14/09/2024
মন্দিরে হামলা, মাজার ভাঙচুর, কোরআন অবমাননা। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ইস্যুগুলো
পরিকল্পিত। উস্কানিমূলক। রাজনৈতিক।
সরল বাক্যে বললে, দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র। বহির্বিশ্বকে দেখানো, দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে।
এ ধরনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে আওয়ামিলীগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হাত রয়েছে। আওয়ামিলীগের পুনর্বাসন এর এটাই একমাত্র পথ।
হিন্দুদের বোঝাতে ও বুঝতে হবে, মন্দিরে হামলা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। তাদের মাথায় কাঠাল ভেঙে খাওয়া হচ্ছে। এসবের পরিণতিতে হিন্দুরাই বলির পাঠা হবে শেষ পর্যন্ত। তাই সাধারণ হিন্দুদের মাঝে এই সচেতনতা বাড়াতে হবে। যাতে তারাই তাদের মন্দির রক্ষা করে।
মাজার উপমহাদেশের ইসলামি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। মাজার ভেঙে আপনি তাদের অনুসারীদের অন্তর থেকে মাজারের সম্মান দূর করতে পারবেন না। ওরা এই মাজার আবার নির্মাণ করবে। এতে মুসলমানদের মধ্যে আভ্যন্তরিন মতানৈক্য, বিদ্বেষ ও দূরত্ব বাড়বে।
ভন্ড পীর, ভুয়া মাজার ও মাজারকে ঘিরে অনৈসলামিক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সামাজিক ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো, তাদের আলেমদেরকে এ বিষয়ে সোচ্চার করা।
নাস্তিকদের ইসলাম অবমাননা খুবই সেনসেটিভ একটা ইস্যু। এরা ইচ্ছে করেই এসব করে সাধারণ মুসলমানদের উস্কে দেওয়ার জন্য। তারা জানে এসব করলে মোল্লারা খেপে যায়। দৌড়ে রাস্তায় নামে। তাদের সবচেয়ে বড়ো ঔষধ, ইগনোর করা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এদের বয়কট করুন। আনফলো, আন-সাবস্ক্রাইব করুন। রিয়েক্ট-কমেন্ট-শেয়ার করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।
মিড়িয়ায় এদের কর্মকাণ্ড হাইলাইট না হলে এদের দৌরাত্ম কমে যাবে।
কেউ প্রকাশ্যে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে আইনের হাতে সোপর্দ করুন।
ইমদাদ উল্লাহ
১৪-৯-২০২৪