01/06/2025
বাস্তবভিত্তিক গল্প: রাতের পাঠশালা
🕰 সময়: ২০১৩ সাল
📍স্থান: ঠাকুরগাঁও, বাংলাদেশ
---
🧒 চরিত্র:
মিজান নামের একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক।
নতুন পোস্টিং হয়েছে—একটা দূর গ্রামের স্কুলে।
তাঁর থাকার জায়গা? স্কুলের পাশের ছোট একটা টিনের ঘর।
গ্রামের লোকজন বলেছে,
> “স্যার, সন্ধ্যার পর স্কুল মাঠে যাইয়েন না… ওখানে রাত বারোটার সময় 'কেউ' ক্লাস নেয়।”
মিজান হেসে উড়িয়ে দেন—আধুনিক মানুষ, ভূতে বিশ্বাস নেই।
---
🌌 ঘটনাটি:
এক রাতে বৈশাখের গরমে মিজান স্যার ঘুমাতে পারছিলেন না। বাইরে ঠাণ্ডা বাতাস, তাই বের হয়ে স্কুল মাঠে হাঁটতে গেলেন।
রাত তখন ১১:৫০।
তিনি হঠাৎ লক্ষ্য করলেন—স্কুল ঘরের ভেতর আলো জ্বলছে।
একটা ক্লাসরুমের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখেন—
> ছোট ছোট ১০-১২টি ছাত্রছাত্রী বসে আছে। এক মহিলা সাদা শাড়ি পরে বোর্ডে কিছু লিখছেন।
আলোর নিচে বোর্ডে লেখা:
"শরীর, আত্মা, এবং মুক্তি…"
স্যার অবাক!
রাতে এই সময়ে ক্লাস? তিনি দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই... পিনপতন নিস্তব্ধতা।
ভেতরে কেউ নেই।
কোনো ছাত্র, কোনো শিক্ষক, কোনো টেবিল-চেয়ার, কিছুই নেই।
শুধু বোর্ডে লেখা আছে আগের কথাগুলো—"শরীর, আত্মা, এবং মুক্তি", এবং সেটা রক্তের মতো লাল রঙে লেখা।
---
😨 পরের ঘটনা:
মিজান স্যার অজ্ঞান হয়ে যান।
পরদিন স্থানীয় লোকজন তাকে অচেতন অবস্থায় ক্লাসরুমে পান। তার মুখ সাদা, কাঁপছে।
তিনি শুধু একটা কথাই বলেন:
> "ওরা এখনো পড়ে, কিন্তু কেউ বাঁচে না। ওই স্কুলে একটা আগুন লেগেছিল ১৯৯১ সালে… সব শিশুরা মারা যায়। আমি ওদের ক্লাসে ঢুকে গেছি… এখন ওরাও জানে আমি কে!"
---
🔍 স্থানীয় গুজব:
লোকজন বলে, ওই স্কুলে প্রতি পূর্ণিমার রাতে ক্লাসরুমে আলো জ্বলে ওঠে।
কেউ বলেছে, দূর থেকে ছায়ামানবীকে দেখতে পাওয়া যায়।
১৯৯১ সালের একটা অগ্নিকাণ্ডে সত্যিই স্কুলের একটা ক্লাস জ্বলে গিয়েছিল। এটা পত্রিকায়ও এসেছিল।
---
⚠️ মন্তব্য:
ঘটনাটি প্রমাণিত না হলেও বহু মানুষ এটিকে বিশ্বাস করে।
ভূতের গল্প না হলেও এটি ভয়াবহভাবে মানুষের মনে দাগ কেটেছে, কারণ তাতে বাস্তব ইতিহাস, লোককথা আর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা একসাথে জড়িত।