দৈনিক ইছামতি

দৈনিক ইছামতি Dainik Ichhamoti is the first Daily Newspaper of Pabna. Founder Publisher & Editor was Shafiur Rahman Founder Publisher & Editor was Mr. Shafiur Rahman Khan.

Dainik Ichhamoti is the first Newspaper of Pabna, Bangladesh. In the year 1991 month of July it published its first copy. Since then it served news for its readers.

01/09/2025

সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে ৩ জনের মৃত্যু

এফএনএস: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা শহরের আফতাব উদ্দিন মার্কেটের পাশে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে তিনজন নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। নিহত শ্রমিকরা হলেন-শাহিন ইসলাম, ইব্রাহিম ও ফিরোজ। এর মধ্যে শাহীনের বাড়ি পঞ্চগড়ে, ফিরোজের বাড়ি রংপুরে এবং ইব্রাহিমের বাড়ি গাইবান্ধায় বলে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল রোববার বিকেল ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের সবুজ কাজীর বাড়িতে কাজ করছিল দুই নির্মাণ শ্রমিক। এদের মধ্যে একজন সবুজ কাজীর সেপটিক ট্যাংকে নেমে আর না ওঠায় অপরজন পাশের বিল্ডিং থেকে শ্রমিক শাহীনকে ডেকে নিয়ে আসেন। একে একে তিনজন ওই ট্যাংকে নেমে আর ফিরে না আসায় স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পড়ে বিকেল ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এখানে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। শাহিনের সঙ্গে কাজ করতে আসা পাভেল বলেন, শাহীন আর আমরা একসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ স্টুডিয়ামের ওখানে ভাড়া থেকে কন্ট্রাক্টারের আন্ডারে বাড়ি নির্মাণ কাজ করি। শাহিন এখানে একটি বিল্ডিং নির্মাণের কাজ করছিল। পাশের সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে আসা একজন ওকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরের ট্যাংকে নেমে শাহিনসহ তিনজন মারা যান। ওর বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মেহফুজ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করি। সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে অতিরিক্ত গ্যাস থাকায় শ্রমিকরা মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়।

01/09/2025

নিয়ন্ত্রণহীন হত্যা-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছে সাধারণ মানুষ

এফএনএস: দেশে নিয়ন্ত্রণহীন হত্যা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অতিষ্ঠ দেশের সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নামছে। কারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে মব সৃষ্টি করেও চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। আর চাঁদাবাজ চক্র এতোই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে অভিযোগ করলে প্রাণ হারানোর শঙ্কা থাকে। চাঁদাবাজদের দাপটে বিভিন্ন স্থানে জিম্মি থাকা মানুষ আতঙ্কের সঙ্গে বসবাস করছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অনেক স্থানেই বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। বরং বেপরোয়া দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে রাস্তায় বর্বরতা চালিয়ে মানুষকে হত্যা করছে। ভয়ে অনেকে মুখ ফুটে অভিযোগ করতে পারছে না পুলিশের কাছেও। নরসিংদী, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলায় অনেক ক্ষেত্রে চাঁদা না পেয়েও হত্যাকাণ্ডও ঘটানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সমপ্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে শুরু করে সাভার, ঝিনাইদহ, মিরসরাই, ময়মনসিংহ, আশুলিয়া ও চট্টগ্রামে চাঁদাবাজিবিরোধী আন্দোলনে রাস্তয় নেমেছে মানুষ। প্রতিবাদকারীদের একটাই অভিযোগ, সর্বত্র চাঁদাবাজি ও নিরাপত্তার অভাব।
সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন থানায় গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের গত জুন পর্যন্ত এক বছরে ৩ হাজার ৮৫৭টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। তার মধ্যে আগের ২০০৯ সাল থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৪১০টি মামলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মোট মামলার হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ৩২১টির হত্যা মামলা করা হয়। তার মধ্যে ওই সময়ে মহানগর পুলিশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৮০টি মামলা করা হয়েছে।

01/09/2025

সম্পদ বিবরণী নোটিশ দুদকের পুলিশ কর্মকর্তা
মোজাম্মেল দম্পতির ১৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ

এফএনএস: পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) গাজী মো. মোজাম্মেল হক ও তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের ১৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তথ্যানুসন্ধানে তাদের অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়ার পর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল রোববার দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এর আগে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি গাজী মো. মোজাম্মেল হক, তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেল ও মেয়ে গাজী বুশরা তাবাসসুমের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব অবরুব্ধ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, গাজী মো. মোজাম্মেল হক ১৭তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে যোগ দেন। পরে বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটে কর্মরত আছেন। আয় ও ব্যয়সহ এই পুলিশ কর্মকর্তার অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ২৭ কোটি ৪৯ লাখ ১২ হাজার ৩৮২ টাকা। এর বিপরীতে তার বৈধ আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১৫ কোটি ৮০ লাখ ১৮ হাজার ৩১৩ টাকা। অর্থাৎ তার অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ১১ কোটি ৬৮ লাখ ১৪ হাজার ৬৯ টাকা। অন্যদিকে তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৩১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৮৮ টাকা। এই সম্পদের বিপরীতে তার ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৯০৩ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায়। অর্থাৎ ফারজানা মোজাম্মেল ২ কোটি ৮৫ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

শারীরিকভাবে অক্ষমদের সহায়তায় ভোটকেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবী থাকবে: ইসি সানাউল্লাহএফএনএস: প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক বা শারীরিকভাবে অক্...
01/09/2025

শারীরিকভাবে অক্ষমদের সহায়তায় ভোটকেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবী থাকবে: ইসি সানাউল্লাহ

এফএনএস: প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক বা শারীরিকভাবে অক্ষমদের সহায়তায় ভোটকেন্দ্রে বিএনসিসি, স্কাউট বা স্বেচ্ছাসেবী থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। গতকাল রোববার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ন্যাশনাল কনসালটেশন অন ইনক্লুসন অব পার্সন উইথ ডিসঅ্যাবিলিটিস ইন ইলেকটোরাল প্রসেস’ শীর্ষক কর্মসূচিতে তিনি এমন পরিকল্পনার কথা বলেন। আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সমাজ, দেশ ও জাতি হিসেবে আমাদের অনেক বেশি করণীয় আছে। শপিং মল, রাস্তা হয়; কিন্তু তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা রাখা হয় না। সার্বিকভাবে পুরো সমাজেই আমরা তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করতে পারিনি। ইসি এর বাইরে নয়, এটা দুঃখজনক। তিনি বলেন, তারা যে অধিকার পাওয়ার কথা আমরা কিছুটা এগিয়েছি। আমাদের অনেক পথ এগোতে হবে। শুধু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নয়, যাদের হাতটা কাঁপে, কেন্দ্রে যেতে পারেন না, কেবল প্রতিবন্ধী নয়; যারা বয়স্ক, তাদেরও সহায়তা দেওয়ার বিধান আছে। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতিবন্ধীদের ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে বাস্তবসম্মত যা যা করা সম্ভব সব করবো। সহায়ক নিয়োগ করতে পারি কিনা, ভলানটিয়ার বিএনসিসি, স্কাউট, এটা নিয়ে আমরা ভাবছি। পাশাপাশি যৌক্তিক আলোচনা এসেছে, পরিবহন সুবিধা, এটা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। প্রতিবন্ধীরা ভোটকেন্দ্রের যেখানে চাইবেন সেখানেই যেন ভোট দিতে পারেন, নিচতলা হতে পারে, আমরা সেটা পরিপত্র দিয়ে করতে পারবো। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করলেই আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক বলি, আসলে সব মানুষ যদি অংশ না নেয় তাহলে কি করে হলো। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ। আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আমরা আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন তুলনামূলক ভালো করবো ইনশাল্লাহ। আমরা যেখানে নির্বাচনই ভুলে গিয়েছিলাম, সেখানে ডিজেবল পিপলদের জন্য ভাবছি, কাজেই এটা ৩৬ জুলাইয়ের ফসল। তিনি আরো বলেন, আমরা জেলখানার কয়েদিদের ৭১টি জেলে, জেল অথরিটির সঙ্গে কথা বলেছি, প্রবাসীদের জন্য, ভাসমান মানুষ তাদের ভোটের ব্যবস্থার জন্যও ভাবছি। ইউএনডিপি, নির্বাচন কমিশন ও সাইট সেভারর্স আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রতিবন্ধীরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এতে ইসি সচিব ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লেলারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ইসি সচিব বলেন, সংবিধানের কোনো ধারাতেই ডিজেবলদের কোনো রেস্ট্রিকশন আনা হয়নি। আমাদের দিক থেকেও তাদের ভোটে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো অসুবিধা নেই।

পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে আর কোনো ছাড় নয়: পরিবেশ উপদেষ্টাএফএনএস: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত...
01/09/2025

পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে আর কোনো ছাড় নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা

এফএনএস: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, এখন থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করা হবে। তিনি বলেছেন, 'এ বিষয়ে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এখন কারও কাছে আমরা পলিথিন পেলে জব্দ করে নিয়ে যাব। বাচ্চাদের নিরাপদ রাখতে আমরা এই কাজটা করব।' গতকাল রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করলে আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ থাকবে। তিনি আরও বলেন, সরকার প্রায় সব আকারের পাটের ব্যাগে ভর্তুকি দিয়ে দাম কমিয়েছে, যাতে সেগুলো সকলের জন্য সহজলভ্য হয়। একটি পাটের ব্যাগ একবার কিনলে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ বদলাতে হলে মনস্তত্ত্ব বদলাতে হবে। আমরা সব প্লাস্টিক বন্ধের কথা বলছি না, শুধুমাত্র সেই প্লাস্টিকগুলোর কথা বলছি যেগুলো আমরা একবার ব্যবহার করে ফেলে দেই, বিশেষ করে পলিথিন শপিং ব্যাগের কথা।’ পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে ২০০২ সালে পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করেছিল। তিনি প্রশ্ন করেন, পলিথিন শপিং ব্যাগের বাস্তবতা এবং এর নেতিবাচক দিক আপনারা সবাই জানেন, তারপরেও কেন এটা ব্যবহার করবেন?’ তিনি আরও বলেন, আমাদের অবশ্যই পলিথিন শপিং ব্যাগ বর্জন করতে হবে। এই কারণে আমরা পাটজাত দ্রব্য তৈরি করছি এবং পাটকলগুলো কার্যাদেশ পেয়ে পুনরায় চালু হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, মাছ বা মাংসের মতো পণ্যও পাটের ব্যাগে নেওয়া যায় এবং ক্রেতা তা বাড়িতে নিয়ে ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করতেত পারেন। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, এবং পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এখনো সংশয় আছে : রিজভীএনএনবি : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,  অবাধ ও স...
01/09/2025

অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এখনো সংশয় আছে : রিজভী

এনএনবি : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের এখনো সংশয় আছে। তবে কমিশন আশ্বস্ত করেছে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সুচারুভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং সীমানা পুনর্র্নিধারণ নিয়ে আলোচলা হয়েছে। প্রবাসীদের ভোটের ব্যাপারে কথা হয়েছে। সীমানা পুনর্নির্ধারণের সামগ্রিক বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। কোনো নির্দিষ্ট আসন নিয়ে আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের এখনো সংশয় আছে। কমিশনের প্রস্তুতি জানতে চেয়েছি। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দোসররা এখনো আছে, তারা নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। এ নিয়ে কমিশনের প্রস্তুতি কী তা জানতে চেয়েছি। তবে কমিশন আশ্বস্ত করেছে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সুচারুভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নানান বক্তব্য থাকতে পারে। আমরা পিআর পদ্ধতির চ্যালেঞ্জ নিয়ে নানান সময়ে বক্তব্য তুলে ধরেছি। সার্বিক প্রস্তুতি আজ জানতে এসেছি। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে বলে আশা করি। সবার অংশগ্রহণে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইসি করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন নুর। তার ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে এটা নিন্দনীয়। এ নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, কে নিবন্ধন পাবে, কে পাবে না এটা কমিশনের ওপর নির্ভর করে।

আওয়ামী লীগ আমলেও এমন হামলা হয়নি এর দায় সরকারকে নিতে হবে : উপদেষ্টা আসিফএফএনএস: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপ...
01/09/2025

আওয়ামী লীগ আমলেও এমন হামলা হয়নি এর দায় সরকারকে নিতে হবে : উপদেষ্টা আসিফ

এফএনএস: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল রোববার দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখতে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর এমন বর্বর হামলা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও ঘটেনি, যা এই সরকারের আমলে ঘটেছে। এর দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। জাতীয় পার্টির ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, যেহেতু রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের চেষ্টাটা ব্যর্থ হয়েছে। তাই জাতীয় পার্টির ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। জাতীয় পার্টি হচ্ছে একদম সুনির্দিষ্ট ও চিহ্নিত ফ্যাসিবাদী দল। আমরা দেখেছি, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের এই ফ্যাসিবাদী সংসদকে বারবার বৈধতা দিয়েছে। ভারত থেকে প্রেসক্রিপশন এনে বাংলাদেশে তারা একটি কৃত্রিম সংসদ তৈরি করেছে, কৃত্রিম গণতন্ত্র দেখিয়েছে। এই চিহ্নিত ফ্যাসিবাদীদের কোনভাবে যদি সমর্থন দেওয়া হয়, তাহলে সেটি যেমন সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি জনগণের পক্ষ থেকেও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তা রুখে দাঁড়াবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। তিনি বলেন, ইনক্লুসিভ নির্বাচনের নামে অনেকে চাইবে না যে আগামী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বা আওয়ামী লীগের স্টাবলিশমেন্ট ছাড়া কোনো রাজনৈতিক কিংবা গণতান্ত্রিক সেটেলমেন্ট হোক। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যদি সরকারি দল ও বিরোধী দলে পরিণত হয়, তাহলে সেই সেটেলমেন্ট বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। সেই জায়গা থেকে অনেকে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করবে। তারা আওয়ামী লীগকে নানা ফরমেটে আনতে না পারলে সেটিকে বানচাল করার চেষ্টা করবে। আমরা মনে করি, এ ধরনের সকল প্রচেষ্টা গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দলগুলো এবং সরকার রুখে দেওয়ার জন্য তৎপর রয়েছে। জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে আসিফ মাহমুদ বলেন, সরকার এ বিষয়ে এখনও কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সরকার ইতোমধ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। আজও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জুলাই অভ্যুত্থানের কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণের পক্ষ থেকে যে বক্তব্য আসবে, সে অনুযায়ী সরকার বিবেচনা করবে। গণধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে ভাবছে। এটা কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীর ওপর হামলা নয়, বরং একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতার ওপর হামলা। আওয়ামী লীগের সময়েও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখিনি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যেহেতু বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বে আছে, তাই দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তায়। সরকারকে এর সমাধান করতে হবে। এই হামলার বিচার করে ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাহস না পায়, সেটি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশ হচ্ছে একটা দুর্ঘটনার ‘ডিপো’: স্বাস্থ্য উপদেষ্টাএনএনবি : বাংলাদেশকে একটা এক্সিডেন্টের (দুর্ঘটনা) ডিপো বলে মন্তব্...
01/09/2025

বাংলাদেশ হচ্ছে একটা দুর্ঘটনার ‘ডিপো’: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

এনএনবি : বাংলাদেশকে একটা এক্সিডেন্টের (দুর্ঘটনা) ডিপো বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
রোববার (৩১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোবোটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশটা হচ্ছে একটা এক্সিডেন্টের ডিপো। যখন তখন যেখানে সেখানে গাড়ি পড়ে যাচ্ছে। হোন্ডা ভেঙে যাচ্ছে। মানুষের হাত পা ভেঙে যাছে, মানুষ মারা যাচ্ছে। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে আমাদের যুব সমাজ কেউ হাত, কেউ পা হারাচ্ছে। কারও ব্রেইন ইনজুরি হচ্ছে, কারও স্পাইনাল কোর্ড ইনজুরি হচ্ছে। এদের চিকিৎসার জন্য আমাদের বড় একটা সুযোগ আসলো। এটাকে আমরা যেন কাজে লাগাতে পারি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, রোবোটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার যেন ঢাকা কেন্দ্রিক হয়ে না যায়। আমাদের সব কিছুই ঢাকা কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। যত স্পেশালাইজড হাসপাতাল সব ঢাকা কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। যত সরকারি হাসপাতাল বেশিরভাগই ঢাকায়। বড় বড় শহরে একটা দুইটা হাসপাতাল আছে, সেটাও কতটা ধুকে ধুকে চলে আপনারা জানেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমরা যেন রোবোটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারটি ডিসেন্ট্রালাইজ করতে পারি। আমরা এক একটা গ্রুপকে ট্রেনিং দিয়ে অন্তত সারাদেশে তিন-চারটা জেলায় এটা সরিয়ে দিতে পারি, যেন অতদূর থেকে রোগীদের এ ঢাকা শহরে আসতে না হয়। এটা যেন ডিসেন্ট্রালাইজড করা যায় সেই উদ্যোগ যেন গ্রহণ করা হয়। এটা ডিসেন্ট্রালাইজড করার দরকার আছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এ সেন্টার যেন সাসটেইনেবল হয়। সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে, সরকারের মর্জির ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না। আমাদের সক্ষমতা আমাদেরকেই অর্জন করতেই হবে। কাজেই সেন্টার যেন নিজের সক্ষমতা অর্জন করে। এটা যেন ডি সেন্ট্রালাইজড করা হয়, সেই কামনা করি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সাইদুর রহমান, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ইয়েন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম।
এআই দ্বারা পরিচালিত ১০ হাজার স্কয়ার ফিটের এ রোবোটিক রিহেবিলিটেশন সেন্টার চীনের সার্বিক সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়েছে।

01/09/2025

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে অঙ্গীকার করতে হবে: আলী রীয়াজ

এফএনএস: সাংবাদিকদের কল্যাণে ও স্বাধীনতার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিতে বলেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। গতকাল রোববার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের এই আহ্বান জানান। ডেইলি স্টার ভবনে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের সহযোগিতায় এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিতে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, রাজনীতিবিদরা যখন ক্ষমতায় যাবেন, তখন আপনাদের কাছেই তো আসতে হবে। তাদের ধরেন এখনই। তাদের জিজ্ঞেসা করেন- সাংবাদিকদের কল্যাণে কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এই অঙ্গীকারগুলো করতে বলুন। তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় যাওয়ার বিষয়ে কোনও প্রতিষ্ঠানই সুরক্ষা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে না। এর জন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের দরকার হয় না। আলী রীয়াজ আরও বলেন, পেশাগত দায়িত্বের ক্ষেত্রে ওয়েজবোর্ডের প্রশ্নটা ওঠে। অনেকে বলেছেন, ওয়েজবোর্ড তো বাস্তবায়ন হয় না, তাহলে ওয়েজবোর্ড করে লাভ কী? কোনও লাভ নেই। কেন হয় না ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন? কারণ, প্রতিষ্ঠানটি কোনোভাবেই ব্যবসায়িক লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়নি। একজন দোকানদার দোকান চালান, লাভজনক না হলে বন্ধ করে দেন। গণমাধ্যম মালিকরা লাভজনক না হওয়া সত্ত্বেও কেন গণমাধ্যম চালান? নিশ্চই একটা কারণ থাকতে হবে। এই যে প্রতিষ্ঠানগুলো লাভজনক হবে কীভাবে, সেই প্রশ্নটা তুলুন। তিনি বলেন, আপনাকে পেশাগত জায়গা থেকে যে সুবিধা দেওয়ার কথা, অর্থাৎ দায়িত্ব পালনের জন্য যে সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার কথা- চাকরি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। সেই কাজটা মালিক করে না। কারণ, মালিক জানে, আপনার সঙ্গে এই আচরণ করার পরেও আপনি এই সরকার, রেজিম বা আদর্শকে সার্ভ করবেন, অথবা আপনি থাকবেন। আর উনি (মালিক) এটা দিয়ে সুবিধা নেবেন। সেই কারণে মালিকানার যে ধরন তৈরি হয়েছে, সেটা অব্যাহত রেখে সংবাদপত্র বলেন, টেলিভিশন বলেন, রেডিও বলেন- স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা দুরূহ। ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আরও বলেন, মব ভায়োলেন্সের সুবিধা সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ কেউ পাচ্ছেন। ওমুককে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে, তমুককে অফিসে বসিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে না! পরের ওমুকটা যদি না থাকে, তাহলে আগের অমুকটা সাহস পাবে না। তিনি বলেন, যে দেশে নাগরিকদের আইনি সুরক্ষা নেই, বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়, গুম হয়, নিপীড়ন হয়, সেখানে আপনার একটা সাংবাদিকের আইডি কার্ড থাকবে, তাহলে কি আইনের সুরক্ষা পাবেন? এটা কি সম্ভব। আমার ধারণা সম্ভব না। বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালেহউদ্দিন, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মিনহাজ উদ্দীন, সিনিয়র সাংবাদিক হাসনাইন খুরশেদ, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মুনিমা সুলতান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মাইনুল সোহেল, বিজেসির ট্রাস্টি ও যমুনা টিভির সিইও ফাহিম আহমেদ, বিজেসির ট্রাস্টি পরিচালক তালাত মামুন, ট্রেজারার মানস ঘোষ। বিজেসির সদস্য সচিব ইলিয়াস হোসেন ও বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আল মামুনের স্বাগত বক্তব্যে এবং ইলিয়াস হোসেন ও শাহনাজ শারমিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজেসির নির্বাহী মিল্টন আনোয়ার। সভাপতির বক্তব্যে বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক বলেন, গণমাধ্যম হলো রাষ্ট্রে চতুর্থ স্তম্ভ। অতীতের সরকারগুলো গণমাধ্যমকে ব্যবহার করেছে। আমরা নিজেরাই কখনও কখনও ব্যবহার করতে দিয়েছি। আমরা কি সাংবাদিক নাকি পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিস্ট? যতদিন এই অবস্থা থাকবে, ততদিন সরকারও ব্যবহার করতে চাইবে, আমরাও ব্যবহৃত হবো। মানুষের আস্থা আমরা হারিয়েছি অনেক আগেই। দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালেহউদ্দিন বলেন, পুরো বাংলাদেশের সংস্কার দরকার। কিন্তু আমরা গণমাধ্যম সংস্কারের মতো ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে বসে আছি। কিন্তু সংকট হচ্ছে, পুরো বাংলাদেশের সংস্কার করার জন্য কোনও প্রতিষ্ঠান নেই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের জন্য উপযুক্ত নয়। আমাদের এখন যে সংকট, এতদিন ধরে যে সংকটগুলো আছে, আমাদের সাংবাদিকতার মান, মর্যাদা, রুটি-রুজিতে আঘাত করছে টাউট সাংবাদিকতা, ব্ল্যাকমেইলিং সাংবাদিকতা এবং দালালি সাংবাদিকতা- যেটা আমরা দীর্ঘদিন করে আসছি এবং এখনও করছি। এই দালালি সাংবাদিকতা করেই আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছি। সরকার গণমাধ্যম কমিশনকে ফেল না মনে করে মন্তব্য করে জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মিনহাজ উদ্দীন বলেন, সরকার গণমাধ্যম কমিশনই করবে না, সম্প্রচার কমিশন তো অনেক দূরের কথা। কারণ এগুলো করলে সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ব খর্ব হবে। গণমাধ্যমকে বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে চাইলে সেটি দুর্বল হবে মন্তব্য করে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসনাইন খুরশেদ বলেন, গণমাধ্যমকে সংস্কারে প্রাধান্য দিতে হবে। মালিকদের হস্তক্ষেপ থেকে গণমাধ্যমকে দূরে রাখতে হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মৌলিক প্রস্তাবনায় ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে সেই ঘটতি দূর করতে হবে। এ সময় তিনি ওয়েজবোর্ড করে লাভ কি, যদি সেটি বাস্তবায়ন না হয় সেই প্রশ্নও তোলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, আমাদের আগে ঠিক করতে হবে, আমি সাংবাদিক নাকি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আমাদের আগে এই গোড়ায় হাত দিতে হবে।

01/09/2025

নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম
১০০ সংরক্ষিত সংসদীয় আসনে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর প্রস্তাব

এফএনএস: বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও সংসদে প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে ১০০ সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নারী সাংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম। পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল থেকে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি তুলে ধরেন তারা। ফোরামের নেতারা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন ও গণ-আন্দোলনে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। তবুও সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি সংসদে সরাসরি নির্বাচিত নারী সাংসদের সংখ্যা মাত্র ১৮ থেকে ২২ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যা মোট আসনের প্রায় ৭ শতাংশ। বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত আসন কার্যত নারীদের কোনো অর্থবহ রাজনৈতিক ক্ষমতা দিতে পারেনি। কারণ, এসব আসন দলীয় অনুপাতে পূরণ হয় এবং এসব সাংসদ ভোটারের পরিবর্তে রাজনৈতিক দলের প্রতি বেশি দায়বদ্ধ থাকেন। তারা বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ নারী। এ অনুযায়ী সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব ন্যূনতম ৫০ শতাংশ হওয়া উচিত। তবে বিদ্যমান বাস্তবতার নিরিখে কারণে ধাপে ধাপে তা অর্জন সম্ভব। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৭৪ শতাংশ নাগরিক সংসদে সরাসরি নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিত্বের পক্ষে মত দিয়েছেন। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের মূল্যায়নেও বিদ্যমান সংরক্ষিত আসন ব্যবস্থার অকার্যকারিতা উঠে এসেছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার পর্যায়ে সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নারী নেতৃত্ব যেমন বিকশিত হয়েছে, তেমনি জাতীয় সংসদেও তা সম্ভব। সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হলে নারী সাংসদরা ভোটারদের কাছে জবাবদিহি করবেন, সংসদের মান উন্নত হবে এবং প্রকৃত অর্থেই তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ঘটবে।
সংসদ সদস্যদের কাজ সংসদীয় কার‌্যাবলিতে সীমাবদ্ধ রাখার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, আইন প্রণয়ন, বাজেট অনুমোদন ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই সাংসদের মূল দায়িত্ব। নেতারা জানান, রাজনৈতিক দলে নারীর মনোনয়নের হার এখনও অপর্যাপ্ত। জনগণের প্রতিনিধিত্ব আদেশ ২০০৮-এ ২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী নিশ্চিত করার বিধান থাকলেও তা কার্যকর হয়নি। বরং সময়সীমা বাড়িয়ে ২০৩০ পর্যন্ত করা হলেও কোনো অর্থবহ অগ্রগতি দেখা যায়নি। সম্প্রতি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে নারীর সরাসরি প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না করে মাত্র ৫ শতাংশ নারী মনোনয়নের প্রস্তাব আনা হয়েছে, যা ফোরামের মতে হাস্যকর ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থি। দেশের এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কমিশনে কোনো নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত না করাকে নেতিবাচক ও নিন্দনীয় সিদ্ধান্ত হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম মনে করে, ২০২৬ সালের নির্বাচন থেকেই এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন সম্ভব। বিদ্যমান ৩০০ আসনের সঙ্গে ১০০ সংরক্ষিত আসন যুক্ত করে একই নির্বাচনী কাঠামোতে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা চালু করা যাবে। এতে নতুন করে নির্বাচনী এলাকা পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন নেই। একই এলাকায় নারী ও পুরুষ সাংসদ থাকলেও কার্যপরিধি স্পষ্ট করে দিলে সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে। নারীরা তাদের সমস্যা উপস্থাপনের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় পাবেন এবং সংসদে তাদের সক্রিয় উপস্থিতি নিশ্চিত হবে। তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্ধেক জনগণকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্র এগোতে পারে না। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে ২০২৬ সালের নির্বাচন থেকেই এই প্রস্তাব কার্যকর করা সম্ভব। এই উদ্যোগ নিলে সরকার প্রশংসার দাবিদার হবে। নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম এই প্রস্তাবের খুঁটিনাটি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের ব্যবস্থাপনায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার দাবি জানিয়েছে এবং জানিয়েছে, বাস্তবায়নের কাজে সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে নারী সংগঠনসমূহ সহায়তা দিতে প্রস্তুত থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ক্ষুব্ধ নারী সমাজ, গণসাক্ষরতা অভিযান, দুর্বার নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন, নাগরিক কোয়ালিশন, নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক), নারী সংহতি, নারীপক্ষ, নারীর ডাকে রাজনীতি, ফেমিনিস্ট অ্যালায়েন্স অফ বাংলাদেশ (ফ্যাব) ও বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র।

01/09/2025

আন্দোলনের মুখে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো বাকৃবি প্রশাসন

এফএনএস: শিক্ষার্থীদের টানা এক মাসের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কম্বাইন্ড (বিএসসি ভেট সায়েন্স অ্যান্ড এএইচ) ডিগ্রির দাবি মেনে নিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন। গতকাল রোববার জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিষয়টি জানিয়েছেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার। তিনি জানান, পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আজকে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ককে প্রধান করে একটি ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে, যারা কম্বাইন্ডের জন্যে কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন করবে। মেকআপ কোর্সেরও কারিকুলাম প্রস্তুত করা হবে দ্রুতই। আগামী সেশন থেকে কম্বাইন্ড কোর্সে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। এবার যারা ভর্তি হয়েছে তাদের অপশন থাকবে তারা চাইলে ভেটেরিনারি, পশুপালন বা কম্বাইন্ড নিতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী আমরা দুই অনুষদকে এক করতে পারবো না। দুই অনুষদ মিলিতভাবে কম্বাইন্ড ডিগ্রি দেবে এবং ধারাবাহিকভাবে দুই অনুষদ থেকেই ডিন হবে। প্রসঙ্গত, কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর দাবিতে গত ২৭ জুলাই থেকে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালাচ্ছেন। ৩০ জুলাই থেকে অনুষদটিতে তালা ঝুলছে। একই দাবিতে গত ২৫ আগস্ট থেকে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরাও।

01/09/2025

বাকৃবিতে উপাচার্যসহ দুই শতাধিক শিক্ষক অবরুদ্ধ

এফএনএস: ‘কম্বাইন্ড (সমন্বিত) ডিগ্রির দাবি’ নিয়ে সিদ্ধান্তের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে কাক্সিক্ষত সিদ্ধান্ত না আসায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্যসহ দুই শতাধিক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেছেন ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে তাদের অবরুদ্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষকেরা অবরুদ্ধ ছিলেন। এর আগে সকাল ১১টায় একই মিলনায়তনে কম্বাইন্ড ডিগ্রি ইস্যু নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা শুরু হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৯ টা থেকে দুই অনুষদের শিক্ষার্থীরা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের আশেপাশে জড়ো হতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি ছিলো- ‘এক পেশায় এক ডিগ্রি, কম্বাইন্ড ডিগ্রি’। দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত আশানুরূপ না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে একত্রে অবরুদ্ধ করে তালা লাগিয়ে দেন। জানা যায়, একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে বিশ^বিদ্যালয়ে বিএসসি ইন অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি, ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন এবং দুই অনুষদের সমন্বয়ে কম্বাইন্ড ডিগ্রি; এই তিনটি ডিগ্রিই থাকবে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাকৃবি। তবে শিক্ষার্থীরা তিন ডিগ্রি মেনে নেয়নি। তারা চায় এক পেশায় এক ডিগ্রি, কম্বাইন্ড ডিগ্রি। ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীরা সকাল ১১ টা থেকে উপাচার্যসহ প্রায় ২২৭ জন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষকরা অবরুদ্ধ রয়েছেন। এসময় বাকৃবির পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী আতিক বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ‘এক পেশায় এক ডিগ্রি চাই’। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিল তিনটা আলাদা ডিগ্রি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আমাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হলো। আমরা চাই কম্বাইন্ড ডিগ্রি যেন একক ডিগ্রি হিসেবে স্বীকৃত হয়। অন্যথায় পেশাগত জীবনে বিভ্রান্তি তৈরি হবে। তাই আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

Address

Abdul Hamid Road
Pabna
6600

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দৈনিক ইছামতি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to দৈনিক ইছামতি:

Share

Category