20/11/2025
নির্যাতন, নির্বাসন, প্রিয়জনের বেদনা সব কিছুকে অতিক্রম করে যে মানুষটি আজও অবিচল, তিনি তারেক রহমান। অসীম ধৈর্য, আত্মনিবেদন আর নেতৃত্বের গুণে তিনি হয়ে উঠেছেন কোটি মানুষের প্রেরণা। জাতি আজ আশাবাদী, নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন তাঁর হাত ধরেই বাস্তবে রূপ পাবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আধুনিক-স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রার সঙ্গে জিয়া পরিবারের যে আত্মিক বন্ধন, তারই ধারাবাহিকতা রক্ষার অজেয় উত্তরাধিকারের নাম তারেক রহমান। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ বুকে ধারণ করে বিগত ১৬ বছর যে লাখো নেতাকর্মী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করেছে, তাদের অনুপ্রেরণার নামও তারেক রহমান। আন্দোলনরত ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে যিনি সারাদেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন, সারাদেশের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে যিনি রাজপথে নামিয়েছেন, তবুও আন্দোলনের ন্যূনতম কৃতিত্ব নিজের নামে দাবি করেননি, তিনি তারেক রহমান। বর্তমানে জনাব তারেক রহমান সাম্যের ভিত্তিতে মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাণপণ কাজ করে যাচ্ছেন।
যিনি তাঁর পিতার ন্যায় রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতিকে কঠিন করে তুলছেন জনগণের নিকট জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে। যেমন, তিনি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর নামের আগে “দেশনায়ক”, “রাষ্ট্রনায়ক” বা অতিরঞ্জিত কোনো বিশেষণ ব্যবহার না করতে, যা প্রচলিত তোষামোদময় রাজনীতির অবসানে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন সারাদেশে তাঁর জন্মদিনের আড়ম্বরপূর্ণ উদযাপন না করতে; উদ্যোগটি সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
আজ দেশের আপামর জনতা অপেক্ষা করছে, পরিবর্তিত বাংলাদেশে তারেক রহমানকে বরণ করে নেওয়ার সেই শুভক্ষণটির জন্য। ইনশাআল্লাহ, খুব শিগগিরই তাঁর প্রত্যাবর্তন হবে ইতিহাসের সবচেয়ে আবেগঘন, সবচেয়ে প্রতীক্ষিত প্রত্যাবর্তন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ। এই শুভ দিনে আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভকামনা।আমরা আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
শুভ জন্মদিন, লিডার Tarique Rahman