30/09/2025
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ হুজুর কেবলা পীর সাবির শাহ্ মাদ্দাজিল্লুহুল আলী যাচ্ছিলেন ঢাকার বনানীতে।রাস্তার জ্যাম কেটে হুজুর কেবলা কে সহজে গন্তব্যে নিতে স্বেচ্ছাসেবক এ এস এফ হুইশেল ব্যবহার করছিল। এ এস এফ এর গাড়িতে আমিও ছিলাম। তৎক্ষনাৎ ফোন আসলো, হুজুর কেবলা রেগে যাচ্ছেন, হুইশেল যেন না বাজানো হয়। সর্বসাধারণের মতোই যাওয়া আসা হলো শেষ পর্যন্ত। এটা শুধু সেদিন নয়,আজ বহুবছর ধরেই হুজুর কেবলা রাস্তা ঘাটে, ঘরে বাইরে নিজেকে সর্বসাধারণের মতোই দেখতে পছন্দ করে আসছেন।
মদিনা শরীফে ২০২৩'র রমযানে, সরকারে দো আলম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কদমে পাকে সালাম ও জেয়ারাতে যাচ্ছিলাম।রমযানের শেষ তখন, প্রচন্ড ভীড় ঠেলে সামনে এগুনো যে কত কঠিন ছিল তা না দেখলে আন্দাজ করা মুশকিল। ধাক্কাধাক্কি তে হুজুরের কষ্ট হচ্ছে, তিনি আমাদের দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন। তাই, চেষ্টা করছিলাম কয়েকজনে মিলে ব্যারিকেড দিয়ে নিতে, কিন্তু পারলাম না।এক পর্যায়ে হুজুর এমনভাবে রেগে গেলেন যে, সবাই রণেভঙ্গ দিতে বাধ্য হয়ে গেল। বললেন, কেয়া সমজতে! কাঁহা আয়া! সমজ মে নেহি আতে ইয়ে কেয়া দরবার হ্যায়!
কা'বা শরীফ তাওয়াফেও বারবার বকা খেতে হয়েছে জনে জনে। হুজুর কেবলা ভীড়ের মধ্যে থাক্কার পর ধাক্কা খেতে খেতেই তাওয়াফ করেন বরাবর। মিঠা দো আপনা হাস্তি কো আগর কুচ মরতবা চাহো... এর এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি।
মদিনা শরীফে, হোটেল কক্ষে সালাত সালামে তিনি নিজের নামে সালাম না দিতে আমাদের কে খুব কঠিনভাবে নিষেধ করেছিলেন।আমেরিকা সফরেও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এবারের বাংলাদেশ সফরে যখনই সালামীতে তাঁর নিজের নাম আসবার সময় হয়েছে তখনই যে সালাম দিচ্ছেন, তাঁর দিকে এমন কঠিন দৃষ্টিতে চেয়ে থেকেছেন যে, ভয়ে কেউ আর তাঁর নামে সালাম দিতে সাহস পান নাই।
হ্যাঁ, তিনিই পীর সাবির শাহ্ মাদ্দাজিল্লুহুল আলী, বর্তমান যুগের পথ প্রদর্শক।
Uddin Baktiar ভাই হতে কপিকৃত।
ছবি পরিচিতি: KDS গ্রুপের মালিক খলিল সাহেব হুজুর পীর সাবির শাহ (মা.জি.আ) এর ঘাম মুছে দিচ্ছেন।