
22/08/2023
৬ মাস পর থেকে ‼️
বাচ্চাদের ৬ মাস শেষ হলে মায়েরা বাচ্চার সলিড খাবার নিয়ে অনেক চিন্তা করে থাকেন। কি খাবার দিবেন,কিভাবে দিবেন,কয় বেলা দিবেন।
✅ বাচ্চাদের সলিড শুরুতে সুজি টা কম দিবেন, না দিলে আরও ভালো । দিলেও লাল বিন্নি চালের সুজি দিতে পারেন মাঝে মাঝে। সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে ও সেইম চিন্তা,এই সময় বাচ্চাদের শুধু খাবার পরিচয় করাবেন।বুকের দুধ/ফর্মুলা দুধ এর পাশাপাশি অল্প অল্প সলিড খাবার দিতে পারেন।
✅ প্রথমে ফল পিউরি দিতে পারেন ( কলা, আপেল,পাকা পেপে,আম,ড্রাগন, )
ভেজিটেবল পিউরি(মিষ্টি কুমড়া,ব্রকলি,ফুলকপি, মিষ্টি আলু,গাজর,আলু,বরবটি,টমেটো) । খুম সামান্য দিয়ে দেখতে পারেন।শুরুর দিকে ভাতের মাড় দিয়ে দিতে পারেন। ভাতের মাড় হতে পারে খুব উপকারী ও সুন্দর একটা খাবার।
পরপর ২/৩ দিন দিয়ে দেখবেন কোন প্রবলেম না হলে দিতে পারেন। ভাত চটকে দিতে পারেন, আপেল এর সাথে ভাতের মাড়, আলুর সাথে ভাতের মাড় দিয়ে দিতে পারেন।ডিমের কুসুম দিতে পারেন।
✅ অনেকে প্রশ্ন করেছেন পিউরি কি? কিভাবে করবো?
পিউরি হচ্ছে এই সবজি/ ফল এগুলো সিদ্ধ করে নরম করে চটকে ভাতের মাড়, দুধ দিয়ে তরল করে নেয়াকে বোঝায়।আর যে ফল সিদ্ধ করতে হবে না তা চটকে নরম করে দিবেন।
সাবু দিতে পারেন খেজুর দিয়ে। চিড়া দিতে পারেন খেজুর, ফল দিয়ে।বাচ্চার খাবার মিষ্টি করতে খেজুর, কিসমিস, ফল দিতে পারেন। তাল মিস্রি দিতে চাই অনেকেই। আমার মতে এক বছরের আগে না দেয়া ই ভালো তবে ৯/১০ মাসে দিতে পারেন।
✅ প্রথমে এক বেলা খাবার দিবেন।খাবে হয়তো ২/৩ চামচ বা তার একটু বেশি।যেহেতু বাচ্চা এতদিন দুধ খেয়েছে,সলিড শুরু টা আস্তে আস্তে পাকস্থলীতে অভ্যাস করতে হবে। এরপর ২ বেলা কিছুদিন দিয়ে ৩ বেলা করে দিবেন।শুরু টা শুধুই খাবার চিনবে,খেতে শিখবে। পটি খেয়াল করবেন।
✅ ৭ মাসে শিং মাছ পাতলা করে রান্না করে দিতে পারেন। খিচুড়ি তে মাছ দিতে পারেন। এই সময় শিং,পাবদা,রুই,মাগুর,শোল,টেংরা দিতে পারেন। মাছের পেটির অংশ দেয়ার ট্রাই করবেন এতে মাছের তেল থাকে।
চেষ্টা করবেন প্রতিদিনকার রান্নাতে এক চামচ মত যেন তেল থাকে।সামান্য হলুদ দিতে পারেন।সামান্য পেয়াজ দিতে পারেন।
✅ ইন্ডিভিজুয়াল খাবার চেনাতে পারলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে খাবার শিখাতে পারবেন।
সব মিশিয়ে খাবার খাওয়ালে প্রথম দিকে আপনার জন্য খুব সহজ হলেও পরবর্তীতে আপনার জার্নি খুব কঠিন হবে।
বাচ্চাকে শুয়ে খাবার খাওয়াবেন না।
✅ ইলিশ মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে ইলিশ মাছ দিতে পারবেন ৮ মাসের পর থেকে। তবে এলার্জি থাকলে দিবেন না আর অনেক কাটা থাকায় খুব সাবধানে দিবেন।
নদীর ভেটকি বা কোরাল দিতে পারবেন।
বড় সামুদ্রিক মাছ গুলো এক বছর পর থেকে দিতে পারবেন।
✅ আপনার বাচ্চার যেসব খাবারে এলার্জি আছে কিনা আপ্নি নিজেই ভালো বুঝবেন।
কবুতরের কলিজা কোয়েল পাখির কলিজা দেশি মুরগির কলিজা হতে পারে খুব ভাল অপশন।
কবুতরের মাংস ১ বিছরের আগে না দেয়া ই ভালো।
গরুর বা খাসির কলিজাও আপনি দিতে পারবেন ৮ মাসের পর থেকে।
✅ যেসব বাচ্চাদের মুখের রুচি একেবারে চলে যায় তাদেরকে একটু আমলকি থেঁতো করে রস খাওয়ালে আপনি ভালো উপকার পাবেন।
✅ এক বছর থেকে ১৬ মাস পর্যন্ত বাচ্চাদের কৃমির উপদ্রব দেখা গেলে আপনি লেবুর বিচি ৩/৪ টা একদম পাটায় পিষে একটা মধু দিয়ে খাইয়ে দেবেন। মাসে একবার এটা আপনি খাওয়াতে পারবেন বা বাচ্চা রুচি একদমই চলে যায় বাচ্চা পায়ুপথে বারবার হাত দেয় তাহলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।
✅ ৬+ মাস থেকে বাচ্চাকে টক দই খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।
যদি একেবারে টক দই খেতে না পারে তাহলে ফল,ভাত,চিড়া এর সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন।
ঘরে পাতা টক দই এ আপনি প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক এজেন্ট পাবেন যেটা হজমের জন্য অনেক বেশি সহায়ক।
এক বছর পর থেকে আপনি মধু শুরু করতে পারেন অল্প।আর গরুর দুধ দুই বছরের আগে না দেয়া ই ভালো। এক বছরের পর দুধ এর তৈরি খাবার পুডিং, পায়েস দিতে পারেন।
🛑 মনে রাখবেন সব বাবু এক না আর বাবুদের হজম শক্তি ও এক না।
©