The Political Pen

15/07/2025

তরুণ্যের প্রথম ভোট—আপনি কোথায় দিবেন?
নৌকায়?
ধানের শীষে?
দাঁড়ি পাল্লায়?
শাপলায়?
নাকি হাত পাখায়.?
আপনার সিদ্ধান্তই বদলে দিতে পারে আগামীর বাংলাদেশ।

12/07/2025

রাজনীতি: বিভাজনের দেয়াল নয়, হোক স্বপ্ন বোনা গল্প।

এক সময় রাজনীতি ছিল আশার প্রতীক—স্বপ্ন গড়ার হাতিয়ার।
আজ সেই রাজনীতি অনেকটাই বদলে গেছে। কথা অনেক, কাজ কম। প্রতিশ্রুতি আসে বন্যার মতো, বাস্তবায়ন হয় মরুভূমির মতন।

আমরা চাই না আর ফাঁকা বুলি, বিলবোর্ডে আঁকা উন্নয়ন কিংবা মুখস্থ বক্তব্য।
আমরা চাই মানবিকতা—যেখানে রাজনীতি মানে হবে মানুষের জীবন ছোঁয়া সিদ্ধান্ত।
আমরা চাই জবাবদিহিতা—যেখানে নেতা হিসেবের বাইরে নয়, বরং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।
আমরা চাই সত্যিকারের নেতৃত্ব—যা বিভেদ নয়, ঐক্যের বার্তা দেয়।

রাজনীতি হোক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার জায়গা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-ন্যায়বিচারে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যম।
মতের ভিন্নতা থাকতেই পারে—তাই তো গণতন্ত্র।
কিন্তু সেই ভিন্নতা যেন বিভক্তি নয়, বরং সম্মানের জায়গা হয়।

দিনের শেষে, আমরা কেবল একটি দেশ চাই— যেখানে রাজনীতি মানেই হবে মানুষের মুখে হাসি ফেরানো।

এটাই কি খুব বেশি চাওয়া?

#রাজনীতি #নেতৃত্ব #সমাজ #ভবিষ্যৎ #বাংলাদেশ #স্বপ্নেরদেশ #ইউথভয়
The political pen🖋️

12/07/2025

মিডফোর্ট হাসপাতালের সামনে ব্যাবসায়ী সোহাগকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে গত বুধবারে কিন্তু এই ঘটনা মানুষ জানলো আজকে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে। যদি কেউ ভিডিও না করতো আমার মনে হয় এই ঘটনার বিচার তো দূরের কথা এটার কোনো মামলাই হতো না।এর মানে হচ্ছে আপনাকে যদি কেউ প্রকাশ্যে মেরেও ফেলে যদি সেটা ভাইরাল না হয় তাহলে সেটার কোনো বিচার নাই। এত বড় একটা নৃশংস ঘটনা অথচ কোনো প্রশাসন এবং কোনো মিডিয়া থেকে খবর প্রকাশ হলো না।অথচ দেশের মিডিয়াগুলো সারাদিন কোন নাইকা কোন বা**ল করছে সেইগুলো মিনিটে মিনিটে প্রকাশ করে।এত বড় একটা ঘটনা ওনাদের চোখেই পড়লো না।
এই হত্যার আসামীদের আগামী সাতদিনের মধ্যে বিচারকার্য শেষ করতে হবে। শুধু শেষ নয় ফাঁসি বা জনসম্মুখে গুলি করে ওদের হত্যা করতে হবে। এই খুনের জন্য জন্য আদালত কোনোভাবেই ৭ দিনের বেশী সময় নিতে পারবে না। সময় হলেই দেখবেন এরা বিদেশে। এদেশের আইনের প্রতি একটুও বিশ্বাস নাই আমার।
The political pen 🖋️

23/06/2025

ইরানকে"Neo-Colonial Resistant" বলা হচ্ছে।
যার মানে হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী ও উপনিবেশবাদী প্রভাব প্রতিরোধের অন্যতম এক্টর হয়ে উঠেছে ইরান।

যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা শক্তি কর্তৃক পৃথিবীর মানচিত্রের পূর্ব পাশের দেশগুলোতে মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখার প্রচেষ্টাকে পরিভাষা হিসেবে "Atlanticist expansion" বলা হয়। যা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের বিশেষত NATO ও EU কর্তৃক এশিয়ায় দ'খ'লদারিত্বকে বোঝায়।

সৌদি, কাতারের মতো দেশগুলো সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। পাকিস্তানও পেন্টাগনের সুরে সুর মিলাচ্ছে। সেখানে ইরান হচ্ছে এমন এক ভূখণ্ড, রাষ্ট্র বা শক্তি যা এই পশ্চিমা আধিপত্য ও সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে প্রধান প্রতিরোধ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে ইরান যেটা করছে সেটা রাশিয়ারও কাজ। সেখানে ইরান হচ্ছে রাশিয়ার জন্য একটি কৌশলগত মিত্র (Strategy Depth), যার মাধ্যমে সে মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা বলয়কে বশে রাখতে চায়।

অন্যদিকে ইরানের পতন হলে চীনের জ্বালানি নিরাপত্তা হু'মকির মুখে পড়বে। কারণ চীনের বিশাল পরিমাণ তেল আমদানির অন্যতম উৎস ইরান। দ্বিতীয়ত, চীনের জন্য ইরান হলো “Belt and Road Initiative” (BRI)-এর স্ট্র্যাটেজিক করিডর। তাই বলা হয়ে থাকে যে, চীন আর রাশিয়াই ইরানের পতন ঠেকাবে! ইরান যদি বৈশ্বিক জ্বালানির ধমনী হিসেবে পরিচিত হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়, তাহলে হিজ্রেল ও যুক্তরাষ্ট্র চাইলেই ইরানে পারমাণবিক হা'ম'লা চালাতে পারবে না।

তাছাড়া, এই অঞ্চলে একটা "Eurasianism" ধারণার বিস্তৃতি ঘটছে। যার মানে হচ্ছে রাশিয়া, চীন, ইরান, তুরস্ক প্রভৃতি দেশ মিলে এখানে একটি অ-পশ্চিমা বলয় তৈরি করে ফেলেছে। যারা সম্মিলিতভাবে "Atlanticist expansion" এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবে।



















🖋️The political pen

22/06/2025

কেন আমার মনে হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে নিচে তার ব্যাখ্যা দিচ্ছি।

প্রথম কারণঃ ইরান–ইসরায়েল যুদ্ধ লোকাল নাই আর

এই যুদ্ধ এখন আর শুধু ইরান বনাম ইসরায়েল না।
আজ আমেরিকা সরাসরি ইরানে হামলা করেছে।

এর মানে কী?

*এক সুপ্রতিষ্ঠিত পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকা
*এক ধর্মীয় বিপ্লব-ভিত্তিক আঞ্চলিক শক্তি ইরান
*আর মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী একটি রাষ্ট্র ইসরায়েল
-এখন সক্রিয় যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে

তিনটি পক্ষ যদি সরাসরি মুখোমুখি হয়, তা কখনোই শুধু ওদের ব্যাপার থাকে না, এটা হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ব্যাপার।

দ্বিতীয় কারণঃ তেলের রুট + ধর্মীয় বিভাজন

এই যুদ্ধ শুধু সীমান্ত নয়, এই যুদ্ধের নিচে আছে:

*তেলের নিয়ন্ত্রণ
*শিয়া-সুন্নি বিভক্তি
*ইহুদি-মুসলিম দ্বন্দ্ব

আমার মনে হচ্ছে, এই সংঘর্ষ শুধু বুলেটের না, বরং বিশ্বাসের, অস্তিত্বের, ইতিহাসের।

আর ইতিহাস বলে: ধর্মীয় যুদ্ধ থামানো যায় না, কারণ সেগুলো শুধু রাজনীতি দিয়ে চলে না।

তৃতীয় কারণঃ বিশ্ব আগেই উত্তপ্ত ছিল যেমন এই ঘটনার আগে কী চলছিল?
1. রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: এখনো চলছে
2. চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা: মাত্র সময়ের ব্যাপার
3. যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গসংগঠিত আগ্রাসন নীতিমালা

এই তিনটা মোর্চায় আগুন ছিলই। এখন ইরান-ইসরায়েল আগুন ঢালল চতুর্থ ফ্রন্টে। এখন যদি আরেকটা ফ্রন্ট খোলে, সেটাই হবে শেষ খোঁচা।

চতুর্থ কারণঃ আধুনিক যুদ্ধ আর আগের মতো না

এইবার যুদ্ধ হবে:
*ড্রোন দিয়ে
*সাইবার হ্যাকিং দিয়ে
*মিডিয়া ম্যানিপুলেশন দিয়ে
*পারমাণবিক হুমকি দিয়ে

এখানে আর শুধু সৈন্য লাগে না, এখানে লাগে ক্ষমতা, তথ্য আর নিয়ন্ত্রণ। এবং এসবের সবটায় বড় খেলোয়াড়রা ঢুকে গেছে।

পঞ্চম কারণঃ ইরান কখনো হার মানে না

ইরাকের সাদ্দাম হোসেন ইরানকে হারাতে পারেনি, আমেরিকা বারবার নিষেধাজ্ঞা দিলেও ইরান মাথা নিচু করেনি। আজকের ইরান যুদ্ধ জানে, ধৈর্য জানে, প্রতিরোধ জানে।

আমার বিশ্বাস,
এই যুদ্ধ ইরান হারবে না, কিন্তু পুরো দুনিয়াকে ভেতর থেকে নাড়িয়ে দেবে।

সর্বশেষ কারণঃ হিস্ট্রি রিপিট হয়, যদি কেউ থামাতে না পারে

*প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল একটি হত্যা দিয়ে
*দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল একটি চুক্তিভঙ্গ দিয়ে
*আর এখন? শুরু হয়ে গেল ধর্ম দিয়ে

আমি তাই বলছি না যুদ্ধ হবে কিন্তু আমি বলছি, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে, আমরা শুধু এখনো তার নাম দিই নাই।

এই পোস্ট রেখে দিও, ধর্ম নিয়েই হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং জয় হবে ইরানের জয় হবে ইসলামের ইনশাআল্লাহ।
🖋️The political pen

22/06/2025

অ্যালবার্ট আইনস্টাইন একবার বলেছিলেন-
"দুর্বল মানুষ প্রতিশোধ নেয়। শক্তিশালী মানুষ ক্ষমা করে। বুদ্ধিমান মানুষ উপেক্ষা করে।"

আমি তার কাছ থেকে শিখেছি ৯টি চিরন্তন পাঠ:

১. ভবিষ্যত নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না
"আমি কখনো ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করি না। এটি যথেষ্ট দ্রুত আসে।"
ভবিষ্যত অনিশ্চিত এবং এটি নিয়ে চিন্তা করা আজকের আনন্দ কেড়ে নেয়। এখন যা আছে তার ওপর ফোকাস করুন এবং এগিয়ে যান।

২. বড় ভাবনা চিন্তা করতে সাহস করুন
"আমি বিশ্বাস করি, বড়ো ধরনের কল্পনা আমাদের সত্যিকারের তথ্য সঞ্চয়ের চেয়ে বেশি এগিয়ে নিয়ে যাবে।"
দুঃসাহসী চিন্তা নিরাপদ চিন্তার চেয়ে বেশি বিশ্বকে পরিবর্তন করেছে।

৩. এগিয়ে চলতে থাকুন
"জীবন একটি সাইকেল চালানোর মতো। ভারসাম্য রাখতে হলে আপনাকে চলতে হবে।"
থেমে থাকবেন না। কতটুকু হোক না কেন, অগ্রগতিই অগ্রগতি।

৪. রাজনীতি পদার্থবিজ্ঞানের চেয়ে কঠিন
প্রশ্ন করা হলে, “যদি মানুষ পরমাণু আবিষ্কার করতে পারে, তবে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে পারে না কেন?”
আইনস্টাইন উত্তর দেন:
"কারণ রাজনীতি পদার্থবিজ্ঞানের চেয়ে বেশি কঠিন।"
বুদ্ধিমান মানুষও সেখানে লড়াই করে যেখানে আবেগ, শক্তি এবং অহঙ্কার প্রভাব ফেলে।

৫. সরলতা গ্রহণ করুন
আইনস্টাইন বিশ্বাস করতেন "আইনস্টাইনের রেজার"-এ — অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ধরে রাখা।
সরলতাই শক্তি, যদি না এটি অতিরিক্ত সরলতায় পরিণত হয়।

৬. শিক্ষা নিজেকে চিন্তা শেখাতে হবে
"শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত মনকে চিন্তা করতে শেখানো, তথ্য মুখস্থ করা নয়।"
তাই আরও পড়ুন। আরও চিন্তা করুন। আপনার কৌতূহলকে আপনার সেরা শিক্ষক হতে দিন।

৭. আমরা সবাই একটি গাছের অংশ
"সব ধর্ম, শিল্প এবং বিজ্ঞান একই গাছের শাখা।"
মানবজাতি একসঙ্গে বৃদ্ধি পেলে সমৃদ্ধ হয়, আলাদা হলে নয়। আমরা যতটা ভাবি তার চেয়ে বেশি সংযুক্ত।

৮. আপনার বিবেকের প্রতি সত্য থাকুন
"কখনো কিছু করবেন না যা আপনার বিবেকের বিরুদ্ধে, যদিও রাষ্ট্র তা চায়।"
আপনার নীতিগুলোকে আপনাকে গাইড করতে দিন — বিশেষ করে যখন এটি সহজ নয়।

৯. আপেক্ষিকতা কী?
আইনস্টাইন একবার মজা করে বলেছিলেন:
"একটি সুন্দর মেয়ের সঙ্গে দুই ঘণ্টা বসলে মনে হয় দুই মিনিট। একটি গরম চুলায় দুই মিনিট বসলে মনে হয় দুই ঘণ্টা — এটাই আপেক্ষিকতা।"
দৃষ্টিভঙ্গি সবকিছু পরিবর্তন করে।
সংগ্রহীত,,

#যন্ত্রনা___________ওয়ালা
#পৃষ্ঠা_১০০০

22/06/2025

🇮🇷 ইরানকে বোকা ভাবার ভুল করেছিল আমেরিকা!

যে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আমেরিকা বা তার দোসররা হামলা চালিয়েছে —
👉 নাতাঞ্জ (Natanz)
👉 ফোর্ডো (Fordow)
👉 আরাক (Arak)

তারা ভেবেছিল এই জায়গাগুলো ধ্বংস করলেই ইরানের পারমাণবিক শক্তিকে থামানো যাবে।

✅ কিন্তু বাস্তবতা হলো—
ইরান অনেক আগেই আন্দাজ করেছিল, এই স্থানগুলোই হবে টার্গেট।
তাই গোপনে ও সুচারুভাবে তাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, গবেষণা উপকরণ ও ইউরেনিয়াম সম্পূর্ণ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল আক্রমণের আগেই।

⚠️ হামলায় কিছু সামান্য কাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে পারমাণবিক কার্যক্রম বা সামরিক সক্ষমতার এক বিন্দুও ক্ষতি হয়নি।
এই ক্ষয়ক্ষতি ছিল শুধুমাত্র বাইরে থেকে দেখানোর মতো, ভিতরে কিছুই ছিল না।

🔴 এটাই ইরান!
যুদ্ধের মাঠে নামার আগে তারা বুঝে নেয়, যুদ্ধ কোন কৌশলে হবে।
তারা প্রতিটি হামলার আগেই তৈরি করে রাখে প্রতিরোধের পথ।।

07/05/2025

05/04/2025

ভারতে আবারও মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার ও সম্পত্তির ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। সম্প্রতি সংসদে তারা পাস করেছে বিতর্কিত ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, যা মুসলিম সমাজের জন্য এক গভীর শঙ্কার বার্তা বহন করে।

এই সংশোধিত বিলে বলা হয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল ও রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডে কমপক্ষে দু’জন অমুসলিম সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক। এটি এক ধরনের ধর্মীয় হস্তক্ষেপ ও মুসলিম স্বায়ত্তশাসনে সরাসরি হস্তক্ষেপ। একজন মুসলিমদের ধর্মীয় সংস্থা কীভাবে অমুসলিম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে? ইম্পসিবল।

এছাড়াও, ওয়াকফকে সম্পত্তি দান করার ক্ষেত্রে আনা হয়েছে একটি বিভ্রান্তিকর ও বৈষম্যমূলক শর্ত— দানকারীকে কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্মাবলম্বী হতে হবে। অর্থাৎ, কেউ ইসলাম গ্রহণের পর যদি ওয়াকফে কিছু দান করতে চান, তাহলেও তিনি পাঁচ বছর না হলে তা করতে পারবেন না। এই শর্তের মাধ্যমে মুসলমানদের দান-ইবাদতের অধিকার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে।

এই আইন এখন থেকে মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা, আশ্রয়কেন্দ্র ও অন্যান্য মুসলিম দানকৃত সম্পত্তি—সব কিছুর ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে। অর্থাৎ, মুসলিমদের ধর্মীয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বায়ত্তশাসনের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে।

বিলটি এক নজরে দেখলে বোঝা যায়, এটি কেবল একটি প্রশাসনিক সংশোধনী নয় বরং বিজেপির দীর্ঘমেয়াদি মুসলিমবিরোধী এজেন্ডারই আরেকটি প্রকাশ। মসজিদে আজান থেকে শুরু করে হিজাব, কুরআন, মাদ্রাসা—সবকিছুর ওপর ধারাবাহিক আঘাতের অংশ হিসেবেই এই বিলটি পাস করা হয়েছে।

এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এই বিলের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এটি সংবিধানবিরোধী ও ধর্মীয় অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপ। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তিনি মহাত্মা গান্ধীর পথ অনুসরণে সংসদে দাঁড়িয়ে বিলের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। ছবিতে তিনি কাঁদছেন।

এই বিল মুসলিম সমাজের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে—ধর্মীয় স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন আজ হুমকির মুখে। ভারতের সংবিধান যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়, সেখানে এমন আইন একটি ভয়ঙ্কর আগামীর ইঙ্গিত দেয়।

এই সময় প্রয়োজন পুরো মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সচেতনতা এবং সাংবিধানিক অধিকারের জন্য বৈধ প্রতিবাদ। না হলে, একে একে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, দানকৃত সম্পত্তি এবং সর্বশেষে ধর্মীয় অস্তিত্বও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠবে। গুজরাটের কসাই খ্যাত মোদি মুসলিম নিধনে নেমেছে। মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতেই হবে, জাগতেই হবে।

উগ্র হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের নতুন অধ্যায়
✍️ Junayed Khan - জু.আ.খা

19/03/2025

গাজার আজান😰💔
'ইয়া মালিক আরেকটি বদরের অপেক্ষা'