05/07/2025
🛡️ অপারেশন থিয়েটার—নীরব সাহসিকতার মঞ্চ!�"অজানা, অচেনা—but indispensable!"
লোকে ভাবে—সার্জনই সব! কিন্তু একবার কি ভেবেছো—সেই সার্জারির পেছনে কারা নিঃশব্দে যুদ্ধ করে?
সেই মানুষটাই OTA—অপারেশন থিয়েটার অ্যাসিস্ট্যান্ট/টেকনোলজিস্ট।�যাদের ছাড়া কোনও অস্ত্রোপচারই সম্ভব নয়।
৩-৪ বছর ধরে শেখে এনাটমি, ফিজিওলজি, স্টেরিলাইজেশন, সাপ্লাই চেইন, এনেসথেসিয়া সাপোর্ট, OT ইথিক্স…�রোগীর জীবন হাতে নিয়ে কাজ শেখে – ধৈর্য, দক্ষতা, শৃঙ্খলা আর সাহস নিয়ে।�প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে হয়—কারণ, ভুল একটাই হতে পারে জীবন ও মৃত্যুর পার্থক্য।
�সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, সার্জারি ক্লিনিক, ট্রমা সেন্টার, বেসামরিক বা সামরিক মেডিকেল—সবখানে তাদের প্রয়োজন।�তারা শুধু সার্জনের সহকারী নয়—অপারেশন থিয়েটারের আসল চালক।
কিন্তু কেউ কি চেনে?�অস্ত্রোপচার সফল হলে বাহবা পায় সার্জন—OTA? চুপচাপ ফিরে যায় পরের প্রস্তুতিতে।
�স্টেরাইল গ্লাভস, গাউন, মাস্ক—ঘাম আর চাপের মাঝে কয়েক ঘণ্টা একনাগাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা।�বমি, রক্ত, শরীরের খোলা অংশ—সবকিছু সামলে রাখতে হয় মনোবল।�দুপুর, রাত, ঈদ, পুজো—সবই থেমে যায় ইমার্জেন্সি কল এ।
�বিদেশে OTA পেশার বিশাল চাহিদা।�যারা সত্যিকারের দক্ষ, তাদের জন্য আছে আন্তর্জাতিক জব, স্কলারশিপ, উচ্চতর প্রশিক্ষণ।
�দুপুরে ফোন আসে: "এক্সিডেন্ট কেস, এখনই আসুন!"�সন্তান ঘুমায়, বাবা/মা তখন অপারেশন থিয়েটারে—জীবন বাঁচানোর দায়িত্বে।
তবুও হাসে তারা—কারণ তারা জানে, কারও একটা জীবন এখন তাদের হাতে।
�অনেকেই এখনো জানে না—OTA কারা, কী করে।�তাদের চোখে OTA মানে—“অপারেশন রুমে কিছু টুলস দেয়!”�কিন্তু সেই হাতেই হয়ত রোগীর শ্বাস ফেরে।
একজন OTA হলো অপারেশন থিয়েটারের ছায়া-নায়ক।�সার্জনের পেছনে দাঁড়িয়ে, রোগীর সামনে ঝুঁকে—তারা বাঁচায় জীবন, দেয় সাহস, এবং রাখে নিঃশব্দ প্রতিজ্ঞা।
�নিজেকে জিজ্ঞেস করো—তুমি কি পারো অন্ধকার ঘরে আলো জ্বালাতে?�তুমি কি পারো সার্জনের অদৃশ্য ডান হাত হতে?
সম্মান করো OTA-দের।�তাদের ছাড়া অস্ত্রোপচার কল্পনাও করা যায় না।�তাদের কাজই—নীরব সাহসের গল্প।
✍️ লিখেছেন:�Md Habibur Basar Habib�Student of Institute of health technology Mohakhali ,Dhaka�(গর্বিত OTA শিক্ষার্থী—পেশার প্রতি ভালোবাসা থেকে লেখা)