05/07/2025
এই প্রিপেইড মিটারের জন্য তীব্র আন্দোলন করতে হবে। আমরা এই প্রিপেইড মিটার চাই না।
আমার ৩ দিনে ৩৩২ টাকা গেছে।
প্রিয় পঞ্চগড়বাসী,
পঞ্চগড় জেলার বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী
জনাব- সত্যজিৎ দেব শর্মা মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—
এই জেলাটি রাজধানী ঢাকা কিংবা শিল্প সমৃদ্ধ কোনো শহর নয়।
এটি সীমান্তবর্তী একটি প্রত্যন্ত জনপদ—
যেখানে ৯০% মানুষ টিনের ঘর বা কুঁড়ে ঘরে বসবাস করে
নেই গ্যাস সংযোগ, নেই ওয়াসার পানির ব্যবস্থা
আর কলকারখানা? প্রায় নেই বললেই চলে।
🔻 ঠিক এই বাস্তবতায়,
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রিপেইড মিটার চালুর সিদ্ধান্ত
পঞ্চগড়ের হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের জন্য মহাসঙ্কটের দ্বার উন্মোচন করবে,
এটি বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রিপেইড মিটারের সুবিধার অসুবিধা যথা:
বিদ্যুতের ওভারলোডের কারণে অনেক সময় বিদ্যুৎ প্রবাহ আপনা-আপনিই বন্ধ হয়ে যায়। ওভারলোড কমানো না হলে, প্রথমে মিটার এলার্ম দিবে এবং পরে পাঁচটি শব্দ করে ৩০ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
ওভারলোড নিতে পারে না বলে, বিভিন্ন বড় বড় অফিস বা কলকারখানায় এটি ব্যবহার করা এখনো সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। কারণ গ্রাহকের ডিমান্ড চার্জ, এনার্জি চার্জ, মিটারের ভাড়া এবং ভ্যাট ইত্যাদি বিলের সাথে যুক্ত হয়। আবার মিটারের প্রকারভেদ হিসাবে টাকার পরিমাণে হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। এখন যে যতো ওয়াট নেবে তার ডিমান্ড চার্জ ততো আসবে। কেউ যদি দুই কিলোওয়াট নেয়, তাহলে তার চার্জ আসবে ৮৪ টাকা।”
বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র কেনা সাধারণ মানুষের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে।
এ জন্য দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র.....
একটি ভয়াবহ সিদ্ধান্ত?
🔸 ১০০০ টাকায় রিচার্জ করলে গ্রাহক পাবেন মাত্র ৮২৬ টাকার বিদ্যুৎ
— বাকি টাকা কেটে যাবে
→ ডিমান্ড চার্জ ২ কিলোওয়াট লোড হলে
(৮৪ টাকা)
→ মিটার ভাড়া (৪০ টাকা)
→ সরকারের ভ্যাট (৫%)
🔸 অর্থাৎ আগে টাকা, পরে বিদ্যুৎ— টাকা ফুরালে বিদ্যুৎ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
🔸 মোবাইলের মতো রিচার্জ করতে হবে—
কিন্তু বিদ্যুৎ হলো মৌলিক অধিকার, বিলাসবস্তু নয়!
🔸 চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, দিনমজুরদের যাদের আয়ই প্রতিদিন অনিশ্চিত—
তাদের কী হবে?
আমাদের প্রশ্ন...
➡️ কোনো গ্যাস সংযোগ নেই
➡️ পানির সরকারি সংযোগ নেই
➡️ ঘরবাড়ির কাঠামো নাজুক
➡️ জীবন চালাতে হিমশিম খাওয়া মানুষ
➡️ সারাদেশে মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্বে নাজেহাল জনতা
এদের ঘাড়ে আরও একটি বোঝা চাপানোর মানে কী?
আমরা বলছি— মানুষ আগে, প্রযুক্তি পরে।
আপনি যদি প্রিপেইড মিটারের নামে রাতের আঁধারে মানুষকে মোমবাতির আলোয় ভাত খেতে বাধ্য করেন,
তাহলে সেটি উন্নয়ন নয়, এটি নিপীড়ন।
🔺 প্রিপেইড মিটার ব্যবস্থা পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া, পঞ্চগড় সদর ও আটোয়ারী উপজেলায় অবিলম্বে বাতিল করুন।
🔺 গণশুনানির আয়োজন করে জনগণের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন।
🔺 বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে মানবিক ও যুক্তিযুক্তভাবে পরিচালনার নিশ্চয়তা দিন।
📣 সমস্ত পঞ্চগড়বাসীকে ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।
এটি শুধু বিদ্যুৎ নয়—
এটি মানবাধিকার, মর্যাদা ও বেঁচে থাকার লড়াই।
চুপ থাকলে কাল মোমবাতির আলোয় সন্তানের মুখ দেখতে হবে—
আজই বলুন:
"না, এই অবিচার চলবে না!"