𝐿𝑖𝑓𝑒 𝑙𝑖𝑛𝑒 𝟽𝟺𝟿𝟸

20/04/2024

19/04/2024

19/04/2024

19/04/2024

28/09/2023

গভীর রাত।হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো।এতরাতে ঘুমভাঙার কোনো কারণ পেলাম না।অনেকে বলে ঘুমের মধ্যে নাকি অশরীরী কিছু তাকিয়ে থাকলে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়।
উফ;ভাবতেই কেমন শরীর ঝিরঝির করছে।।।

এমন সময় হঠাৎ করে মনে হলো কেউ দরজায় জোরে জোরে ধাক্কা দিচ্ছে আর ডাকছে। তাও আবার কেমন ফিসফিসানি ডাক।নীল, এই নীল দরজা খোল। বাইরে আয়।কতক্ষন ধরে দাড়িয়ে আছি।তাড়াতাড়ি আয়।

আরে, এটা তো মায়ের গলা। মা এখন বাইরে কি করছে? এতসব চিন্তা করতে করতে তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নামলাম।দরজা খুলে বাইরে এক পা রাখতেই হঠাৎ কেউ হেচকা টান দিয়ে ঘরে ডুকিয়ে দিলো।দেখলাম মা দরজা আটকাচ্ছে।কেমন ভয়ার্ত মুখ নিয়ে আমায় বলছে, বাইরে যাস না।আমিও কিছুক্ষণ আগে এই ডাক শুনেছি।কেউ মা মা বলে ডাকছিল।।।

#ছোটগল্প

28/09/2023

#লাশ কাটার ঘর
#পর্ব -১
মাএ ১৭ বছর বয়সে বাবা মারা যায় আমার। পরিবারের ভরনপোষণের জন্য আমাকে একটা কাজ খুঁজতে হয়! কোন কাজ না পেয়ে শেষে আমার বাড়ির পাশে চাচার সাথে হাসপাতালের একটা লাশ কাটা ঘরে আমার চাকরি হয়ে যায়! বেতন মোটামুটি ভালো! এই বেতন দিয়ে সুন্দর মতোই আমার সংসার চলে যাবে! বাবা মারা যাওয়ার পর আমি একমাএ মানুষ যে কিনা সংসার এ উপার্জন করতে সক্ষম! বাকী একটা ছোট ভাই আর দুি টা বড় বোন আছে! আমি সোহান!

নতুন নতুন চাকরি তিন দিন পর চাকরিতে জয়েন দিবো বলে চাচা কে বলে রাখলাম!
চাচাও আমার কথা শুনে সে হাসপাতালের বড় অফিস্যারের সাথে যোগাযোগ করে সব কিছু ঠিক করে রেখে দিয়েছে!

সামনে মাসের ৩ তারিখ আমার জয়েন দেওয়ার ডেট! বাবা মারা যাওয়ার আগে আমি পড়াশোনা করতাম মোটামুটি ভালো ছাএই ছিলাম বলা চলে! কখনো কোন দিন স্কুলের পরীক্ষায় ফেল করিনি। তবুও আজ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আমাকে এই ছোট বয়সে চাকরি করতে হবে!

দেখতে দেখতে যে তিন দিন পার হয়ে গেল তা মনেই হচ্ছে না!

আজকে আমার চাকরিতে ১ম দিন। বাসা থেকে সকাল বেলা বের হয়ে গেলাম! ও আর একটি কথা চাচা আমাকে বলে নি যে হাসপাতালে লাশ কাটা ঘরে আমাকে কি কাজ করতে হবে! চাকরির খুব দরকার ছিলো তাই চাচাকে বলেছিলাম!

চাচা আমার যে কোন একটা চাকরি হলেই হবে! তুমি শুধু একটা খুঁজে দাও আমি তাতেই খুশি!

চাচা তাই কাজের ব্যাপারে আমার সাথে কোন কথা বলেনি! তো সকাল বেলা বাসা থেকে বের হয়ে হাসপাতালের দিকে গেলাম! চাচা সাথে ছিলো! চাচা রাস্তায় আসার সময় বললো"

চাচা-- কিরে সোহান তুই কি কাজ করতে পারবি সত্যি?

আমি--চাচা কাজ আমাকে করতেই হবে। যত কষ্ট হোক না কেন কাজ না করলে পেটে ভাত যাবে কি করে? বাবা ছিলো টেনশন করতাম না এখন তো নেই নিজেকেই করতে হবে!

এইসব টুকটাক কথা বলতে বলতে আমি আর চাচা হাসপাতালে পৌঁছে গেলাম! চাচা আমাকে লাশ কাটা ঘরের সামনে একটু দাঁড়াতে বলে সে ভিতরে চলে গেলো! হয়তো অফিস্যারে সাথে কোন কথা বলবে!
আমিও চাচার আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম! সকাল তখন ৭/৮ টা বাজে! হাসপাতাল খোলে ১০ টার পরে তাই তেমন কোন মানুষ জন নেই! ও আরেকটা কথা বলে রাখি আমি যে হাসপাতালে কাজ করবো সেটা আমাদের গ্রামেই !

আমি একটা গাছের নিচে সিরির মতো জায়গায় বসে আছি! আমার পাশেই লাশ কাটা ঘর টা আছে!

আমি লাশ কাটা ঘর টার দিকে বেশ কয়েকবার তাকালাম! কেমন একটা অনুভূতি হতে লাগলো!

লাশ কাটা ঘর টার চার দিকে জঙ্গল সামনের দিক টা একটু ভালো! দেখেই বোঝা যায় অনেক পুরনো! ৬০/৭০ বছর হবে দেখেই যে কেউ বলতে পারবে!

আমি একবার শুনেছিলা দেশে ব্রিটিশ রা থাকতে না কি এই লাশ কাটা ঘরটা বানানো হয়েছিলো!

লাশ কাটা ঘরের সামনে একটা বড় গেইট হয়তো এটাই মেইন গেট!

এইসব দেখতে দেখতে আমি কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম! হঠাৎ একটা ধাক্কা খেয়ে নিজেকে আবার নিজের মধ্যে ফিরে পেলাম! তাকিয়ে দেখি চাচা আমাকে ডাকতেছে!

চাচা-- কিরে কি হয়ছে কি দেখিস!

আমি- না চাচা এমনি একটু দেখলাম আর কি!

চাচা-- আচ্ছা শোন তোর চাকরি সম্পন্ন ভাবেই হয়ে গেছে আজকে বিকাল ৩ টা থেকে কালকে ৮ টা পযন্ত তোর ডিউটি। আর শোন মন দিয়ে ডিউটি করবি!

আমি-- ঠিক আছে চাচা কোন সমস্যা নাই!

চাচা-- আর শোন তোর সাথে রহমানের পরিচয় করিয়ে দিবো একটু পরে ও তোরে তোর সব কাজ বুঝিয়ে দিবে! ও থাকবে তোর সাথে!

আমি-- আচ্ছা চাচা!

চাচা আমাকে রহমান নামে লোক টার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো আর সব কিছু ঠিক করে চলে গেলো!

রহমান নামের লোক টা কে দেখে মনে হলো বেশ ভালো আমি তাকে মামা বলে ডাকতে থাকলাম!রহমান মামা-- সোহান! তুই এখন ২ ঘন্টার জন্য বাড়িতে যা আর খাবার খেয়ে আবার ২:৩০ টার মধ্যে হাসপাতালে চলে আসবি। আজকে ৩ টা থেকে আমাদের ডিউটি করতে হবে! তুহ আসলে আমি তোকে সব কাজ বুঝিয়ে দিবো।

আমি - ঠিক আছে মামা। তাহলে আমি যাই একটু পর আবার আসতেছি!

বাড়িতে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে বের হবো ঠিক সেই সময় কেমন যেন একটা দমকা হওয়া আমার শরীর ভেদ করে বের হয়ে গেলো! আমি তেমন পাত্তা দিলাম না!

হাসপাতাল থেকে বের হয়ে বাড়িতে যাবো একটা রিকসাওয়ালা কে ডেকে রিকসা নিয়ে চলতে থাকলাম! রিকসায় বসে ডিউটির কথা ভাবছি কি কাজ হতে পারে কেমন হতে পারে আমি কি কাজ করতে পারবো কিনা? না পারলেও আমাকে করতেই হবে! টাকা উপার্জন না করতে পারলে আমরা খাবো কি সবাই আমার দিকেই তাকিয়ে বেঁচে আছে!

এইসব কিছু ভাবতে ভাবতে বাড়িতে চলে আসলাম! বাড়ি থেকে খেয়ে আবার হাসপাতে চলে আসলাম!

২:৪০ এর মতো বাজে! আমি হাসপাতালে এসে দেখি রহমান মামা লাশ কাটা ঘরের সামনে আমার জন্য অপেক্ষা করছে!

আমি চলে গেলাম তার কাছে জীবনের ১ম এই লাশ কাটা ঘরে প্রবেশ করবো! না জানি কি হয়!

লাশ কাটা ঘরের চাবি না কি রহমান মামার কাছেই থাকে তাই আজকের থেকে মামা ২ টা চাবি বানিয়ে এনেছে আমাকে একটা দিবে বলে!

কথা যা কাজ তাই চাবি টা আমাকে দিয়ে মামা বললো!

মামা-- চাবি টা রাখ তোর কাজে লাগবে!

আমি- আচ্ছা মামা!

রহমান মামা লাশ কাটা ঘর টা খুলে ভেতরে নিয়ে গেল! আমি রহমান মামার পিছনেই ছিলাম!

ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখলাম "

'' বাহিরের থেকে যেমন দেখা যায় ভিতরে তার পুরো উল্টো অবস্থা, অনেক কিছুই আছে বড় বড় চাপাটি' রড " বটি! কাচি! অনেক কিছু আমি এইসব দেখতে ছিলাম "'

রহমান মামা হঠাৎই বলে উঠলো এইসব দেখলে হবে না আজকে থেকে এইগুলো ধরতেও হবে! কথা শুনে আমার মনের ভিতর কেমন যেন ছ্যাত করে উঠলো!আমি চুপ করে মামার কথা শুনতে ছিলাম! মামা বলতে থাকলো তোর কাজ হলো আমি যা চাইবো তাই শুধু আমাকে এগিয়ে দিবি! আর কিছু বোঝা লাগবে না!

আমি মাথা নাড়ালাম! লাশ কাটা ঘরের মধ্যে থাকলে বোঝার উপায় নেই এখন রাত না কি দিন! ভিতর টা অন্য একটা জগৎতের মতো লাগে কেমন যেন!

আমি আন্দাজ করে নিলাম এখন রাত হয়েছে! আমি আর মামা লাশ কাটা ঘরের মধ্যে ছোট একটা থাকার মতো রুম আছে ওখানে বসে আছি!

হঠাৎ বাহিরে এম্বুলেন্স এর শব্দ পেলাম, ! এম্বুলেন্স এর শব্দ পেয়ে মামা উঠে বাহিরে দিকে যেতে লাগলো আমিও পিছনে পিছনে গেলাম!

লাশ কাটা ঘর টার মেইন দরজা মামা খুলতে বললো আমিও খুলে দিলাম। গাড়িটা ভিতরে আসলো তার পর ড্রাইভার কি যেন কথা বলে মামাকে বিদায় দিয়ে চলে গেল! যেহেতু হাসপাতালে কাজ করতে হবে লাশ কাটা ঘরে এইসব লাশ আমাকে ধরতে হবে এটা আমার আগে থেকেই জানা ছিলো!

হঠাৎ মামা ডাক দিয়ে বলে!
সোহান গাড়ি থেকে লাশ টা নামা আমি একটু কাজ করবো!

আমি গাড়ির দরজা খুলে! ঠেলা ভ্যান দিয়ে লাশ টা নামালাম! এই ১ম কোন মৃত মানুষ লাশ স্পর্শ করলাম!

নামিয়ে লাশ কাটার জায়গায় নিয়ে রেখে দিলাম!

আমি রেখে দেওয়ার পরেই দেখি মামা একটা কালো রং এর জামা পরে আসলো! হাতে হ্যান্ড গ্লাভ! আমি কিছু না বলে ঘরের এক কোনায় দাড়িয়ে আছি! একটু পর দেখলাম মামা সেই লাশ টা থেকে কাপর সরিয়ে বড় একটা চাপাটি হাতে নিলো!

এখন আর বুঝতে বাকী থাকলো না যে আমার কিসের চাকরি হয়েছে অবশেষে ডোম এর সাথে আমাকে কাজ করতে হবে!

মা চাপাটি দিয়ে লাশ টা বুকের মধ্যে একটা কোপ মেরে আলাদা করে দিলো আমি ভয়ে ঘামতে থাকলাম নিজের চোখে এই প্রথম এইসব দেখা!

এর পর মামা আমাকে কাছে নিয়ে বললো আরে বোকা ভয় নেই কিছু দিন থাক সব ঠিক হয়ে যাবে! আর এটাও বললো জানিস এই মানুষ টা কিভাবে মারা গেছে?

আমি- মামা কিভাবে?

মামা- কালকে সুসাইড করেছে! আর পোস্ট মারটেম করতে আনা হয়েছে!
চলবে....