
20/06/2025
একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতার গল্প
নাম তার রফিকুল ইসলাম, তবে পাড়ার সবাই তাকে ডাকে "ঝালমুড়ি ভাই" বলে। ঢাকার এক ব্যস্ত মোড়ে তার ঝালমুড়ির ঠেলা। সকালে ঠিক দশটার আগেই চলে আসে, এক কোণে ঠেলাটা সাজিয়ে বসে যায়। হাতে থাকে একটা পুরনো কাঁসার বাটি, পাশে বোতলে রাখা সরিষার তেল, পেঁয়াজ কুচি, মরিচ, ধনেপাতা আর কাঁচা লেবু।
রফিকুলের এই পেশা শুরু হয়েছিল প্রায় দশ বছর আগে। তখন তার চাকরি চলে গিয়েছিলো এক গার্মেন্টসে। সংসারে মা, স্ত্রী আর দুই মেয়ে। চাকরি না থাকলেও পরিবারের ক্ষুধা থেমে থাকেনি। তখনই ধার করে একটা ঠেলা কিনে শুরু করেছিল ঝালমুড়ি বিক্রি।
প্রথম প্রথম খুবই কষ্ট হতো। মানুষ খুব একটা কিনত না। তবে সে একটুও হাল ছাড়েনি। হাসিমুখে ডাকত:
— “ঝালমুড়ি নেন ভাই, গরম ঝালমুড়ি!”
ধীরে ধীরে তার মুড়ির স্বাদ, হাসিমুখ আর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা মানুষের মন জয় করে নেয়। এখন তার বেশ ভালো বিক্রি হয়। দিনে ৪০০-৫০০ টাকার মতো রোজগার হয়। সেই টাকায় দুই মেয়েকে স্কুলে পড়ায়, সংসার চালায়, আর বৃদ্ধ মায়ের ওষুধ কেনে।
রফিকুলের স্বপ্ন?
— “আমার মেয়েরা যেন বড় হয়ে শিক্ষক হয়। আর আমি? আমি আমৃত্যু এই মুড়ির গন্ধ নিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই।”
এই হলো এক সাধারণ ঝালমুড়ি বিক্রেতার অসাধারণ জীবন। ঘামে ভেজা হাতে, ছোট্ট স্বপ্নে গাঁথা এক সংগ্রামী গল্প।
--- ার_ইচ্ছা #একজন I wish আমার ইচ্ছা Binodon Easat Raown Orsha