24/08/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                            জেলা হাসপাতাল: চিকিৎসার নামে মৃত্যুফাঁদ!
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা শহরের সরকারি হাসপাতাল এখন যেন একেকটা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এখানে সাধারণ সর্দি-জ্বর বা হালকা সমস্যার বাইরে কোনো রোগের সঠিক চিকিৎসা পাওয়া কার্যত অসম্ভব।
যে হাসপাতালগুলো সাধারণ মানুষের শেষ ভরসার জায়গা হওয়ার কথা, সেখানে জীবন বাঁচানোর নাম করে কেবল প্রহসন চলছে প্রতিদিন।
গুরুতর কোনো রোগী এলে প্রথমেই বলা হয়—
👉 "ঢাকায় যান",
👉 "বিভাগীয় শহরে রেফার করুন।"
প্রশ্ন হলো—
❓ এত টাকা খরচ করে এই বিশাল দালানকোঠা, ডাক্তার, নার্স, যন্ত্রপাতি—সবকিছু সাজিয়ে রেখে এর ব্যবহার কোথায়?
❓ যদি শেষ পর্যন্ত সব রোগীকে ঢাকায় কিংবা বিভাগীয় হাসপাতালে পাঠানোই হয়, তবে জেলা হাসপাতালের প্রয়োজন কী?
❓ মানুষের জীবন নিয়ে এমন তামাশা আর কতোদিন চলবে?
সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা বাজেট থেকে খরচ করছে এই হাসপাতালগুলোর পেছনে। অথচ বাস্তবে এই হাসপাতালগুলোতে
নেই যথাযথ ডাক্তার,
নেই পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ,
নেই আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের দক্ষতা,
নেই দায়িত্বশীলতা।
ফলে, সাধারণ মানুষ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকেও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়।
যে পরিবারগুলোর সামর্থ্য আছে তারা ঢাকায় বা বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। আর যাদের সেই সামর্থ্য নেই, তাদের বাঁচার অধিকার যেন রাষ্ট্র স্বীকারই করে না!
তাহলে কি এদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কেবল ধনীদের জন্য?
তাহলে কি এই হাসপাতালগুলো রাখা হচ্ছে কেবল চাকরি আর ভাতা খাওয়ার জন্য?
যদি এই ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঠিক করতে না পারেন, তবে স্পষ্ট করে বলে দিন—
👉 “গরিব মানুষের বাঁচার অধিকার নেই।”
👉 “যাদের সামর্থ্য আছে, তারাই বাঁচবে।”
সরকারের প্রতি অনুরোধ—
মানুষের জীবন নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা না করে হয় সত্যিকার অর্থে কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা দিন,
নইলে এই হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিন।
কারণ, আশার আলো দেখিয়ে শেষে মৃত্যুফাঁদে ফেলে দেওয়ার চেয়ে
সরাসরি সত্যটা বলা অনেক ভালো।