06/04/2024
এখনকার পাপী বান্দাদের মতো লাইলাতুল কদর রাতে মোনাজাতে আমরা এরে-ওরে চাইয়া পোস্ট করতাম না। মসজিদে গিয়ে জাস্ট জিলাপিই চাইতাম ...
এখনকার মডার্ণ সময়টাতে পথে পথে জিলাপি পাওয়া যায় অল্প টাকা খরচায় ।
তাই হয়তো বন্ধুরা মজা কইরা বলে ফেলে,
'ধুস্শালা, দুই টাকার জিলাপির লোভে মসজিদে এতক্ষণ বইসা থাকবে কে! চল তোরে আমি খাওয়ামু নে....
কিন্তু সেই পুরনো সময়টাতে ,
সন্ধ্যা বেলা পাজামা-পাঞ্জাবি পইরা মসজিদে চলে যাওয়া , এদিক- ওদিকে সমবয়সীদের সাথে দৌঁড়ঝাপ করা , হুজুরের দীর্ঘ সময়ের বয়ানে বিরক্ত, ক্লান্ত হয়ে মসজিদের এক কোণে ঝিমাইতে ঝিমাইতে ঘুমিয়ে পড়ার পর আবার মিলাদের সাউন্ড শুনে চমকে উঠে বসে যাওয়া...
মিলাদ শেষে একখানা জিলাপি আর একখানা নিমকি নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া দলবেঁধে হাসিমুখে ,
এই সময়টুকুতে আমার কখনো মনে হয় নি ,
এই আনন্দটুকুর ভেতর আমাদের কোনো লোভ ছিলো....
যা ছিলো তা হয়তো সবার একসাথে দল বেঁধে আনন্দ করা স্বয়ং স্রষ্টা প্রদত্ত কোনো উপহার ।
এখন কোনো বন্ধু লাখ টাকা খরচ কইরা বিরিয়ানি খাওয়ানোর প্রস্তাব দিলে এই আনন্দের সাথে ঐ নিষ্পাপ আনন্দটুকুর তুলনা করতে আমি রাজি না...
হয়তো আরও অনেকেই রাজি না!