23/03/2025
| চিরস্থায়ী জাহান্নাম থেকে বাঁচার আমল |
স্থায়ীভাবে জাহান্নামি হওয়া থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই ইমান আনতে হবে এবং মৃত্যুবরণ করার সময় ইমানদার থাকতে হবে। ইমানের সারকথা হল— ১. প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যেসকল সংবাদ দিয়েছেন, তা আকিদা, ইবাদত, বিবাহ-শাদী, লেনদেন, দণ্ডবিধি, রাষ্ট্র-পরিচালনা, যুদ্ধ-বিগ্রহ ও নৈতিকতা, মোটকথা জীবনের যে বিষয় সংশ্লিষ্টই হোক, সকল সংবাদের ক্ষেত্রে তাঁকে সত্যবাদী বিশ্বাস করা। ২. ‘ইসলামের আনুগত্যকে নিজের ওপর আবশ্যক করে নেওয়া’র মৌখিক স্বীকৃতি দেওয়া। ৩. ইমানের সাথে সাংঘর্ষিক সকল তন্ত্র-মন্ত্র (যেমন ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ) এবং তাগুত ব্যক্তি ও দল থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করা। (‘ফয়যুল বারি’ ১ : ১২২ ও ১২৬) তাছাড়া আমাদেরকে জানতে হবে—
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর মর্ম কী? লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মূলত ৪টি জিনিসকে প্রত্যাখ্যান করে-
১. সকল বাতিল ইলাহ।
২. সকল তাগুত।
৩. যাদেরকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করে রাখা হয়েছে।
৪. আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে মানুষ রব হিসেবে গ্রহণ করেছে।
পক্ষান্তরে এ কালিমা ৪টি জিনিসকে সাব্যস্ত করে-
১. কাঙ্খিত সত্তা একমাত্র আল্লাহ তাআলা।
২. সর্বাচ্চ ভালোবাসার পাত্র একমাত্র আল্লাহ তাআলা।
৩. ভয় পাওয়ার যোগ্য সত্তা একমাত্র আল্লাহ তাআলা।
৪. যার সাথে আশা-আকাঙক্ষা যুক্ত রাখা যায়, এমন সত্তা একমাত্র আল্লাহ তাআলা। এগুলোর ব্যাখ্যা কী? তাগুত কারা, যাদেরকে প্রত্যাখ্যান না করলে ইমান সাব্যস্ত হয় না? কীভাবে তাগুত প্রত্যাখ্যান করতে হয়?
কাউকে রাসুল মানার অর্থ ও তার অনিবার্য দাবিসমূহ কী কী? অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় আইন ও বিচার-ফায়সালার ক্ষেত্রে কেউ যদি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রবর্তিত শিক্ষা ও আইনকানুনের তুলনায়, অন্য কোনো বুদ্ধিজীবি ও দার্শনিক, যেমন এরিস্টোটল, প্লেটো, মাওসেতুং, কার্লমার্কস, লেলিন, স্টেলিন, আব্রাহাম লিঙ্কন প্রমুখের থিওরি ও মতবাদকে উত্তম মনে করে, সেগুলো প্রচার-প্রসার করে, সেগুলো দিয়ে দেশ ও সমাজকে পরিচালিত করতে চায়, এসব কিছু করেও সে কি মুসলমান থাকে?
কালিমার শর্তাবলি : প্রসিদ্ধ তাবেয়ি ওহাব ইবনে মুনাব্বিহ রাহিমাহুল্লাহ (৩৪-১১০ হি.)-কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ কি জান্নাতের চাবি নয়? তিনি বললেন, ‘অবশ্যই। তবে প্রত্যেক চাবি