02/06/2025
কোরবানির ফজিলত (গুণ ও মর্যাদা) ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ঈদুল আজহার অন্যতম প্রধান ইবাদত, যা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আনুগত্যের স্মৃতিকে স্মরণ করেই আদায় করা হয়। নিচে কোরবানির কিছু ফজিলত উল্লেখ করা হলো:
---
🌟 কোরবানির ফজিলত ও মর্যাদা:
1. আল্লাহর কাছে প্রিয় ইবাদত:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"কোরবানির দিন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো কোরবানি করা।"
(তিরমিজি, হাদিস: ১৪৯৩)
2. প্রতিটি পশুর পশমের বিনিময়ে সওয়াব:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"কোরবানির পশুর একটি একটি লোমের বদলেই সওয়াব দেয়া হবে।"
(ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩১২৭)
3. আখিরাতে শাফা'তের উসিলা:
হাদিসে এসেছে, কোরবানির পশু কিয়ামতের দিনে তার শিং, খুর ও পশমসহ মালিকের জন্য ওজনদার আমল হিসেবে হাজির হবে।
(তিরমিজি, হাদিস: ১৪৯৩)
4. আত্মিক প্রশান্তি ও ত্যাগের শিক্ষা:
কোরবানি আত্মত্যাগ ও আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্যের এক বাস্তব নিদর্শন।
5. পবিত্র কুরআনে ঘোষণা:
"তোমরা প্রত্যেক জাতির জন্য কোরবানির বিধান করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া পশু জবেহ করার সময় তাঁর নাম স্মরণ করে..."
(সূরা হজ, আয়াত: ৩৪)
"আল্লাহর কাছে তাদের গোশত বা রক্ত পৌঁছে না, বরং পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া (ভয় ও আনুগত্য)।"
(সূরা হজ, আয়াত: ৩৭)
---
✅ কোরবানি কার উপর ওয়াজিব:
প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান,
যার নিজ ও পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়ে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে,
ঈদুল আজহার দিনগুলোতে (১০-১২ জিলহজ) তা বৈধভাবে ভোগ করে।
---
যদি আপনি চান, আমি দলিলসহ একটি সুন্দর ইসলামিক পোস্টার বা ম্যাসেজ আকারে কোরবানির ফজিলত সাজিয়ে দিতে পারি। বললে বানিয়ে দিই।