#পটুয়াখালী জেলার ইতিহাস
----------------------------
পটুয়াখালী জেলা, প্রাচীন রাজত্ব চন্দ্রদ্বীপ এর অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং বাউফল উপজেলার কচুয়া এই রাজত্বের রাজধানী ছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং ঘন ঘন পর্তুগীজ ও মগদের আক্রমনের কারণে এই রাজধানী পরবর্তীতে বরিশালের মাধবপাশায় স্থানান্তর করা হয়। রাজা টোডরমল, সম্রাট আকবরের মন্ত্রী; ১৫৯৯ সালে কানুনগা জিম্মক খানকে এই এলাকা জরিপ করতে পাঠান। তখন চন্দ্রদ্বীপ এর বন
এলাকা চন্দ্রদ্বীপ থেকে পৃথক করে বাজুহাদবা সুরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেলিমাবাদ, বাজুগ উমেদপুর এবং উরানপুরে তিনটি পরগনাসহ এই অঞ্চল গঠন করা হয়।
আরাকান এর বৌদ্ধ রাখাইনরা অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে বর্মী রাজার নৃশংসতায় পলায়ন করে গলাচিপা উপজেলা, কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা ও খেপুপাড়া এবং রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন দ্বীপে বসবাস শুরু করে। তারপর থেকে এই অঞ্চলে মানুষের বসতি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল পটুয়াখালী শহরে পাক হানাদার বাহিনী প্রথম আক্রমণ করে। ওই দিন শহরের মাতবর বাড়ি, পুরান বাজার ও ডিসি বাসভবন সংলগ্ন এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে পটুয়াখালী জেলার সদর, গলাচিপা, কলাপাড়া সহ অন্যান্য উপজেলায় অনেকগুলো খন্ড যুদ্ধ হয়। এইসব যুদ্ধে পটুয়াখালী জেলার স্বাধীনতাকামী অনেক সূর্য সন্তান শহীদ হন। রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শেষে, ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর পটুয়াখালী জেলা হানাদার মুক্ত হয়।
#ভৌগোলিক পরিচিতি:
---------------------
১। ভৌগোলিক অবস্থান- ২২°১৯'৬০" উত্তর এবং ৯০°১৯'৬০" পূর্ব
২। আয়তন- ৩,২২১.৩১ বর্গ কিলোমিটার
৩। সীমানা- উত্তরে বরিশাল জেলা, দক্ষিণে বরগুনা জেলা ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ভোলা জেলা ও তেঁতুলিয়া নদী এবং পশ্চিমে বরগুনা জেলা
#প্রশাসনিক এলাকা:
-------------------
পটুয়াখালী জেলা ৮টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ৭৬টি ইউনিয়ন ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
#পটুয়াখালী জেলার উপজেলাসমূহ:-
-----------------------------------
উপজেলা মোট ০৮ টি - ০১. পটুয়াখালী সদর, ০২. দুমকী, মির্জাগঞ্জ, ০৪. বাউফল, ০৫. গলাচিপা, ০৬. দশমিনা, ০৭. কলাপাড়া, ০৮. রাঙ্গাবালী।
#জনসংখ্যা :
--------------
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পটুয়াখালী জেলার মোট জনসংখ্যা ১৫,৩৫,৮৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭,৫৩,৪৪১ জন এবং মহিলা ৭,৮২,৪১৩ জন। মোট পরিবার ৩,৪৬,৪৬২টি।
#দর্শনিয় ও চিত্তাকর্ষক স্থান :
-----------------------------
কুয়াকাটা, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান, কুয়াকাটা ইকোপার্ক, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, শ্রীরামপুর জমিদার বাড়ি, মহেন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি, কানাই বলাই দিঘী, কাজলার চর, ফাতরার চর, কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির, হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সোনারচর, রাঙ্গাবালী উপজেলা, জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত, রাঙ্গাবালী উপজেলা, জাহাজমারা (সখিনা পার্ক), রাঙ্গাবালী উপজেলা, তুফানিয়ার চর, রাঙ্গাবালী উপজেলা, মনিপাড়া মৎস খামার, রাঙ্গাবালী উপজেলা, চরমোন্তাজ, রাঙ্গাবালী উপজেলা, চরআন্ডা, রাঙ্গাবালী উপজেলা, কলাগাছিয়ার চর, রাঙ্গাবালী উপজেলা, কুয়াকাটা রাখাইন পল্লী, মজিদবাড়িয়া মসজিদ, সীমা বৌদ্ধ বিহার, বীজ বর্ধন খামার, পায়রা বন্দর, পানি জাদুঘর, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ, লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী, পটুয়াখালী, পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়, কালাইয়া প্রাচীন বন্দর, শৌলা পার্ক, কেশব পুর শিকদার বাড়ি, পটুয়াখালী শেখ রাসেল শিশু পার্ক, পটুয়াখালী শহীদ আলাউদ্দিন শিশু পার্ক, ঘসেটি বিবির মসজিদ, চন্দ্রদ্বীপের রাজকন্যা কমলারানীর দিঘি, তমিরুদ্দিন আউলিয়ার মাজার - কালাইয়া, মদনপুরার মৃৎশিল্প, কালিশুরী ইসাখার মসজিদ, শের-ই-বাংলার দাদার পৈতৃক বাড়ি, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঝাউতলা- পটুয়াখালী সদর, কুয়াকাটা রাখাইনপল্লী, পায়রা সেতু/ লেবুখালী সেতু।