
12/07/2025
চাঁদপুরের প্রফেসর পাড়া মোল্লাবাড়ি বাইতুল আমিন জামে মসজিদে খুতবা চলাকালীন সময় মসজিদের ইমাম ও খতীব মাওলানা নুরুল আমিন মাদানী (৪৫) উপর অতর্কিতভাবে চাপাতি হামলা চালানো হয়। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
মাওলানা নুরুল আমিন মাদানী ছিলেন চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়া এলাকার মোল্লাবাড়ি বাইতুল আমিন মসজিদের ইমাম ও খতীব।
তিনি সৌদি আরবের মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষালাভ করেন। সুদীর্ঘ সময় ধরে তিনি এই মসজিদে ইমামতি করে আসছিলেন এবং এলাকার মধ্যে একজন শ্রদ্ধেয় আলেম হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় খুতবা চলাকালীন হঠাৎ এক ব্যক্তি মসজিদের ভেতর চাপাতি নিয়ে ঢুকে মাওলানা মাদানীর উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারী ব্যক্তি খুতবার কিছু বক্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল।
ইমাম সাহেব খুতবায় বলেছিলেন:
“রাসুল (সাঃ)-কে আমাদের ভালোবাসতে হবে সবচেয়ে বেশি, তবে চাওয়া-পাওয়া করতে হবে একমাত্র আল্লাহর কাছে। আমাদের আদর্শ একমাত্র রাসুল( সাঃ)। রাষ্ট্র চলবে সেই আদর্শেই।
এই বক্তব্যে হামলাকারী আপত্তি তোলে। চওড়া হয় ইমামের উপর
এই ভয়াবহ ঘটনা সত্ত্বেও স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
সামাজিক মাধ্যমে কিছু ক্ষীণ প্রতিবাদ ছাড়া মূলধারার মিডিয়ায় এই ঘটনা খুব বেশি গুরুত্ব পায়নি, যা নিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
মাওলানা নুরুল আমিন মাদানীর পরিবার ও মসজিদের মুসল্লিরা হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
তারা বলেন,
“একজন আলেম, যিনি কুরআন-সুন্নাহর আলোকে মানুষকে দ্বীনের পথে ডাকার চেষ্টা করছিলেন তাকে আহত করা মানে পুরো ইসলামি সমাজকে আতঙ্কের বার্তা দেওয়া।
আরও একটি নির্মম ধর্মীয় সহিংসতার ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে যুক্ত হলো
এবার আহত হলেন একজন দ্বীনদার, শিক্ষিত, মার্জিত ইমাম।
এই হামলার বিচার হবে কি না, নাকি এটিও হারিয়ে যাবে আরও অনেক ঘটনার ভিড়ে সেটাই এখন সময়ের প্রশ্ন।