Hathazari Tution Media

Hathazari Tution Media দি বায়োজ অফিসিয়াল, এমন একটি পেইজ যেখানে সবার পরিচিত মানুষের কর্মময় জীবনী তুলে ধরা হয়।

20/09/2025

"বেশ‍্যা" কবিতাটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর নামে প্রচার হলেও কবিতাটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর লেখা নয়। বিষয় টি আমাদের নজরে আসলে আমরা গুগল সার্চের মাধ্যমে জানতে পারি কবিতাটি বেশ্যা কবিতাটি " সাজ্জাদুল ইসলাম " নামে এক ব্যাক্তির লেখা।

বেশ্যা কবিতাটি
[ আত্মদর্শনে সূফীবাদ→Master of Sufism ] পেজের মাধ্যমেও একাধিকবার কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর নামে প্রচার করা হয়েছে।
কিন্তু সেটা আমরা Social Media অন্যান্য Website থেকে সংগ্রহ করে প্রচার করা হয়েছিল।তাই আমরা পেজের সকল ফলোয়ারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।

"বেশ্যা"
সাজ্জাদুল ইসলাম

সাধুর নগরে বেশ্যা মরেছে
পাপের হয়েছে শেষ
বেশ্যার লাশ হবে না দাফন
এইটা সাধুর দেশ।

জীবিত বেশ্যা ভোগে তো আচ্ছা, মরিলেই যত দোস?
দাফন কাফন হবে না এখন
সবে করে ফোস ফোস।

বেশ্যা তো ছিল খাস মাল,তোদের রাতের রানী
দিনের বেলায় ভুরু কোচ কাও?
মরিলে দেওনা পানি!

"সাধু সুনামের ভেক ধরিয়া দেখালি দারুন খেলা,
মুখোশ তোদের খুলবে অচিরে
আসবে তোদের বেলা।

"রাতের আধারে বেশ্যার ঘর স্বর্গ তোদের কাছে
দিনের আলোতে চিননা তাহারে?
তাকাও নাকো লাজে!

"চিনি চিনি ভাই সব সাধু রেই হরেক রকম সাজ
সুযোগ পেলেই দরবেশী ছেরে দেখাও উদ্দাম নাচ!

"নারী আমাদের মায়ের জাতি বেশ্যা বানালো কে?
ভদ্র সমাজে সতীর ছেলেরা খদ্দের সেজেছে?

"গরীবের বৌ সস্তা জিনিস সবাই ডাকো ভাবি
সুযোগ পেলেই প্রস্তাব দাও আদিম পাপের দাবি।

"স্বামী যখন মরলো ভাবির, দুধের শিশু কোলে
ভদ্র দেবর সুযোগ খোঁজে সহানুভূতির ছলে,

"দিনের মত দিন চলে যায়,
হয় না তাতে দোষ
মরা লাশের সুযোগ পেয়ে মোল্লার রোষ।

"মোল্লা সাহেব নায়েবে রাসুল ফতোয়া ঝারিশা কয়
পতিতা নারীর জানাজা কবর এই এলাকায় নয়।

"শুধাই আমি ওরে মোল্লা জানাযায় যত দোষ,
বেশ্যার দান নিয়াছো ঝোলিয়ে তুমি বেটা নির্দোষ?

"বেশ্যার তবু আছে পাপ বোধ নিজেকে সে ভাবে দোষী,
তোমরা তো বেটা দিন বেচে খাও হচ্ছেয় খোদার খাসি।

"আল্লাহর ঘর মসজিদে ও আছে বেশ্যার দান,
কলেমা পড়েছে সে ওতো তবে নামেতে মোসলমান!

"বেশ্যা নারী ব্যবসায় নারী পুরুষরা পুরুষরা সব সৎ?
জানি মোল্লা খুলবে না মুখ চাকরি যাওয়ার পথ!

"আর কতকাল থাকবি অমন, মুখোশ ধারীর দল
আসবো এবার মশাল নিয়ে ভাঙতে তোদের কল।

"সত্যর আলো জলবে যখন চিনবে তোদের সবে
লেবাশধারী মুখোশধারী মুখোশ উপরে যাবে।

"এই ভাবে আর চালাবি কত ছল চাতুরীর খেলা।
আসবে তিনি, এবার তোদের বিদায় নেবার পালা।

জাম্বু-র জীবনীবিস্তারিত কমেন্ট বক্সে...
18/09/2025

জাম্বু-র জীবনী

বিস্তারিত কমেন্ট বক্সে...

চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা -স্মরণ -                বুলবুল আহমেদ     সব্যসাচী এক অভিনেতার নাম------------------------------...
05/09/2025

চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা -

স্মরণ -

বুলবুল আহমেদ
সব্যসাচী এক অভিনেতার নাম
----------------------------------------------------
বাংলা চলচ্চিত্রের অতিশয় একজন ভদ্র অভিনেতা বুলবুল আহমেদ। কি বাস্তবে কি রূপালি পর্দায়।

ব্যাংকার থেকে কোটি মানুষের হৃদয়ের নায়ক হয়েছিলেন তিনি।

৪৪ বছরের দীর্ঘ মিডিয়া ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০ নাটক এবং একশোর কাছাকাছি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। পেয়েছেন ৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। অভিনয়ের বাইরে চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনাও করেছেন এই সুদর্শন নায়ক।

জন্ম ১৯৪১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার আগামসি লেনে। স্ত্রীর নাম ডেইজি আহমেদ।

তাঁদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলের নাম শুভ। দুই মেয়ে তিলোত্তমা ও ঐন্দ্রিলা।

কলেজ জীবন থেকে তিনি যুক্ত ছিলেন মঞ্চনাটকের সঙ্গে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে বুলবুল আহমেদ তৎকালীন ইউবিএল ব্যাংক টিএসসি শাখার ম্যানেজার হিসেবে দশ বছর চাকরি করেন।

চাকরির পাশাপাশি বুলবুল আহমেদ টিভিতে অভিনয় করতে থাকেন। তাঁর অভিনীত প্রথম টেলিভিশন নাটক আবদুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় ‘বরফ গলা নদী’। এরপর তিনি প্রায় অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন।

পরবর্তীতে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ১৯৭৩ সালে আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমামের (ইউসুফ জহির) ‘ইয়ে করে বিয়ে’ সিনেমার মাধ্যমে রূপালি জগতে পা রাখেন তিনি।

চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ সিনেমাটি ছিল তাঁর জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

তাঁকে সত্তর এবং আশির দশকে ঢাকার চলচ্চিত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের একজন বলা হয়।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি ‘ওয়াদা’, ‘মহানায়ক’, ‘ভালো মানুষ’, ‘রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত’, ‘আকর্ষণ’, ‘কত যে আপন’ শিরোনামে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সিনেমার প্রযোজনা করেছেন বুলবুল আহমেদ। এর মধ্যে শেষের চারটি সিনেমা প্রযোজনার পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন তিনি।

বিশেষ করে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক আলমগীর কবিরের অধিকাংশ ছবিতে অভিনয়ের কারণে সূধী সমাজে তাঁর একটি আলাদা ইমেজ তৈরি হয়।

সূর্যকন্যা, সীমানা পেরিয়ে, রূপালি সৈকতে চলচ্চিত্রে অভিনয় তাঁকে আলাদা মর্যাদা এনে দেয়।

১৪ জুলাই ২০১০ সালে প্রয়াত হন বাংলা চলচ্চিত্রের সব্যসাচী অভিনেতা বুলবুল আহমেদ। শ্রদ্ধাঞ্জলি।

-- মেসবা খান

জন্মদিনের শুভেচ্ছা.....নির্মাতা শাহ আলম কিরণ 🎂==================================স্বনামধন্য পরিচালক শাহ আলম কিরণ-এর শুভ জ...
05/09/2025

জন্মদিনের শুভেচ্ছা.....নির্মাতা শাহ আলম কিরণ 🎂
==================================

স্বনামধন্য পরিচালক শাহ আলম কিরণ-এর
শুভ জন্মদিন আজ। ফেসবুক তাই বলে। যদিও উইকিপিডিয়া বলে অন্য কথা।দীর্ঘায়ু ও কর্মময় দিন কামন করি। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

শাহ আলম কিরণ ১৯৫১ সালের আজকের এইদিনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, ও অভিনেতা। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র নিয়তির খেলা। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল রঙিন সুজন সখি (১৯৯৪), বিচার হবে (১৯৯৬), চুড়িওয়ালা (২০০১), সাজঘর (২০০৭), মাটির ঠিকানা (২০১১), ও ৭১ এর মা জননী (২০১৪)। তিনি চুড়িওয়ালা চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন এবং মাটির ঠিকানা চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

স্মরণ -            অভিনেতা দিলীপ রায়----------------------------------------------------টলিউডের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনে...
03/09/2025

স্মরণ -

অভিনেতা দিলীপ রায়
----------------------------------------------------
টলিউডের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক দিলীপ রায়ের জন্ম ১৮ নভেম্বর ১৯৩১ সালে চট্টগ্রামে।

সব্যসাচি দিলীপ রায় ছিলেন উত্তমকুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় যুগের একজন শক্তিশালী অভিনেতা। এঁদের সঙ্গে অভিনয়ও করেছেন তিনি। অসংখ্য ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনাও করেছেন।

তাঁর অভিনীত ছবির মধ্যে রয়েছে মন মানে না, হিমঘর, সংঘর্ষ, নটী বিনোদিনী, তোমার রক্তে আমার সোহাগ, মায়া মমতা, অভাগি, নবাব, দেবতা, ওরা চারজন, উর্বশী, নীলকান্ত, অমৃত কুম্ভের সন্ধানে অন্যতম।

অকৃতদার দিলীপ রায় তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিজের সন্তান হিসেবে লালন পালন করেছেন তাঁর জীবদ্দশায়।

২ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি।

-- মেসবা খান

💥অনুপ কুমার (জন্মঃ ১৭ জুন ১৯৩০ –মৃত্যুঃ  ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা। বাংলা চলচ্চিত্র...
02/09/2025

💥অনুপ কুমার (জন্মঃ ১৭ জুন ১৯৩০ –মৃত্যুঃ ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা। বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করলেও তিনি মূলত থিয়েটারকর্মী ছিলেন।

অনুপকুমারের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের উত্তর কলকাতায় ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জুন। তার আসল নাম সত্যেন দাস। পিতা বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী ও সুরকার ধীরেন্দ্রনাথ দাস ও মাতা বিজয়া দেবী। এঁদের আদি নিবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ায়। অনুপকুমারের পড়াশোনা কলকাতার ডাফ স্কুলে। অতি অল্প বয়সে থেকেই অভিনয় শুরু করেন এবং এতে হাতেখড়ি পিতার কাছে। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে মাত্র আট বৎসর বয়সে ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত "হাল বাংলা" ছায়াছবিতে তার প্রথম অভিনয়। শিক্ষা শুরু শিশিরকুমার ভাদুড়ীর "শ্রীরঙ্গম"-এ।

💥 ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বাঙালি বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথিতযশা অভিনেতা শ্রদ্ধেয় অনুপ কুমারের ২৭ তম প্রয়াণ বার্ষিকী তে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

অভিনন্দন -               শিল্পের ক্যানভাসে         ভিন্ন আঁচড় কাটা এক শিল্পী                মুস্তাফা মনোয়ার-------------...
01/09/2025

অভিনন্দন -

শিল্পের ক্যানভাসে
ভিন্ন আঁচড় কাটা এক শিল্পী
মুস্তাফা মনোয়ার
---------------------------------------------------
বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি গোলাম মুস্তাফার সুযোগ্য সন্তান মুস্তাফা মনোয়ার একজন গুণী চিত্রশিল্পী, যিনি স্বনামেই খ্যাত।

চিত্রশিল্পে তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত পদচারণা, বাংলাদেশে নতুন শিল্প আঙ্গিক পাপেটের বিকাশ, টেলিভিশন নাটকে অতুলনীয় কৃতিত্ব প্রদর্শন, শিল্পকলার উদার ও মহত শিক্ষক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরা, দ্বিতীয় সাফ গেমসের মিশুক নির্মাণ, এবং ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পিছনের লাল রঙের সূর্যের প্রতিরূপ স্থাপনাসহ শিল্পের নানা পরিকল্পনায় তিনি বরাবর তাঁর সৃজনী ও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।

জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ সালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল গ্রামের মাতুলালয়ে। পৈতৃক নিবাস ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপার মনোহরপুর গ্রামে। তাঁর ডাক নাম মন্টু।

ফেসবুক পরিবারের পক্ষে গুণী এই চিত্রশিল্পীর জন্মদিনে রইল আন্তরিক শুভ কামনা।

-- মেসবা খান

স্মরণ -        ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান---------------------------------------------------ওস্তাদ মোমতাজ আলী খানের জন্ম ১৯১৫...
01/09/2025

স্মরণ -

ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান
---------------------------------------------------
ওস্তাদ মোমতাজ আলী খানের জন্ম ১৯১৫ সালের ১ আগস্ট মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার ইরতা কাশিমপুর গ্রামে।

পিতা আফসার আলী খান এবং মাতা বেদৌরা খান। সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখান পদ্মভূষণ বিজয়ী ওস্তাদ নিসার হোসেন খানের নিকট পাঁচ বছর গানের তালিম নেন।

পরে তিন বছর তিনি ওস্তাদ জমির উদ্দিন খানের কাছে খেয়াল, ঠুমরী ও গজলের তালিম নেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি তিনি দোতারাসহ লোকসঙ্গীতের চর্চা করতেন।

মোমতাজ আলী ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরুর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তাঁর সহায়তায় কলকাতার সং পাবলিসিটি ডিপার্টমেন্টে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে যোগ দেন।

১৯৩২ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে তাঁর কণ্ঠে ‘ওরে শ্যাম কেলে সোনা’ এবং ‘আমি যমুনাতে যাই বন্ধু’ গান দুটি প্রকাশ করার পর তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ফলে তিনি প্রথমে অল ইন্ডিয়া রেডিও ও পরে ১৯৩৩ সালে কলকাতা বেতারের সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে নির্বাচিত হন।

১৯৩৪ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আহ্বানে মোমতাজ আলী শান্তিনিকেতনে যান। কবিগুরু তাঁর ভাটিয়ালী, মুর্শিদী, দেহতত্ত্ব ও বিচ্ছেদী গান শুনে মুগ্ধ হন।

একই বছর কলকাতা বেতারে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে কবি জসিমউদ্দিন ও কাশেম মল্লিকের সঙ্গে পরিচিত হন। কাশেম মল্লিকের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে।

নজরুল তাঁকে দিয়ে দুটি ইসলামি গানের রেকর্ড করান। ১৯৩৫ সালে ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তাঁর নিকট দুই বছর সরোদে তালিম নেন।

মোমতাজ আলী কয়েকটি চলচ্চিত্রে গায়ক, গীতিকার ও সুরকার হিসেবেও কাজ করেছেন।

১৯৩৩ সালে 'অভিযাত্রী' চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। পরবর্তীতে মধুচন্দ্রিমা, অশ্রু দিশারী, কলংক চলচ্চিত্রেও নেপথ্য কণ্ঠদান করেছেন।

এছাড়া আকাশ আর মাটি, সাত ভাই চম্পা, বেদের মেয়ে, অরুন বরুন কিরন মালা, রূপবান, জোয়ার ভাটা, যে নদী মরু পথে, ভাওয়াল সন্ন্যাসী, দয়াল মুর্শিদ, অনেক দিন আগে, একমুঠো ভাত, লালন ফকির, নিমাই সন্ন্যাসী চলচ্চিত্রে তাঁর রচিত গান ব্যবহৃত হয়।

তাঁর রচিত ‘গুন গুন গান গাহিয়া’ গানটি ১৯৭৫ সালে খান আতাউর রহমান নির্মিত 'সুজন সখী' চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়।

১৯৪৬ সালে মোমতাজ আলী কলকাতা ছেড়ে ঢাকা চলে আসেন এবং ঢাকা বেতারের নিজস্ব শিল্পী হিসেবে যোগদান করেন।

১৯৬২ সালে তিনি সাউথ ইস্ট এশিয়ান সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রথম হন।

১৯৬৫ সালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির আর্টস একাডেমিতে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যোগ দেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন মোমতাজ আলী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তাঁর রচিত ‘বাংলা মায়ের রাখাল ছেলে’, ‘বাংলাদেশের মাটি ওগো’ গানগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যোগায়।

লোকসঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।

বিখ্যাত পপ শিল্পী পিলু মোমতাজ তাঁরই সুযোগ্যা কন্যা।

ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান ৩১ আগস্ট ১৯৯০ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

-- মেসবা খান

মমতাজ আলী-র জীবনীবিস্তারিত কমেন্ট বক্সে...
29/08/2025

মমতাজ আলী-র জীবনী

বিস্তারিত কমেন্ট বক্সে...

স্মরণ -            গ্রামোফোন ব্যবসায়ী               হেমেন্দ্র মোহন বসু--------------------------------------------------...
28/08/2025

স্মরণ -

গ্রামোফোন ব্যবসায়ী
হেমেন্দ্র মোহন বসু
----------------------------------------------------
গ্রাম বাংলায় এককালে কলের গান ছিল। এ কথা আজ কে না জানে? বর্তমান প্রজন্ম কলের গান দেখেনি।

এই কলের গানের কোম্পানির মালিক ও ব্যবসায়ীর বাড়ি বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি গ্রামে।

জন্ম ১৮৬৬ সালে বৃহত্তর
ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জে

এ কথা আমরা অনেকেই জানিনা বা জানতাম না। তাঁর নাম হেমেন্দ্র মোহন বসু। সংক্ষেপে এইচ বোস। পিতা হরমোহন বসু।

ভারতীয় উপমাহাদেশে তিনিই প্রথম অবিভক্ত বাংলায় কলের গান, মোটরগাড়ি, বাইসাইকেল, টর্চলাইট ও সুগন্ধি তেলের কারখানা প্রভৃতি নির্মাণের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেছিলেন।

তেলের প্রচার বিজ্ঞাপন ও ভারতীয় সুসাহিত্যের উৎসাহ প্রেরণার জন্য তিনি ১৮৯৬ সালে ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার প্রবর্তন করেন।

বাঙালির মধ্যে তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি কলকাতার হ্যারিসন রোডে মোটরগাড়ি ও বাইসাইকেলের ব্যবসা খোলেন। ১৯০০ সালে তাঁর প্রথম কেনা মোটরগাড়ির নাম ছিল ‘টুসিটার ড্যাকার' গাড়ি।

এটি তিনি নিজেই ড্রাইভ করতেন। সেসময় গাড়িসহ চালক আনতে হতো ইংল্যান্ড থেকে। অথচ তিনি নিজেই সে যুগে ড্রাইভিং শিখে ভারতের মাটিতে ‘গ্রেট ইষ্টার্ন’ মোটরগাড়ি কোম্পানি স্থাপন করেছিলেন।

ভারতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর সবচেয়ে কৃতিত্বের বিষয় হলো কলের গানের ‘রেকর্ড’ তৈরির কারখানা স্থাপনের ইতিহাস।

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময়ে তাঁর তৈরি কলের গান রেকর্ডে সর্বপ্রথম গান রেকর্ড করা হয় ’বন্দে মাতরম’ নামের বিখ্যাত দেশাত্ববোধক গান।

এসব দেশাত্ববোধক গানে কন্ঠ দিয়েছিলেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ডি এল রায় প্রমূখ কবি সাহিত্যিকবৃন্দ।

কিশোরগঞ্জের এক কৃতি সন্তানের গ্রামোফোন রেকর্ডে গান গেয়েছেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ডি এল রায় - এর চেয়ে বড় গৌরবের বিষয় এ জেলাবাসীর আর কি হতে পারে? হেমেন্দ্র মোহন বসুর কলকাতা শহরে একটি প্রেস ছিল।

কলকাতা শহরে তিনিই প্রথম ভারতীয় রঙিন আলোকচিত্র গ্রহনের পথিকৃৎ। খেলাধুলায় তিনি ছিলেন উৎসাহী।

কিশোরগঞ্জে থাকা অবস্থায় তিনি কিশোরগঞ্জ ইউনিয়ন স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

কলকাতায় তাঁর ৫২, আর্মহার্স্ট স্ট্রীটের নিজ বাড়িতে কিশোরগঞ্জের বহু জ্ঞানীগুনী জনের এককালে আসা যাওয়া ছিল।

কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া গ্রামের বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর বোন মৃনালিনী দেবীকে তিনি বিয়ে করেন।

সত্যজিৎ রায়ের জীবনী গ্রন্থে উল্লেখ আছে, তিনি তাঁর ছেলেবেলায় পিসেমশাই হেমেন্দ্র মোহন বসুর এইচ বোস কোম্পানির কলের গান শুনে আর তাঁর তোলা ছবি ‘অটোক্রোম স্লাইড’ থেকেই পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রেরণা লাভ করেন।

যদিও তাঁর পিতা সুকুমার রায় ও পিতামহ উপেন্দ্র কিশোর রায় উভয়েই ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক।

হেমেন্দ্র মোহন বসুর পুত্র ও কন্যাদের মধ্যে পুত্র নীতিন বোস ছিলেন ভারতের খ্যাতনামা চিত্রপরিচালক, কার্তিক বোস ছিলেন ভারতের অন্যতম ক্রিকেটার, কন্যাদের মধ্যে মালতী ঘোষাল ছিলেন ভারতের অন্যতম সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বেতার, টিভিও এইচ বোস গ্রামোফোন রেকর্ডে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়েছেন।

২৮ আগস্ট ১৯১৬ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান ব্যবসায়ি হেমেন্দ্র মোহন বসু মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র: 'এপার ওপার বাংলা'
২৮ আগস্ট ২০১১
অনুলিখনঃ -- মেসবা খান

Address

Patenga
1217

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hathazari Tution Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share