13/09/2024
আমাদের জাতিসত্তার স্বরূপ
এবনে গোলাম সামাদ
বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। এদেশের মানুষের জাতিসত্তার একটি উপাদান হলো ভাষা। আর একটি উপাদান হলো ইসলামের স্বাতন্ত্র্য। ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। এতে তিনি বলেছেন, বাংলাভাষী মুসলমানের জাতিসত্তার উপাদান দুটি। একটি হলো বাংলাভাষা আর একটি হলো ইসলামের স্বাতন্ত্র্য চেতনা। আওয়ামী লীগের জয়বাংলা আওয়াজের সাথে শেখ মুজিবের এই ধারণা মনে হচ্ছে সংগতিপূর্ণ নয়। এই বাংলা আসলে কোনো বাংলা; আর বাঙালি বলতেই বা ঠিক কাদের বুঝতে হবে। কেননা বাংলাভাষী মানুষের প্রায় শতকরা ৬০ ভাগ বাস করেন বাংলাদেশে আর শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ বাস করেন ভারতে। এর মূলে আছে ইসলামের স্বাতন্ত্র্য।
১৯৪৭ সালে বাংলা প্রদেশ ভাগ হয়েছিল মুসলিম জাতীয়তাবাদকে নির্ভর করে। যার উদ্ভব এই উপমহাদেশের রাজনীতিতে হতে পেরেছিল হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে। শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর আত্মজীবনীতে বলেছেন, মুসলিম লীগের দ্বিজাতিতত্ত্ববাদ ছিল সঠিক। অথচ এখন আওয়ামী লীগের কিছু তাত্ত্বিক বলছেন ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে জড়ানো ছিল প্রতিক্রিয়াশীলতা। এদের কথা মানলে শেখ মুজিবকেও বলতে হয় একজন প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতিবিদ।
এই উপমহাদেশে কাকে বলব জাতীয়তাবাদ আর কাকে বলব সংকীর্ণ ধর্মীয় মনোভাবের অভিব্যক্তি, সেটা নির্ণয় করা খুবই কঠিন। ভারতে শিখরা এখন চাচ্ছেন স্বাধীন হতে। একটা পৃথক রাষ্ট্র গড়তে। যা তারা ইতঃপূর্বে চাননি। এই শিখ জাতীয়তাবাদের মূলে আছে শিখ ধর্মবিশ্বাস; আছে গুরুমুখী অক্ষরে লেখা পাঞ্জাবি ভাষা। যা প্রধানত শিখরাই বিশেষভাবে চর্চা করে থাকেন। ১৯৪৭ সালে ভাগ হয় বৃটিশ শাসনামলের বাংলা প্রদেশ; আর বৃটিশ শাসনামলে পাঞ্জাব প্রদেশ। পূর্ব পাঞ্জাব পড়ে পাকিস্তানে আর সাবেক পাঞ্জাব প্রদেশের পশ্চিম ভাগ পড়ে ভারতে। ভারতের পাঞ্জাব বিভক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে দুটি প্রদেশ। একটির নাম হচ্ছে পাঞ্জাব। যেখানে বাস করেন প্রধানত শিখরা। যার সরকারি ভাষা হলো পাঞ্জাবি। আর তা লেখা হয় গুরুমুখী অক্ষরে। অন্যদিকে সাবেক পাঞ্জাবের হিন্দু প্রধান অঞ্চল নিয়ে এখন গঠিত হয়েছে ভারতের হরিয়ানা প্রদেশ। যার সরকারি ভাষা হয়েছে সংস্কৃত শব্দবহুল হিন্দি ভাষা। তা লেখা হয় দেবনাগরি অক্ষরে। ভারতে জাতিসত্তার সমস্যা এখনও মেটেনি। শিখ জাতীয়তাবাদকে কেউ বলছেন না ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা। সাম্প্রদায়িকতা কথাটা যেন কেবল মুসলমানদের জন্যই ব্যবহৃত হতে পারছে। এর মূলে আছে ভারতের এক সময়ের বিখ্যাত কংগ্রেস নেতা ও পরে প্রধানমন্ত্রী শ্রী জওহরলাল নেহেরুর চিন্তা-চেতনা। যার একটা প্রভাব থাকতে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের তাত্ত্বিকদের ওপর। এদের প্রভাবেই আওয়ামী লীগ বলছে, বিশেষভাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা। গ্রহণ করছে না বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণাকে।
বাংলাদেশের মানুষের নৃ-জাতিক ইতিহাস এখনও যথাযথভাবে পরিক্ষিত হয়নি। এর অধিকাংশটাই হয়ে আছে অজানা। এক সময় মনে করা হতো বাংলাভাষী মানুষের মধ্যে ইসলাম প্রচার প্রধানত ঘটেছিল নিম্নবর্ণের হিন্দুদের মধ্যে; উচ্চবর্ণের হিন্দুদের মধ্যে নয়। উচ্চবর্ণের হিন্দু বলতে বুঝায় ব্রাহ্মণ, কায়স্থ ও বৈদ্যদের। বাংলাদেশে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের মধ্যে কায়স্থদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ১৯৪১ সালে জার্মান ইহুদি মহিলা গবেষক ঔ. ড. ঊ. গধপভধৎষধহব পশ্চিমবঙ্গের কিছু মুসলমানের রক্তের গ্রুপের হার নির্ণয় করেন। এবং দেখেন যে, তার মিল হচ্ছে নিম্নবর্ণের হিন্দু বলে কথিতদের রক্তের গ্রুপের সঙ্গে। এরফলে ভাবা আরম্ভ হয় যে, নিম্নবর্ণের হিন্দু থেকে মুসলমান হবার ধারণাটা সঠিক। কিন্তু পরবর্তীকালে দিলীপকুমার সেনের গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে যে, পূর্ব বাংলার মুসলমানদের রক্তের বিভিন্ন গ্রুপের হার হলো তথাকথিত উচ্চবর্ণের হিন্দুরেই অনুরূপ (দ্রষ্টব্য, Indian Anthropology. Edt T. N. Madan and Gopala Sarana; Asia publishing House, London 1962)। তাই আগের মতো আর বলা যায় না যে, কেবল নিম্নবর্ণের হিন্দুরাই উচ্চবর্ণের ঘৃণার হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। এখন জানা গিয়েছে যে, কুমিল্লা অঞ্চলে খ্রিষ্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন প্রথমে দেব ও পরে চন্দ্র বংশের রাজারা। এরা হিন্দু ছিলেন না। ছিলেন বৌদ্ধ। এদের রাজত্ব দক্ষিণবঙ্গেও ছিল বিস্তৃত। বাংলাদেশে তাই হিন্দুরা নন বৌদ্ধরাই সম্ভবত দলে দলে গ্রহণ করেন ইসলাম। যেমন তারা গ্রহণ করেছেন মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতে।
বাংলাদেশসহ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার জনসমষ্টিকে একত্রিত করলে আমরা দেখতে পাই যে, এই অঞ্চলেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলমানের বাস। সম্ভবত আরবি ভাষার পরেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলমান কথা বলেন বাংলাভাষায়। বাংলাদেশ টিকে থাকলে একদিন বাংলাভাষাকে বিশ্বে মুসলমানের ভাষা হিসেবে গণ্য করা হবে। বাংলাভাষাকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব এখন পড়েছে বাংলাদেশের মানুষেরই ওপর।
বঙ্গ নামটা নিয়ে বেশকিছু গবেষণা হয়েছে। ভারতের খ্যাতনামা মহিলা নৃতাত্ত্বিক Irawati Karve, ইরাবতী কার্ভ- এর মতে বঙ্গ শব্দটা আর্যভাষা পরিবারের নয়। নামটা এসেছে চীনা পরিবারভুক্ত কোনো ভাষা থেকে। চীনা পরিবারভুক্ত ভাষায় ‘য়ং’ ধ্বনি সাধারণত নদীর নামের সাথে যুক্ত থাকতে দেখা যায়। যেমন, ইয়াংসিকিয়ং, হোয়াংহো, সাংপো প্রভৃতি। বঙ্গ ছিল একটা নদীর নাম। আর তার তীরবর্তী মানুষদের বলা হতো বাঙালি। এরা চীনাদের মতোই একই পদ্ধতিতে ধানচাষ করত। বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখি, মুসলিম নৃপতিদের শাসনামলে বঙ্গ নামটা একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে ফারসি ভাষায় লেখা ইতিহাস বইয়ে উল্লিখিত হতে। ফারসিতে এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে বলা হতো মুলুক বাঙ্গালাহ। এরমধ্যে পড়তো রাজধানী গৌড়। মুসলিম শাসনামলের আগে ব্যপক অর্থে ব্যবহৃত হতো না। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটকের প্রস্তাবনায় লিখেছেন-
অলীক কূনাট্য রঙ্গে মজে লোক রাঢ়ে বঙ্গে
নিরখিয়া প্রাণে নাহি সয়।
অর্থাৎ মাইকেল মধুসূদনের সময়ও সাধারণত বাংলাভাষায় বঙ্গ বলতে বুঝাত পূর্ববঙ্গকে। আর পশ্চিমবঙ্গ বলতে বুঝাতে ব্যবহৃত হতো রাঢ় নামটা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ নামের পরিবর্তে প্রদেশটির নাম করতে চাচ্ছেন কেবলই বঙ্গ। আমার মনে হয় এরকম নামকরণ করলে আমাদের ইতিহাস রচনায় হতে পারবে যথেষ্ট বিভ্রান্তি। এমনকি আমাদের জাতিসত্তার রূপ নিয়ে সৃষ্টি হতে পারবে অস্পষ্টতা।
একসময় বলা হতো বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারিত হতে পেরেছে প্রধানত বল প্রয়োগের মাধ্যমে। মুসলমান নৃপতিরা জোর করে হিন্দুদের ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করেছিলেন। কিন্তু এখন এই মতোটাকে আর আগের মতো ধরে রাখা যাচ্ছে না। বৃটিশ শাসনামলে আদমশুমারি শুরু হয় ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে। এ সময় বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে মুসলমানের তুলনায় হিন্দুর সংখ্যা ছিল বেশি। এরপর আদমশুমারি হয় ১৮৮১ সালে। এই আদমশুমারিতে দেখা যায় বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে হিন্দুর সংখ্যা কমতে এবং মুসলমানের সংখ্যা বাড়তে। এরপর থেকে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে ক্রমশই মুসলমানের সংখ্যা বেড়েছে। কেন এমন হতে পেরেছে, তার কারণ জানা যায় না। তবে একটি মতো হলো হিন্দুদের মধ্যে লেখাপড়া শিখে বহু ব্যক্তি গ্রহণ করতে থাকেন কেরানির চাকরি। রুদ্ধ ঘরে কেরানিগিরি করতে গিয়ে ঘটে এদের স্বাস্থ্যহানি। কমে এদের প্রজনন ক্ষমতা। কিন্তু মুসলমানরা লেখাপড়া শিখে কেরানি হতে চাননি। তারা মুক্ত প্রকৃতিতে করেছেন ক্ষেতে খামারে কাজ। হয়েছেন নৌকার মাঝিমাল্লা। মুক্ত প্রকৃতিতে তাদের স্বাস্থ্য থেকেছে অটুট। কমেনি তাদের প্রজনন ক্ষমতা। তাই হতে পেরেছে হিন্দুর তুলনায় মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি। এই ধারণার কিছুটা সমর্থন পাওয়া যায় এই ঘটনা থেকে, যেসব মুসলমান যুবক হিন্দু মেয়েকে বিবাহ করেছেন, তারা হতে পেরেছেন অধিক সন্তানের জননী। ইংরেজ আমলে জোর করে হিন্দুকে মুসলমান করবার সুযোগ ছিল না। তাই বলা চলে না বাংলাদেশে মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধির একটা কারণ হিন্দুদের বল প্রয়োগ করে মুসলমান করা।
গণতন্ত্রের একাধিক রাজনৈতিক দল থাকবেই। বৃটেনে আছে একাধিক রাজনৈতিক দল। বৃটেনে প্রথম প্রতিষ্ঠা পায় প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র। নির্বাচন আরম্ভ হয় পার্লামেন্টে প্রতিনিধি হবার জন্য। আর এই জন্যই বিলাতেই প্রথম সৃষ্টি হতে পারে রাজনৈতিক দল। কিন্তু বিলাতের আইনে রাজনৈতিক দলের কোনো স্বীকৃতি নাই। রাজনৈতিক দল সেখানে হলো আইনের বাইরে বাড়তি প্রতিষ্ঠান। তা আইনিও নয় আবার বেআইনিও নয়। রাজনৈতিক দলকে বলে Extra Legal Growth। বিলাতের কোনো লিখিত সংবিধান নাই। বিলাতের শাসন ব্যবস্থা চলেছে বিভিন্ন সময়ে পার্লামেন্টকৃত কতকগুলো অ্যাক্টের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছে লিখিত সংবিধান। তাতেও নাই কোনো রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি। সেখানেও রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছে এক্সট্রা লিগ্যাল গ্রোথ হিসেবে। আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলের আইনি নিবন্ধন ব্যবস্থা কেন করা হয়েছে, আমার কাছে তা স্বচ্ছ নয়। আমাদের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, জামায়াত-ই ইসলাম একটি সংবিধান সম্মত দল নয়। তাই সে পারছে না জাতীয় নির্বাচনে দল হিসেবে অংশগ্রহণ করতে। অথচ এদেশেও সে পেরেছে এক সময় দল হিসেবে দাঁড়াতে। কেবল তাই নয়, হতে পেরেছে মন্ত্রিসভার সদস্য। জামায়াত দল হিসেবে দাঁড়াতে না পারলেও, জামায়াতের প্রার্থীরা কম করে ২৩ জন দাঁড়িয়েছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। এছাড়া বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়েছেন নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে। জামায়াত-ই ইসলামকে আইনের মাধ্যমে বিলুপ্ত করা সম্ভব হয়নি। জামায়াতই ইসলামকে সমালোচনা করা হচ্ছে একটি ইসলামী জঙ্গিবাদী দল হিসেবে। কিন্তু সে যদি জঙ্গিবাদ চায়তো, তবে নির্বাচনে অংশ নিত না। আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা আমার বোধগম্য নয়। কেননা, যে বামপন্থি দল একদিন চেয়েছিল বাংলাদেশে আফগান স্টাইলে বিপ্লব করতে অর্থাৎ সম্পূূর্ণ অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করতে, তাদের কিন্তু সংবিধান পরিপন্থি দল হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ একদিন করেছিল বাকশাল প্রতিষ্ঠা। বাকশাল ছিল একটা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। এখনও আওয়ামী লীগ এই ব্যবস্থার জন্য কোনো দুঃখ প্রকাশ করেনি। কিন্তু তাকে পোহাতে হচ্ছে না কোনো আইন আদালতের ঝঞ্ঝাট। ইলেকশন কমিশনার বলেছেন, জামায়াত-ই ইসলামীর যেসব সদস্য নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে দাঁড়িয়েছেন অথবা নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন, তারা নির্বাচন করতে পারবেন। তার এই সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই মনে হবে গণতন্ত্রের অনুকূল। ধর্ম কেবল যে আমাদের দেশের রাজনীতিতেই সংযুক্ত হতে পারছে তা নয়। ইউরোপের বহু দেশেই আছে ক্যাথলিক খ্রিষ্টীয় গণতান্ত্রিক দল। বিশেষ করে জার্মানিতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জার্মানি বিভক্ত হয় পশ্চিম ও পূর্ব জার্মানিতে। পশ্চিম জার্মানিতে ক্ষমতায় আসে খ্রিষ্টীয় গনতান্ত্রিক দল। আর তাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে গড়ে উঠে পশ্চিম জার্মানি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। এখন পশ্চিম ও পূর্ব জার্মানি একত্রিত হয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর হয়েছে এ্যঞ্জেলা মর্কেল। তিনি হলেন একজন খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী। বাংলাদেশে ইসলামপন্থি হবার কারণে কেন তাকে একটি অনিবন্ধিত দল হতে হবে, সেটা বুঝা যথেষ্ট কঠিন। ধর্ম মানুষকে একটা উৎসর্গের মনোভাব প্রদান করে। যা মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারে সেবামূলক রাজনীতিতে। আমাদের রাজনীতির একটা বড় দুর্বলতা হচ্ছে যে, এই রাজনীতি যতটা না সেবামূলক, তার চাইতে অনেক বেশি হলো দাবিমূলক। যদিও দেশে সেবামূলক রাজনীতির প্রয়োজনই বেশি। রাজনীতিতে থাকতে হয়, যাকে বলে পাবলিক স্পিরিট (Public Spirit)-এর প্রাধান্য।
২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রি.। নয়াদিগন্ত