25/05/2025
বেকারত্বের মূল কারণটা একটু ভেবে দেখো... পৃথিবীর যে দেশে বেকারের সংখ্যা কম, সেখানে তরুণরা ভাবে, “চলো একটা দোকান দিই। দুই বন্ধু মিলে কফি শপ দিই, চাচা-ভাতিজা মিলে মুদি দোকান দিই, বাবা-ছেলে মিলে হোটেল দিই।”
ছোট্ট ব্যবসা, বড় স্বপ্ন।
আর আমাদের দেশে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলল, “ভাই, একটা হোটেল দিতে চাই।”
আর এলাকাবাসী বলল, “তুই এত পড়াশোনা করে হোটেল দিবি? শুধু প্রশ্নই না, তাকে “নাম কাটি ফর্দে” লিখে ফেলল সমাজ।
এই জন্যই আমাদের দেশে বেকারত্ব শুধু সংখ্যা না; এটা একটি মনস্তত্ত্ব।আমরা স্বপ্ন দেখি বিসিএস, স্বপ্ন দেখি ‘চাকরি’ নামের সোনার হরিণ, কিন্তু নিজের দোকান, নিজের হোটেল, নিজের আয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোটা কল্পনায়ও রাখি না।
পাশের দেশগুলোর তরুণেরা ২০ বছর বয়সেই দোকান খোলে,
স্টার্টআপ দেয়, সন্ধ্যায় লুঙ্গি পরে দোকানে বসে, আর রাতেই মোবাইলে পাঠায় ইনভয়েস।
আর আমাদের ছেলেটা?
বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ‘সিভি বানানোর’ খরচ চালায়।
বন্ধুরা, সময় এসেছে মানসিকতা বদলানোর। একটা চায়ের দোকান মানে লজ্জা না। চায়ের কাপে স্বপ্ন দেখাও যায়।
একটা মুদি দোকান মানে ব্যর্থতা না ওটাই হতে পারে তোমার প্রথম সফল কোম্পানি।
চাকরি না পেলে কষ্ট পাও, ঠিক আছে। কিন্তু নিজে কিছু শুরু করতে লজ্জা পাও ওটাই আমাদের বেকারত্বের সবচেয়ে ভয়ংকর চেহারা।
পুনশ্চঃ বেকারত্বে ভয়ংকর চেহারা সারাদিন দেখে সূর্য। সামারে বোধবয় সে এই ভয়ংকর দৃশ্য নিতে পারে না। প্রচন্ড রেগে যায়। এত তাপ। মাথা ঠিক থাকে না। গরম। সামারে আমি পাগল থাকি। হেডে ডিস্টার্ব।