15/08/2025
🕌🕋🤲রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও বরকতময় দিন। এটি সপ্তাহের সেরা দিন হিসেবে বিবেচিত। এই দিনের ফজিলত বা বিশেষ গুরুত্ব সম্পর্কে এখানে কিছু তথ্য দেওয়া হলো:
সাপ্তাহিক ঈদ: রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এই দিনকে মুসলিমরা একত্র হয়ে ইবাদত-বন্দেগি করার সুযোগ পায়।
দোয়া কবুলের বিশেষ সময়: জুমার দিনে এমন একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে, যখন কোনো মুসলিম বান্দা আল্লাহর কাছে কোনো ভালো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। হাদিসে এই সময়টি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এটি আসরের নামাজের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত।
গুনাহ মাফ: এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের সব সগীরা (ছোট) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদি কেউ কবীরা (বড়) গুনাহ থেকে নিজেকে বিরত রাখে।
মসজিদে দ্রুত যাওয়ার সওয়াব: যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে, উত্তম পোশাক পরে এবং হেঁটে হেঁটে সবার আগে মসজিদে যায়, সে যেন একটি উট কোরবানির সওয়াব পায়। এরপর যে আসে, সে একটি গরু, এরপর একটি ছাগল, এরপর একটি মুরগি, এবং সবশেষে যে আসে সে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব পায়।
সূরা আল-কাহফ পাঠ: জুমার দিনে সূরা আল-কাহফ পাঠ করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। যে ব্যক্তি এই সূরা পাঠ করে, আল্লাহ তাকে দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত একটি বিশেষ নূর বা আলো দান করেন।
দরূদ পাঠ: জুমার দিনে রাসুল (সা.)-এর উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। এই দিনের দরূদ সরাসরি তাঁর কাছে পেশ করা হয়।
এই ফজিলতগুলো জুমার দিনকে মুসলিমদের কাছে আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। এই দিনে ইবাদত ও নেক আমলের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি।
#জুমাবার #জুম্মা #দিন #ফজিলত #আমল #শুক্রবার #ইসলাম #কুরআন #হাদিস #মুসলিম