20/06/2025
জাতি হিসেবে ইরানিরা কেমন তা বোঝাতে একটি গল্প বলি -
একদা ইরানের এক নারীর চোখে এসিড মেরে দুই চোখ নষ্ট করে দিল এক দুষ্কৃতিকারী। সেই নারী আদালতে গিয়ে বলল শাস্তি হিসেবে সেও অপরাধীর দুই চোখ এসিড দিয়ে ঝলসে দিতে চায়।
এই ব্যাপারে মিডিয়া ও সুশীল সমাজ আতংকিত হয়ে উঠলো। অনেকে বলল এমন নির্মম শাস্তি না দিয়ে বরং অন্য কোন কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।
কিন্তু সেই মেয়ে মানবে না। তার কথা হচ্ছে আল্লাহ বলেছেন চোখের বদলে চোখ সে একই শাস্তি দিতে চায়। মিডিয়া আতংকিত হয়ে উঠলো, এমনকি বিচারক নিজেও একবার বলে দেখলো কোন ভাবে এই জায়গায় ক্ষমাশীল হওয়া যায় কিনা।
কিন্তু না, মেয়ে তার দাবীতে অনড়।
কিন্তু যেহেতু মেয়ের দুই চোখ অন্ধ হয়ে গেছে এই শাস্তি বাস্তবায়ন করবে কে? সাহায্য করতে লাগবে। কেউ রাজি হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের ভাই রাজি হলো। তারপরে আসামীর চার হাত পা বাঁধা হলো। মেয়ের হাতে এসিড দেওয়া হলো। সে এসিডের পাত্র আসামীর চোখের সামনে নিয়ে বলল, "মাফ করে দিলাম।"
এই হচ্ছে ইরানি জাতি। তারা কোন অবস্থাতেই বশ্যতা স্বীকার করতে চায় না। কোথা হচ্ছে ক্ষমা করলে আমি করবো কিন্তু কারো চাপে মাথা নত করবো না। একই ভাবে তাদের কোথা হচ্ছে পরমাণু বানাবো কি না বানাবো তা নিজের ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিব। অন্য কেউ এসে চাপ দিয়ে বশীভূত করে তার শর্তে সাইন করাবে এইটা মেনে নিব না।
মোহাইমিন পাটোয়ারী