06/09/2025
🛑 সতর্কবার্তা – দালাল থেকে সাবধান 🛑
📌 সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পাবনা ব্লাড ব্যাংক ট্রান্সফিউশন সেন্টারের মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত Redyon Rahat (দালাল) রক্তদাতাদের সঙ্গে অসৎ লেনদেনের অভিযোগে জড়িত।
💰 তার কাজের ধরন :
প্রত্যেকবার রক্তদানের সময় রোগীর পরিবারের কাছ থেকে ৬০০–৭০০ টাকা নেওয়া।
ডোনারের জন্য মাত্র ২০০–৩০০ টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিজের পকেটে রাখা।
একাধিক রোগীর পরিবারের কাছ থেকে এভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
কেউ যদি বিষয়টি জানতে চায়, তিনি হুমকি ও ভয় দেখান।
ডোনারের জন্য গাড়িভাড়া, পানি, খাবার, স্যালাইন বা ডাব কেনার খরচ রোগীর পরিবারের উপর চাপিয়ে দেন এবং বলেন এগুলো নাকি ডিমান্ড করা হয়েছে।
⚠️ প্রায় এক বছর আগে Redyon Rahat-এর বিরুদ্ধে একই ধরনের অসৎ কার্যকলাপের জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনো পরিবর্তন আনেননি। সম্প্রতি আবারও একই আচরণ করেছেন এবং সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনায় অসহযোগী আচরণ করেছেন।
গতকালকে(৫/৯/২০২৫) সিনিয়ররা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য তাকে অনলাইন ডাকেন। সে প্রথমে কিছু সময় কথা বলে পড়ে নানা অজুহাত দেখায়, পরে গ্রুপ থেকে বের হয়ে যায়, যারা প্রশ্ন করেছে তাদের ব্লক করে দেয়, আবার গ্রুপে যোগ দেওয়া হলে কোনো উত্তর দেয়নি। রাত ৯:৩০ থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত তার জন্য অপেক্ষা করা হয় সে কোনো জবাব দেয়নি। গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর থেকে আজকের (৬/৯/২০২৫) সারাদিন ও রাত ১০টা পর্যন্ত তার কাছে সময় চাওয়া হয় সামনা সামনি বসে কথা বলার জন্য বলা হয়।কিন্তু সে কোনও জবাব দেন নাই। এতে সুস্পষ্ট ভাবে বলা যায় তার কোনো যোগ্যতা নেই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার সে একজন দালাল ।
🔎 বাস্তব ঘটনা (০৫/১১/২০২৫)
থ্যালাসেমিয়া রোগী একটি ছোট শিশুর জন্য রক্তদাতা করার জন্য ঈশ্বরদী রুপপুর থেকে ডোনার নিয়ে আসেন শামীম ভাই।
শামীম ভাই ও ডোনার সকালের নাস্তা না করার কারণে নাস্তা করেন (শামীম ভাইএর টাকা দিয়ে)এবং খারাপ রাস্তার কারণে গাড়ি ভাড়া বাড়তি লাগে । মোট খরচ হয় ৩৩০ টাকা।
রোগীর বাবার সঙ্গে সরাসরি মনিরুলের মাধ্যমে কথা হয়েছিল, কিন্তু ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে Rahat রোগীর লোকদের বলেন যে ডোনার তিনি নিজে ম্যানেজ করেছেন।
রোগীর লোকের কাছ থেকে গাড়ি ভাড়া বাবদ Rahat ৫০০ টাকা নেন।
পরে শামীম ভাইকে ২০০ টাকা দেন, যখন বলা হয় খরচ ৩৩০ টাকা, তখন আর ১০০ টাকা বাড়িয়ে মোট ৩০০ টাকা দেন।
বাকি ২০০ টাকা নিজের কাছে রাখেন প্রশ্ন হচ্ছে, বাকি ২০০ টাকা কেন সে রাখবে?
ডোনারকে ব্লাড দেওয়ার পর কেবল একটি গ্লুকোজ পানি খাওয়ানো হয়।
শামীম ভাইএর পকেট থেকে ডোনারকে ৮০ টাকা দেওয়া হয়।
মনিরুলেরও রাহাত ডোনার কে জানাই ৩৫০ ml রক্ত লাগবে, কিন্তু পরে রাহাত ৪৫০ ml নিয়েছে ।
অনেক সময় সে পাবনা সদর হসপিটাল থেকে ব্লাড দিবে বলে রোগীকে আসতে বলে আসার পরে রোগীকে মিথ্যা বলে পাবনা ব্লাড ব্যাংক ট্রান্সফিউশন সেন্টারে নিয়ে যায়।
👉 এসব ঘটনায় প্রমাণিত হয় যে Redyon Rahat (দালাল) নিয়মিতভাবে রোগীর পরিবারকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
🚫 চোরের মায়ের বড় গলা স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে কোনো বাটপার, দালাল বা প্রতারকের জায়গা নেই।
🩸 সচেতনতা হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাংক নিয়ে:
কিছু হাসপাতালে রক্তের দালাল থাকে যারা টাকা নিয়ে রক্ত জোগাড় করে দেয়ার চেষ্টা করে।
অনেক সময় ব্লাড ব্যাংক থেকেও টাকার বিনিময়ে রক্ত দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়।
কিন্তু প্রকৃত স্বেচ্ছাসেবী সবসময় বিনামূল্যে রক্তদাতা খুঁজে দেন।
✅ রক্তদান হোক স্বেচ্ছায়, বিনামূল্যে এবং নিরাপদে।
✅ সতর্ক থাকুন, মানবিকতার মান রক্ষা করুন।একজন সত্যিকারের রক্তদাতা বা স্বেচ্ছাসেবী কখনো টাকার বিনিময়ে রক্ত দেয় না।
যারা টাকা নেয়, তারা নিঃসন্দেহে দালাল।
📢 এই পোস্টটি শেয়ার করুন, যাতে সবাই সতর্ক থাকে এবং রক্তদানের মানবিক মান বজায় থাকে।