Masud Masum

Masud Masum জাগ্রত স্বপ্ন, দুরদর্শী চিন্তা, সুষ্ঠু পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম, সফল বাস্তবায়ন =সফলতা

24/08/2025
হারানো আলো: মাসুদ মাসুম অধ্যায় ৫: ত্যাগদিন দিন রায়হানের ভেতরের দ্বন্দ্ব আরও গভীর হচ্ছিল।নিশা তাকে আগের মতোই ভালোবাসত, প্...
21/08/2025

হারানো আলো
: মাসুদ মাসুম

অধ্যায় ৫: ত্যাগ

দিন দিন রায়হানের ভেতরের দ্বন্দ্ব আরও গভীর হচ্ছিল।
নিশা তাকে আগের মতোই ভালোবাসত, প্রতিদিন খোঁজ নিত, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাত।
কিন্তু রায়হান জানত—তার বাস্তবতা নিশার স্বপ্নকে ধুলোয় মিশিয়ে দেবে।

এক সন্ধ্যায় নিশা ফোনে কেঁদে ফেলল—
— “তুমি কেন আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছ? আমি কী ভুল করেছি?”

রায়হান অনেকক্ষণ চুপ করে রইল।
তারপর ভারী গলায় বলল—
— “তুমি কিছুই ভুল করোনি নিশা। কিন্তু… আমাদের পথ এক নয়।”

নিশা হতবাক হয়ে গেল।
— “মানে? তুমি কি সত্যিই আমাকে আর চাও না?”

রায়হানের বুকটা কেঁপে উঠল, কিন্তু সে মুখ শক্ত করে বলল—
— “ভালোবাসা দিয়ে জীবন চলে না।
তুমি তোমার পরিবারের মতো করে, তোমার মতো কারো সাথে সুখী হবে। আমি তোমাকে সেই সুখ দিতে পারব না।”

নিশা কান্নায় ভেঙে পড়ল।
— “তাহলে এতদিন যা ছিল, সব মিথ্যে?”

রায়হান ঠোঁট কামড়ে চুপ করে রইল।
আসলে তার সবকিছু সত্যি ছিল—তার ভালোবাসা, তার স্বপ্ন, তার অনুভূতি।
কিন্তু ত্যাগ করাই সে বেছে নিল।

সেদিন নিশা ভিজে গলা নিয়ে শুধু একটি কথাই বলল—
— “তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসতে, তবে এত সহজে ছেড়ে যেতে না।”

তারপর লাইন কেটে গেল।

রায়হান ফোনটা হাতে নিয়ে বসে রইল অনেকক্ষণ।
চোখে জল জমল, বুক ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল।
কিন্তু সে কাউকে কিছু জানাল না।

নিজেকে বোঝাল—
"হয়তো এটাই ভালো। অন্তত ও কষ্ট পাবে না।"

কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে জানত—
সবচেয়ে বড় কষ্টটা নিজেই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।

অধ্যায় ৬: বিচ্ছেদ ও স্মৃতি

নিশার বিয়ে হয়েছিল এক শান্ত সকালে, সূর্য কুয়াশার ভেতর দিয়ে ধীরে ধীরে গ্রামটিকে আলোকিত করছিল।
রায়হান দাঁড়িয়ে ছিল দূরে, কেবল একটি নিঃশব্দ প্রহরপালন।
নিশার চোখে এক রকম চুপচাপ আনন্দ, আর রায়হানের চোখে মিশে আছে অজানা দুঃখ।

নিশা তার হাতে নরম চাদরটি আঁকতে আঁকতে বলল,
“রায়হান, সব ঠিক আছে। তুমি আমার জীবনের অংশ, কিন্তু আমাদের পথ আলাদা।”

রায়হান কিছু বলতে পারল না। তার মন কেঁপে ওঠে, চোখ ভরে আসে পানি।
মনে মনে সে বলল:
"আমার কাছে যদি কিছু বলার সাহস থাকত, আমি বলতাম—আমি সবসময় তোমার পাশে থাকতে চাই। কিন্তু কখনও কখনও ভালোবাসা মানে অন্যের সুখের জন্য নিজেকে দূরে রাখা।"

সেই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো—সন্ধ্যার আড্ডা, বইয়ের পাতা উল্টানো, হাসিমাখা চোখে চোখ রাখা—সবই মনে ঝরে।
হারানো ভালোবাসার আলো, নিঃশব্দ স্মৃতির মতো, হৃদয়ে চিরকাল জ্বলতে থাকে।

---

অধ্যায় ৭: সাফল্যের পথে

বছরের পর বছর রায়হান পরিশ্রম করল।
ছোট্ট একটি ব্যবসা শুরু করেছিল, রাতের অন্ধকারে কাজ, দিনের আলোতে স্বপ্ন বুনে।
এখন তার কোম্পানি দেশের এক পরিচিত নাম।
তবু মনটা পূর্ণ নয়।

রায়হান নিজের সাথে:
"সাফল্য আমার হাতে, কিন্তু কিছু হারিয়েছি… এমন আলো, যা আর কখনও ফিরে আসবে না।"

কর্মস্থলে সহকর্মীরা তাকে উৎসাহ দেয়, তার অবদান স্বীকৃতি পায়।
কিন্তু যখন রাত আসে, এবং অফিসের আলো নিভে যায়, তখন মনে পড়ে নিশার হাসি, তার কথার মধুর স্বর।
রায়হান বুঝতে পারে—সফলতা আর ভালোবাসা সবসময় একসাথে আসে না।

---

অধ্যায় ৮: শূন্যতার ঘর

রাত্রি নেমে আসে, রায়হান একা থাকে তার কক্ষে।
সব অর্জন, সম্পদ, সম্মান—সবই আছে, কিন্তু ভেতরে একটি শূন্য ঘর।
শূন্যতার এই ঘর তার হৃদয়কে নিঃশব্দে গ্রাস করে।

রায়হান:
"এই ঘরে আলো আছে, কিন্তু আমি ছুঁতে পারি না। সব কিছু থাকা সত্ত্বেও, কিছু হারিয়েছি—সবচেয়ে মূল্যবান।"

নিশার স্মৃতি এখানে বিরামহীনভাবে ঘুরে বেড়ায়—ছোট ছোট আড্ডা, হাসি, চোখের ভাষা।
রায়হান বুঝতে পারে, কিছু মানুষ চলে গেলেও তাদের আলো চিরকাল হৃদয়ে থাকে।

---

অধ্যায় ৯: হারানো আলোর ডাক

এক রাতে, রায়হান জানালার পাশে বসে আকাশের দিকে তাকাল।
নক্ষত্রের আলো যেন তার জীবনের স্মৃতি জ্বালাচ্ছে।
ভেতরে মিশে আছে নিশার হাসি, তার স্পর্শ, কথার মধুরতা।

রায়হান কণ্ঠহীনভাবে:
"আমি তোমাকে হারাইনি নিশা, আমি নিজেই তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি।"

তার চোখে অশ্রু, কানে নিশার স্মৃতির শব্দ।
হারানো ভালোবাসার আলো তাকে চুপচাপ ডাকছে, আর সে শোনার জন্য প্রস্তুত।
তার হৃদয় জানে—এই আলো চিরকাল থাকবে, শুধু সময়ের সঙ্গে আরও প্রগাঢ় হবে।

---

অধ্যায় ১০: শেষ আলো (সমাপ্তি অধ্যায়)

বয়স বাড়ল, চুলে সাদা ছায়া।
রায়হান শান্ত, কিন্তু স্মৃতির ভার এখনও হৃদয়ে।
সে বুঝল—ভালোবাসা শুধু পাওয়া নয়, এটি ত্যাগের নামও।
কখনও কখনও ভালোবাসার পূর্ণতা আসে না, কিন্তু সেই ত্যাগ চিরকাল হৃদয়ে আলোর মতো জ্বলতে থাকে।

রাত্রির নিস্তব্ধতায়, জানালার পাশে দাঁড়িয়ে, রায়হান মনে মনে নিশাকে বলল—

রায়হান:
"তুমি আছো, চিরকাল। তুমি আমার হারানো আলো।"

শেষ আলো সেই ভেতরের অন্ধকারে ছড়িয়ে গেল, এবং রায়হান শান্তি পেল।
হারানো ভালোবাসা, হারানো আলো—সব কিছু মিলেই জীবন তার পূর্ণতা খুঁজে পেল।
---

শেষ কবিতা

স্বপ্ন ছিল দু’জনার, ছুঁয়ে দেখব আকাশ,
বাস্তব এলো সামনে, ভেঙে দিলো সব আশ।

ক্যারিয়ারের ভিড়ে, টাকার হিসাব,
ভালোবাসা হেরে গেলো সমাজের চাপ।

আজ সফল আমি, জগৎ আমার পায়ে,
তবু শূন্যতা শুধু নিশার অভাব গায়ে।

ভালোবাসা আজো খোঁজে ফিরে
তা হোক যতই ঘোমট কালো

সব পেয়েও পাইনি যাকে,
সে-ই আমার হারানো আলো।

---মাসুদ মাসুম

হারানো আলোমাসুদ মাসুম অধ্যায় ৩: প্রেমের শুরুএক বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টি নেমেছিল।ক্লাস শেষ হওয়ার পর সবাই দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল, ক...
18/08/2025

হারানো আলো

মাসুদ মাসুম

অধ্যায় ৩: প্রেমের শুরু

এক বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টি নেমেছিল।
ক্লাস শেষ হওয়ার পর সবাই দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল, কেউ বাস ধরতে, কেউ ভিজতে না চাইতে। কিন্তু নিশা বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে দুই হাত ছড়িয়ে দিল—মনে হলো যেন সে পুরো আকাশকে আলিঙ্গন করছে।

রায়হান দূরে দাঁড়িয়ে চেয়ে ছিল।
তার মনে হচ্ছিল, এ মেয়ে শুধু নিজের জীবনেই না, আশেপাশের অন্ধকারেও আলো জ্বালাতে জানে।

হঠাৎ নিশা তাকে ডেকে বলল—
— “এই রায়হান! এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন? এসো, একটু ভিজে যাও না।”

রায়হান দ্বিধায় পড়ল। সে খুব নিয়মের ছেলে—বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হওয়ার ভয়, জামাকাপড় নষ্ট হওয়ার ভয়, এসব সবসময় মাথায় থাকে।
কিন্তু সেই মুহূর্তে তার মনে হলো—ভয় নয়, আনন্দটাই আসল।

সে এগিয়ে গেল।
দু’জন একসাথে ভিজল বৃষ্টির ধারা গায়ে মেখে।
নিশা হেসে বলল—
— “দেখলে, এতটুকু জলে ভিজে গেলে কিছু হয় না।”

রায়হান তাকিয়ে রইল তার দিকে। হৃদপিণ্ডটা যেন কানে বাজতে লাগল।
অবশেষে সে সাহস করে বলল—

— “নিশা... আমি জানি না কেমন করে বলব।
তুমি না থাকলে আমার পৃথিবীটা ফাঁকা মনে হয়।
তোমার সাথে থাকলে মনে হয় সবকিছু সহজ, সুন্দর।
হয়তো আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কিছু চাই না।”

নিশা প্রথমে চুপ করে তাকিয়ে রইল।
তারপর ধীরে ধীরে ঠোঁটে মিষ্টি হাসি ফুটল।
সে বলল—

— “তাহলে আমি তোমার জীবনের আলো হয়ে থাকব, রাজি তো?”

রায়হানের বুকটা কেঁপে উঠল।
সে শুধু মাথা নেড়ে সম্মতি জানাল।
সেদিনের সেই মুহূর্তেই তাদের সম্পর্কটা একেবারে অন্যরকম রূপ নিল।

বৃষ্টির মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা দু’জন মানুষ জানত—তাদের জীবন আর আগের মতো থাকবে না।
রায়হান প্রথমবার অনুভব করল, ভালোবাসা মানে শুধু কারো কাছে থাকা নয়, বরং কারো ভেতর থেকে নতুন করে বাঁচার শক্তি খুঁজে পাওয়া।

হারানো আলো

অধ্যায় ৪: বাস্তবতার দেয়াল

প্রেমের প্রথম কয়েক মাস ছিল স্বপ্নের মতো।
নিশা আর রায়হান ক্লাস শেষে একসাথে আড্ডা দিত, লেকের ধারে বসে গল্প করত, মাঝেমধ্যে একে অপরকে বই উপহার দিত।
নিশা সবসময় প্রাণবন্ত, রায়হান নীরব হলেও তার চোখে আনন্দ ফুটে উঠত।

কিন্তু যত দিন গেল, রায়হান ভেতরে ভেতরে অস্থির হতে লাগল।
তার মস্তিষ্কে একটার পর একটা প্রশ্ন ঘুরতে থাকল—
"আমি কি সত্যিই নিশার সঙ্গে একটা ভবিষ্যৎ গড়তে পারব?
আমার তো কিছুই নেই—ঠিকমতো আয় নেই, বাড়ি নেই, টাকা নেই।
আর আমাদের ধর্মও তো আলাদা... নিশার পরিবার কি কখনো মেনে নেবে আমাকে?"

সে এই ভাবনা থেকে মুক্তি পাচ্ছিল না।
একদিকে নিশার নির্ভেজাল ভালোবাসা, অন্যদিকে বাস্তবতার কঠিন দেয়াল।

একদিন নিশা হঠাৎ বলল—
— “শোনো রায়হান, আমি স্বপ্ন দেখি একদিন আমরা একসাথে নিজের একটা ছোট্ট সংসার গড়ব। হয়তো অনেক বড় কিছু হবে না, কিন্তু আমরা একসাথে থাকব, ব্যস।”

রায়হান নিশার চোখের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ চুপ রইল।
তারপর আস্তে বলল—
— “যদি সংসারটা সুখী করার মতো সামর্থ্যই না থাকে আমার? যদি তোমাকে কষ্ট দিই?”

নিশা মিষ্টি হেসে উত্তর দিল—
— “টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায় না রায়হান। মানুষ পাশে থাকাটাই আসল।”

কিন্তু এই কথায় রায়হানের কষ্ট আরও বেড়ে গেল।
কারণ সে জানত—জীবনে টাকা, ক্যারিয়ার, পরিবার—এসবের হিসাব না মেলালে সুখ কখনো টেকেনা।

কিছুদিন পর থেকেই রায়হান অকারণে দূরে সরে যেতে শুরু করল।
ফোন ধরত না, বারবার ব্যস্ততার অজুহাত দিত।
নিশা বারবার জিজ্ঞেস করত—
— “কী হয়েছে তোমার? আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছ কেন?”

রায়হান চোখ নামিয়ে বলত—
— “কিছু হয়নি, শুধু পড়াশোনায় ব্যস্ত।”

কিন্তু আসলে তার ভেতরে ভয় জমে উঠছিল—
ভালোবাসা কি সত্যিই এতটা শক্তিশালী যে সব বাধা ভাঙতে পারবে? নাকি বাস্তবতা একদিন সব ভেঙে দেবে?

সেদিন রায়হান বুঝল, ভালোবাসা যতই নির্মল হোক, সমাজ আর বাস্তবতা কখনো তাকে সহজে পথ চলতে দেয় না।

হারানো আলোঅধ্যায় ২: বন্ধুত্বের বাঁধনপরিচয়ের পর থেকেই নিশা প্রায়ই রায়হানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করত। ক্লাসের নোট, গ্রুপ প...
17/08/2025

হারানো আলো

অধ্যায় ২: বন্ধুত্বের বাঁধন

পরিচয়ের পর থেকেই নিশা প্রায়ই রায়হানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করত। ক্লাসের নোট, গ্রুপ প্রজেক্ট, এমনকি অকারণেও সে রায়হানের কাছে আসত।

প্রথমে রায়হান ভেবেছিল—“ও শুধু ভদ্রতার খাতিরেই করছে।”
কিন্তু দিন যেতে যেতে সে বুঝতে পারল, নিশা সত্যিই চায় তার কাছাকাছি আসতে।

একদিন বিকেলে লাইব্রেরিতে বসে রায়হান বই পড়ছিল। হঠাৎ পাশে এসে বসে নিশা বলল—
— “তুমি কি সারাদিন শুধু বই-ই পড়ো? পৃথিবীতে আর কোনো আনন্দ নেই?”

রায়হান চমকে উঠে তাকাল।
— “আনন্দ আছে। কিন্তু সবার জন্য সবকিছু সমান হয় না।”

নিশা হেসে বলল—
— “তাহলে এক কাজ করো, আজ আমার সঙ্গে চা খেতে চলো। হয়তো নতুন কিছু আনন্দ খুঁজে পাবে।”

রায়হান দ্বিধায় পড়ে গেল। আগে কখনো কোনো মেয়ের সাথে একা কোথাও যায়নি।
কিন্তু নিশার সেই জোরালো উচ্ছ্বাসে না বলতে পারল না।

সেদিন ছোট্ট ক্যান্টিনে বসে ওরা একসাথে চা খেল।
নিশা অবিরাম গল্প করে গেল—শখ, সিনেমা, গান, বই, জীবনের মজার অভিজ্ঞতা।
রায়হান শুনল। শুধু শুনল। কিন্তু তার মনে হলো, এই মেয়েটি যেন অচেনা এক রঙ ঢেলে দিল তার একঘেয়ে জীবনে।

এরপর থেকে নিয়ম হয়ে গেল।
ক্লাস শেষে মাঝে মাঝে লেকের ধারে হাঁটা, গ্রুপ স্টাডির আড়ালে গল্প, বৃষ্টির দিনে ছাতা ভাগাভাগি।
রায়হানের মুখে খুব বেশি কথা না থাকলেও নিশা বুঝতে পারত—চোখের ভেতরে লুকানো এক ধরনের শান্তি আছে, যা কেবল সে-ই বের করতে পারে।

এক রাতে ফোনে নিশা বলল—
— “জানো, আমি মনে করি তুমি একদম ভেতর থেকে আলাদা। সবাই যেখানে বাইরে বাইরে মজা খোঁজে, তুমি খোঁজো ভেতরে। এজন্যই হয়তো তোমার সঙ্গে কথা বলতে আমার ভালো লাগে।”

রায়হান কিছুক্ষণ চুপ থেকে শুধু বলল—
— “আমারও ভালো লাগে।”

সেদিন প্রথমবার রায়হানের কণ্ঠে আন্তরিকতার ঝলক শুনে নিশার বুকের ভেতর অদ্ভুত এক কম্পন জেগেছিল।

ধীরে ধীরে বন্ধুত্বটা আর শুধু বন্ধুত্বে সীমাবদ্ধ থাকল না।
নিশা নিজেকে খুঁজে পেল রায়হানের নীরবতায়। আর রায়হান বুঝল, তার নিরস জীবনে যে আলো আস্তে আস্তে জ্বলে উঠছে—সেই আলোর নাম নিশা।
চলবে..

হারানো আলোমাসুদ মাসুম অধ্যায় ১: প্রথম দেখারায়হান সবসময়ই ভিন্ন রকমের ছেলে।কলেজে ঢুকেও তার কোনো বিশেষ বন্ধুবান্ধব ছিল না। ...
16/08/2025

হারানো আলো

মাসুদ মাসুম

অধ্যায় ১: প্রথম দেখা

রায়হান সবসময়ই ভিন্ন রকমের ছেলে।
কলেজে ঢুকেও তার কোনো বিশেষ বন্ধুবান্ধব ছিল না। ক্লাস শেষে সে সাধারণত লাইব্রেরিতে গিয়ে বসে থাকত, পুরোনো বইয়ের পাতায় মন ডুবিয়ে রাখত। অন্যরা যখন আড্ডা মারত, সিনেমা বা ঘুরতে যেত, রায়হান তখন নিজের জগতে হারিয়ে যেত।

এক বিকেলে কলেজের বড় প্রজেক্টের জন্য সবাইকে গ্রুপে ভাগ করা হচ্ছিল। কপালের জোরে রায়হানের সঙ্গে একই গ্রুপে পড়ল নিশা—সবার কাছে বেশ চঞ্চল আর প্রিয় একটি মেয়ে।

নিশা প্রথম দিনেই হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে বলল—
— “হাই, আমি নিশা। তুমি নিশ্চয়ই রায়হান, তাই তো?”

রায়হান একটু দ্বিধা নিয়ে মাথা নাড়ল।
সে খুব কম কথা বলত। মেয়েদের সঙ্গে তো প্রায় নয়ই।

নিশা হেসে আবার বলল—
— “তুমি এত চুপচাপ কেন? ভয় পাও নাকি?”

রায়হান লজ্জায় কিছু না বলে বইয়ের দিকে তাকিয়ে রইল। কিন্তু ভেতরে ভেতরে কেমন যেন একটা আলোড়ন হলো। তার মনে হলো—এই হাসিটা অদ্ভুতভাবে তাকে নরম করে দিচ্ছে।

প্রথম দিনেই নিশা বুঝে গিয়েছিল, রায়হান অন্যরকম। কিন্তু সে এটাও বুঝেছিল—এই চুপচাপ ছেলেটির ভেতরে অনেক গভীর কিছু লুকিয়ে আছে।

সেদিন গ্রুপ মিটিং শেষে নিশা মজা করে বলেছিল—
— “রায়হান, একদিন তোমার কাছ থেকে কথা বের করবই, শুধু অপেক্ষা করো।”

রায়হান হেসেছিল না, উত্তরও দেয়নি। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে তার কানে বারবার বাজছিল সেই কথাটা।
অদ্ভুতভাবে মনে হচ্ছিল—হয়তো এই মেয়েটি তার জীবনের নিয়ম ভেঙে কিছু একটার শুরু করে দিয়েছে।

---চলবে

আমার কাছে ভালো লেগেছে, কিন্তু আপনার কাছে??
16/08/2025

আমার কাছে ভালো লেগেছে, কিন্তু আপনার কাছে??

যেখানে তুমি নেই, অচিরেই দেখা যাবে
16/08/2025

যেখানে তুমি নেই, অচিরেই দেখা যাবে

Big shout out to my newest top fans! 💎 Billal Hossen, Fuad Khan, Mazharul Islam Akash, Azhan Azwad RoshanDrop a comment ...
11/08/2025

Big shout out to my newest top fans! 💎 Billal Hossen, Fuad Khan, Mazharul Islam Akash, Azhan Azwad Roshan

Drop a comment to welcome them to our community,

কারো কারো রাগের মধ্যেও সৌন্দর্য থাকে, ঠিক যেমন প্রকৃতির রুঢ়তার মধ্যে থাকে।
11/08/2025

কারো কারো রাগের মধ্যেও সৌন্দর্য থাকে, ঠিক যেমন প্রকৃতির রুঢ়তার মধ্যে থাকে।

প্রত্যাশা যত কম সুখ ততবেশী..
31/07/2025

প্রত্যাশা যত কম সুখ ততবেশী..

Jamuna
28/07/2025

Jamuna

কালো চশমা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, মানুষ পড়ে, সমাজও অনেক সময় পড়ে, তাই নয় কি?
19/07/2025

কালো চশমা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, মানুষ পড়ে, সমাজও অনেক সময় পড়ে, তাই নয় কি?

Address

Pabna

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Masud Masum posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share