Ek Masum→মাসুম

Ek Masum→মাসুম সবাই আমাকে বেশি বেশি সাপোর্ট করবেন। আমার পেজটিতে সবাই ফলো দিয়ে রাখবেন।

রাতে যাদের ঘুম হয় না।চোখ ঝলসে দেওয়া প্রযুক্তি বিপ্লবের যুগে সবচেয়ে কমন যে রোগ মানুষের মাঝে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে তা হলো...
14/09/2025

রাতে যাদের ঘুম হয় না।

চোখ ঝলসে দেওয়া প্রযুক্তি বিপ্লবের যুগে সবচেয়ে কমন যে রোগ মানুষের মাঝে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে তা হলো—রাতে ঘুম না হওয়া।

সম্ভবত পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ মানুষ এই ‘ঘুম হয় না’ রোগে আক্রান্ত।

হতাশায় জর্জরিত হলে, চিন্তায় অস্থির থাকলে, জীবন নিয়ে ভীষণ দোটানায় নিপতিত হলে মানুষের চোখ থেকে ঘুম উধাও হয়। কিন্তু বর্তমান দুনিয়ায় চোখ থেকে ঘুম পালানোর বড় কারণ এসব নয়। এখন মানুষের যতোটাই না ‘ঘুম হয় না’, তারচেয়ে বেশি এখন মানুষ মূলত ‘ঘুমাতে চায় না।’

তবে, এই ‘ঘুমাতে না চাওয়া’ ব্যাপারটা ঐচ্ছিক কিছু নয়। কেউ যে ইচ্ছে করে ঘুমায় না তা কিন্তু বলা যাবে না। গড়ে প্রায় প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের হাতে থাকা একটা করে স্মার্টফোন আজকাল চোখ থেকে ঘুম উধাও হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ।

স্মার্টফোন আছে কিন্তু তাতে ফেইসবুক-ইউটিউব নেই—এমন ঘটনা রীতিমতো অসম্ভব!

ফেইসবুক ইউটিউবের এলগরিদম এমনভাবে সাজানো, তা খুব সহজেই একজন মানুষকে আটকে রাখতে পারঙ্গম। যেকেউ খুব সহজেই, অনেকটা নিজের অজান্তেই, এখানে পার করে দেয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। একটা ইস্যু চাঙা হলে সেটা নিয়ে একটা পোস্ট পড়ে, কিংবা একটা প্রতিক্রিয়া দেখে, অথবা কেবলমাত্র একটা ভিডিও দেখে কেউ নিজেকে নিবারণ করতে পারে না। তাকে দেখতে হয় অন্য অনেকের অভিমত, অন্য অনেকের প্রতিক্রিয়া। এই অভিমত-প্রতিক্রিয়া দেখার জন্যে তাকে ভার্চুয়ালে স্ক্রলের পর স্ক্রল করতে হয়।

এভাবে, একসাথে অনেক তথ্য মস্তিষ্কে ধারণের ফলে তার মস্তিষ্কের কার্যকলাপ তখন বহুগুণে বেড়ে যায় এবং তা নিয়ে মস্তিষ্ক ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মস্তিষ্কের এই ক্রিয়াকলাপের ফলে তার স্বাভাবিক যে ঘুমের সময় তাতে তখন ব্যাঘাত ঘটে। তথ্যগুলো মাথার মধ্যে কুটকুট করতে থাকায় তার চোখ থেকে ঘুম তখন তল্পিতল্পা নিয়ে বিদেয় হয়।

এছাড়াও, স্ক্রীন থেকে নির্গত হওয়া নীল আলো আমাদের চোখের ওপরে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। দীর্ঘক্ষণ স্ক্রীনে চোখ ডুবিয়ে রেখে ফেইসবুকিং কিংবা ইউটিউব স্ক্রলিংয়ের ফলে আমাদের চোখ থেকে স্বাভাবিক ঘুমের আবহ কমে যায় অনেকাংশে। মাথাব্যথা, উত্তেজনা, অস্থিরতা সহ নানান মানসিক রোগের কারণও স্ক্রীন থেকে নির্গত এই নীল আলো।

আমরা সঠিক সময়ে ঘুমাতে চাই ঠিকই, কিন্তু একইসাথে ভার্চুয়ালের নেশা ছাড়াটাও আমাদের পক্ষে ভীষণ দুরূহ। এজন্যেই ঘুমাতে না চাওয়াটা আমাদের ঐচ্ছিক রোগ নয়, এটা অভ্যাসগত একটা চর্চা এবং এই চর্চা ধীরে ধীরে আমাদের ওপরে ঝেঁকে বসেছে ভীষণভাবে।

এই ‘ঘুম হয় না’ রোগ সারাতে কেউ কেউ ঘুমের ওষুধ খায় হয়ত, কিংবা কেউ কেউ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্নও হয়—কীভাবে এই বদ-অভ্যাস দূর করা যাবে, কীভাবে সঠিক সময়ে ঘুমানো যাবে ইত্যাদি ব্যাপারে।

তবে, এই রোগের চিকিৎসা পেতে আপনি যদি ফুযাইল ইবন আয়ায রাহিমাহুল্লাহর শরণাপন্ন হোন, তিনি আপনাকে হাতে ধরিয়ে দেবেন একেবারে সহজ একটা প্রেসক্রিপশন। আশা করা যায়, সেই প্রেসক্রিপশন মেনে চলতে পারলে আপনার এই ‘ঘুম হয় না’ রোগ সম্পূর্ণভাবে সেরে যাবে, আল্লাহ চান তো।

তো, কী সেই প্রেসক্রিপশন?

তাঁর সুন্দর একটা নাসীহাহ আছে। তিনি বলেছেন—

‘ইস্তিগফারের চাইতে বিস্ময়কর এবং মনো-স্বস্তিদায়ক আর কোনোকিছুই আমি খুঁজে পাইনি। এমনকি, কেউ যদি বলে রাতে তার ঘুম হয় না, সে যদি নিবিষ্টমনে ইস্তিগফার করতে থাকে, তাহলে শয়তানও চায় যে সে জেগে না থেকে বরং ঘুমিয়ে পড়ুক। কারণ—জেগে থাকলে সে ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিজের গুনাহ কমিয়ে নিচ্ছে, এবং নেকির দ্বারা ভারি করে নিচ্ছে তার আমলনামা। তার চাইতে, ওই ব্যক্তির ঘুমিয়ে পড়াটাকেই শয়তান অধিক পছন্দ করে এবং তাকে (ঘুমিয়ে পড়ার ব্যাপারে) সহযোগিতা করে।’

এই প্রেসক্রিপশন খুবই সহজ এবং সবিশেষ কার্যকরী। রাতে আমরা যারা ঘুমাতে পারি না, হোক তা ভার্চুয়ালের নীল জগতে অবিরাম বিচরণ অথবা বিভিন্ন খোশালাপ, অহেতুক আড্ডাবাজির কারণে, আমরা যদি ফুযাইল ইবন আয়ায রাহিমাহুল্লাহর এই নাসীহাহটা মেনে চলতে পারি, আমাদের ‘ঘুম আসে না’ রোগ অচিরেই সেরে যাবে বলে আশা করা যায়, ইন শা আল্লাহ।

তাহলে আমাদের কাজ কী?

রাতের বেলা ঘুমানোর নির্দিষ্ট সময়গুলোতে যখন আমাদের চোখ থেকে ঘুম পালায়, আমরা যখন এপাশ-ওপাশ ফিরে ফেইসবুক আর ইউটিউব স্ক্রল করি, তখন যদি নিবিষ্টমনে, ধীর-চিত্তে আমরা ইস্তিগফার পাঠ করি, চোখজোড়া বুজে যদি আমরা গভীর মনোযোগের সাথে বলতে থাকি ‘আসতাগফিরুল্লাহ আসতাগফিরুল্লাহ’, তখন ম্যাজিকের মতো আমাদের চোখে ঘুম নামবে, ইন শা আল্লাহ।

শয়তান তখন চাইবেই না যে আপনি জেগে থাকুন। জেগে থাকলে আপনি যিকিরে থাকছেন। আর, আপনি আল্লাহর স্মরণে মশগুল আছেন—এমন দৃশ্য শয়তানের জন্য বড়োই কষ্টের‍।
copy post #আরিফআজাদ

12/09/2025

অবশ্যই আমাদের উচিত হাসিমুখে কথা বলা

টাইম লাইনে রেখে দিন। 🤗🤗🤗🤗
12/09/2025

টাইম লাইনে রেখে দিন। 🤗🤗🤗🤗

06/09/2025

সাফল্য পেতে হলেই এই তিনটি শর্ত মেনে চলতে হবে

অসুস্থ হলে রেগে যাবেন না।আল্লাহর প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন না
04/09/2025

অসুস্থ হলে রেগে যাবেন না।আল্লাহর প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন না

ছবিতে থাকা ব্যক্তিটিকে যদি চিনতে পারেন তাহলে নাম অবশ্যই বলে যাবেন 🤗🤗🤗
02/09/2025

ছবিতে থাকা ব্যক্তিটিকে যদি চিনতে পারেন তাহলে নাম অবশ্যই বলে যাবেন 🤗🤗🤗

খনার চিকিৎসা বচন (১)“মাংসে মাংস বৃদ্ধি, ঘিতে বৃদ্ধি বলদুধে বীর্য বৃদ্ধি, শাকে বৃদ্ধি মল” অর্থ:মাংস খেলে মাংস বাড়ে,ঘি খেল...
25/07/2025

খনার চিকিৎসা বচন (১)
“মাংসে মাংস বৃদ্ধি, ঘিতে বৃদ্ধি বল
দুধে বীর্য বৃদ্ধি, শাকে বৃদ্ধি মল”
অর্থ:
মাংস খেলে মাংস বাড়ে,
ঘি খেলে শরীরে বল আসে।
দুধ খেলে বীর্য বৃদ্ধি হয়,
আর শাক খেলে পেট পরিষ্কার থাকে।
খনার চিকিৎসা বচন (২)
“রসুনে রক্ত, আদায় গতি,
হলুদের গুণ ধরে না স্মৃতি।
তুলসী পাতায় কাশি যায়,
পেঁয়াজ খেলে যৌবন চায়।”
অর্থ:
রসুন রক্ত পরিষ্কার করে, আদা হজম বাড়ায়,
হলুদ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর, তুলসী কাশি সারায়।
পেঁয়াজ খেলে যৌনশক্তি বাড়ে।
খনার চিকিৎসা বচন (৩)
“কাঁচা আমে পেটের শান্তি,
পাকা আমে রসের ভাঁড়।
বেলের শাঁসে পেটের জাদু,
তেঁতুল খেলে মুখে ছাঁদ।”
অর্থ:
কাঁচা আম হজমে সহায়ক, পাকা আম শক্তি দেয়,
বেল পেট পরিষ্কার করে,
তেঁতুল মুখে স্বাদ বাড়ায়।
খনার চিকিৎসা বচন (৪)
“ধনে পাতা গরম কমায়,
পুদিনা মুখ ঠান্ডা চায়।
লেবুতে মল, কচুতে রক্ত,
এই সবজিতে জীবন শক্ত।”
অর্থ:
ধনে গরম কমায়, পুদিনা ঠান্ডা দেয়,
লেবু হজমে সহায়, কচু রক্ত বাড়ায়।
খনার চিকিৎসা বচন (৫)
“তেঁতুল দিলে মুখে রস,
পাকা কলায় চলে গস।
নিম পাতা করে শোধন,
তুলসী পাতায় হয় রোগ ক্ষয়ন।”
অর্থ:
তেঁতুল মুখে টক-মিষ্টি স্বাদ আনে,
পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
নিম পাতা রক্ত পরিশোধ করে,
তুলসী রোগ প্রতিরোধে সহায়।
খনার চিকিৎসা বচন (৬)
“আদায় গরম, রসুনে বল,
মেথি খেলে কমে কল।
চিরতা জলে পিত্ত ধোয়,
তেতো কাহার কভু ক্ষয়?”
অর্থ:
আদা গরম, রসুন শক্তিদায়ক,
মেথি গ্যাস-অম্বল কমায়।
চিরতা পিত্ত দূর করে,
আর তেতো শরীরের রোগ কমায়।
খনার চিকিৎসা বচন (৭)
“কচুতে রক্ত, চাল কুমড়ো ঠান্ডা,
তালের রসে শীতল ফাঁদা।
আনারসে গ্যাসে শান্তি,
দুধে খেলে শরীর ভারী।”
অর্থ:
কচু রক্ত বাড়ায়, চাল কুমড়ো ঠান্ডা দেয়,
তালের রস ঠান্ডা রাখে, আনারস গ্যাস কমায়।
দুধ শরীর মজবুত করে।
খনার চিকিৎসা বচন (৮)
“মধু মুখে দিলে জ্বালা যায়,
তিলের তেলে চুলে আয়।
লাউয়ে জ্বর, করলাতে পিত্ত,
জ্বরের দিনে করো না হিত।”
অর্থ:
মধু মুখ ঠান্ডা রাখে,
তিলের তেল চুলে দিলে উজ্জ্বল হয়।
লাউ জ্বর কমায়, করলা পিত্ত দূর করে,
তবে জ্বরে করলা খাওয়া ঠিক নয়।

copy post

উনার নাম সৈয়দ আলী। উনি ইরানের খোমাইন শহরে জন্ম গ্রহন করেন তাই তাকে আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি বলা হয়। উনি ইসলামী সর্বোচ্চ শিক...
18/06/2025

উনার নাম সৈয়দ আলী। উনি ইরানের খোমাইন শহরে জন্ম গ্রহন করেন তাই তাকে আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি বলা হয়। উনি ইসলামী সর্বোচ্চ শিক্ষা অর্জন করেছেন ইরাক ও ইরানের বিখ্যাত মাদ্রাসা হতে। তার উপাধী আয়াতুল্লাহ যা ফিকাহবিদ/ মুজতাহিদ/ আল্লামা সমতূল্য। তাছাড়াও তিনি নবী সাঃ এর ৩৮ তম বংশধর। নবী সাঃ এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন রাঃ এর ছেলে ইমাম জয়নাল আবেদীন এর বংশধর। উনার মাথায় কালো পাগড়ী তাঁর চিহ্ন বহন করে। উনি শিয়া মাজহাবে প্রচলিত বেশ কিছু বিতর্কিত বিষয় সমাধান করে শিয়া ও সুন্নী মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য তৈরি করতে ভালো কিছু ফতোয়া জারি করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে সাহাবীদের গালি না দেয়া, মহহরমে শরীর থেকে রক্ত না ঝরানো, সকল মাজহাবের মুসলিম একই মসজিদে নামাজ পরার তাগিদ ইত্যাদি যা মুসলিম ভাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান হয়ে থাকবে।

সংগৃহীত
কোন ভুল থাকলে জানিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হল

Address

Panchagarh

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ek Masum→মাসুম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share