29/10/2025
প্রভাষক নিয়োগ সপ্তম গ্রেডে, বেতন ৮৭ হাজার টাকা। মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাবি।
মূল্যস্ফীতি ও আগের পে-স্কেল বিবেচনায় নিয়ে নবম জাতীয় পে-স্কেলে মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে প্রস্তাবে নবমের পরিবর্তে সপ্তম গ্রেডে প্রভাষক নিয়োগ, ন্যূনতম দুই লাখ থেকে এক হাজার কোটি টাকার গবেষণা অনুদান এবং অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য এক হাজার কোটি টাকার ‘এন্ডোমেন্ট ফান্ড’ গঠনের কথা রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনে বেতন প্রস্তাবনা কমিটির আহ্বায়ক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নবম পে-কমিশনের কাছে এগুলোসহ যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা তুলে ধরেন।
প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম গ্রেডের সর্বনিম্ন বেতন দুই লাখ ৩৪ হাজার টাকা, দ্বিতীয় গ্রেড এক লাখ ৮৮ হাজার থেকে দুই লাখ ৪০ হাজার ৬৭০, তৃতীয় গ্রেড এক লাখ ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ ২৫ হাজার ৩৫০, চতুর্থ গ্রেডে কর্মচারীরা দেড় লাখ থেকে এক লাখ ৭১ হাজার ৩০০ ও পঞ্চম গ্রেডে এক লাখ ২৯ হাজার থেকে দুই লাখ ১১০ টাকা পাবেন।
সপ্তম গ্রেডে কর্মরতদের বেতন ৮৭ হাজার থেকে এক লাখ ১৫ হাজার ৩০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। সর্বনিম্ন, অর্থাৎ ২০তম গ্রেডে বেতন ধরা হয়েছে ২৫ হাজার থেকে ৬৮ হাজার ৯৭৫ টাকা।
শিক্ষকদের বেতন ও গ্রেড প্রস্তাব করা হয়েছে– প্রভাষক সপ্তম, সহকারী অধ্যাপক পঞ্চম, সহযোগী অধ্যাপক তৃতীয় ও অধ্যাপক দ্বিতীয় গ্রেড। মোট অধ্যাপকের ২৫ শতাংশ প্রথম গ্রেড পাবেন।
কোষাধ্যক্ষ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক পরিবেশ আরও উন্নত হলে, ভালো শিক্ষক ধরে রাখা কঠিন হবে। তারা আমাদের তিন থেকে পাঁচ গুণ বেতন অফার করছে। বিশ্ব এখন এআইয়ের দিকে ঝুঁকছে। আমাদের প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানে কলেজের শিক্ষকরা বছরে দুবার ফুল কনফারেন্স ফান্ডিং পান। আমরা সেটি করতে পারিনি। দক্ষিণ এশিয়ায় সাইটেশনযোগ্য একাডেমিক আর্টিকেল প্রকাশে বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে।
ন্যূনতম দুই লাখ টাকা গবেষণা অনুদান
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গবেষণার পরিসর বৃদ্ধিতে অধ্যাপককে ১০ লাখ, সহযোগী অধ্যাপককে পাঁচ লাখ, সহকারী অধ্যাপককে তিন লাখ ও প্রভাষককে দুই লাখ টাকা বার্ষিক গবেষণা অনুদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
গবেষণা কিউ১, কিউ২, কিউ৩ পর্যন্ত জার্নালে প্রকাশের জন্য যথাক্রমে– এক লাখ, ৭৫ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা প্রণোদনা; বিদেশে সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ বাবদ প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
কোষাধ্যক্ষ বলেন, এসব টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করার সুযোগ নেই। গবেষণা না করলে টাকা ফেরত নেওয়া হবে।
মূল বেতনের সমপরিমাণ ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ভাতা; ২৫ শতাংশ ডিন, প্রভোস্ট এবং হাউস টিউটর (বর্তমানে ১৫০০ টাকা পান) ভাতা, ২০ শতাংশ চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও গবেষণা সেন্টারের পরিচালক ভাতা, ৫০ শতাংশ প্রক্টর ভাতা; অফিসপ্রধানদের দুই হাজার ৫০০ টাকা বিদ্যুৎ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
উৎসব ভাতা মূল বেতনের ২০০ শতাংশ হারে বছরে দুটি, ৫০ শতাংশ নববর্ষ, ২০ শতাংশ হারে ঢাকা সিটি ভাতা, ১০ শতাংশ শিক্ষা উপকরণ ভাতা, ছয় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা, সন্তানপ্রতি মাসিক দুই হাজার টাকা শিক্ষাসহায়ক ভাতা, শিক্ষকদের বই ভাতা ২০ হাজার টাকা, নবম গ্রেড পর্যন্ত টেলিফোন ভাতা ও কর্মকর্তাদের তৃতীয় গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর বলেন, উন্নত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এন্ডোমেন্ট ফান্ড’ রয়েছে, যা আমাদের নেই। সরকার আজ টাকা দেওয়া বন্ধ করলে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো যাবে না। যতদিন অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জিত না হবে, ততদিন প্রকৃত স্বায়ত্তশাসন আসবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বেতন প্রস্তাবনা কমিটির সদস্য ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শহীদুল জাহিদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মনিনুর রশিদ, সদস্য সচিব বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শাফী মুস্তফা উপস্থিত ছিলেন
ে_কমিশন #২০শতাংশ_বাড়ি_ভাড়া #হাইলাইটসシ゚ #এমপিওভুক্ত ৌধুরী_রফিকুল_আবরার #পনের_শতাংশ_বাড়ি_ভাড়া ゚ #অধ্যক্ষ_দেলোয়ার_হোসেন_আজিজি