
04/07/2025
📿 মহররম ও আশুরার আধ্যাত্মিক শিক্ষা
মহররম মাস কেবল শোকের নয়—এটি সৃষ্টির সূচনা থেকে সত্য ও ত্যাগের মহাপাঠ।
এই মাসের দশ তারিখে (আশুরা) সংঘটিত হয়েছে অসংখ্য ঐশী ঘটনা:
আকাশ, আরশ, কলম, কুরসি, বেহেশত, নবীদের সৃষ্টি, ঈসা (আ.) ও মূসা (আ.)-এর নাজাত, ইউনুস (আ.)-এর মুক্তি, আদম (আ.)-এর ক্ষমা, দাউদ (আ.) ও দানিয়েল (আ.) এর রোজা ইত্যাদি।
এই দিনে হযরত হুসাইন (আ.) কারবালার প্রান্তরে ফাসিক এজিদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে শহীদ হন।
তিনি রক্ত দিয়ে প্রমাণ করেছেন, ইমান শুধু নামাজ-রোজার নাম নয়—ইমান মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার সাহস।
কারবালা আমাদের শেখায়:
> “পৃথিবী বদলাতে হলে, প্রথমে বদলাতে হবে নিজের ভেতরের কলুষতা।”
আজও যারা কেবল বাহ্যিক ধর্মাচরণে ব্যস্ত, তাদের জন্য হুসাইন (আ.) এর আত্মত্যাগ একটি জাগরণ:
কুরআন কেবল কাগজের খেতাব নয়, নামাজ কেবল শরীরের নয়, বরং আত্মার ইবাদত।
হুসাইন (আ.) ছিলেন সেই আত্মার মুক্তির প্রতীক।
---
চেতনার প্রশ্ন:
আমরা কি হুসাইনের মতো সত্যের জন্য দাঁড়াতে পারি?
নাকি আমরা কেবল নামাজ-রোজার খোলসেই আটকে আছি?