https://www.facebook.com/101306641615771/

Taraban Bhabona Kendra, Panchari, Khagrachari, Panchari (2025)

27/07/2025

👌আগামী ১৬ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার ও ১৭ অক্টোবর,শুক্রবার,পানছড়ি তারাবন ভাবনা কেন্দ্রে ১১তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্দযাপন কমিটি সভাপতি,বাবু চন্দ্র দেব চাকমা (প্রাত্তন উপজেলা চেয়ারম্যান।
সহ সভাপতি,বাবু মিহির চাকমা, প্রধান শিক্ষক, লোগাং বাজার আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়।
সাধারণ সম্পাদক, বাবু রূপক চাকমা (মেম্বার)

25/07/2025

👌আগামী ২৪ অক্টোবর -২০২৫ ইং,ঘাগড়া বৈজয়ন্ত বনবিহার উপাসক-উপাসিকা কর্তৃক চীবর দান অনুষ্ঠান উপলক্ষে পানছড়ি তারাবন ভাবনা কেন্দ্র ভিক্ষু সংঘকে ফাং।প্রত্যেকের জীবন সুখের হোক....

15/07/2025

শিক্ষাগুরু বনভন্তে
==============
✍️ আদিকল্যাণ স্থবির
========================
হাজার হাজার বছর আগে মানুষ মনে করতো পৃথিবী একটা সমতল ভূমি এবং ইহা তাদের বদ্ধমূল ধারণা ছিল। বৈজ্ঞানিক “গ্যালিলিও’যুক্তি সহকারে আবিষ্কার করলেন যে পৃথিবীটা সমতল ভূমি নয়। আসলে ইহা গোলাকার কমলা লেবুর মত। অবশেষে মানুষ সেটা বিশ্বাস করতে শুরু করলো। অপর দিকে মানুষ মনে করতো চন্দ্র সূর্য পৃথিবীর চারিপাশে ঘুরে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক “কোপার্নিকাস’ যুক্তি সহকারে প্রমাণ করলেন যে চন্দ্র-সূর্য পৃথিবীর চারিপাশে ঘুরে না বরং পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরে। পরিশেষে মানুষ সেটাও মেনে নিতে বাধ্য হল। তাদের পেছনে ভুল ধারনা ছিল একমাত্র সৌরজগৎ সম্বন্ধে জানা নাই বিধায়। ঠিক তদ্রুপভাবে এতদঞ্চলে অর্থাৎ পার্বত্য চট্টগ্রামে লোকোত্তর ধর্মীয় গুরু বনভান্তের আবির্ভাব না হওয়ার আগে এখানকার বৌদ্ধরা বিশেষ করে চাকমারা মনে করতেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা অর্চনার মাধ্যমে সুখ-শান্তি অর্জন করা যায়। তন্মধ্যে মালী মা পূজা, শনি পূজা, সিন্নি পূজা থানমানা বিভিন্ন পশু বলির দান ইত্যাদি। যাহা ছিল সম্পূর্ণ বৌদ্ধধর্ম থেকে দূর হতে বহু দূরে। যখনি সুখ খুঁজে না দুঃখের সাগরের দিকে ছুটে চললো এখানকার মোহান্ধ মানব বৌদ্ধরা ঠিক তখনি জ্ঞানের মশাল হাতে নিয়ে মানুষের হৃদয়ে চির অঙ্কিত ভুল রেখা মুছে দিতে আমাদের মাঝে হাজির হলেন বুদ্ধপুত্র পূজনীয় বনভান্তে।
যুগে যুগে মহাপুরুষের আবির্ভাব হয় এই ধরাধামে সুপ্ত মানুষের হৃদয়কে জাগ্রত করার জন্য তেমনি বর্তমান যুগে মহাপুরুষ বনভান্তেও ব্যতিক্রম নয়। তিনি ১৯২০ সালে ৮ই জানুয়ারি রাঙ্গামাটি জেলার কর্ণফুলি নদীর তীরে মগবান মৌজার মোরঘোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হারুমোহন চাকমা এবং মাতা বীরপুদি চাকমা। মা-বাবার মনে বড় আশা ও স্বপ্ন ছিল একমাত্র পরানের দুলাল, নয়নের পুত্রকে পেয়ে। ছেলে বড় হয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে এগিয়ে যাবে অনেক দূর। কিন্তু তা কি করে হয়! মাত্র প্রাইমারি স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে মন আর চাইলো না মাধ্যমিক, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে। যতই তিনি বড় হতে থাকেন ততই সংসারের দুঃখটাকে উপলব্ধি করলেন। মহাকারুণিক ভগবান বুদ্ধের প্রকৃত চারি আর্যসত্যের বাণী এবং প্রতীত্য সমুৎপাদ নীতির কথা সকাল-সন্ধ্যায় তার হৃদয় মন্দিরে বাঁজতে লাগলো। বুদ্ধ বলেছেন– যে জন্ম গ্রহণে চক্রবর্তী সুখ ও দেবেন্দ্র সুখ লাভ করেও পুনরায় দরিদ্র কুলে জন্মগ্রহণ করতে পারে সেই জন্মগ্রহণ হতে মুক্তি লাভের জন্য নির্বাণের অনুসন্ধান করা উচিত নহে কি? অর্থাৎ পুনঃ পুনঃ জন্মগ্রহণের প্রভাবে একেক বার চক্রবর্তী রাজা, দেবরাজ ইন্দ্র হয়েও অত্যাধিক সুখের অধিকারী হয়ে আবার দরিদ্র কুলে জন্মগ্রহণ করতে হয়। কেবল ইহা কেন তির্যক, অসুর, প্রেত এমনকি ঘোরতর দুঃখপূর্ণ নরকে পর্যন্ত যেতে হয়। যুবক রথীন্দ্র একাকী নির্জনে আনমনে চুপি চুপি কি যেন ভাবতে লাগলেন। মনের দুয়ারে বসে কল্পনার কাগজে অংক কষতে গিয়ে সংসারে সবই অনিত্য দুঃখ অসার ছাড়া কিছু পেলেন না। সংসারে শুধু আসা যাওয়ার খেলামাত্র আর কিছুই নয়। তাই তিনি নিজেকে কঠোর সংকল্পে বাঁধতে লাগলেন এবং মনকে স্থির করলেন আমিও ধ্যানী হবো বৌদ্ধ সন্যাসী হবো। বুদ্ধের আবিস্কৃত আর্য অষ্টাঙ্গিক পথে চলে সংসার কান্তার হতে মুক্ত হবো। আর তাইতো মায়ের আর্শীবাদ, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ১৯৪৯ সালে চট্টগ্রাম শহরে নন্দন কানন বৌদ্ধ বিহারে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন। সেখানে চার/পাঁচ মাস থাকার পর তাঁর মন বিষন্ন হয়ে উঠলো। শহরের কোলাহল পরিবেশ তাঁর ভালো লাগলো না। নিজেকে অর্থাৎ আত্মদমন করতে পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। অবশেষে প্রব্রজ্যা গুরু শ্রীমৎ দীপংকর শ্রীজ্ঞান ভান্তের (বি,এ) অনুমতি নিয়ে চলে আসলেন ধনপাতার হাজারো বৃক্ষ লতা শোভিত গহীন অরণ্যে। জীবনের মমতা ত্যাগ করে শুরু করলেন সাধনা, কখনো খোলা আকাশের নিচে কখনো বা গাছতলায় বা বাঁশতলায়। এমনি করে পেরিয়ে গেলো বারটি বছর। কাপ্তাই লেকের পানিতে তাঁর বনভিটা জলমগ্ন হলে শ্রদ্ধাবান দায়ক নিশিমনি চাকমার প্রার্থনায় তিনি চলে যান খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানায়। তিনি ১৯৬১ সালে পূণ্যময় ভিক্ষুসংঘের উপস্থিতিতে শুভ উপস্পদা লাভ করেন। বন জঙ্গলে ধ্যান ভাবনা করেছিলেন বলে দেব-মনুষ্যদের মাঝে বনভান্তে নামে অভিহিত হলেন তিনি। কালক্রমে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়লো তাঁর জ্ঞানগর্ভ উপদেশ এবং অলৌকিক শক্তির কথা। তাঁর জ্ঞান গরিমায় মুগ্ধ হয়ে অনেক কুলপুত্র শিক্ষিত যুবক গৃহীধর্ম ত্যাগ করে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করলেন। বনভান্তের প্রথম সারির শিষ্যের মধ্যে অন্যতম শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, শ্রীমৎ ভৃগু মহাস্থবির, শ্রীমৎ ভদ্দজী মহাস্থবির, শ্রীমৎ বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির, শ্রীমৎ বশিষ্ট মহাস্থবির, শ্রীমৎ সৌরজগত মহাস্থবির, শ্রীমৎ শাসণরক্ষিত মহাস্থবির, শ্রীমৎ ব্রহ্মদত্ত স্থবির প্রমুখ। নতুন করে সূচিত হলো আপামর বৌদ্ধদের মাঝে ধর্মের জাগরণ। প্রতিটি মানুষের অন্তরে মৈত্রী করুণা মুদিতা ভাব জন্ম নিলো। পূজনীয় ভান্তের আবির্ভাবে ধর্মীয় পুত পবিত্র ভিক্ষুসংঘ সৃষ্টি হয়ে সর্বস্তরের মানুষের পূণ্য বীজ রোপণ করতে সুযোগ হলো। তাঁর মহান অবদানে বৌদ্ধ সমাজ আলোকিত ও গৌরবান্বিত। বর্তমান বিশ্বে সত্যিই তিনি একজন জ্ঞানদাতা শিক্ষক এবং সর্বজন পূজ্য।

14/07/2025

👌এবারে এস এস সি পাস করলো বর্ষা, লিসা,সুযশ চাকমা যখন ছোট্ট ছিলো।

12/07/2025

২০২৫ সালে থাইল্যান্ড ধাম্মাকায়া বিহারে ভিক্ষু ১৩৩৯ জন আর শ্রামণ ৪৭০ জন।মোট ১৮০৯ জন বর্ষাবাসে অবস্থান। প্রতিরূপ দেশ বলে কথা..

11/07/2025

আগামী ৯ আগষ্ট মনিপুর বনবিহারে উপাসিকা পরিষদ কর্তৃক সার্বজনীন সংঘদান অনুষ্ঠানে ফাং..

10/07/2025

তারাবন ভাবনা কেন্দ্র উপস্থাপিকা, মিস লিসা চাকমা, এবং সুজাতা চাকমা,বিভা চাকমা এবারে এস এস সি পাস করলো।

10/07/2025

আদিকল্যাণ ভান্তের বোনপুত বাবু সুযশ চাকমা এবারে এস এস সি পাস করলো।
4.21

10/07/2025

তারাবন ভাবনা কেন্দ্রে উপস্থাপিকা মিস বর্ষা চাকমা এবারে এস এস সি পাস করলো।
GPA- 4.78

10/07/2025

নবর্ষী চাকমা এবারে এস এস সি পাস করলো।
4.33

08/07/2025

ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে ও আষাঢী পূর্ণিমা অনুষ্ঠান সমাপ্ত হলো। প্রত্যেকের জীবন সুখের হোক, সাধুবাদ..
এবারে বর্ষাবাস অধিষ্ঠান করবেন-
১) ভদন্ত আদিকল্যাণ মহাস্থবির
২)ভদন্ত বিনয়জিৎ স্থবির
৩) ভদন্ত জ্ঞানাংকুর স্থবির
৪)ভদন্ত ধর্মজিৎ স্থবির
৫) ভদন্ত আনন্দজিৎ ভিক্ষু
৬) অভিজিৎ ভিক্ষু
৭)মনন জিৎ শ্রামন

Taraban Bhabona Kendra, Panchari, Khagrachari

27/07/2025

25/07/2025

15/07/2025

14/07/2025

12/07/2025

11/07/2025

10/07/2025

10/07/2025

10/07/2025

10/07/2025

08/07/2025

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category