অভিমানী রাজকন্যা

অভিমানী রাজকন্যা আল্লাহুমা ইন্নী আসআলুকা মিন্ ফাদ্বলিক!

অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি আমার ভাগ্যকে কল্যানকর ভাবে পরিবর্তন করে দিন!'🖤 🥀
(5)

19/07/2025

নামাজ পড়ার সময়ই পাচ্ছি না।
দিনে একবার কুরআন তেলাওয়াত করবো, সময় কোথায়?

লাস্ট কবে তাহাজ্জুদ পড়েছি মনে নাই।

ফরজ শেষে নফল নামাজ পড়বো? ভাই, সুন্নত পড়ারই টাইম পাই না।

একটা ইসলামি বই পড়ার সময় পাই না। চাকরি, পড়াশোনায় এতো ব্যস্ততা যাচ্ছে। বলার মতো না।

উপরে যে সিনারিও বললাম, সেগুলো আমাদের প্রায় প্রত্যেকেরই জীবনে আছে। আমরা সময় পাই না। শুধু ধর্মীয় কাজ করার সময় পাই না এমন না। দুনিয়াবি কাজেও দেখা যায় সময় নাই।

স্ত্রী অভিযোগ করে, "আগের মতো সময় দাও না।"

বন্ধু অভিযোগ করে, "কই থাকিস? দেখা পাই না?"

মা অভিযোগ করে, "ফোন দেয়ারও সময় নাই তোর? এতো ব্যস্ত?"

অফিসের বস অভিযোগ করেন, "প্রতিদিন আপনার লেইট হয় কেনো?"

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এমন কী ঘটছে যার জন্য আমরা সময় বের করতে পারছি না?

না দুনিয়ার জন্য, না দ্বীনের জন্য, না পরিবারের জন্য না নিজের জন্য।

কী হচ্ছে আমাদের সাথে?

উত্তরটা খুবই সহজ।

দুনিয়ার ব্যস্ততার কারণে আমরা আল্লাহর জন্য সময় দেয়া কমিয়ে দেই। ফরজ নামাজ পড়ে সুন্নত পড়ি না। রাত জেগে মিটিং করি, কিন্তু কুরআন তেলাওয়াত করি না। বছরেও একবার তাহাজ্জুদ পড়ার 'সময়' (!) পাই না।

আমরা যখন আল্লাহর জন্য সময় দেয়া কমিয়ে দেবো, এর শাস্তি হিসেবে আল্লাহ দুনিয়াতে আমাদের কর্মব্যস্ততা বাড়িয়ে দিবেন।

দুনিয়াতে কর্মব্যস্ততা বাড়লে উপার্জন বেশি হবার কথা না?

না, সেটাও হবে না।

এতো ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও আমাদের উপার্জন বাড়বে না, উপার্জন বাড়বে না মানে রিজিক বাড়বে না। অভাব-অনটন দূর হবে না।

আল্লাহ বলেন, "হে আদম সন্তান! তুমি আমার ইবাদতের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করো, আমি তোমার অন্তরকে ঐশ্বর্যে পূর্ণ করে দেবো এবং তোমার অভাব দূর করে দেবো। তা না করলে আমি তোমার দুই হাতকে কর্মব্যস্ততায় পূর্ণ করে দেবো তোমার অভাব-অনটনও দূর করবো না।" [জামে আত-তিরমিজি: ২৪৬৬]

নেক্সট টাইম যখনই মনে হবে- সময় পাচ্ছি না, সময়ে বরকত পাচ্ছি না, কেমনে যে সময় চলে যায় বুঝতেই পারি না; তখন মনে করবেন আপনি আল্লাহর জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করছেন না বলেই সময় পাচ্ছেন না।

আল্লাহ আমাদেরকে সময়ের সদ্ব্যবহার করার তাওফিক দান করুন।

#সফলদের_অভ্যাস


আরিফুল ইসলাম (হাফিঃ)

আমি সহ আমরা অধিকাংশ মুসলিমই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ মানতে ব্য'র্থ হচ্ছি:(১) এশার পর দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়া:রাসূল ﷺ এশার না...
15/07/2025

আমি সহ আমরা অধিকাংশ মুসলিমই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ মানতে ব্য'র্থ হচ্ছি:

(১) এশার পর দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়া:

রাসূল ﷺ এশার নামাজের পর কথা বলা অপছন্দ করতেন—যদি না তা কোনো প্রয়োজনে হয়। এখন আমরা এর উল্টোটি করছি—এশার পর মোবাইল স্ক্রল, চ্যাটিং, ফেসবুকিং—অথবা "বিনা কারণে জেগে থাকা" আমাদের রুটিন হয়ে গেছে। বলছি যে ঘুম আসেনা কিন্তু ঘুমের সুন্নাহ মেনে কি ট্রাই করে দেখেছি আসলেই ঘুম না আসে কিনা?

(২) আমরা সুন্নাহ এর সেট করা দেওয়া সর্বোচ্চ যে লিমিট, তার থেকেও বেশি খাই৷ আমরা খাই কাফিরদের মতন৷ যেমন সুন্নাহ হলো, খাবারের সময় ক্ষুধার এক ভাগ পূর্ণ করা৷

রাসূল ﷺ আমাদের শিখিয়েছেন,

"একজন মানুষের জন্য কিছু কড়কড়ে খাবারই যথেষ্ট, যা তাকে টিকিয়ে রাখে। তবে যদি বেশি খেতেই চায়, তাহলে পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাবারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানির জন্য, এবং এক-তৃতীয়াংশ খালি রাখা উচিত।" (তিরমিযি: 2380, হাসান সহীহ)

বেশি খাওয়ারই লিমিট এটা৷

আজ আমরা যা করি, তা উল্টো—পেটের ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ খাওয়ার চেষ্টা করি। যতক্ষণ না হাঁসফাঁস করছি, ততক্ষণ থামি না। এত বেশি খাওয়াটা কাফির দের খাওয়ার সদৃশ৷

উমর (রাঃ) বলতেন: "মু’মিন এক পাত্রে খায়, আর কাফির দশ পাত্রে খায়।" (সহীহ বুখারী,সহীহ মুসলিম) পরিমাণে কম খাওয়া কেবল সুস্থতা নয়, বরং আত্মনিয়ন্ত্রণ ও তাকওয়ার পরিচায়ক।

আমাদের এখনকার "খাদ্য-সাংস্কৃতিক" আচরণ অনেক সময় কুফরি স্টাইলের দিকে চলে যাচ্ছে—যেখানে পেট নয়, মন খাওয়াকে চালায়। আমাদের উচিত ছিল বাঁচার জন্য খাওয়া অথচ আমরা যেন খাওয়ার জন্য বাঁচি৷

ইসলাম যেভাবে বলেছে, তার বিপরীত ভাবে আমরা চলি, অসুখ বাঁধাই এরপর বলি রুকইয়াহ্তে, মেডিসিনে কাজ হয় না৷

বাবা মায়ের নামে মামলা দেওয়ার ট্রেন্ড তাহলে বাংলাদেশেও শুরু হয়ে গেলো!.. সে সিঙ্গার হতে চায়,,  ডান্সার হতে চায়,, কিন্ত...
11/07/2025

বাবা মায়ের নামে মামলা দেওয়ার ট্রেন্ড তাহলে বাংলাদেশেও শুরু হয়ে গেলো!.. সে সিঙ্গার হতে চায়,, ডান্সার হতে চায়,, কিন্তু তার বাবা-মা তাকে এই পূর্ণ স্বাধীনতা দিচ্ছেনা। এসবের জের ধরেই বাবা মায়ের নামে মামলা দিয়ে দিল ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া শিক্ষিত এই মেয়েটি,,তার ভাষ্যমতে,, তাকে নাকি শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে টর্চার করে তার বাবা মা। """

বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে,,, ভালো স্কুলে পড়িয়েছে,, ছোটবেলা থেকে যখন কোন রোগ হয়েছে দেশের সবচেয়ে নামকরা হসপিটালের ডাক্তারদের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিয়েছে,,, ঝলমলে চকচকে জামা কাপড় পড়ে ঘুরছে,,,

আদালতে এখন বাবা-মা কে এটা প্রমাণ করতে হচ্ছে যে তারা তাদের একমাত্র মেয়ের ভালোর জন্যই তার জন্মের পর থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে। মেয়েকে সবসময় বেস্টটাই দিয়েছে। 🙂

ভাই,,,! আমার তো এখন নিজের বাচ্চাকাচ্চা পালতেই ভয় লাগতেছে,, কত কষ্ট করে একটা বাচ্চা পালতেছি,, বড় হয়ে আবার কোন স্বাধীনতা চাইবে আল্লাহ মালুম (আল্লাহুম্মা মাগফিরলি) 😓💔

যখন ১৫-১৬ বছর বয়স আমার,, মাঝে মাঝে মায়ের উপর ভীষণ রাগ হতো,, এটা নিষেধ করত,, ওটা নিষেধ করত,, , এখানে যেতে না করে,, সেখানে যেতে না করে,, এভাবে না ,, ওইভাবে হেন তেন কত কিছু।

মা শুধু বলতো "যেদিন মা হবি সেদিন বুঝবি মায়েরা কেন এমন করে। "

বুঝি তো,, বাচ্চাদেরকে এখন সারাদিন কত কিছু নিষেধ করতে হয়। কত কিছু বোঝাতে হয়!!

যেদিন মনে করি আমার জামাইটা কত ভালো,” 😍😌🥰☺️
08/07/2025

যেদিন মনে করি আমার জামাইটা কত ভালো,” 😍😌🥰☺️

- হুযুর। আপনি বলেছিলেন আল্লাহর কাছে দু'আ করলে, তিনি শোনেন।- ঠিকই তো বলেছি।- কই, আমি তো দিনরাত ইয়া লম্বা লম্বা দু'আ করছি।...
07/07/2025

- হুযুর। আপনি বলেছিলেন আল্লাহর কাছে দু'আ করলে, তিনি শোনেন।

- ঠিকই তো বলেছি।

- কই, আমি তো দিনরাত ইয়া লম্বা লম্বা দু'আ করছি। কিছুই তো হচ্ছে না।

- কবুল হওয়ার জন্যে লম্বা দু'আ লাগবে এটা তোমাকে কে বললো? নূহ (আ.) তার দু'আয় মাত্র চারটা শব্দ উচ্চারণ করেছেন,
رَبِّ أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانتَصِرْ
অর্থ: রব্বি! আমি অসহায়, সাহায্য করুন!

এই দু'আর ফলে কী হলো? আল্লাহ দুনিয়াটাকে ডুবিয়ে দিলেন।

আরও দেখো, সুলাইমান (আ.) তার দু'আয় মাত্র তিনটা শব্দ উচ্চারণ করেছেনঃ
رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا
রব্বি, আমাকে রাজত্ব দান করুন।

কী হলো? পুরো বিশ্বের তো বটেই, পশু-পাখিরও রাজত্ব নিয়ে দিলেন।

• শব্দসংখ্যা নয়! ইখলাস, আন্তরিকতা আর আত্মনিবেদন-ই দু'আর প্রাণশক্তি।

~ সংগৃহীত

গতকাল রাতে মেয়েটা ফোঁড়ার যন্ত্রণায় খুব কষ্ট করছিল! আমি আদর করে বললাম,“রুহি, একটা মজার কথা কি জানো তো? আমাদের প্রতিটা কষ্...
03/07/2025

গতকাল রাতে মেয়েটা ফোঁড়ার যন্ত্রণায় খুব কষ্ট করছিল! আমি আদর করে বললাম,
“রুহি, একটা মজার কথা কি জানো তো? আমাদের প্রতিটা কষ্টের বিনিময়েই আল্লাহ আমাদের গুনাহ মাফ করে দেন।”

ব্যথার মাঝেও একটু হেসে উঠল—বলল,
“আম্মু, সত্যিই?”

আমি বললাম,
“হ্যাঁ মা। তুমি গাছ থেকে লেবু তুলতে গিয়ে, ফুল ছিঁড়তে গিয়ে হাত কেটে গেলে, ছোট একটা পিঁপড়া কামড় দিলে—এমনকি সেলাই করতে গিয়ে সুইয়ের খোঁচা খেলেও—আল্লাহ সেসব কষ্টের বিনিময়েও আমাদের গুনাহ মাফ করে দেন।”

আল্লাহ তাআলা তো ধৈর্যশীলদের জন্য সুসংবাদ দিয়েছেন।

তবুও তখন ওর কাছে এই ফোঁড়ার যন্ত্রণাটাই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কষ্ট।
সে তো এখনো জানে না—এই জীবনে কত উত্থান-পতন, টানাপোড়েন ও বিস্ময় অপেক্ষা করে আছে......

আল্লাহ তো কুরআনে বলেছেন—“তোমরা যা কিছু অপছন্দ কর, তাতেই তোমাদের কল্যাণ নিহিত।”
—সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২১৬

আমি তাকে বললাম,
“আল্লাহর কাছে সবকিছু আছে, মা। তুমি চাইলে, আল্লাহ ঠিকই শুনবেন।
মনে রেখো—মুমিনের কোনো কষ্টই বৃথা যায় না।
দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা—সবই মুমিনের জন্য নেয়ামত।” প্রতিটি কষ্টের পশ্চাতে আল্লাহ বিনিময় লুকিয়ে রেখেছেন।

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, ওর মুখভরা হাসি। বলল,
“আম্মু! আমার ব্যথা তো চলে গেছে!”

আমি বললাম,
“দেখেছো? আল্লাহ তোমার কথা শুনেছেন, মা। এবার আল্লাহকে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে শুকরিয়া আদায় করো।”

একটা ছোট্ট বাচ্চার সামান্য কষ্টেও যদি গুনাহ মাফ হয়, ভাবুন তো—
আমাদের বড় বড় পরীক্ষাগুলো কত বড় নিয়ামত!

বস্তুত, মুমিনের কোনো কিছুই হারায় না—সবকিছুই ফিরে আসে, আরও বেশি নেয়ামত নিয়ে।

আলহামদুলিল্লাহ।🌸

♦ কারবালার ১০টি ভুল বোঝাবুঝি – মিথ (কল্পকাহিনী) বনাম সত্য!আশুরা এলেই কারবালাকে ঘিরে নানা কথা ও আবেগ দেখা যায়, যার অনেক ...
03/07/2025

♦ কারবালার ১০টি ভুল বোঝাবুঝি –
মিথ (কল্পকাহিনী) বনাম সত্য!

আশুরা এলেই কারবালাকে ঘিরে নানা কথা ও আবেগ দেখা যায়, যার অনেক কিছুই ইতিহাস ও হাদিসের সঙ্গে মেলে না। কারবালার ঘটনা হৃদয়বিদারক হলেও, একে ঘিরে তৈরি হয়েছে বহু ভুল বোঝাবুঝি। চলুন, ১০টি প্রচলিত ভুল ধারণা ও সঠিক তথ্য জেনে নিই:
মিথ (১): কারবালার ঘটনা সুন্নি-শিয়া দ্বন্দ্ব
সত্য: এটি ছিল জুলুমের বিরুদ্ধে ন্যায়ের লড়াই। হুসাইন (রা.) ছিলেন রাসুল (সা.)-এর নাতি ও সাহাবী, কোনো শিয়া নেতা নন। তিনি ইয়াজিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।
মিথ (২): আশুরার অর্থ শুধুই শোক
সত্য: আশুরা শুধু শোকের দিন নয়। এ দিন আল্লাহ্‌ তাআলা মূসা (আ.)-কে ফিরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। আর এই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রাসুল (সা.) এ দিনে রোজা রাখতেন এবং বলেছেন যে আশুরার রোজা এক বছরের গুনাহ মাফ করিয়ে দেয়। (সহীহ মুসলিম: ১১৬২)
মিথ (৩): তাজিয়া বা শোক মিছিল ইসলামে আছে
সত্য: না। রাসুল (সা.) বা সাহাবীরা এভাবে শোক পালন করেননি। শরীর আঘাত করা বা উচ্চস্বরে কান্নাকাটি ইসলামে নিষিদ্ধ। (সহীহ বুখারী: ১২৯৪)
মিথ (৪): হুসাইন (রা.) শুধু শিয়াদের নেতা
সত্য: হুসাইন (রা.) সমগ্র উম্মাহর নেতা এবং রাসুল (সা.)-এর প্রিয় নাতি। রাসুল (সা.) বলেছেন, তিনি জান্নাতী যুবকদের সরদার। (সহীহ তিরমিযী: ৩৭৬৮)
মিথ (৫): কারবালায় রাসুল (সা.)-এর পরিবারের সবাই নিহত হয়েছিলেন
সত্য: না। ইমাম হুসাইন (রা.) ও তাঁর সাথীদের একটি অংশ শাহাদাতবরণ করেছিলেন, সবাই নন।
মিথ (৬): আশুরায় বিশেষ খাবার না রান্না করলে দুর্ভিক্ষ হয়
সত্য: এটি একটি কুসংস্কার। এমন কোনো সহীহ হাদিস নেই। পরিবারের জন্য খরচ করলে বরকত হয় বলা হলেও, আশুরাকে কেন্দ্র করে এটাকে আবশ্যক করা বিদআত।
মিথ (৭): আশুরার রাতে আকাশে রক্তের ছাপ দেখা যায়
সত্য: এটি বিভ্রান্ত কিছু গোষ্ঠী এবং কিছু লোকজ বিশ্বাস। এর কোনো সহীহ ভিত্তি নেই।
মিথ (৮): আশুরার রাতে মোম জ্বালানো, পানি বিতরণ ও কবর জিয়ারত বাধ্যতামূলক
সত্য: এগুলো রাসুল (সা.) বা সাহাবীদের আমল নয়। এসবকে আশুরা উপলক্ষে 'ফরজ বা সুন্নত' মনে করা বিদআত।
মিথ (৯): "ইয়া হুসাইন" বলে আহাজারি করলে গুনাহ দূর হয়
সত্য: দুআ সরাসরি আল্লাহর কাছে করতে হয়। কারও নামে সাহায্য চাওয়া শিরকের পর্যায়ে পড়তে পারে।
মিথ (১০): তাজিয়া মিছিলে অংশ নিলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়
সত্য: ইসলামে এমন বিশ্বাসের কোনো ভিত্তি নেই। এটি একটি বিদআত এবং শিরকের কাছাকাছি ধারণা, যা শরিয়ত অনুমোদন করে না।
আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদেরকে বিশুদ্ধ ইসলাম জানার ও মানার তাওফীক দিক।

◉ আদম (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।◉ নূহ (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।◉ ইব্রাহিম (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।◉ মূসা (আ:) এর শ...
01/07/2025

◉ আদম (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ নূহ (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ ইব্রাহিম (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ মূসা (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ ঈসা (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ আবু বকর (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ ওমর (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ উসমান (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ আলী (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ খাদিজা (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ আয়েশা (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ ফাতেমা (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ কোনো নবী-রাসূলদের শোক পালন করা হয় না।
◉ কোনো সাহাবীদের শোক পালন করা হয় না।
❐ যেখানে বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শোক পালন করা হয় না।
সেখানে আপনি কিভাবে প্রত্যেক বছর অন্য কারোর মৃত্যুবার্ষিকী/শোক পালন করেন? আপনার বাবা কে? আপনার মা কে? আপনার আত্মীয়স্বজনই বা কে?
তারা কি নবী-রাসূল; সাহাবীদের চেয়ে বেশি মর্যাদাবান হয়ে গেল?
নাউজুবিল্লাহ!
যেখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুর ৩ দিন পর্যন্ত আর স্বামী মারা গেলে শুধু স্ত্রীর জন্য ৪ মাস ১০ দিন শোক পালন করতে বলেছেন, সেখানে আপনি ৩ দিনের পরেও কিভাবে প্রত্যেক বছর মৃত্যুবার্ষিকী/শোক পালন করতে পারেন?
ধর্মকে কি হাওয়াই লাড্ডু পেয়েছেন যে, নিজের ইচ্ছামতো ধর্ম মানবেন!
❐ জি না। নিজের ইচ্ছামতো সব ধর্ম মানা গেলেও ইসলাম ধর্ম নিজের ইচ্ছামতো মানা যায় না। নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করেই ইসলাম মানতে হয়।
মৃত ব্যক্তির জন্য নিজে নামায পড়ে দোয়া করুন, এতে মৃত ব্যক্তি উপকৃত হবেন।
কিন্তু ইহুদী-খ্রিষ্টানদের মতো কালো পোষাক পরিধান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৃত্যুবার্ষিকী পালন - এসব করতে যাবেন কেন? আপনি কি ইহুদী-খ্রিষ্টান নাকি মুসলিম?
যদি নিজেকে মুসলিম দাবী করেন, তাহলে জন্ম দিবস; শোক দিবস; মৃত্যু দিবস ইত্যাদি দিবস পালন করা বর্জন করুন।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: "স্বামী ব্যতীত অন্য কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের বেশি শোক পালন করা বৈধ নয়।
অবশ্য স্বামীর জন্য স্ত্রী চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।" (বুখারী ১২৮০)
©

- কি করেন?- কিছু না, গৃহিণী।  আসলেই কি তাই? বোনেরা আপনারা কি খেয়াল করেছেন ফাতিমা (রা) এর মৌলিক স্পেশালিটি কি ছিলো? কেবল ...
01/07/2025

- কি করেন?
- কিছু না, গৃহিণী।

আসলেই কি তাই? বোনেরা আপনারা কি খেয়াল করেছেন ফাতিমা (রা) এর মৌলিক স্পেশালিটি কি ছিলো? কেবল রসুলুল্লাহ স এর প্রিয় মেয়ে! আমাদের বোনেরা কি চিন্তা করে দেখেছেন? উনি কি অনেক বড় ফকিহ ছিলেন? নাকি বড় কোন মুহাদ্দিস? নাকি দ্বীন কায়েমের পথে নেতৃত্বদানকারী কোন মুজাহিদ?

বরং ছিলেন একজন আদর্শ রব্বাতুল বাইত বা গৃহীনী। ঈমান, দুনিয়া বিমুখতা, সাংসারিক কাজ কর্ম, পিতা ও স্বামীকে সাপোর্টদান, সন্তান পালন ইত্যাদি ছিলো তার সীরাতের উল্লেখযোগ্য দিক। তিনি কুয়া থেকে পানি তুলতেন, যাতায় গম পিষতেন, নিজ হাতে কাপড় ধুইতেন, শক্ত কাপড় পড়তেন। তার কোন খাদিমাহ ছিলো নাহ! প্রেসিডেন্টের মেয়ে!

সুবহানাল্লাহ আজকে আমাদের অনেকে শুধু গৃহিণী বলে পরিচয় দিতে খারাপ বোধ করি অথচ জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদার রমনীদের অন্যতম ফাতিমা রা ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিণী। শুধু কি তিনি বরং তার মা ও। আপনি খেয়াল করুন আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরাও কিন্তু সর্বপ্রথম ইমানদার এর বাইরে ছিলেন স্বামীভক্ত ও স্বামীকে সাহায্যকারী একজন আদর্শ গৃহিণী।

আরও ইন্টারেস্টিং বিষয় দেখেন। আয়িশা রা এতো বড় মুহাদ্দিস ও ফকিহ হওয়া সত্তেও তিনি কিন্তু জান্নাতের শ্রেষ্ঠ চার নারীর লিস্টে নাই। সুতরাং কেবল জ্ঞানার্জনের মধ্যেই নারীর শ্রেষ্ঠত্ব বিষয়টা এমন না। বরং পরিবার দেখাশোনা করাই হলো তাদের মূল এসাইনমেন্ট।

ভালো গৃহিণী হওয়াও যে একটা বড় কাজ! স্বামীর কাজে সাহায্য করাও যে বিশাল কাজ! নেক স্বামীর সেবা করেও যে জান্নাতে যাওয়া যায় তা ভুলে না যাই।

~ S M Naheed

জীবনটা ঠিক মোমবাতির মত হয়ে গেছে ,,,,,,,,সবাইকে আলো দিতে দিতে নিজের আলোটাই শেষ হয়ে যাচ্ছে।
24/06/2025

জীবনটা ঠিক মোমবাতির মত হয়ে গেছে ,,,,,,,,
সবাইকে আলো দিতে দিতে নিজের আলোটাই শেষ হয়ে যাচ্ছে।

এই ভদ্রমহিলা ক্যান্সার এর পেশেন্ট। উনি কেমোথেরাপি নিতে এসেছেন।ভদ্রলোক প্রায় এক ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে ভদ্র মহিলার ম...
15/06/2025

এই ভদ্রমহিলা ক্যান্সার এর পেশেন্ট। উনি কেমোথেরাপি নিতে এসেছেন।

ভদ্রলোক প্রায় এক ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে ভদ্র মহিলার মাথা ও হাত টিপে দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ভদ্রলোক ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন- তুমি কিছু খাবা? কি আনবো তোমার জন্য?
ভদ্রমহিলা বললেন- তোমার যা ইচ্ছে, তাই নিয়ে আসো।

ভদ্রলোক প্রথমে কেক, কলা, বিস্কিট নিয়ে আসলেন। ভদ্রমহিলা সেগুলো খেতে পারলেন না। ভদ্রলোক তখন বললেন, তোমার তো পরোটা পছন্দ পরোটা নিয়ে আসি। উনি আবার গিয়ে পরোটা নিয়ে আসলেন। ভদ্রমহিলা পরোটা খেতে পারলেন না। তখন ভদ্রলোক আবার গিয়ে পাউরুটি জুস নিয়ে আসলেন, এবারও ভদ্রমহিলা তেমন কিছুই খেতে পারলেন না।

তখন ভদ্রমহিলা ভদ্রলোকটিকে জানালেন- উনি পানি খাবেন। ভদ্রলোক আবার গিয়ে ফ্রিজের পানি নিয়ে আসলেন। ভদ্রমহিলা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খেতে পারলেন না। তখন আবার ভদ্রলোক গিয়ে নরমাল পানি নিয়ে আসলেন, সেই পানিটাও একটু গরম ছিল।

হসপিটাল থেকে খাবারের দোকান গুলো ছিল বেশ দূরে। প্রখর রোদ ছিল সেদিন। অথচ এতবার আসা-যাওয়া করেছেন এই ভদ্রলোক, একবারের জন্য তার মুখে কোনো বিরক্তির ছাপ দেখতে পাইনি। ভদ্রমহিলার দোষ নেই, উনি কিছু খেতে পারছেন না কারণ কেমোথেরাপি দিলে মুখের রুচি থাকে না। নরমাল পানি গরম বলে খেতে পারছিলেন না, তখন ভদ্রলোক এইভাবে পানি একটু ঠাণ্ডা করায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আমার ওই মুহূর্তে মনে হয়েছে- এটাই প্রকৃত ভালোবাসা।

গুণীজনেরা বলেন- স্ত্রীর অসুস্থতায় স্বামীকে চেনা যায়
হে আসমান জমিনের মালিক , হে সৃষ্টিকর্তা ,তুমি প্রতিটা মেয়ের জীবনে এমন একজন স্বামী রেখো যে স্ত্রীর শত বিপদেও পাশে থাকবে।

⚫ সংগৃহীত

আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক পরিবারকে ভালোবাসা, বারকাহ ও কল্যাণে পরিপূর্ণ করে দিন। সকল অসুস্থ প্রাণীকে উত্তম শেফা দান করুন। আমিন।

ভালোবাসার কোনো ক্যাপশন হয় না ❤️❣️❣️❣️
31/05/2025

ভালোবাসার কোনো ক্যাপশন হয় না ❤️❣️❣️❣️

Address

Patgram

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অভিমানী রাজকন্যা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to অভিমানী রাজকন্যা:

Share