¤rifah Tasnia¤ "10914"

¤rifah Tasnia¤ "10914" ¥The first step of knowledge is to know that we are ignorant¥

✅ একটি অসাধারন শিক্ষানীয় গল্প:একদিন একটা গরীব ছেলে রাস্তায় হাঁটছিলো। সে তার লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য ঘরে ঘরে গিয...
23/06/2025

✅ একটি অসাধারন শিক্ষানীয় গল্প:
একদিন একটা গরীব ছেলে রাস্তায় হাঁটছিলো। সে তার লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতো।

ছেলেটার গায়ে ছিলো একটা জীর্ন মলিন পোষাক। সে ভীষণ ক্ষুধার্ত ছিলো। সে ভাবলো যে পরে যে বাড়ীতে যাবে , সেখানে গিয়ে সে কিছু খাবার চাইবে। কিন্তু সে যখন একটা বাড়ীতে গেলখাবারের আশা নিয়ে, সে ঘর থেকে একজন সুন্দরী মহিলা বেরিয়ে এলেন। সে খাবারের কথা বলতে ভয় পেলো। সে খাবারের কথা না বলে শুধু এক গ্লাস জল চাইলো। মহিলা ছেলেটার অবস্থা দেখে বুঝলেন যে সে ক্ষুধার্থ। তাই তিনি ছেলেটাকে একটা বড় গ্লাস দুধ এনে দিলেন।

ছেলেটা আস্তে আস্তে দুধটুকু খেয়ে বলল" আপনাকে আমার কত টাকা দিতে হবে এই দুধের জন্য?" মহিলা বলল "তোমাকে কোন কিছুই দিতে হবে না। ছেলেটা বলল "আমার মা আমাকে বলেছেন কখনো করুণার দান না নিতে। তাহলে আমি আপনাকে মনের অন্ত:স্থল থেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি।"

ছেলেটার নামছিলো স্যাম কেইলি । স্যাম যখন দুধ খেয়ে ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে এল, তখন সে শারীরিকভাবে কিছুটা শক্তি অনুভব করলো। স্যাম এর বিধাতার উপর ছিলো অগাধ বিশ্বাস। তাছাড়া সে কখনো কিছু ভুলতো না ।

অনেক বছর পর ঐ মহিলা মা*রাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ল।স্থানীয় ডাক্তাররা তাকে সুস্থ করতে চেষ্টা করেও ব্যার্থ হল । তখন তাকে পাঠানো হলো একটা বড় শহরের নামকরা হাসপাতালে।

যেখানে দুলর্ভ ও মারাত্মক রোগ নিয়ে গবেষণা ও চিকিৎসা করা হয় ।
ডা: স্যাম কেইলি কে এই মহিলার দায়িত্ব দেওয়া হলো। যখন ডাঃ স্যাম কেইলি শুনলেন যে মহিলা কোন শহর থেকে এসেছেন, তার চোখের দৃষ্টিতে অদ্ভুত একটা আলো যেন জ্বলে উঠলো । তিনি তাড়াতাড়ি ঐ মহিলাকে দেখতে গেলেন ।

ডাক্তারের এপ্রোন পরে তিনি মহিলার রুমে ঢুকলেন এবং প্রথম দেখাতেই তিনি মহিলাকে চিনতে পারলেন । তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন যে , যেভাবেই হোক তিনি মহিলাকে বাঁচাবেনই । ঐ দিন থেকে তিনি ঐ রোগীর আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া শুরু করলেন ।

অনেক চেষ্টার পর মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হলো । ডাঃ স্যাম কেইলি হাসপাতালের একাউন্টেন্ট কে ঐ মহিলার চিকিৎসার বিল দিতে বললেন, কারণ তার সাইনছাড়া ঐ বিল কার্যকর হবে না। ডাঃ স্যাম কেইলি ঐ বিলের কোণায় কি যেনো লিখলেন এবং তারপর সেটা ঐ মহিলার কাছে পাঠিয়ে দিলেন।

মহিলা ভীষণ ভয় পাচ্ছিলেন বিলটা খুলতে। কারণ তিনি জানেন যে এতো দিনে যে পরিমাণ বিল এসেছে তা তিনি সারা জীবনেও জীবনেও শোধ করতে পারবেন না ।

অবশেষে তিনি বিলটা খুললেন এবং বিলের পাশ দিয়ে লেখা কিছু কথা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো । তিনি পড়তে লাগলেন "আপনার চিকিৎসার খরচ হলো পুরো এক গ্লাস দুধ।" এবং বিলের নিচের সাইন করা ছিলো ডাঃ স্যাম কেইলির নাম।

মানুষকে সাহায্য করুন , যতটা আপনার পক্ষে সম্ভব। হয়তো এই অল্প সাহায্যের ফল হিসেবে আপনি এমন কিছু পাবেন যা কখনো আপনি চিন্তাই করেননি।

চাকরির বেতনের টাকাটা যখন আমার স্বামী আসিফের হাতে তুলে দিলাম, সে টাকাটা গুণে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,- “তুমি তো ৩০ হাজার টা...
29/05/2025

চাকরির বেতনের টাকাটা যখন আমার স্বামী আসিফের হাতে তুলে দিলাম, সে টাকাটা গুণে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- “তুমি তো ৩০ হাজার টাকা বেতন পাও, এখানে তো দেখছি মাত্র ১০ হাজার টাকা!”

আমি বললাম- ১০ হাজার তোমাকে দিলাম, ১০ হাজার নিজের কাছে রাখলাম আর বাকি ১০ হাজার আমার বাবা-মায়ের জন্য।
আসিফ অবাক হয়ে বললো,
- “তোমার বাবা-মায়ের জন্য মানে! মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে মানে মেয়ের উপর তাদের দায়িত্ব শেষ! আর স্বামীর বাড়ি পা রেখেছো মানে তোমারও তাদের উপর দায়িত্ব শেষ! আলাদা করে উনাদের প্রতিমাসে তোমার টাকা দিতে হবে না। দাও বাকি টাকাটা দাও!”
আমি বাবা-মায়ের জন্য যে টাকাটা আলাদা করে রেখেছিলাম, সেই টাকাটাও আসিফের হাতে তুলে দিলাম। আসিফ টাকাটা গুণে বললো
- “তোমার নিজের জন্য টাকা রাখতে হবে কেন? তোমার যা লাগে সবই তো আমি দিই!”
আসিফের কথার ধরণ দেখে বুঝতে পেরেছিলাম কি বুঝাতে চেয়েছে। আমি আমার জন্য রাখা টাকাটাও চুপচাপ তার হাতে দিয়ে দিলাম…

শ্বাশুড়িও কিছুটা তার ছেলে আসিফের মতোই। একদিন মার্কেট থেকে একই রঙের দুইটা শাড়ি এনে শ্বাশুড়িকে দেওয়ার পর শ্বাশুড়ি বললো,
- “বউমা, একই রঙের দুইটা শাড়ি এসেছো কেন? দুইটা দুই রকম আনতে?”
আমি বলেছিলাম- একটা আপনার জন্য, একটা আমার মায়ের জন্য।
সেদিন শ্বশুড়ি বিরক্ত হয়ে বলেছিল
- “তোমার আহ্লাদ দেখে বাঁচি না। মেয়ে মানুষের বিয়ের পর স্বামীর বাড়িই সব। এতো বাপের বাড়ির কথা চিন্তা করলে হবে?”
মাথা নিচু করে বলেছিলাম- ঠিক আছে, আর বাপের বাড়ির কথা চিন্তা করবো না!

পরদিন সকালে অফিস যাওয়ার সময় আসিফকে বললাম,
- আমাকে ভাড়া বাবদ ২০০ টাকা দিও। আর শোনো, বাসায় ফেরার সময় আমার জন্য নতুন দুই সেট ব্রা*-পেন্টি* নিয়ে এসো, আর হ্যাঁ ফার্মেসি থেকে এক প্যাকেট প্যাডও। ব্রা আনার সময় ভুল সাইজ এনো না কিন্তু! যদি আনো, তাহলে তোমারই আবার সেটা চেঞ্জ করে আনতে হবে।
কথার ধাক্কাটা হয়তো আসিফ নিতে পারেনি। তাই বোবা হয়ে গেলো! আমি মানিব্যাগ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে অফিস চলে গেলাম…

অফিস থেকে ফেরার পর শ্বাশুড়ি একটা শাল দেখিয়ে বললো,
- “এটা রিনা (আমার ননদ) আমার জন্য কিনে পাঠিয়েছে। কেমন হয়েছে বউ মা?”
কিছুটা অবাক হয়ে বললাম
- রিনার তো বিয়ে হয়েছে। সে শ্বাশুড়ির জন্য শাল না কিনে কোন আক্কেলে আপনার জন্য কিনেছে বুঝলাম না! বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িই মেয়েদের নিজের বাড়ি! জানি না রিনার এতো আহ্লাদ কেন? যা হোক, শালটা আমি নিয়ে গেলাম। পরে সময় মতো রিনার কাছে পাঠিয়ে দিবো! একথা বলে শ্বাশুড়ির গা থেকে শালটা খুলে নিজ রুমে চলে আসলাম…

কিছুক্ষণ পর আসিফ বাসায় ফিরলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
- আমার জিনিস এনেছো?
আসিফ মুখ ভোঁতা করে বললো- “না, আনিনি!”
কিছুটা রেগে বললাম,
- আনো নি কেন? আমার পেট ব্যথা শুরু হয়েছে। একটু পর যখন পিরিয়ড শুরু হবে, তখন বিদেশ থেকে আনা এই দামী কম্বলে রক্তের দাগ লেগে গেলে সেটা কি ভালো লাগবে? আমার কথা শুনে আসিফ তাড়াতাড়ি রুম থেকে বের হয়ে গেলো…

কিছুক্ষণ পর এক প্যাকেট প্যাড এনে আমার হাতে দেওয়ার পর আমি বললাম
- বাকী জিনিস কোথায়?
আসিফ মাথা নিচু করে ১০ হাজার টাকা হাতে দিয়ে বললো
- “আজ থেকে তোমার জিনিস তুমিই কিনো। মেয়েদের সব জিনিস পুরুষ কিনতে পারে না!”

পরদিন বাবা বাসায় এসে আমার স্বামী-শ্বাশুড়ির সামনে আমাকে বললো,
- “মা, আমার বয়স হয়েছে। কখন কি হয় বলা যায় না। তুই তোর প্রাপ্য সম্পত্তিগুলো বুঝে নে।”

বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম,
- কিসের সম্পত্তি বাবা? তুমি জানো না, মেয়েরা বিয়ের পরে পর হয়ে যায়? তুমি যেদিন আমায় বিয়ে দিয়েছো, সেদিনের পর থেকেই আমার প্রতি তোমার দায়িত্ব শেষ! আর আমি যখন শ্বশুরবাড়িতে পা রেখেছি, তখনই তোমার প্রতি আমার দায়িত্ব শেষ! আমার স্বামী-শ্বাশুড়ি আমাকে সেটাই শিখিয়েছে!

বাবা অবাক হয়ে বললো,
- “মা, এসব তুই কি বলছিস?”
আমি বললাম- ঠিক বলেছি বাবা, আমার কিছুই লাগবে না।
আসিফ আমতা আমতা করে আমাকে বললো,
- “তুমি আমাদের ভুল বুঝছো, বিষয়টা এমন না!”
শান্ত গলায় আসিফকে বললাম,
- তুমিই বলো বিষয়টা কেমন? আমার কি ইচ্ছে হতে পারে না, যে মানুষটা আমাকে এতো বড় করলো, পড়াশোনা শিখিয়ে যোগ্য পাত্রের সাথে বিয়েও দিলো, তার জন্য কিছু করতে? আজ আমি চাকরি করছি সবটা তো উনার জন্যই। উনি তো চাইলেই পারতেন উনার মেয়েকে পড়াশোনা না করাতে। আমার বিয়ে হয়ে গেছে বলে উনার প্রতি আমার সব দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে? মেয়ে বিয়ে দিলেই যদি বাবা-মায়ের দায়িত্ব শেষ হয়ে যেতো, তাহলে আমার বাবা এখানে আসতো না আমার প্রাপ্য আমাকে বুঝিয়ে দিতে।
আসিফ আর কোন কথা না বলে মাথা নিচু করে রইলো…

আমি তখন শ্বাশুড়িকে বললাম,
- এক মাকে ছেড়ে আরেক মায়ের কাছে এসেছি। আমার দুই-দুইটা মা! যে মেয়ের দুই-দুইটা মা, সে তো একটু আহ্লাদি হবেই। আমি এক মায়ের জন্য কিছু কিনবো, আরেক মায়ের জন্য কিনবো না, সেটা কিভাবে হয় মা, আপনিই বলুন?

শ্বাশুড়ি মাথা নিচু করে কাঁদতে লাগলো…

আসিফ আমার হাত ধরে বললো,
- “তুমি তোমার সম্পত্তি নাও কিংবা না নাও, এতে আমার বিন্দু পরিমাণ আপত্তি নেই। কিন্তু তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে যেও না। আমি চাই তোমার সাথে থেকে হলেও আমার নিচঁ মন-মানসিকতার পরিবর্তন হোক।”

বাবা আমাদের এসব কথা শুনে অবাক হয়ে বললো- “মা রে, আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না!”
হেসে বললাম- তেমন কিছু না বাবা। একটু সমস্যা হয়েছিল, তোমার সামনেই সেটা সমাধান হয়ে গেলো।

শ্বাশুড়ির কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম
- আহারে সোনা, শালটা নিয়ে গেছি বলে কান্না করতে হবে না?
শ্বাশুড়ি আমার কান টেনে বললো,
- “ফাজিল মেয়ে, মায়ের সাথে ঢং করা হচ্ছে? শালের জন্য না, আমি আমার করা ভুলের জন্য, আর এক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে আরেকটা মেয়ে পেয়েছি, সেই খুশিতে কান্না করছি।”

মানুষ কখনো ভুলের উর্ধ্বে নয়। সংসার জীবনে এমন সমস্যা হতেই পারে। আপনার প্রতিবাদের কৌশলটা শুধু একটু অন্য রকম হোক।

বই পড়া আপনার জীবনের অংশ হওয়ার ১২টি কারণ:১. জ্ঞানের মহাসড়ক: বই কার্যত যেকোনো বিষয়ে জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডার প্রদান করে। ই...
07/05/2025

বই পড়া আপনার জীবনের অংশ হওয়ার ১২টি কারণ:

১. জ্ঞানের মহাসড়ক: বই কার্যত যেকোনো বিষয়ে জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডার প্রদান করে। ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শনের গভীরে ডুব দিন, অথবা নতুন শখ এবং আগ্রহ অন্বেষণ করুন।

২. উন্নত শব্দভাণ্ডার: নিয়মিত পড়া আপনাকে শব্দভান্ডারের বিস্তৃত পরিসরের সাথে পরিচিত করে, আপনার যোগাযোগ দক্ষতা এবং বোধগম্যতা উন্নত করে।

৩. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি: গবেষণা থেকে জানা গেছে যে পড়া আপনার স্মৃতিশক্তি এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করতে পারে, আপনার মনকে সক্রিয় এবং নিযুক্ত রাখতে পারে।

৪. চাপ কমানো: একটি ভালো বইয়ের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখা মানসিকভাবে মুক্তির এক রূপ হতে পারে, যা দৈনন্দিন উদ্বেগ থেকে সাময়িক মুক্তি এবং শিথিল হওয়ার সুযোগ প্রদান করে।

৫. উন্নত মনোযোগ এবং একাগ্রতা: আজকের দ্রুতগতির বিভ্রান্তিতে ভরা পৃথিবীতে, পড়া দীর্ঘ সময়ের জন্য মনোযোগ এবং মনোনিবেশ করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।

৬. সহানুভূতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি: কাল্পনিক চরিত্রগুলির জুতায় পা রাখলে আপনি সহানুভূতি বিকাশ করতে পারেন এবং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে গভীর ধারণা অর্জন করতে পারেন।

৭. উন্নত সৃজনশীলতা: পড়া আপনাকে নতুন ধারণা এবং চিন্তাভাবনার সাথে পরিচিত করে তোলে, যা আপনার নিজস্ব সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

৮. শক্তিশালী লেখার দক্ষতা: সুলিখিত গদ্যে নিজেকে নিমজ্জিত করলে আপনার লেখার ধরণ, বাক্য গঠন এবং সামগ্রিক যোগাযোগের স্বচ্ছতা উন্নত হতে পারে।

৯. উন্নত ঘুমের মান: ঘুমানোর আগে স্ক্রিন টাইমের পরিবর্তে একটি বই ব্যবহার করুন। পড়ার শান্ত প্রকৃতি আপনাকে আরাম এবং শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে, যা ঘুমের মান উন্নত করে।

বাবা👌১.  মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।২।  মা বিনা বেত...
04/05/2025

বাবা👌

১. মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।

২। মা বিনা বেতনে সংসার চালায়, বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন, উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।

৩. মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করেন, বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন, তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান, তবে মায়ের ভালবাসা উচ্চতর হিসাবে দেখানো হয়েছে। জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে।

৪. ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান, কষ্ট পেলে ‘মা’ বলে কাঁদেন। আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন, কিন্তু বাবার কি কখনও খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে করেন না? ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না।

৫. আলমারি ভরে যাবে রঙিন শাড়ি আর বাচ্চাদের অনেক জামা-কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম, নিজের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন।

৬. মায়ের অনেক সোনার অলঙ্কার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন আর বাবা করেন না। তারপরও জানি না কেন বাবা পিছিয়ে।

৭. বাবা সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্তু যখন স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে, কেন জানি না তিনি সবসময় পিছিয়ে থাকেন।

৮. মা বলে, আমাদের এই মাসে কলেজের টিউশন দিতে হবে, দয়া করে আমার জন্য উৎসবের জন্য একটি শাড়ি কিনবে অথচ বাবা নতুন জামাকাপড়ের কথাও ভাবেননি। দুজনেরই ভালোবাসা সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছে জানি না।

৯. বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায়, তখন বাচ্চারা বলে, মা ঘরের কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী, কিন্তু তারা বলে, বাবা অকেজো।

১০. বাবা পিছনে কারণ তিনি পরিবারের মেরুদণ্ড। আর আমাদের মেরুদণ্ড তো আমাদের শরীরের পিছনে। অথচ তার কারণেই আমরা নিজেদের মতো করে দাঁড়াতে পারছি। সম্ভবত, এই কারণেই তিনি পিছিয়ে আছেন...!!!!

সালাম জানাই পৃথিবী সকল বাবাদেরকে!

"বাবা মায়ের ব্যক্তিত্বেই গড়ে সন্তানের ভাগ্য।"যে বাবা মায়ের সম্পর্ক যত সুমধুর মজবুত,সেই সন্তানের ভবিষ্যৎ তত সুন্দর।যে বাব...
01/05/2025

"বাবা মায়ের ব্যক্তিত্বেই গড়ে সন্তানের ভাগ্য।"

যে বাবা মায়ের সম্পর্ক যত সুমধুর মজবুত,সেই সন্তানের ভবিষ্যৎ তত সুন্দর।যে বাবা মা ব্যক্তি হিসেবে যতটা শালীন,ব্যক্তিত্ববান তাদের সন্তান ততটাই উন্নত মানসিকতা,চরিত্রবান এবং সুন্দর ব্যক্তিত্বর অধিকারী হয়ে গড়ে উঠে।

বাচ্চারা অনুকরণ অনুশীলন প্রিয় হয়।আর তাদের জীবনের প্রথম শিক্ষক তাদের বাবা মা।সন্তান তার বাচন ভঙ্গি কাজ করার কৌশল সব কিছুই শিখে বাবা মায়ের কাছে।বাবা মায়ের আচরন এর প্রভাব সন্তানের ব্যক্তিত্বের ওপরে প্রধান প্রভাব বিস্তার করে।
বাবা মা একে অপরের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল,বিনয়ী যত্নশীল,তারা কতটা নীতিবান সামাজিক তা একজন সন্তানের ভালো মানুষ হয়ে ওঠার প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে।

যদি কোন সন্তান দেখে তার বাবা মা অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত,তাদের বাচন ভঙ্গি অশালীন সন্তান এর মাঝেও সেই আচরন প্রভাব বিস্তার করে।আস্তে আস্তে সন্তান বাবা মায়ের অবাধ্য হতে শুরু করে।অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়।সামাজিক আচরন সৌজন্যতা থেকে দূরে সরে যায়।
সন্তানকে শুধু দামী পোশাক বিলাসবহুল জীবন যাপনে অবভস্ত্য করলেই সে ভদ্র সভ্য হবেনা।সে তাই করবে যা তার বাবা মাকে সে করতে দেখবে।সে যদি দেখে তার বাবা মা সবার সাথে উচ্চ্যবাচ্য করে,অভদ্রতা করে,উদারতা নেই,অন্যের কাছে সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে কিন্তু নিজে কাউকে সাহায্য করেনা,তাহলে সন্তান তাই শিখবে।স্বার্থপর হয়ে গড়ে উঠবে।

আপনি নিজে সি'গারেট খেয়ে আশা করতে পারেন না আপনার সন্তান নে*শা থেকে বিরত থাকবে।আপনি নিজে দ্বিচারিতা করে আশা করতে পারেন না আপনার সন্তান চরিত্রবান হবে।কারন বাবা মায়ের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সন্তানের মাঝে প্রকাশ পাবেই।সন্তান বাবা মাকে দেখেই শেখে।আপনার ব্যক্তিত্ব আপনার সন্তানের ভাগ্য গড়বে।

জানেন তো গোবরে সবসময় পদ্মফুল ফোটেনা।তাই ভাববেন না আপনি খা'রাপ তবুও সন্তান ভালো চরিত্রের হবে।

সন্তানকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানাতে বড় নামীদামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা শিখালেন কিন্তু মনুষ্যত্ব শিখালেন না।তাহলে শেষ জীবনে বিপদ আপনারই হবে।আপনি অসুস্থ হলে সন্তান ডাক্তার নয় উকিল ডাকবে আপনার সম্পত্তির ভাগাভাগি করতে।

আপনার নৈতিকতা নির্ধারন করবে আপনার সন্তান শেষ বয়সে আপনার সেবা করবে নাকি বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে।

"সন্তানকে অফিসার বানানোর আগে মানুষ বানান,যেনো অসুস্থ হলে ডাক্তার ডাকে উকিল নয়"।।😌🥀

16/01/2025

💞💞💞

কত নিষ্ঠুর এই দুনিয়া,কেউ চায় কিন্তু পায় না,আর কেউ পেয়েও ময়লার ডাস্টবিনে ফেলে দেয়😭😭😭
16/01/2025

কত নিষ্ঠুর এই দুনিয়া,কেউ চায় কিন্তু পায় না,
আর কেউ পেয়েও ময়লার ডাস্টবিনে ফেলে দেয়
😭😭😭

স্ত্রীর সাথে করণীয় কিছু সুন্নাহ স্বামীর জন্য উপদেশ:-★স্ত্রী গ্লাসের যে স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করে সেই স্থানে ঠোঁট রেখ...
20/09/2024

স্ত্রীর সাথে করণীয় কিছু সুন্নাহ স্বামীর জন্য উপদেশ:-

★স্ত্রী গ্লাসের যে স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করে সেই স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করা সুন্নাহ।
(মুসলিমঃ৫৭৯)

★স্ত্রীর কাছে চুল আঁচড়ে নেয়া সুন্নাহ। আয়েশা (রাঃ) রাসূল (ﷺ) এর চুল আঁচড়ে দিতেন
(বুখারীঃ২৯৫, মুসলিমঃ৫৭১)

★স্ত্রীর ব্যাবহার করা মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করা সুন্নাহ। রাসূল সাঃ যখন মৃত্যু সজ্জায়, তখন রাসূল সাঃ আয়েশা রাঃ এর কোলে শুয়ে ছিলেন এবং রাসূল (ﷺ) বার বার মেসওয়াকের দিকে তাকাচ্ছিলেন, কিন্তু রাসূল সাঃ এতোটাই অসুস্থ ছিলেন যে মেসওয়াক চিবোতে পারবেন না, তাই আয়েশা (রাঃ) মেসওয়াক চিবিয়ে দেন এবং রাসূল (ﷺ) ঐ মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করেন। হাদীসে এভাবে লালা একত্রিত হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে (বুখারীঃ৫২২৬)

★স্ত্রীর সাথে একই সাথে গোসল করা সুন্নাহ। আয়েশা (রাঃ) এর সাথে এবং কখনো মাইমুনা (রাঃ) এর সাথে রাসূল (ﷺ) পবিত্রতার গোসল করতেন
(মুসলিমঃ৬২০, নাসাঈঃ৩৮০)

★স্ত্রীর মুখের খাবার খাওয়া সুন্নাহ। আয়েশা (রাঃ) হাড় যুক্ত গোশত খাওয়ার পর রাসূল (ﷺ) আয়েশা রাঃ এর খাওয়া হাড় চুষে খেতেন। (মুসলিমঃ৫৭৯)

★স্ত্রীর সাথে খেলায় প্রতিযোগিতা করা সুন্নাহ। রাসূল (ﷺ) এবং আয়েশা (রাঃ) রাত্রীতে সবাই ঘুমোলে দৌড় প্রতিযোগিতা করতেন।
(ইবনে মাজাহঃ১৯৭৯,আবু দাঊদঃ২৫৭৮)

★স্ত্রীর প্রশংসা করা সুন্নাহ। রাসূল (ﷺ) আয়েশা (রাঃ) সবার সেরা, এবং খাদিজা (রাঃ) এর ভালোবাসার প্রশংসা করতেন (বুখারীঃ৫২২৯, ৩৪১১)

★স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া বা সফরে যাওয়া সুন্নাহ। স্ত্রীদের সফরে নিয়ে যেতে রাসূল (ﷺ) লটারী করতেন, যার নাম আসতো তাকে নিয়ে ঘুরতে যেতেন। (বুখারীঃ২৫৯৩)

★শাওয়াল মাসে বিবাহ করা সুন্নাহ। (তিরমিযিঃ১০৯৩)

★স্ত্রীকে সুন্দর নামে ডাকা সুন্নাহ। (রাসূল (ﷺ) আয়েশা (রাঃ) কে হূমায়রা বলে ডাকতেন)

★স্ত্রী কে কখনো মারধর না করা সুন্নাহ। রাসূল (ﷺ) কখনো কারো উপর প্রতিশোধ নিতেন না, এবং স্ত্রীদের ও মার ধর করতেন না। (বুখারীঃ৫২০৪, বুখারীঃ ৬১২৬)

★স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে কোরআন তেলায়ত করা সুন্নাহ। (বুখারীঃ২৯৭)

★স্ত্রীর কাজকর্মে সহযোগিতা করা সুন্নাহ। (বুখারীঃ ৬৭৬)

★হায়েয অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সাধারণ মেলামেশা করা সুন্নাহ। (বুখারীঃ৩০০)

★স্ত্রীর মুখে খাবারের লোকমা তুলে দেয়া সুন্নাহ। এবং স্ত্রীকে খাবার খাইয়ে দিলে তা সদকা হিসেবে কবুল হয়, এবং তার প্রতিদান রয়েছে। (আবু দাঊদঃ২৮৬৪)

★স্ত্রীর রাগ অভিমান এবং মন বোঝার চেষ্টা করা সুন্নাহ। রাসূল (ﷺ) বলেন আয়েশা তুমি আমার উপর রেগে থাকলে আমি বুঝতে পারি, আয়েশা (রাঃ) বলেন হে আল্লাহর রাসূল কিভাবে বোঝেন আপনি? রাসূল (ﷺ) বলেন তুমি যখন আমার উপর রেগে থাকো তখন বলো “হে ঈবরাহিম (আঃ) এর প্রভু” আল্লাহ কে এভাবে ডাকো, আর যখন খোশ মেজাজে থাকো তখন বলো, (“হে মুহাম্মদ (ﷺ) এর প্রভু” আল্লাহ কে এভাবে ডাকো।
(বুখারীঃ৫২২৮)

আজ আমার জন্মদিন।সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।বড় হয়ে আমি যেন দেশ ও মানুষের কল্যানে অবদান রাখতে পারি।
10/09/2024

আজ আমার জন্মদিন।সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।বড় হয়ে আমি যেন দেশ ও মানুষের কল্যানে অবদান রাখতে পারি।

ডিভোর্সের আগে শ্বশুর বাড়ি জেলখানা মনে হতো,ডিভোর্সের পরে এখন নিজের বাড়িই দোজখের মত লাগছে।( বাণীতে ডিভোর্সি নারী)  পরিস্থি...
03/07/2024

ডিভোর্সের আগে শ্বশুর বাড়ি জেলখানা মনে হতো,
ডিভোর্সের পরে এখন নিজের বাড়িই দোজখের মত লাগছে।( বাণীতে ডিভোর্সি নারী)

পরিস্থিতি যেমনই হোক, ডিভোর্স কখনো সুখ দেয়না!!
কমপক্ষে কোন মেয়ে সুখী হতে পারে না।

এক ডিভোর্সি নারীর বাস্তব জীবনী😭

জানিনা, আমি কেন লিখছি। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই আর কেউ আমার মতো ভুল না করুক। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই ঠুনকো কারণে সংসারগুলো ভেঙে না পড়ুক।
আমি ঊনিশ বছর বয়সী একজন নারী। আমাদের বিয়ে হয়েছিল আমার পছন্দে। সংসারও টিকে ছিল দের বছর। আমাদের একটা ছেলেও আছে, ওর বয়স এখন এক বছর।
আমার স্বামীর স্বভাব-চরিত্র সবই বেশ ভালোই ছিল। শুধু একটু জেদি । অবশ্য তাও সবসময় না, মাঝেমধ্যে। মানুষ ভাবে ওর বদ জেদের জন্যই বুঝি আজ এই অবস্থা, কিন্তু আমি জানি, আমাদের সমস্যার শুরুটা ওর দিক থেকে হয় নি।

সব সংসারেই তো টুকটাক কিছু সমস্যা থাকে। ওরকম আমাদের মধ্যেও মাঝেসাঝে ঝগড়া-ঝাটি হতো। কিন্তু ঝগড়া বাধলেই আমি তল্পিতল্পা গুছিয়ে বাপের বাড়ির দিকে হাঁটা দিতাম। বাপের বাড়িতে বোনরাও আসতো, আর ভাইরা তো ছিলই। ওদের কাছে কেদেকেটে সব বলতাম। তখন সবাই ওকে ফোন করে কথা শোনাত। আমার ছোট বোন তো রীতিমত অপমান করত!
আমার কাছেও মনে হতো, ঠিকই আছে। কত বড় সাহস, আমার সাথে লাগতে আসে। আমাকে নিজের মতো চালাতে চায়। আমার মধ্যে কেমন একটা জেদ কাজ করতো। ওর কাছে ছোট হব, ওর কাছে নিজের ভুল স্বীকার করব, মাফ চাইব, এটা ভাবতেই পারতাম না। উল্টো বড় গলা করে বলতাম, “ডিভোর্স দাও! তোমার মতো লোকের সাথে কে সংসার করে?”
নাহ, ডিভোর্স আমি কখনোই মন থেকে চাই নি। ওটা ছিল মুখের কথা।
ওর সামনে ছোট হওয়ার চাইতে ডিভোর্স চাওয়াই আমার কাছে সঠিক মনে হতো।

একদিনের কথা এখনও মনে পড়ে। সেদিন ছোট একটা ব্যাপার নিয়ে তর্ক করতে করতে দুজনেই খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছি। রাগে আমার শরীর কাঁপছে। যা মুখে আসছে তাই বলছি। তুই-তোকারি, গালিগালাজ, অপমান কিচ্ছু বাদ যায় নি। এক পর্যায়ে সহ্যের বাধ ভেঙে ও আমার গায়ে হাত তুললো!
এর আগে কিংবা পরে কখনোই ও আমার গায়ে হাত তুলে নি। কিন্তু ঐ একটা থাপ্পড়, ওটাই যথেষ্ট ছিল।
আমি বাপের বাড়ি চলে গেলাম। আর হ্যাঁ বরাবরের মতো এবারও নিজের দিকটা না বলে খালি ওর দিকটাই বলে গেলাম। মানুষের দোষ দিয়ে আর কী লাভ! সবাইকে যা বলেছি, সেটার উপর ভিত্তি করেই তারা বিচার করেছে। পরিবারের সবাই বললো, এমন ছেলের সাথে সংসার করার কোনো দরকার নাই। মামলা ঠুকে দাও।
আমি সবার পরামর্শে মামলা করলাম।
ওর নামে নারী নির্যাতনের কেইস করা হল। খুব দ্রুতই ওকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। ওর পরিবার থেকে মুরুব্বিরা এসে বার বার অনুরোধ করল, আমি যেন এই কেইস তুলে নিই।
ভেতরে ভেতরে আমিও চিন্তা করতাম, আচ্ছা, আমার স্বামী কি আসলেই জালেম? ও কি কোনদিন নিজে থেকে আমার গায়ে হাত তুলেছে? আমি যদি ওকে এত কথা না শোনাতাম, তাহলে কি ও আমার গায়ে সেদিন হাত তুলতো?
আমার বাবা মা আমাকে বুঝিয়েছিল, আমি যদি এতকিছুর পর ফিরে যাই, তাহলে ও ভাববে, আমি বুঝি অসহায়। আমাকে আরো পেয়ে বসবে। আমার উপর ইচ্ছামত ছড়ি ঘুরাবে। একবার গায়ে হাত তুলেছে মানে বার বার একই কাজ করবে। কাজেই নিজে থেকে ফিরে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।
কিন্তু আমার মনের ভেতর কে যেন চিৎকার করে বলতো, ও তো এমন লোক না। ও যেদিন আমার গায়ে হাত তুলেছিল, সেদিনই হাটু জোর হয়ে আমার কাছে মাফ চেয়েছে। এসব ভেবে ভেবে আমি মামলা তুলে নিলাম। তবে ওর কাছে ফেরত গেলাম না।
কিছুদিন পর দুই পরিবার থেকে বিচার-সালিশ হল। সবার কাছে ও দোষী প্রমাণিত হল। সবাই ওকে নানা কথা বোঝাল, উপদেশ দিল। তারপর আবার সংসার শুরু করলাম।
এর পরের কয়েক মাস ভালোই চলছিল, কিন্তু হুট করে আবার কী একটা নিয়ে আমাদের ঝগড়া বেধে গেল। ব্যস, কাপড়চোপড় গুছিয়ে আবার আমি বাপের বাড়ি গিয়ে উঠলাম। এর মধ্যে শুনলাম ও নাকি খুব অসুস্থ ! আমি বাসায় ফিরতে চাইলে আমার পরিবার বললো, এভাবে একটা ঝগড়ার পর একা একা ফিরলে সেটা ভালো দেখায় না। আর আমার বোনদের কথা ছিল, ওসব অসুস্থ-টসুস্থ কিছু না, সব বাহানা!

আমরা চাচ্ছিলাম ঐ পক্ষ থেকে কিছু আত্মীয়-স্বজন এসে ওর ভুল স্বীকার করে আমাকে হাতেপায়ে ধরে নিয়ে যাক। কিন্তু এবার কেউই আসলো না।
এরও কিছুদিন পর ও আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিল। ডিভোর্স লেটার দেখে আমাদের পরিবারের সবাই খুব খেপে গেল। কতবড় সাহস, মেয়েকে এত কষ্টে রেখেছে, তার উপর ডিভোর্স লেটার পাঠায়। সবার কথায় আমার কাছেও মনে হলো, ঠিকই তো, কত বড় সাহস! আমাকে ডিভোর্স দিতে চায়? ওর সব ভুলগুলো চোখের উপর ভাসতে লাগলো।মা বাবা মনে করিয়ে দিলো, ও হলো সেই ছেলে যে কিনা আমার গায়েও হাত তুলেছে।
প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে আমিও ঠিক করলাম, এবার ডিভোর্সই দেব। কে চায় এমন ফালতু লোকের সংসার করতে? কোর্টে গিয়েও ওকে হেনস্থা করার চেষ্টা করলাম। আমার মাসিক খরচ বাড়িয়ে একটা আকাশছোঁয়া অংক দাবি করলাম! আমি চাচ্ছিলাম ওর যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। যেন নিজে থেকে আমার কাছে এসে আবার সংসার করতে চায়। আসলে ডিভোর্স হোক আমি কখনোই চাই নি৷ কিন্তু জিদ আমাকে খেয়ে নিচ্ছিল। আগ বাড়িয়ে ওকে ডিভোর্স তুলে নিতে বলা আমার পক্ষে অসম্ভব! ওর কাছে ছোট হওয়া আমি মানতেই পারি নি।
কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, ও আমার আকাশছোঁয়া সমস্ত দাবি মেনে নিলো। আমাদের ছেলেকে আমি পেয়ে গেলাম। ভরণপোষণ, মাসিক খরচ, ওর সম্পত্তি সব! বিনিময়ে ও পেলো শুধু ডিভোর্স।
আমাদের ডিভোর্স হয়েছে আজ সাড়ে তিন বছর।
ও আবারও বিয়ে করেছে। সুখেই আছে বোঝা যায়। আসলে ওর মতো নির্ঝঞ্ঝাট স্বামীকে নিয়ে মেয়েরা হয়তো সুখেই থাকবে।
এখন আমার নিজের কথা ভেবে আফসোস হয়। মানুষের মুখের কথা কখনো কখনো ছুরির চেয়েও ধারালো হতে পারে। ও আমাকে একবার থাপ্পড় মেরেছিল ঠিকই, কিন্তু আমি কথার তীরে ওকে ছিন্নবিছিন্ন করে ফেলতাম। শারীরিক নির্যাতন করি নি সত্যি, কিন্তু মানসিকভাবে কষ্ট দিতাম। এসব কথা আমার মা বাবাকে কখনোই বলা হয় নি। নিজের দোষের কথা মানুষ কতটাই বা বলে!
মাঝে মাঝে ভাবি, ইশ, আমার পরিবার যদি একটু নিজে থেকে বুঝে আমাকে সংসার করার উপদেশ দিতো। যখন আমি ওর কাছে ফিরে যেতে চাইতাম, তখন ওর খারাপটা না বলে যদি একটু ভালো দিকগুলোর কথা মনে করাতো! আমি যদি নিজের জিদ নিয়ে পড়ে না থেকে, একটু ওর কাছে নত হতাম! তাহলে হয়তো আজ আমাকে এই দিন দেখা লাগতো না।ডিভোর্সের আগে শ্বশুর বাড়ি জেলখানা মনে হতো,
ডিভোর্সের পরে এখন নিজের বাড়িই দোজখের মত লাগছে।

আজ আমার ভাইবোন বন্ধুবান্ধব সবার নিজেদের সংসার আছ কিন্তু ছোট্ট ভুলে সব শেষ হয়ে গেছে তাই দোয়া করি আর কারো সাথে যেন এমন না হয়।

·

একটি শিক্ষণীয় গল্প:এক জঙ্গলের পাশে দুই কাঠুরে বাস করতো- পিটার এবং জন। তাদের মধ্যে প্রায়ই তর্ক হতো - কে বেশি কাঠ কাটতে পা...
13/06/2024

একটি শিক্ষণীয় গল্প:

এক জঙ্গলের পাশে দুই কাঠুরে বাস করতো- পিটার এবং জন। তাদের মধ্যে প্রায়ই তর্ক হতো - কে বেশি কাঠ কাটতে পারে?

তো একদিন তারা একটা প্রতিযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিল যাতে পরিষ্কার হয়ে যায় কে সবথেকে বেশি কাঠ কাটতে পারে। প্রতিযোগিতার নিয়ম - সকাল ৮ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত যে বেশি কাটবে, সেই জয়ী।

পরের দিন সকালে, তারা জঙ্গলের মধ্যে তাদের অবস্থান নিল এবং কাট কাঠতে শুরু করলো যতটা দ্রুত সম্ভব। এক ঘন্টা পর, পিটার হঠাৎ কাঠ কাঁটা বন্ধ করলো। জন পিটারের কাঠ কাটার শব্দ না পেয়ে মনে মনে খুশি হলো এবং ভাবলো সে মনে হয় ইতিমধ্যে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।

প্রায় ১৫ মিনিট পর, আবার পিটারের কাঠ কাটার শব্দ আসতে লাগলো এবং সারাদিন এক ঘন্টা পর পর এরকম প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য পিটারের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যেত না। আর এইদিকে জন, প্রচন্ড খুশি মনে একটানা কাঠ কেটে যেতে লাগলো এবং সে নিশ্চিন্ত ছিল, অব্যশই আমি অনেকটা বেশি কাট কেটেছি।

সারাদিন শেষে যখন তারা এক জায়গায় তাদের কাঠগুলো এনে জড়ো করলো, জন অবাক হয়ে দেখলো, পিটার তার থেকে অনেকগুলো বেশি কাঠ কেটেছে।

সে চিৎকার করে উঠলো, "এটা কিভাবে সম্ভব? আমার থেকে কিভাবে তুমি বেশি কাঠ কাটতে পারো? তুমি সারাদিন প্রতি ঘন্টায় ১৫ মিনিট করে বিশ্রাম নিয়েছো আর আমি সারাদিন কাঠ কেটেছি।"

পিটার হাসলো এবং উত্তর দিলোঃ "আমি ১৫ মিনিট বিশ্রাম নেয়ার পাশাপাশি আমার কুঠারে ধার দিয়েছি। আর যার কারণেই আমি বেশি কাঠ কাটতে পেরেছি।"

আমাদের মধ্যেও সবাই অনেক অনেক ব্যস্ত। আমরা এতটাই ব্যস্ত যে আমাদের নিজেদের জন্য সময় নেই। এতে আমাদের কুঠার মানে মস্তিষ্ক কিন্তু দিন দিন ধার কমে যাচ্ছে।
মাঝে মাঝে একটু ব্রেক নিয়ে, নতুন কিছু শেখা, নতুন কিছু জানার মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্ক ধারালো হয়।

আমাদেরকে আরেকটু বেশি কর্মঠ করতে, আরো বেশি সচল থাকতে - আমরা এই কাজগুলো করতে পারি।

শারীরিকঃ
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত এক্সারসাইজ।

সামাজিকঃ
মানুষের সাথে ভালো আচরণ করা, নিয়মিত নিজেকে আপডেট করা, নতুন কিছু শেখা, বইপড়া এবং লেখালেখি করা।

আধ্যাত্মিকঃ
ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, পালন করা।

08/06/2024

Address

Paikgacha

Telephone

+8801917995976

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ¤rifah Tasnia¤ "10914" posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ¤rifah Tasnia¤ "10914":

Share

Category