যুদ্ধ।

আন্দোলনকারীরা অবশ্য রেডলাইন ক্রস করেছিলো। তারা আমেরিকান দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী দিয়েছিলো। ২০০+ নাগরিক হত্যা করে নাপাক বাহিনী আমেরিকাকে মেসেজ দিলো - তোমাদের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে চোখ উপড়ে ফেলবো।

নিজ দেশের জনগণের ওপর যারা গনহত্যা চালাতে পারে, একাত্তরে বাঙালির সাথে তারা কী আচরণ করেছিলো সেটা বোঝা কঠিন না।

পাকিস্তানে আজ Gaza Solidarity March কর্মসূচির ওপরে Pakistan Police, Rangers ও Army বীভৎস হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করছে।

Tehreek E Labbaik Pakistan (TLP) আয়োজিত U.S. Embassy Pakistan অভিমুখী লং মার্চ কর্মসূচি মুরিদকে রিজিয়নে এসে আজ রাতে অবস্থান নেওয়ার কালে আজ ফজরের নামাজের সময়ে পাকিস্তানি সেনারা আন্দোলনকারীদের ওপর সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভারী অস্ত্র, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, সাঁজোয়া যান থেকে সরাসরি লাইভ রাউণ্ড ফায়ার করা হয়। বিভিন্ন সূত্র অনুসারে লং মার্চের মূল দায়িত্বশীল সা'দ হুসাঈন রিজভির ওপর সরাসরি ফায়ার ওপেন করে পাকিস্তানি সেনারা। তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা ও অবস্থান অজানা রয়েছে।

সা'দ হুসাঈন রিজভির গুলিবিদ্ধ হওয়া ও ২০০ জনের বেশি পাকিস্তানি নাগরিকের পুলিশ ও আর্মির হাতে প্রাণ হারানোর খবরে পাকিস্তান উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। লাহোর শহরে সাধারণ মানুষের পুলিশকে লাঠি নিয়ে ধাওয়া করার মতো দৃশ্য দেখা গিয়েছে। মনে রাখা দরকার যে, লং মার্চটির জন্য ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও শেষ কর্মসূচি হলেও, তারা ইসলামাবাদের আশপাশেও আসতে পারেনি। কোনোরকমে লাহোর হতে পুলিশ ও রেঞ্জারদের গতদিনের তুমুল গুলিবর্ষণ উপেক্ষা করে লং মার্চটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ১১ জনের প্রাণহানির পর মুরিদকে অঞ্চল পর্যন্ত আসতে পেরেছে। যেখান হতে ইসলামাবাদ ২৬৭ কিলোমিটার দূরে।

Pakistan Armed Forces চরম ভুল করে চলছে। একদিকে আফগানিস্তান দারূল উলুম দেওবন্দ থেকে মৌন সম্মতি নিয়ে পাকিস্তান Counter Insurgency (COIN) পরিকল্পনার মূল ভিত্তি শেষ করে দিয়েছে, অপরদিকে সেখানে ভঙ্গুর ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়ে আজ TLP এর ওপরে আক্রমণ করা নিজের এক হাতে ভিত্তির অবশিষ্টাংশে হাতুড়ি মারা ও অপর হাতে নিজের পায়ে কুড়াল মারার অনুরূপ।

ধন্যবাদ।

আজ যদি আল্লাহর জমিন আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত থাকতো, তবে আয়নাঘরের প্রত্যেকটা কুশীলবকে সমমাত্রার শাস্তি বুঝিয়ে দেওয়া হতো। ...
13/10/2025

আজ যদি আল্লাহর জমিন আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত থাকতো, তবে আয়নাঘরের প্রত্যেকটা কুশীলবকে সমমাত্রার শাস্তি বুঝিয়ে দেওয়া হতো।
যে নখ উপড়ে ফেলেছে, তাকেও একই কায়দায় শাস্তি দেওয়া হতো।
যে পি*টি*য়েছে, তাকেও একইভাবে পে*টা*নো হতো।
যে ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে অন্যকে ঘুরিয়েছে, তাকেও একইভাবে ঘুরানো হতো.
যে ড্রিল মেশিন দিয়ে আমার ভাইদেরকে ফুটো করছে তাদেরকে ডিল মেশিন দিয়ে ফুটো করা হতো..
যারা আমার ভাইদেরকে উলঙ্গ করে সকাল সন্ধ্যায় পিটিয়েছে তাদেরকে একই কায়দায় পিটানো হতো
এভাবেই প্রত্যেকটা জালিম জুলুমের সমমাত্রার শাস্তি পেয়ে যেত।
এদেরকে জেলে দিয়ে সরকারি টাকায় খাবার সাপ্লাই দিলে, কখনোই ইনসাফ হবে না। ইনসাফ রয়েছে একমাত্র আল্লাহর বিধানের মধ্যেই।

সেক্যুলার আইন আমাদেরকে বলে : "আইনের চোখে সবাই সমান।" কথাটা ডাহা মিথ্যা। আইনে স্পষ্ট লেখা আছে, ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি কোনো অন্যায় করলে, তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কথা যাবে না। এমনকি কোনো আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করতে পারবে না।
৫১। (১) এই সংবিধানের ৫২ অনুচ্ছেদের হানি না ঘটাইয়া বিধান করা হইতেছে যে, রাষ্ট্রপতি তাঁহার দায়িত্ব পালন করিতে গিয়া কিংবা অনুরূপ বিবেচনায় কোন কার্য করিয়া থাকিলে বা না করিয়া থাকিলে সেইজন্য তাঁহাকে কোন আদালতে জবাবদিহি করিতে হইবে না, তবে এই দফা সরকারের বিরুদ্ধে কার্যধারা গ্রহণে কোন ব্যক্তির অধিকার ক্ষুন্ন করিবে না।
(২) রাষ্ট্রপতির কার্যভারকালে তাঁহার বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রকার ফৌজদারী কার্যধারা দায়ের করা বা চালু রাখা যাইবে না এবং তাঁহার গ্রেফতার বা কারাবাসের জন্য কোন আদালত হইতে পরোয়ানা জারী করা যাইবে না।

আলহামদুলিল্লাহগা # জার সব হারানো মানুষগুলোর একটু স্বস্তির নিশ্বাস বিশ্বের কোটি কোটি শান্তিকামী মানুষের ক্ষ # ত-বিক্ষ #ত ...
10/10/2025

আলহামদুলিল্লাহ

গা # জার সব হারানো মানুষগুলোর একটু স্বস্তির নিশ্বাস বিশ্বের কোটি কোটি শান্তিকামী মানুষের ক্ষ # ত-বিক্ষ #ত অন্তরকে ক্ষণিকের জন্য হলেও প্রশান্ত করেছে।

মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, এই স্বস্তি যেন স্থায়ী হয়।

গা # জার মানুষের পাশে দাঁড়াতে আকুল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ।

যু # দ্ধবিরতির এই অনুকূল সময়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের জোরালো দাবি—যু # দ্ধবিধ্বস্ত গা # জা পুনর্গঠনে এদেশের মানুষের অংশগ্রহণের পথ সুগমের উদ্যোগ নিন।তুমি জিতে গেছো সিনওয়ার!

ওরা চেয়েছিলো তোমার প্রিয় ফিলাস্তিনকে মানচিত্র থেকে মুছে দিতে।
তুমি রক্ত দিয়ে পুরো মানচিত্রজুড়ে লিখে দিলে 'ফিলাস্তিন'।
আজ সারাবিশ্বে মুক্তিকামী মানুষের মুখে ধ্বনিত হচ্ছে,
ফ্রি ফ্রি প্যাসেন্টাইন।

ওরা চেয়েছিলো হামাসের নাম নিশানা মুছে দিতে,
ওরা বোমা মেরে গাযাকে ধ্বংসস্তুপে পরিনত করলো,
হাজার হাজার শিশু হত্যা করলো যেন তারা বড় হয়ে হামাস না হতে পারে।
ওরা জানে না, হামাস হলো জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের নাম - হামাসকে বোমা নিশ্চিহ্ন করা যায় না।

তুমি জিতে গেছো সিনওয়ার।

ওরা চেয়েছিলো আরব বিশ্বের মোনাফেক নেতারা ফিলাস্তিনকে ভুলে গিয়ে ওদের সাথে বুক মেলাবে।
সব বন্দোবস্ত পাকা হয়ে গেছিলো।
অন্তিম মুহুর্তে তোমার ছুড়ে মারা লাঠির আঘাতে ভেঙে গেলো আব্রাহাম একর্ড।
ভুলে যাওয়া ফিলাস্তিন ফিরে এলো আলোচনার টেবিলে।

ওরা চেয়েছিলো ভিক্টিম কার্ড খেলে তোমাকে দানব বানাতে আর তুমি চেয়েছিলে বিশ্ব ওদের মুখোশের আড়ালের মুখটা দেখুক।
ওরা মিডিয়ার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিলেও জিতে গেলো তোমার বয়ান।
আজ সারাবিশ্ব জানে ওরা গনহত্যাকারী দানব।
আজ সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের মুখে ধ্বনিত হচ্ছে,
"ওয়ান টু থ্রি ফোর, অকুপেশান নো মোর"।

ওরা ভেবেছিলো হত্যা করলেই তোমাকে পরাজিত করা যাবে।
তুমি জিতে গেছো সিনওয়ার,
তোমার মৃত্যু প্রতিরোধের সাগরে এনেছে প্রবল জোয়ার।
゚viralシ Muhammad Rashed

⭕ কুরআন অবমাননা ও প্রশাসনের নীরবতার প্রতিবাদে : বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল।দেশজুড়ে ইসলাম অবমাননার ভয়াবহ বিস্তার, প্রাইভেট বি...
10/10/2025

⭕ কুরআন অবমাননা ও প্রশাসনের নীরবতার প্রতিবাদে : বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল।

দেশজুড়ে ইসলাম অবমাননার ভয়াবহ বিস্তার, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের চর্চা এবং রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরবতার বিরুদ্ধে —
শুক্রবার বাদ জুমা, জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররম থেকে বিক্ষোভ মিছিল হবে, ইন শা আল্লাহ।

স্থান: বাইতুল মুকাররম (উত্তর গেইট)
সময়: বাদ জুমুআ (১০ অক্টোবর, ২০২৫)
যাদের পক্ষে সম্ভব হয়, শরিক হতে পারি ইন-শা-আল্লাহ।

সেক্যুলার ব্যবস্থা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সম্মান ও মর্যাদার সুরক্ষা দিতে অক্ষম ও অনিচ্ছুক। একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী বারবার আল্লাহ...
08/10/2025

সেক্যুলার ব্যবস্থা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সম্মান ও মর্যাদার সুরক্ষা দিতে অক্ষম ও অনিচ্ছুক।
একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী বারবার আল্লাহ ও রাসূল (ﷺ)-কে গালি দেবে, রাষ্ট্র নিষ্ক্রিয় থাকবে, মুসলিমরা বিচার চাইলে তথাকথিত সুশীল সমাজ মুসলিমদের শান্ত থাকার উপদেশ দেবে, রাষ্ট্র গালিদাতাদের বিচার করার বদলে নিরাপত্তা দেবে, তারপর মুসলিমরা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালে তাদের মৌলবাদী, ধর্মান্ধ বলা হবে। একই চক্র।
সেই ব্রিটিশ আমল থেকে আমরা একই প্যাটার্ন দেখে আসছি। একশো বছরেও এ সমস্যার কোন সুরাহা হয়নি। চক্র বন্ধ হয়নি। মুখস্থ বয়ানও বদলায়নি।
সমাজ ও রাষ্ট্রে বারবার আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-কে আক্রমণ এবং এ নিয়ে ক্ষমতাকাঠামোর নিস্ক্রিয়তার বিষয়টি আসলে আমাদের সমাজের প্রধান দ্বন্দ্বের সাথে জড়িত। ইসলাম এবং সেক্যুলার ব্যবস্থার দ্বন্দ্ব।
ব্রিটিশ রাজ থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমল, বাংলাদেশ আমল, আওয়ামী জাহেলিয়াত, জুলাই গণঅভ্যুত্থান – সামাজিক ও রাজনৈতিক নানা পরিবর্তনই তো এ লম্বা সময়ে এসেছে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসেনি। কারণ ঐ দ্বন্দ্বের সুরাহা হয়নি। তাই সমাধান হয়নি এ সমস্যারও।
তাছাড়া সেক্যুলার রাষ্ট্রে মুসলিমদের আবেগ নিয়ে অস্বস্তি কাজ করে। নানা কারণে বাংলাদেশে এই অস্বস্তি আরও তীব্র। মুসলিমদের জমায়েত এখানে ভীতিকর কিছু একটা। আর জনপরিসরে ‘হুজুররা’ কোন দাবি নিয়ে আসা রাষ্ট্র এবং এলিটদের চোখে সবসময় ‘ঝুকিপূর্ণ ঘটনা’।
ওয়ার্ল্ডভিউয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও এখানে থাকে। সেক্যুলার ওয়ার্ল্ডভিউয়ের সামগ্রিক বাস্তবায়ন ঘটে সেক্যূলার ব্যবস্থার মাধ্যমে। ইসলামের পবিত্রতার ধারনা, ইসলামের মানদণ্ডে প্রায়োরিটির হিসেব, মুসলিমদের কাছে আল্লাহ ও রাসূলুল্লাল্লাহ (ﷺ) এর অবস্থান এই ওয়ার্ল্ডভিউ বোঝে না।
এক ধরণের এপিস্টেমিক রেইসিসম কাজ করে। পশ্চিমে চিন্তা, দর্শন, মূল্যবোধ সঠিক। ইসলামেরটা ভুল। তাই মুসলিমের আবেগ, দাবি, এবং ইসলামআশ্রিত চিন্তা মানেই ভুল। কাজেই কোটি কোটি মুসলিমকে প্রচন্ডভাবে আঘাত করা বাকস্বাধীনতা আর মুসলিমের কষ্ট, ক্ষোভ, প্রতিক্রিয়া মানে পশ্চাৎপদতা – এই মুখস্থ ফ্রেইমের বাইরে এধরনের রাষ্ট্র ও সমাজ যেতে পারে না।
তাই শেষ পর্যন্ত কোন সুরাহা হয় না। এধরণের সমস্যার ক্ষেত্রে সংস্কারমূলক অ্যাপ্রোচে মোটা দাগে তিন ধরনের কর্মসূচী দেখা যায়।
- প্রতিবাদ, বিক্ষোভ
- বিচারের দাবি
- ব্লাসফেমি আইনের দাবি
কিন্তু দীর্ঘ প্রায় একশো বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি শেষ পর্যন্ত বিচার হয় না। আইনও বানানো হয় না। আর যেসব ক্ষেত্রে আইন বানানো হয় (যেমন পাকিস্তান) সেখানে সমাধান আসে না। কারণ রাষ্ট্র ও ক্ষমতাসীনদের সদিচ্ছা না থাকলে স্রেফ আইন দিয়ে কিছু হয় না।
সংস্কারের আরেকটা পথ আছে। নির্বাচনী রাজনীতি। এটা দীর্ঘমেয়াদী সংস্কারের পথ। আরগুমেন্ট আছে, নির্বাচন করে কিছু লোক সংসদে যাবে, সেখানে নিয়ে প্রতিবাদ করবে। অথবা কোন দল নির্বাচন করে সরকারে যাবে তারপর এই সমস্যার সমাধানে আইন বানাবে, ইত্যাদি।
বহু দশক যাবত মুসলিমদের এসব আশা আর বুলি দেখানো হয়েছে, শোনানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা কী বলে?
যারা নির্বাচনী রাজনীতি বাজারে ঢুকে দেখা যায় তারা এধরণের বিষয়গুলো নিয়ে পারতপক্ষে কথাই বলে না। রাজনৈতিক জোট, আসন ভাগাভাগি, নির্বাচনের প্রস্তুতি, সমালোচনা এড়িয়ে যাওয়ার মতো ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বিষয় নিয়ে ব্যস্ততার কারণে আল্লাহ ও রাসূল (ﷺ)-এর ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে শক্ত স্ট্যান্স নেয়ার সুযোগ তাদের হয় না। নিজেদের বুঝ দেয়ার নানা উপায় তারা শিখে ফেলে।
আস্তে আস্তে হবে। এক দিন ক্ষমতায় যাবো, তখন সমাধান করবো – এই প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে অপেক্ষমান থাকে প্রচুর মানুষ। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়া হয় না, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর পক্ষে অবস্থান নেয়ারও ফুরসত মেলে না।
কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু আজ নানা ঘরানা, নানা মাসলাকের বড় বড় দল আর বড় বড় ব্যক্তিদের কাছ থেকে যে নীরবতা আর নিস্ক্রিয়তা আমরা দেখি, তার পেছনে যে এইসব হিসেবনিকেশ লুকিয়ে আছে তা কে অস্বীকার করতে পারবে?
তবে তার মানে এই না যে প্রতিবাদ বা বিক্ষোভের কোন মূল্য নেই। কোন কিছু পরিপূর্নভাবে অর্জন করতে না পারলে, সেটা পুরোপুরি ছেড়ে দেয়া যায় না।
আল্লাহ এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)–কে আক্রমণ করার পর যেখানে কিছুই হচ্ছে না, সেখানে দুর্বলের প্রতিবাদ হিসেবে হলেও প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ করা প্রয়োজন। একেবারে কিছু না করার অপশান এখানে নেই। আমাদের ঈমান এবং আত্মপরিচয়ের মূলে যদি আঘাত করা হয়, তাহলে চুপ থাকার সুযোগ নেই।
তাই প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভের প্রয়োজন আছে। এগুলোতে অংশ নেয়া জরুরী, আমি মনে করি আবশ্যক। যারা সংস্কারের পথে, যারা সেক্যুলার ব্যবস্থার ওপর এখনো ইসলামী শাসনের হুকুম লাগিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য ব্লাসফেমি আইনের দাবি তোলাটাও লজিকাল। তবে বাস্তবতা স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন। আদর্শিক বিশুদ্ধতা বজায় রাখা অপরিহার্য।
বাস্তবতা হল সংস্কারের কোন পদ্ধতিতে এই সমস্যার সুরাহা হবে না। সেক্যুলার রাষ্ট্র এক আধুনিক তাগুত, এবং এই ব্যবস্থা নব্য আধুনিকতার প্রায়োগিক রূপ। এই সেক্যুলার ব্যবস্থার কাছে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটা নিরাপদ না।
এই ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ছাড়া সমাধান হবে না। আরও একশো বছর, আরো দশবার করে দেশভাগ, যুদ্ধ আর গণঅভ্যূত্থান হলেও হবে না। যতোক্ষণ না ইসলাম আর সেক্যুলার ব্যবস্থার এই দ্বন্দ্বের সুরাহা হচ্ছে, এই সমস্যা চলমান থাকবে।
এই পরিবর্তন কিভাবে আসবে, তা নিয়ে আলোচনা আলাদা। সে আলোচনায় বিভিন্ন মত এবং পথের সুযোগ ও সম্ভাবনা, দুটোই আছে। তবে সেই আলোচনাতে আপনার অবস্থান যাই হোক না কেন, আধুনিক রাষ্ট্র, আমাদের বাস্তবতা এবং সংস্কারের পথ সম্পর্কে সত্যটা তাতে বদলাবে না।

Asif adnan

ধর্ম উপদেষ্টা  বিধর্মীদের পূজা-পার্বণে হাজিরা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা প্রমাণ করিলেন, তিনি মরেন নাই। বেঁচে আছেন বি...
06/10/2025

ধর্ম উপদেষ্টা বিধর্মীদের পূজা-পার্বণে হাজিরা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা প্রমাণ করিলেন, তিনি মরেন নাই। বেঁচে আছেন বিধর্মীদের পূজা-পার্বণে হাজিরা দেওয়ার মধ্য দিয়ে।

আমাদের এই দরবেশটার কাজ হচ্ছে হিন্দুদেরকে বলা বুক ফুলিয়ে পূজা উদযাপন করা

আর ইসলাম ধর্ম রাসূলকে নিয়ে কটুক্তি অবমাননা ,হলে কোরআনকে নিয়ে অবমাননা করলে সেগুলো মুখ বুঝে তামাশা দেখা,

.আজ যদি নর্থ সাউথে কুরআনের জায়গায় অন্যকোনো ধর্মগ্রন্থকে অবমাননা করা হতো, তাহলে ইতিমধ্যেই শাহবাগে মশাল মিছিল বের করত বামপ...
06/10/2025

.
আজ যদি নর্থ সাউথে কুরআনের জায়গায় অন্যকোনো ধর্মগ্রন্থকে অবমাননা করা হতো, তাহলে ইতিমধ্যেই শাহবাগে মশাল মিছিল বের করত বামপন্থিরা। বিভিন্ন পলিটিকাল দল থেকে অফিসিয়াল বিবৃতি আসতো। সুশীল সমাজ নিন্দা জানিয়ে ইয়া লম্বা পোস্ট প্রসব করত। কিন্তু যেহেতু কুরআন অবমাননা করা হয়েছে, তাই এর কিছুই ঘটবে না। যাস্ট দায়সারা কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে হয়তো। এরপর নতুন একটা ইস্যু

NSU Admin Building এর আজকে সিন্ডিকেট হলের একটি ঘটনা। আজকে নর্থসাউথের ছেলেদের গায়ে আগুন জ্বলে উঠেছিলো। গতকালের কিছু না করতে পারার অনুভূতির এক বহিঃপ্রকাশ ঘটছিলো বারুদের ন্যায়।

ভিসির সাথে বৈঠকের সময় পিছন থেকে একটি ছেলে বলে উঠলো কুরআনের বিরুদ্ধে গেলে আপনার ইউনিভার্সিটির আইন মানি না।
ভিসিঃ রাষ্ট্রের একটা আইন আছে না?
ছেলেটিঃ রাষ্ট্রের আইন কি আপনাকে কোরআন অবমাননা করতে বলছে।
ভিসিঃ এই গেট গুলো লাগিয়ে দেও তো। তুমি কে দেখা যাচ্ছে না তো। সামনে এসে কথা কথা বলো।

সবাই ভাবলাম, ছেলেটা চুপচাপ হয়ে যাবে। কিন্তু বললাম না, আজকে সবার হৃদয়ে আগুন জ্বলছিলো।

ছেলেটি বাঘের বাচ্চার মত সামনের সবাইকে- ভাই দেখি সাইড দেন তো বলে ঠিকই সামনে চলে গেলো! ভিসি ছেলেটার দুঃসাহসে আর কিছুই তাকে বলেনি। আমরা ছেলেটির জন্য দুয়া করি। তার যেন কোনো ক্ষতি না হয়।

তাকবিরের ঘটনার পূর্বে কয়েকজন একটি ছেলেকে নিষেধ করছিলো। থাক তাকবির দিও না। এসব শুনে পাশেরজন আরো জোরে তাকবির দেয়। এরপর নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার ধ্বনীতে কেপে উঠে পুরো এডমিন বিল্ডিং।

কুরআন অবমাননার দায় নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না। কারণ, ওদের প্রতিষ্ঠানেই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আর ...
05/10/2025

কুরআন অবমাননার দায় নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না। কারণ, ওদের প্রতিষ্ঠানেই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আর প্রক্টরিয়াল বডি সেই অপরাধীকে সেইফ এক্সিট দিয়েছে। অথচ উচিত ছিল কমসেকম পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেওয়া।
নসুর পোলাপানদের নিয়ে কিছু বলার রুচি হারিয়ে ফেলেছি। কারণ, তারা এতটাই স্মার্ট যে, কুরআন অবমাননাকারীর সাথে এংরাজি ছাড়া কথাই বলতে পারছিল না!!!

বাংলাদেশে বর্তমানে ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর আইন নেই। কেউ আল্লাহ্ বা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে গালি দিলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়মতান্ত্রিক কার্যকর কোনো পথ খোলা নেই।
রাখাল রাহার ব্যাপারটা দেখুন। এই লোক প্রকাশ্যে ফেইসবুকে মহান আল্লাহ্‌কে নিয়ে অশ্লীল গালি দিয়েছে। সে স্বীকারও করেছে ঐ পোস্ট সে দিয়েছিল। অথচ তার কোনো শাস্তি হয়নি, বরং আদালত মামলাই খারিজ করে দিয়েছে।
স্পষ্ট করে বললে, শাতেমে রাসূল বা আল্লাহ্‌কে অবমাননার বিরুদ্ধে মুসলমানদের হাতে এখন কোনো লিগ্যাল রিকোর্স নেই।
একজন মুসলিম যার কাছে রাসূল ﷺ এর ইজ্জত ঈমানের অংশ, তাঁর জন্য এই রাষ্ট্র কী অপশান রেখেছে?
• এ অবস্থায় কেউ উপেক্ষা করবে। কেউ দুঃখ পাবে, মুখ বুঝে সহ্য করে যাবে।
• কেউ প্রতিবাদ করবে, আন্দোলনে নামবে।
• আবার কেউ এমনও থাকবে যারা মনে করবে—যেহেতু রাষ্ট্র কিছু করছে না, বিচার নিজেই করতে হবে।
দিনের পর দিন আল্লাহ্‌ ও রাসূল ﷺ-কে গালি দেওয়া হবে, রাষ্ট্র চুপ করে থাকবে—এটা কোনো ঈমানদার ‘স্বাভাবিক’ বলে মেনে নিতে পারে না।আইনহীনতা বাড়লে, নিজ হাতে বিচার করাও বাড়বে। এটা অবধারিত।
দেশে যেহেতু শাতিমদের থামানোর নিয়মতান্ত্রিক কোনো উপায় নাই,
মানুষ নিয়মের বাইরে গিয়ে সমাধান খুঁজবে। এটাও অবধারিত।
ইকোনমিক্সের ভাষায় বললে:
যেহেতু অবমাননা থামানোর ব্যাপারে মুসলিমদের অবস্থান ইনইলাস্টিক, তাই ইসলাম অবমাননাকে স্পেইস দিয়ে রাষ্ট্র এবং সুশীল সমাজ ভিজিল্যান্টি জাস্টিসকে ইনসেন্টিভাইয করছে।
রাষ্ট্র অপরাধ না থামিয়ে যে শূন্যতা তৈরি করেছে, সেটাই ভিজিল্যান্টিসমের জায়গা খুলে দেবে। এটা ঠান্ডা, শীতল লজিক। ধর্মীয় উত্তেজনা না।

নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, তা পূর্বের সকল অপকর্মকে ছাড়িয়ে গেছে। নির্ভার চিত্তে ঠোঁটে শিস বাজাতে বাজাতে কুরআন পদপিষ্ট করার ভিডিওটি যারাই দেখেছেন, সবারই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।

কেউ কেউ অপূর্ব পালকে মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। পূর্বেও অনেক ইসলাম অবমাননাকারীকে মানসিক রোগী বলে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

কথা হলো, একজন মানসিক রোগী কীভাবে দেশের নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে!

তাছাড়া মানসিক রোগীরা কেন বারবার ইসলাম ধর্মের ওপরই আক্রমণ করে!

মনে রাখতে হবে, ক্লাসে হাদিসের উদাহরণ আনায় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ইতোপূর্বে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ কুরআন অবমাননার ঘটনা ভাইরাল হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তাই বিশ্ববিদ্যালয়-প্রশাসনও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। এমন কুলাঙ্গার ছাত্রকে প্রশ্রয় দেয়ার অপরাধে তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে।

এদেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামবিরোধী এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশে এটা কোনোভাবেই হতে দেয়া যায় না।
অপূর্ব পাল যা করেছে, এটা ধর্মীয় দাঙ্গা বাধানোর সুস্পষ্ট উস্কানি। আমরা অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

পাশাপাশি সরকারের প্রতি আমাদের দাবি—অবিলম্বে ধর্মঅবমাননা বিষয়ে কঠোর ও সুস্পষ্ট আইন তৈরি করে এর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে।

নতুবা দেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা নষ্টকারী ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকবে।

হে আত্মভোলা যুবক ভুলে যেও না তোমার পরিচয়প্রিয় তরুণ-তরুণী, যুগের স্রোতে গা ভাসিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তুমি উন্মাদনায় মাতছ, কিন্...
13/02/2025

হে আত্মভোলা যুবক ভুলে যেও না তোমার পরিচয়

প্রিয় তরুণ-তরুণী, যুগের স্রোতে গা ভাসিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তুমি উন্মাদনায় মাতছ, কিন্তু জানো না, কী এক মহাসর্বনাশের দিকে তুমি এগিয়ে চলেছ। যে দিবস তুমি পালন করছ, তুমি কি জানো এর উৎস কী? প্রাচীন রোমানগণ মধ্য ফেব্রুয়ারি বা ফাল্গুনের প্রথম দিনে ভূমি ও নারীর উর্বরতার জন্য দেবতার কাছে প্রার্থনা করত। তারা মনে করত, পহেলা ফাল্গুনে প্রার্থনা করলে দেবতারা জমির উর্বরতা বাড়িয়ে দেয় এবং নারীরা অধিক সন্তানবতী হয়। এদিনে দেবতাদের কৃপা ও সুদৃষ্টি লাভের জন্য তারা নগ্ন হয়ে অশালীন নাচগান করত এবং লটারিতে ওঠা যুবতীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হতো। ১৪ ফেব্রুয়ারির আজকের যে উন্মাদনা, তার মূল বীজ বপিত আছে উল্লিখিত ঘটনার ভেতর।

এই দিবসকে বাংলায় বলা হচ্ছে ভালোবাসা দিবস। কিন্তু ভ্যালেনটাইন ডে'র বাংলা কখনো ভালোবাসা দিবস হতে পারে না। তাছাড়া এই দিনে পিতা-পুত্রের ভালোবাসা, স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা, ভাইবোনের ভালোবাসার কোনো নমুনা আমরা দেখতে পাই না। এতেই বোঝা যায়, এটা বিবাহবহির্ভূত হারাম ভালোবাসার জন্য পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। যার সাথে এদেশের মাটি-মানুষ ও সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু তাই নয়, এই দিবসে যা যা হয়, এতে ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভও নেই।

ধন-সম্পদে আমরা দরিদ্র হলেও আমাদের বিশেষ এক সম্পদ আছে। সেই সম্পদের নাম শালীনতা। প্রিয় ভাই, এই সম্পদ ধ্বংসের কারণ তুমি হয়ো না। এই দিনে তুমি যখন প্রেমিকাকে নিয়ে পথে বের হও, শালীনতা নামের প্রাসাদের ইট একটা একটা করে খুলে পড়ে যায়। তুমি কি টের পাও সেই প্রাসাদ ভাঙার শব্দ?

প্রিয় যুবক, আবেগ অনেকটা সফট ড্রিংকসের ঝাঁজের মতো। বেশি সময় স্থায়ী হয় না। অন্তরের আবেগ বৈধ ভালোবাসার জন্য জমিয়ে রাখো। নয়তো বিয়ের পর তোমার বৈধ ভালোবাসার পুঁজিতে টান পড়বে। তুমি ভুলে যেও না তোমার সৃষ্টির লক্ষ্য। মহান আল্লাহ তোমার উদ্দেশেই বলেছেন, হে মানুষ, কীসে তোমাকে তোমার প্রতিপালক সম্পর্কে ধোঁকায় ফেলে দিয়েছে? [ইনফিতার ০৬]

যুগের স্রোগের গা ভাসিয়ে তুমি অশালীনতায় ডুবছ, অথচ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে অপছন্দনীয় কাজগুলোর একটি অশ্লীলতা। কুরআনে তিনি বলেছেন, নিশ্চয় যারা এটা পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। [নূর ১৯]

শ্রদ্ধেয় অভিভাবকবৃন্দ, ১৪ ফেব্রুয়ারির নষ্টামির দিনে আপনার সন্তান কোথায় যায়, খবর রাখুন। ওইদিন আপনি যদি মাথায় টুপি দিয়ে মসজিদে যান আর আপনার ষোড়শী কন্যা মাথায় ফুলের তোড়া বসিয়ে অভিসারে গমন করে, তবে কাল কেয়ামতের মাঠে এই টুপি ও নামাজ আপনাকে পুরোপুরি রক্ষা করতে পারবে না। আপনি আল্লাহর কাছে দাইয়ুস হিসেবে চিহ্নিত হবেন। আর দাইয়ুসের দিকে আল্লাহ রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না বলে রাসুল (সা.) সতর্ক করেছেন।

তাই, আপনার সন্তানকে আগলে রাখুন। ভালোবাসা দিয়ে বোঝান। প্রয়োজনে কঠোর হোন। তবু আদরের সন্তানকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন না।

আমাদের আজকের শপথ হোক ১৪ ফেব্রুয়ারির নষ্টামি বর্জনের শপথ।

গা*জা পোড়াতে চেয়েছিলো যারা রবের হুকুমে পুড়ছে তারা। আ*গুনে জ্ব*লছে অ*শ্লি*লতার নগরী আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া। আল্লাহ বল...
10/01/2025

গা*জা পোড়াতে চেয়েছিলো যারা
রবের হুকুমে পুড়ছে তারা।
আ*গুনে জ্ব*লছে অ*শ্লি*লতার নগরী আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া।

আল্লাহ বলেনঃ انهم يكيدون كيدا واكيد كيدا
তারা কৌশল অবলম্বন করে, আমিও কৌশল অবলম্বন করি। (সূরা ত্ব-রিক)
তিনি আরো বলেনঃ ان بطش ربك لشديد
নিশ্চয়ই তোমার রবের পাকড়াও বড় কঠিন। (সূরা বুরুজ)

Address

Dhaka
Pabna
6600

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mohammad Rashed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mohammad Rashed:

Share