
05/10/2025
চাটমোহরে ঈদগাহ মাঠের নামকরণ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ,আহত-৩০
পাবনার চাটমোহরে ঈদগাহ মাঠের নামকরণ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে। উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা বাজারে।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুইশত বছরের পুরাতন আটলংকা-বন্যাগাড়ী ঈদগাহ ময়দান এলাকার মুসল্লীরা নামাজ আদায় করে আসছিল। গত কয়েক মাস ধরে ঈদগাহ মাঠের নামকরণ নিয়ে স্থানীয়ভাবে এবং থানায় একাধিকবার বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। বৃহস্পতিবার এলাকায় মাইকিং করে শুক্রবার সকালে আটলংকা গ্রামবাসী ‘বন্যাগাড়ী’ নাম বাদ দিয়ে ‘আটলংকা ঈদগাহ ময়দান’ লেখা টাইলস্ধসঢ়; লাগাতে যায়। এসসময় বন্যাগাড়ী গ্রামবাসী বাধা দিলে তাদের সাথে বচসা শুরু হয়। এক সময় আটলংকা গ্রামবাসী ঈদগাহ মাঠে জড়ো হলে সেখানে বচসা সংঘর্ষে রুপ নেয়। উভয় গ্রামবাসী লাঠি- সোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় নারীসহ অন্ততঃ ৩০ জন আহত হয়।
চাটমোহর, আটঘরিয়া ও পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি আহত ২৬ জন হলেন আটলংকা গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, জয়নাল আবেদীন, ইকরাম, জুয়েল, রাসেল, রাজ্জাক, সিরাজুল, বেলায়েত সেলিম, বন্যাগাড়ী গ্রামের সাব্বির, সাইফুল, ইসমাইল, আফজাল হোসেন, সেলিম, রোজিনা, শেফালী, গোলজার, চাঁদ আলী, আজিম উদ্দিন, সুরমান আলী, আরমান, আবুল হোসেন, শাহেদ আলী, মজ্জেল, মোজাম্মেল হক।
এ ব্যপারে ঈদগাহ মাঠের প্রধান ও মূলগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. হারেজ আলী জানান, বন্যাগাড়ীর লোকজন এক প্রতিবন্ধী
ভ্যানচালককে মারপিট করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আহতরা জানান, আমরা গত ৪০ বছর ধরে ওই ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়ি। আমরা ঈদগাহ মাঠের উন্নয়নে টাকাও দেই। এখন হারেজ আলী, মাহমুদ গং দুপুরে বন্যাগাড়ী গ্রামের নাম বাদ দিয়ে টাইল্স লাগাচ্ছিল। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের গ্রামের নারী-পুরুষ সবাইকে মারধর করে।
এ ব্যপারে চাটমোহর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মঞ্জুরুল আলম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। কোন পক্ষ এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো