M18 Gaming life

M18 Gaming life 'adhan.life' is a nonprofit charity org. Dedicated to spread Islamic ethics, values & knowledge.

17/01/2023

১৬ জানুয়ারি ২০২৩ পাতা: সকল পাতা × ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ Page-1Page-2Page-3Page-4Page-5Page-6Page-7Page-8 Last >>

নেকাব ও বুরখা পরিহিত মরক্কোর বিশ্বকাপ ফুটবল টিমের খেলোয়াড় বুও খলালের স্ত্রী।  হে ভাই ও বোন, আমরা তোমাদের নিয়ে গর্বিত।💚🌹T...
17/12/2022

নেকাব ও বুরখা পরিহিত মরক্কোর বিশ্বকাপ ফুটবল টিমের খেলোয়াড় বুও খলালের স্ত্রী। হে ভাই ও বোন, আমরা তোমাদের নিয়ে গর্বিত।💚🌹
The Moroccan player Bou Khlal with his wife and she wears the Niqab, we are proud of you brother and sister.💚🌹
Courtesy: Positive Muslim

কিং ফাহাদ মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার, বুয়েন্স আয়ার্স,  আর্জেটিনা।সুন্দর এ মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টারটি সৌদিআ...
17/12/2022

কিং ফাহাদ মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার, বুয়েন্স আয়ার্স, আর্জেটিনা।

সুন্দর এ মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টারটি সৌদিআরব সরকারের অর্থায়নে আর্জেটিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে নির্মাণ করা হয়।
এটি আর্জেন্টিনার ব্যুয়েন্স আয়ার্সে অবস্থিত একটি মসজিদ এবং ইসলামি সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রটি সমগ্র লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার।
১৯৯৫ সালে সৌদি আরবে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে রাষ্ট্রপতি কার্লস মেনেম ব্যুয়েন্স আয়ার্সে ৩৪,০০০ বর্গমিটার এলাকা মসজিদ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেন।
এ মসজিদ ও ইসলামী কেন্দ্রের নকশা তৈরি করেন সৌদি স্থপতি জুহাইর ফায়েজ। এখানে মূল নামায ঘরে ২,০০০ জন পুরুষ এবং ৪০০ জন মহিলা মুসল্লী নামায আদায় করতে পারেন। এখানে একটি প্রাথমিক এবং একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। এসব বিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাও দেওয়া হয়। ৫০ জন ছাত্র থাকার মত একটি শয়নকক্ষ আছে।

রিজেকা মসজিদ এবং ইসলামিক সেন্টার অব রিজেকা, রিজেকা, ক্রোশিয়া মাশাল্লাহ! এটি ক্রোশিয়ার বন্দরনগরী রিজেকায় একটি নয়নোভিরাম ম...
17/12/2022

রিজেকা মসজিদ এবং ইসলামিক সেন্টার অব রিজেকা, রিজেকা, ক্রোশিয়া

মাশাল্লাহ! এটি ক্রোশিয়ার বন্দরনগরী রিজেকায় একটি নয়নোভিরাম মসজিদ। সুন্দর এ মসজিদটি ও ইসলামিক সেন্টারটি কাতার সরকারের বেশীরভাগ অর্থায়ানে ২০০৯-২০১৩ সালে তৈরী করা হয়।কাতার রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য অবদানের সাথে পুরো প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ৭৬ মিলিয়ন ক্রোয়েশিয়ান কুনা(kuna)। ক্রোয়েশিয়ান মিডিয়া ভবনটিকে ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ হিসেবে বর্ণনা করেছে। মসজিদটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের একটি অংশ যা ১০,৮১৬ বর্গ মিটার প্লটে নির্মিত হয়েছিল এবং মসজিদটি নিজেই ৫,২৯১ বর্গ মিটার (৩,৬১২ বর্গমিটার বিস্তৃত খোলা স্থান) জুড়ে। ১৪০০ মুসল্লী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ মসজিদটির মিনারের উচ্চতা ২৩ মিটার।

04/12/2022

ছোট্ট একটি আমলে সহজেই মিলবে এক হাজার নেকি। সেই সঙ্গে এক হাজার গুনাহও মাফ হবে ইনশাআল্লাহ। আমলটি খুবই সহজ। নারী-পুর....

ঐতিহাসিক কিসমত মারিয়া মসজিদমারিয়া গ্রাম, দূর্গাপুর, রাজশাহী রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মারিয়া গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক মা...
01/12/2022

ঐতিহাসিক কিসমত মারিয়া মসজিদ
মারিয়া গ্রাম, দূর্গাপুর, রাজশাহী

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মারিয়া গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক মারিয়া কিসমত মসজিদ। তবে কোনো শিলালিপি উদ্ধার না হওয়ায় দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির নির্মাণ ইতিহাস নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। স্থানীয়দের দাবি, খ্রিস্টীয় ১৫ শতকে কিসমত মারিয়া মসজিদটি নির্মিত হয়। তবে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এটি ১৮ শতকে নির্মিত একটি স্থাপনা। এ মসজিদের গম্বুজ ও নির্মাণশৈলী পুরান ঢাকার করতলব খান মসজিদের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় কোনো কোনো গবেষক এটিকে ১৮ শতকে নির্মিত বলে মত দিয়েছেন। কেননা করতলব খান মসজিদটি নবাব মুরশিদ কুলি খাঁ ১৭০৩ সালে নির্মাণ করেছিলেন। অন্যদিকে চুন-সুরকি ও ইটের ব্যবহার দেখে এটি মোগল আমলে নির্মিত স্থাপত্যকর্ম বলেও ধারণা হয়।

তিনটি গম্বুজ ও চারটি মিনার আকৃতির পিলারবিশিষ্ট এ মসজিদের দেয়ালে অসাধারণ শৈল্পিক কারুকাজের চিহ্ন পাওয়া যায়। মসজিদটির ক্ষয়ে যাওয়া দেয়ালে এখনো কিছু শৈল্পিক কর্ম বিদ্যমান। এতে আছে মুসলিম ঐতিহ্য অনুসারে শিল্পীদের করা পোড়ামাটির টেরাকোটা, যা গাছ-ফুল-লতা ইত্যাদি ধারণ করেছে। অবশিষ্ট কারুকাজ দেখে মসজিদের হারানো সৌন্দর্য সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়।
মসজিদটির তিনটি প্রবেশদ্বার আছে। প্রত্যেকটি দ্বারের ঠিক সমান্তরালে ওপরে ছাদের মাঝামাঝি একটি করে গম্বুজ আছে। সামনে লাগোয়াভাবে ছোট্ট উঁচু খোলা বারান্দা আছে, যা অনুচ্চ প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত এবং একটি তিন ধাপী ছোট সিঁড়ি দ্বারা ভূমিতে সংযুক্ত। কিসমত মারিয়া মসজিদের দক্ষিণে একটি দ্বিতল চৌচালা স্থাপনা আছে, যা বিবির ঘর বলে পরিচিত। ধারণা করা হয়, মসজিদ নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিবারের কোনো নারী নিজের ইবাদত, বন্দেগি ও সাধনার জন্য মূল মসজিদে সামান্য তফাতে থাকা ঘরটি নির্মাণ করেছিলেন।

স্থানীয় জনশ্রুতি মতে, কিসমত মারিয়া দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পরবর্তী স্থানীয় মুসল্লিদের উদ্যোগে সেখানে আজান ও নামাজের ব্যবস্থা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর সংস্কার করে এটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে। এখানে নিয়মিত নামাজ আদায় করা হয়। সংস্কারের ফলে ঐতিহাসিক মসজিদ তার হারানো সৌন্দর্যের অনেকটাই ফিরে পেয়েছে। মসজিদের অবস্থান ফসলের মাঠ ও নির্জন আমবাগানে হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা ধরনের মিথ চালু আছে। যেমন—মসজিদটি জিনের তৈরি, মসজিদ পরিত্যক্ত অবস্থায় জিনরা সাপের বেশে তাতে অবস্থান করত ইত্যাদি।

বিস্ময়ের বিষয় হলো, দেশের প্রায় সব প্রাচীন মসজিদের পাশে পুকুর বা দিঘি থাকলেও এ মসজিদের সন্নিকটে বড় কোনো জলাধার ও পুকুর চোখে পড়ে না। রাজশাহী সদর থেকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক ধরে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শিবপুর বাজার থেকে সহজেই ঐতিহাসিক এই মসজিদে যাওয়া যাবে। তবে অতিক্রম করতে হবে চার কিলোমিটার পথ। স্থানীয়রা মনে করে, স্থানীয় প্রশাসন আন্তরিক হলে কিসমত মারিয়া মসজিদ কেন্দ্র করে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে।

তথ্যসূত্রঃ শেখ আবদুল্লাহ বিন মাসউদ- দৈনিক কালেরকন্ঠ

01/12/2022
💚জুম্মার দিনে এক সাহাবীর সুন্দর একটি ঘটনা!💚আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর এক প্রিয় স...
01/12/2022

💚জুম্মার দিনে এক সাহাবীর সুন্দর একটি ঘটনা!💚
আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর এক প্রিয় সাহাবি, তাঁর নাম হামেদ আল-লাফাফ (রাঃ) । এক শুক্রবারের ঘটনা; জুমআর নামাজের আর বেশি সময় বাকী নেই। এই মুহূর্তে বাড়ির পোষ্য গাধাটি অজানা-গন্তব্যে উধাও হয়ে গেল। ওদিকে আটার কলে পড়ে আছে তাঁর একমাত্র খাদ্য আটা। সেটা না আনলে আজ চুলায় আগুনই জ্বলবে না। আবার ফসলের জমিটা পানি শূন্যতায় ফেটে চৌচির হয়ে আছে। তাতে সেচ দেয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে। ত্রিমুখী কাজের চাপ আর অত্যাসন্ন জুমআর নামায তাঁর মস্তিস্কে মিছিল শুরু করল।
তিনি নীরবে কিছুক্ষণ ভাবলেন, এরপর জাগতিক কর্মগুলোকে পদাঘাত করে ছুটে গেলেন মসজিদ পানে; প্রভুর সন্তুষ্টি ও আত্মিক প্রশান্তি লাভের উদ্দেশ্যে।
নামায শেষ হল। অফুরন্ত প্রশান্তি নিয়ে তিনি মসজিদ থেকে বের হলেন। এরপর প্রথমেই তিনি ক্ষেতের কাছে গেলেন, এবং শুষ্ক জমি পানিতে টইটুম্বুর দেখে বিষ্ময়ে হতবাক হলেন। অনুসন্ধান করে জানতে পারলেন; পাশের জমির মালিক আপন ক্ষেতে পানির লাইন ছেড়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ছিলেন, ফলে পানি উপচে পড়ে তার জমিটাতেও সেচের কাজ হয়ে গেছে। বাড়িতে এসে দেখেন গাধাটি আস্তাবলে সুন্দর করে বাধা। আশ্চর্য বটে! ভেতরে প্রবেশ করে দেখন স্ত্রী রুটি তৈরিতে ব্যস্ত। আবার অবাক হওয়ার পালা। শশব্যস্ত হয়ে তিনি স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলেন কীভাবে কী হল। উত্তরে সে বলল, হঠাৎ আমি গেটে কড়া নাড়ার শব্দ পেলাম। গেট খুলে দিতেই গাধাটি বাড়িতে ঢুকে পড়ল। ওদিকে এক প্রতিবেশীর আটা কলে পড়ে ছিল সে তার আটা আনতে গিয়ে ভুলে আমাদের আটা নিয়ে আসে। পরে বুঝতে পেরে আমাদের আটা বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়। স্ত্রীর বক্তব্য শোনে হামেদ (রাঃ) আকাশের দিকে মাথা উত্তোলন করে হৃদয়ের গভীর থেকে মহান প্রভুর কৃতজ্ঞতা আদায় করলেন, আর বিড়বিড় করে বললেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার মাত্র একটি কর্ম সমাধা করেছি আর আপনি আমার তিন-তিনটি প্রয়োজন সমাধা করে দিয়েছেন। সত্যি আপনি মহা ক্ষমতাবান দয়ালু।
[আল- কাসাসুল আদাবিয়াহ : পৃ. ২৮০, ২৮১]

করতলব খান মসজিদ, বেগমবাজার, ঢাকাকরতলব খান মসজিদ, ঢাকার পুরাতন ঢাকার বেগম বাজার এলাকায় অবস্থিত। ১৭০১-০৪ খ্রিস্টাব্দে দীও...
01/12/2022

করতলব খান মসজিদ, বেগমবাজার, ঢাকা
করতলব খান মসজিদ, ঢাকার পুরাতন ঢাকার বেগম বাজার এলাকায় অবস্থিত। ১৭০১-০৪ খ্রিস্টাব্দে দীওয়ান মুর্শিদকুলী খান ওরফে করতলব খান এটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি ‘বেগম বাজার মসজিদ’ নামেও পরিচিত।

সংযোজিত দোচালা অংশসহ মসজিদটি একটি উচু ভল্টেড প্লাটফর্মের পশ্চিমের অর্ধেক অংশ দখল করে আছে। প্লাটফর্মের পূর্বে রয়েছে একটি বাব বা বাউলি (ধাপকৃত কুয়া)। উত্তর-দক্ষিণে ৩৯.৬২ মি এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১৩.৪১ মি প্লাটফর্মের উত্তর প্রান্ত খিলানাকৃতির। প্লাটফর্মের খিলানাকৃতির অংশটির মাঝ বরাবর কেটে একটি সমাধির জন্য জায়গা করা হয়েছে।

সারকোফেগাসে মসজিদের প্রথম ইমামের নাম উৎকীর্ণ। প্লাটফর্মটির নিচে সারিবদ্ধভাবে একাধিক বর্গাকার ও আয়তাকার কক্ষ বিদ্যমান, যা এখন দোকানঘর হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। প্লাটফর্মের পূর্ব দিকে নতুন করে নির্মিত সিড়ি সম্বলিত একটি খিলানপথ রয়েছে। এ পথেই প্লাটফর্মের উপর নির্মিত মসজিদে প্রবেশ করা যায়। তুলনামূলকভাবে বড় একটি বাউলি নির্মিত হয়েছিল সম্ভবত উজু করার জন্য। একটি কক্ষের মধ্য দিয়ে সিড়ির কয়েকটি ধাপ বেয়ে নিচে নেমে এর পানি স্তরের নিকট পৌঁছা যায়। বাইরে থেকেও পানি উত্তলণের ব্যবস্থা আছে।

মূল মসজিদ ও এর উত্তর দিকে সংযোজিত দোচালা অংশ ভল্টেড উচু চত্বরের পশ্চিমাংশের অর্ধেক জায়গা দখল করে আছে। বাকি অংশটি আদিতে খালি থাকলেও বর্তমানে এখানে একটি পাকা বারান্দা আছে। কোণার বুরুজসহ মূল মসজিদের পরিমাপ ২৮.৬৫ মি./ ৮.২৩ মি এবং প্রবেশের জন্য পূর্ব দিকে পাঁচটি খিলানপথ রয়েছে। প্রতিটি খিলানই অর্ধ-গম্বুজ ছাদ দ্বারা আচ্ছাদিত এবং পাশে রয়েছে সরু অষ্টভুজাকৃতির ছোট মিনার (turrets), যা প্যারাপেট ছাড়িয়ে উপরে উঠে গেছে। উত্তর ও দক্ষিণ উভয় পার্শ্বের দেওয়ালের মাঝ বরাবর একটি করে দরজা আছে। পশ্চিম দেওয়ালের অভ্যন্তরভাগে রয়েছে অর্ধ-অষ্টভুজাকার পাঁাচটি মিহরাব কুলঙ্গি। পার্শ্বে ছোট বুরুজসহ সবগুলিই সম্মুখভাগে অভিক্ষিপ্ত। কেন্দ্রীয় মিহরাবের পাশে একটি তিন ধাপ বিশিষ্ট পাকা মিম্বার রয়েছে।

৫.৬০ মি × ৫.১৮ মি আয়তন বিশিষ্ট মসজিদটি অভ্যন্তর ভাগে আড়াআড়িভাবে স্থাপিত চারটি চতুর্কেন্দ্রিক খিলান দ্বারা পাঁচটি ‘বে’তে বিভক্ত। কেন্দ্রীয় বে’টি বর্গাকার এবং পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ছোট ছোট আয়তাকার বে’গুলি থেকে অপেক্ষাকৃত বড়। প্রত্যেকটি বে গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত। গম্বুজগুলি অষ্টভুজাকার ড্রামের উপর স্থাপিত এবং পদ্ম ও কলস চূড়ায় শোভিত। গম্বুজের ভার বহনে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে তা ঢাকার লালবাগ দুর্গ মসজিদ ও সাত গম্বুজ মসজিদে ব্যবহূত কৌশলের অনুরূপ। চার কোণের চারটি অষ্টভুজাকার কলস ভিত্তি শোভিত কর্ণার টাওয়ার অনুভূমিক প্যারাপেটকে ছাড়িয়ে উপরে উঠে গেছে। কর্ণার টাওয়ারগুলি নতুন করে নির্মিত ছোট গম্বুজসহ (cupola) বদ্ধ ছত্রী (kiosk) এবং পদ্ম ও কলস শোভিত শীর্ষচূড়া দ্বারা আচ্ছাদিত। সবগুলি টাওয়ারেরই ডান ও বাম উভয় পার্শ্বে সংযোজিত হয়েছে সরু মিনার যা প্যারাপেট থেকে উচু এবং ছোট গম্বুজ ও কলস ফিনিয়াল দ্বারা আচ্ছাদিত।

মসজিদের উত্তর পার্শ্বের আয়তাকার সম্প্রসারিত অংশটি বাঙালি দোচালা কুড়েঘর স্টাইলের ছাদ দ্বারা আচ্ছাদিত, যার প্রান্তগুলি অত্যন্ত বাঁকা ও ঝুলে পড়া। সম্প্রসারিত অংশটিতে (৬.১০ মি × ২.১৩ মি) দুটি দরজা রয়েছে; একটি পূর্ব দেওয়ালের মাঝ বরাবর, বর্তমানে নতুন করে নির্মিত এবং অন্যটি দক্ষিণ দেওয়ালের মাঝে। শেষোক্ত এ দরজা দিয়েই সম্প্রসারিত অংশের সাথে মূল মসজিদ সংযোজিত। সম্প্রতি সম্প্রসারিত অংশের উত্তর দেওয়ালে একটি জানালা স্থাপন করা হয়েছে। এ কক্ষটির অভ্যন্তর ভাগের চারদিকের দেওয়ালে বেশ কিছু আয়তাকার ও বর্গাকার কুলুঙ্গি রয়েছে, সম্ভবত সেলফ হিসেবে ব্যবহারের জন্য এগুলি নির্মিত। বাঁকানো ছাদটি বাইরের দিকে নিয়মিত বিরতিতে পাঁচটি কলস ফিনিয়াল দ্বারা শোভিত। এ সম্প্রসারিত অংশটিকে সমাধিসৌধ মনে করা হলেও সম্ভবত এটি ইমামের বসবাসের জন্যই প্রাথমিকভাবে নির্মিত হয়েছিল, কারণ এটি এখনও এ কাজেই ব্যবহূত হচ্ছে।

মসজিদ ভবনটির অলংকরণে এর স্থাপত্যিক বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবেশপথগুলির পার্শ্ববর্তী অলংকৃত ক্ষুদ্র মিনার, অভিক্ষিপ্ত মিহরাব,ছত্রী, ছোট গম্বুজ এবং পদ্ম ও কলস শোভিত ফিনিয়াল। প্রবেশপথ ও মিহরাবগুলি ফ্রেমের মধ্যে স্থাপিত এবং এদের শীর্ষ মেরলোন শোভিত। প্যারাপেট ও গম্বুজ ড্রামের গায়েও রয়েছে উন্নত মেরলন মোটিফ। গম্বুজগুলির ভেতরের দিক পত্র নকশাকৃত এবং এদের শীর্ষবিন্দু বিশাল মেডালিয়নের মাঝে একটি রোসেট দ্বারা অলংকৃত। কেন্দ্রীয় খিলানপথটির অর্ধ-গম্বুজ ভল্ট মুকারনা নকশায় স্টাকো করা, যা এখন নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলি ছাড়া সমস্ত ভবনটি সাধারণ প্লাস্টার করা যা কিনা বাংলায় মুগল স্থাপত্যের এক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।

মসজিদের বাওলি, যা একটি স্বতন্ত্র সৌধ হিসেবেই প্রতীয়মান, আলাদাভাবে উল্লেখ্যের দাবি রাখে। এটি বাংলায় একমাত্র ও স্বতন্ত্র নিদর্শন। এ ধরনের বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায় দাক্ষিণাত্যে, যেখানে এ মসজিদের নির্মাতা করতলব খান বাংলায় আসার পূর্বে দীর্ঘ দিন অতিবাহিত করেছিলেন।

তথ্যসূত্রঃ-[বাংলাপিডিয়া-এম.এ বারি]

হাজী এটহেম বে মসজিদ,তিরানা,আলবেনিয়াহাজী এটহেম বে মসজিদ (আলবেনিয়ান ভাষায়: Xhamia e Haxhi Et'hem Beut) আলবেনিয়ার রাজধান...
19/11/2022

হাজী এটহেম বে মসজিদ,তিরানা,আলবেনিয়া

হাজী এটহেম বে মসজিদ (আলবেনিয়ান ভাষায়: Xhamia e Haxhi Et'hem Beut) আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানার ঐতাহাসিক একটি মসজিদ। আলবেনিয়ায় কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে বন্ধ হয়ে যাওয়া, মসজিদটি ১৯৯১ সালে সালাতের ঘর হিসাবে পুনরায় চালু করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই, ১০,০০০ লোক উপস্থিত হয়েছিল এবং কিন্তু পুলিশ হস্তক্ষেপ করেনি।

ইতিহাসঃ

মোল্লা বে(ওসমানিয়-আলবেনিয়ান বংশোদ্ভূত ইসলাম ধর্মীয় নেতা এবং সুলেমান পাশা বংশধর ) ১৭৯১ বা ১৭৯৪ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন এবং এ মসজিদটির নির্মাণ কাজ ১৮১৯ বা ১৮২১ সালে তাঁর পুত্র হাকশি এথেম বে’র, (যিনি সুলেজমান পাশার প্রপোত্র ) দ্বারা শেষ করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা উচিত যে, আলবেনিয়ায় ওসমানিয়া সালতানাত শাসনের সময় সুলেজমান পাশা ওসমানিয়া সালতানাত নিযুক্ত আলবেনিয়ার গভর্ণর ছিলেন। তিনি একজন জাতিগত আলবেনিয়ান ছিলেন।
যে সময় এ মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল এটি ছিল জটিল ভবনগুলির একটি অংশ যা তিরানার ঐতিহাসিক কেন্দ্রটি রচনা করেছিল। মসজিদের সামনের দিকে ছিল পুরাতন বাজার, পূর্বে সুলেজমান পাশা মসজিদ, যা ১৬১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং উত্তর-পশ্চিমে কারাপিসি মসজিদটি ছিল।
আলবেনিয়ার সমাজতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী একনায়কতন্ত্রের সময়, মসজিদটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কমিউনিস্ট কর্তৃপক্ষের বিরোধিতা সত্ত্বেও, ১৯৯১ সালের ১৮ই জানুয়ারি ১০,০০০ মানুষ ধর্মীয় স্বাধিনতার জন্য ব্যানার ফেস্টুন ও আলবেনিয়ান পতাকা নিয়ে আন্দোলন করেছিলো। এ ঘটনা থেকে আলবেনিয়ায় কমিউনিজমের পতনের সূচনা হয়েছিল। অনুষ্ঠানটি আলবেনিয়ার ধর্মীয় স্বাধীনতার পুনর্জন্মের একটি মাইলফলক ছিল।
মসজিদটি আজ তিরানার ক্লক টাওয়ারের সাথে একটি স্থাপত্য কমপ্লেক্সের ওপর দাঁড়িয়েছে। মসজিদটি ট্যুরিসদেরকে প্রতিদিন পরিদর্শন করতে দেওয়া হয়, যদিও ট্যুরিসদের পরিদর্শন মসজিদে সালাতের সময় নয়। মসজিদের অভ্যন্তরীণ ঘরে প্রবেশের আগে দর্শনার্থীদের অবশ্যই তাদের জুতো খুলে ফেলতে হয়।

স্হাপত্যশৈলীঃ

এটহেম বে মসজিদটি প্রার্থনা হল দ্বারা সুসংগঠিত, মসজিদের একটি বারান্দা যা এর উত্তরদিক এবং মিনারকে ঘিরে রয়েছে। উত্তর দিকে প্রার্থনা হলের প্রবেশদ্বার রয়েছে, যা একটি বর্গাকার পরিকল্পনা এবং এটি একটি অনন্য আয়তনে নির্মিত। এটি গম্বুজ দ্বারা আবৃত এবং গম্বুজটি আধা-গোলাকার এবং কোন জানালা নেই। মসজিদের ভিতরের দেয়ালচিত্র, বারান্দার দেয়ালচিত্র ও বাহিরের দেয়ালচিত্রে গাছ, ফুল, লতাপাতা, জলপ্রপাত এবং সেতুচিত্র সুন্দরভাবে চিত্রিত করা হয়েছে।

Address

Patenga

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when M18 Gaming life posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to M18 Gaming life:

Share